Ajker Patrika

দোষত্রুটি ক্ষমা করা বড় গুণ

মুফতি আবু দারদা
দোষত্রুটি ক্ষমা করা বড় গুণ

অন্যের ভুলত্রুটি কিংবা অন্যায় আচরণে ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত না হয়ে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা আলোকিত মানুষের গুণ। জীবনের সব ক্ষেত্রে এ গুণের প্রয়োগ বাস্তব না হলেও অনেক সময় এটি দারুণ ফল বয়ে আনে। পবিত্র কোরআনে এই গুণকে ‘আস-সাফহুল জামিল’ তথা ‘সুন্দর উপেক্ষা’ নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় এটি বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে ব্যক্তি ধৈর্য ধরে এবং ক্ষমা করে, নিশ্চয়ই তা অতি আবশ্যকীয় বিষয়।’ (সুরা শুরা: ৪৩) অর্থাৎ ধৈর্য ও ক্ষমা এমন বিষয়, যা অতি কাম্য। যার পুরস্কার অনেক বড়।

ইসলামের প্রথম খলিফা আবুবকর (রা.)-এর জীবনে রয়েছে এ বিষয়ের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি তাঁর নিকটাত্মীয় সাহাবি মিসতাহ (রা.)-এর ভরণপোষণ বহন করতেন। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.)-কে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার ঘটনায় তিনিও জড়িয়ে পড়েন। পরে আয়েশা (রা.)-এর পবিত্রতা বর্ণনা করে আয়াত নাজিল হলে আবুবকর (রা.) খুবই কষ্ট পান। মিসতাহর প্রতি একটু বেশি রুষ্ট হন এবং তাকে আর কখনো ভরণপোষণ দেবেন না বলে শপথ করেন।

তখন আল্লাহ তাআলা আয়াত নাজিল করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা মর্যাদা ও প্রাচুর্যের অধিকারী, তারা যেন আত্মীয়-স্বজন, অভাবী ও আল্লাহর পথের মুহাজিরদের সাহায্য করবে না বলে শপথ না করে। এবং তারা যেন ক্ষমা করে এবং ভুলত্রুটি উপেক্ষা করে। তোমরা কি চাও না, আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করে দিন? আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা: নুর, আয়াত: ২২) আয়াত নাজিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আবু বকর (রা.) বলে ওঠেন, ‘কেন নয়? আল্লাহর কসম! আমি চাইব, আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন। আল্লাহর কসম, তার ভরণপোষণ আমি কখনো বন্ধ করব না।’ (বুখারি: ৪৭৫০)

মুফতি আবু দারদা, ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইরানের ‘দানবীয় ক্ষেপণাস্ত্রের’ সামনে উন্মুক্ত ইসরায়েলের ‘অ্যাকিলিস হিল’

মা-মেয়ের ত্রিভুজ প্রেম, বিয়ে ও একটি খুন

পাকিস্তানের পরমাণু প্রকল্প ধ্বংসে ভারত-ইসরায়েলের যৌথ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় যেভাবে

খামেনি কোথায়, কেমন আছেন—উৎকণ্ঠিত ইরানিদের প্রশ্নের বন্যা

এই বিজয় বাংলাদেশি আন্টিদের বিজয়: জোহরান মামদানি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত