আসআদ শাহীন

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন। এক ওয়াজের মাধ্যমে তাঁকে এমন এক বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করান, যা অজান্তেই তাঁর নিজের অবস্থাকে প্রতিফলিত করছিল।
নারীর ওয়াজ আলেমের হৃদয় স্পর্শ করে, তিনি গভীর শিক্ষা গ্রহণ করেন, তাঁর তীব্র শোক কেটে যায় এবং তিনি আবার মানুষের মাঝে ফিরে আসেন। কী ছিল সেই ওয়াজ, আসুন জেনে নিই সহিহ হাদিসের আলোকে—
ইমাম মালেক (রহ.) ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ থেকে, তিনি কাসিম ইবনে মুহাম্মদ থেকে বর্ণনা করেন—তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ইন্তেকাল করলে আমি প্রচণ্ড শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ি। তখন মুহাম্মদ ইবনে কাব আল-কুরাযি আমার কাছে এলেন এবং আমাকে সান্ত্বনা দিলেন। তিনি বললেন, বনি ইসরাইলের এক বড় আলেম ছিলেন। জ্ঞানী, ধার্মিক ও নিষ্ঠাবান ইবাদতগুজার ছিলেন। তিনি তাঁর স্ত্রীর প্রতি অত্যন্ত আসক্ত ছিলেন এবং তাঁকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন।
হঠাৎ করেই তাঁর স্ত্রী ইন্তেকাল করলেন। এতে তিনি এতটাই মর্মাহত হলেন যে, দুঃখে-কষ্টে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়লেন। তিনি নিজেকে মানুষের কাছ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন। ঘরের দরজা বন্ধ করে একাকী বসবাস করতে লাগলেন। কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারত না। কেউ তাঁর কাছে আসতেও পারত না।
একদিন এক নারী তাঁর অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারলেন এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলেন যে, তাঁকে বুঝিয়ে এই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনবেন। তিনি আলেমের বাড়িতে এলেন এবং বললেন, ‘আমার একটি জরুরি মাসআলা আছে, যার সমাধান কেবল তিনিই দিতে পারেন। আমি তাঁর কাছ থেকে সরাসরি জবাব ছাড়া অন্য কিছুতে সন্তুষ্ট হব না।’
লোকজন চলে গেলেও তিনি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেন এবং বললেন, ‘আমি এখান থেকে যাব না। আমাকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই হবে।’
অবশেষে আলেমের কাছে একজন গিয়ে বললেন, ‘দরজার বাইরে এক নারী এসেছেন, যিনি আপনার কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলার সমাধান জানতে চাচ্ছেন। তিনি বলে গেছেন, কেবল আপনার মুখ থেকেই তিনি উত্তর শুনতে চান এবং কোনোভাবেই ফিরে যাবেন না।’
আলেম বললেন, ‘তাঁকে ভেতরে আসতে দাও।’
নারী ভেতরে প্রবেশ করলেন এবং বললেন, ‘আমি আপনার কাছে একটি ফতোয়া জানতে এসেছি।’
আলেম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী মাসআলা?’
তিনি বললেন, ‘আমি আমার এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে কিছু গয়না ধার নিয়েছিলাম। অনেকদিন তা ব্যবহার করেছি, পরেছি, উপভোগ করেছি। এখন তারা
তাদের গহনা ফেরত চেয়েছে। বলুন, আমি কি তাদের তা ফেরত দেব?’
আলেম বললেন, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই! আল্লাহর কসম, তুমি অবশ্যই তা ফিরিয়ে দেবে।’
নারী বললেন, ‘কিন্তু আমি তো এটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করেছি!’
আলেম বললেন, ‘বরং এটিই তো অধিক গুরুত্বপূর্ণ যে, যাঁরা তোমাকে এটি কিছুদিনের জন্য ধার দিয়েছিলেন, এখন তাঁদের তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
তখন ওই নারী বললেন, ‘আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। তবে কি আপনি এমন কিছু নিয়ে শোক করছেন, যা আল্লাহ আপনাকে কিছু সময়ের জন্য দিয়েছিলেন, আর এখন তিনি সেটি ফিরিয়ে নিয়েছেন? অথচ তিনিই এর প্রকৃত মালিক!’
এই কথাগুলো শুনে আলেম হঠাৎ নিজের অবস্থার গভীরতা বুঝতে পারলেন। তাঁর চেতনা ফিরে এল। তিনি উপলব্ধি করলেন, তিনি যে শোকে মুহ্যমান ছিলেন, তা অনর্থক। আল্লাহর ইচ্ছাই শ্রেষ্ঠ, আর যা তিনি ফিরিয়ে নিয়েছেন, তা তাঁরই ছিল।
অবশেষে তিনি দুঃখ কাটিয়ে উঠলেন এবং আবার মানুষের মাঝে ফিরে এলেন। (মুয়াত্তা মালেক, পৃষ্ঠা: ১৬৩, হাদিস: ৪৩)
গল্প থেকে শিক্ষা
জ্ঞানী ও আলেমরা অনেক সময় সেই শিক্ষা ভুলে যান, যা তাঁরা শিখেছেন ও হেফজ করেছেন—যেমন এই আলেম ভুলে গিয়েছিলেন যে, তিনি নিজেই মানুষকে ধৈর্যের শিক্ষা দিতেন এবং বোঝাতেন যে, আল্লাহ যা কিছু আমাদের থেকে নিয়ে নেন, তা মূলত তিনি আমাদের কাছে কিছু সময়ের জন্য আমানত হিসেবে রেখেছিলেন, যা পরে ফিরিয়ে নেওয়া তাঁরই অধিকার।
যারা প্রজ্ঞা ও বোধশক্তির অধিকারী, তাঁদের দায়িত্ব হলো—অন্যদের সেই জ্ঞান ও উপলব্ধি করিয়ে দেওয়া, যা তারা ভুলে গেছেন বা খেয়াল করেননি। যেমন, এই বিচক্ষণ নারী আলেমকে তাঁর ভুলে যাওয়া শিক্ষা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন।
ফিকহ ও জ্ঞান অর্জন কেবল পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট নয়; বরং এটি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই এক অভিন্ন সম্পদ। এই গল্পে দেখা যায়, এক নারী কেবল জ্ঞান অর্জন করেননি, বরং এক বিদ্বান পুরুষকেও তাঁর ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন।
যদি কোনো নারী নিশ্চিত হন যে, তিনি নিজেকে বিপদ ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন, তাহলে তাঁর জন্য জ্ঞান বিতরণ, শিক্ষা দেওয়া এবং সমাজে কল্যাণ ছড়িয়ে দেওয়ার কোনো বাধা নেই।
উপমা ও উদাহরণের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, উপমা সন্দেহ দূর করে, অস্পষ্টতা দূর করে, পথহারা মানুষকে শিক্ষা দেয় এবং বিভ্রান্তদের সঠিক পথে পরিচালিত করে।

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন। এক ওয়াজের মাধ্যমে তাঁকে এমন এক বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করান, যা অজান্তেই তাঁর নিজের অবস্থাকে প্রতিফলিত করছিল।
নারীর ওয়াজ আলেমের হৃদয় স্পর্শ করে, তিনি গভীর শিক্ষা গ্রহণ করেন, তাঁর তীব্র শোক কেটে যায় এবং তিনি আবার মানুষের মাঝে ফিরে আসেন। কী ছিল সেই ওয়াজ, আসুন জেনে নিই সহিহ হাদিসের আলোকে—
ইমাম মালেক (রহ.) ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ থেকে, তিনি কাসিম ইবনে মুহাম্মদ থেকে বর্ণনা করেন—তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ইন্তেকাল করলে আমি প্রচণ্ড শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ি। তখন মুহাম্মদ ইবনে কাব আল-কুরাযি আমার কাছে এলেন এবং আমাকে সান্ত্বনা দিলেন। তিনি বললেন, বনি ইসরাইলের এক বড় আলেম ছিলেন। জ্ঞানী, ধার্মিক ও নিষ্ঠাবান ইবাদতগুজার ছিলেন। তিনি তাঁর স্ত্রীর প্রতি অত্যন্ত আসক্ত ছিলেন এবং তাঁকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন।
হঠাৎ করেই তাঁর স্ত্রী ইন্তেকাল করলেন। এতে তিনি এতটাই মর্মাহত হলেন যে, দুঃখে-কষ্টে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়লেন। তিনি নিজেকে মানুষের কাছ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন। ঘরের দরজা বন্ধ করে একাকী বসবাস করতে লাগলেন। কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারত না। কেউ তাঁর কাছে আসতেও পারত না।
একদিন এক নারী তাঁর অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারলেন এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলেন যে, তাঁকে বুঝিয়ে এই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনবেন। তিনি আলেমের বাড়িতে এলেন এবং বললেন, ‘আমার একটি জরুরি মাসআলা আছে, যার সমাধান কেবল তিনিই দিতে পারেন। আমি তাঁর কাছ থেকে সরাসরি জবাব ছাড়া অন্য কিছুতে সন্তুষ্ট হব না।’
লোকজন চলে গেলেও তিনি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেন এবং বললেন, ‘আমি এখান থেকে যাব না। আমাকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই হবে।’
অবশেষে আলেমের কাছে একজন গিয়ে বললেন, ‘দরজার বাইরে এক নারী এসেছেন, যিনি আপনার কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলার সমাধান জানতে চাচ্ছেন। তিনি বলে গেছেন, কেবল আপনার মুখ থেকেই তিনি উত্তর শুনতে চান এবং কোনোভাবেই ফিরে যাবেন না।’
আলেম বললেন, ‘তাঁকে ভেতরে আসতে দাও।’
নারী ভেতরে প্রবেশ করলেন এবং বললেন, ‘আমি আপনার কাছে একটি ফতোয়া জানতে এসেছি।’
আলেম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী মাসআলা?’
তিনি বললেন, ‘আমি আমার এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে কিছু গয়না ধার নিয়েছিলাম। অনেকদিন তা ব্যবহার করেছি, পরেছি, উপভোগ করেছি। এখন তারা
তাদের গহনা ফেরত চেয়েছে। বলুন, আমি কি তাদের তা ফেরত দেব?’
আলেম বললেন, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই! আল্লাহর কসম, তুমি অবশ্যই তা ফিরিয়ে দেবে।’
নারী বললেন, ‘কিন্তু আমি তো এটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করেছি!’
আলেম বললেন, ‘বরং এটিই তো অধিক গুরুত্বপূর্ণ যে, যাঁরা তোমাকে এটি কিছুদিনের জন্য ধার দিয়েছিলেন, এখন তাঁদের তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
তখন ওই নারী বললেন, ‘আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। তবে কি আপনি এমন কিছু নিয়ে শোক করছেন, যা আল্লাহ আপনাকে কিছু সময়ের জন্য দিয়েছিলেন, আর এখন তিনি সেটি ফিরিয়ে নিয়েছেন? অথচ তিনিই এর প্রকৃত মালিক!’
এই কথাগুলো শুনে আলেম হঠাৎ নিজের অবস্থার গভীরতা বুঝতে পারলেন। তাঁর চেতনা ফিরে এল। তিনি উপলব্ধি করলেন, তিনি যে শোকে মুহ্যমান ছিলেন, তা অনর্থক। আল্লাহর ইচ্ছাই শ্রেষ্ঠ, আর যা তিনি ফিরিয়ে নিয়েছেন, তা তাঁরই ছিল।
অবশেষে তিনি দুঃখ কাটিয়ে উঠলেন এবং আবার মানুষের মাঝে ফিরে এলেন। (মুয়াত্তা মালেক, পৃষ্ঠা: ১৬৩, হাদিস: ৪৩)
গল্প থেকে শিক্ষা
জ্ঞানী ও আলেমরা অনেক সময় সেই শিক্ষা ভুলে যান, যা তাঁরা শিখেছেন ও হেফজ করেছেন—যেমন এই আলেম ভুলে গিয়েছিলেন যে, তিনি নিজেই মানুষকে ধৈর্যের শিক্ষা দিতেন এবং বোঝাতেন যে, আল্লাহ যা কিছু আমাদের থেকে নিয়ে নেন, তা মূলত তিনি আমাদের কাছে কিছু সময়ের জন্য আমানত হিসেবে রেখেছিলেন, যা পরে ফিরিয়ে নেওয়া তাঁরই অধিকার।
যারা প্রজ্ঞা ও বোধশক্তির অধিকারী, তাঁদের দায়িত্ব হলো—অন্যদের সেই জ্ঞান ও উপলব্ধি করিয়ে দেওয়া, যা তারা ভুলে গেছেন বা খেয়াল করেননি। যেমন, এই বিচক্ষণ নারী আলেমকে তাঁর ভুলে যাওয়া শিক্ষা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন।
ফিকহ ও জ্ঞান অর্জন কেবল পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট নয়; বরং এটি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই এক অভিন্ন সম্পদ। এই গল্পে দেখা যায়, এক নারী কেবল জ্ঞান অর্জন করেননি, বরং এক বিদ্বান পুরুষকেও তাঁর ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন।
যদি কোনো নারী নিশ্চিত হন যে, তিনি নিজেকে বিপদ ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন, তাহলে তাঁর জন্য জ্ঞান বিতরণ, শিক্ষা দেওয়া এবং সমাজে কল্যাণ ছড়িয়ে দেওয়ার কোনো বাধা নেই।
উপমা ও উদাহরণের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, উপমা সন্দেহ দূর করে, অস্পষ্টতা দূর করে, পথহারা মানুষকে শিক্ষা দেয় এবং বিভ্রান্তদের সঠিক পথে পরিচালিত করে।
আসআদ শাহীন

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন। এক ওয়াজের মাধ্যমে তাঁকে এমন এক বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করান, যা অজান্তেই তাঁর নিজের অবস্থাকে প্রতিফলিত করছিল।
নারীর ওয়াজ আলেমের হৃদয় স্পর্শ করে, তিনি গভীর শিক্ষা গ্রহণ করেন, তাঁর তীব্র শোক কেটে যায় এবং তিনি আবার মানুষের মাঝে ফিরে আসেন। কী ছিল সেই ওয়াজ, আসুন জেনে নিই সহিহ হাদিসের আলোকে—
ইমাম মালেক (রহ.) ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ থেকে, তিনি কাসিম ইবনে মুহাম্মদ থেকে বর্ণনা করেন—তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ইন্তেকাল করলে আমি প্রচণ্ড শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ি। তখন মুহাম্মদ ইবনে কাব আল-কুরাযি আমার কাছে এলেন এবং আমাকে সান্ত্বনা দিলেন। তিনি বললেন, বনি ইসরাইলের এক বড় আলেম ছিলেন। জ্ঞানী, ধার্মিক ও নিষ্ঠাবান ইবাদতগুজার ছিলেন। তিনি তাঁর স্ত্রীর প্রতি অত্যন্ত আসক্ত ছিলেন এবং তাঁকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন।
হঠাৎ করেই তাঁর স্ত্রী ইন্তেকাল করলেন। এতে তিনি এতটাই মর্মাহত হলেন যে, দুঃখে-কষ্টে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়লেন। তিনি নিজেকে মানুষের কাছ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন। ঘরের দরজা বন্ধ করে একাকী বসবাস করতে লাগলেন। কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারত না। কেউ তাঁর কাছে আসতেও পারত না।
একদিন এক নারী তাঁর অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারলেন এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলেন যে, তাঁকে বুঝিয়ে এই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনবেন। তিনি আলেমের বাড়িতে এলেন এবং বললেন, ‘আমার একটি জরুরি মাসআলা আছে, যার সমাধান কেবল তিনিই দিতে পারেন। আমি তাঁর কাছ থেকে সরাসরি জবাব ছাড়া অন্য কিছুতে সন্তুষ্ট হব না।’
লোকজন চলে গেলেও তিনি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেন এবং বললেন, ‘আমি এখান থেকে যাব না। আমাকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই হবে।’
অবশেষে আলেমের কাছে একজন গিয়ে বললেন, ‘দরজার বাইরে এক নারী এসেছেন, যিনি আপনার কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলার সমাধান জানতে চাচ্ছেন। তিনি বলে গেছেন, কেবল আপনার মুখ থেকেই তিনি উত্তর শুনতে চান এবং কোনোভাবেই ফিরে যাবেন না।’
আলেম বললেন, ‘তাঁকে ভেতরে আসতে দাও।’
নারী ভেতরে প্রবেশ করলেন এবং বললেন, ‘আমি আপনার কাছে একটি ফতোয়া জানতে এসেছি।’
আলেম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী মাসআলা?’
তিনি বললেন, ‘আমি আমার এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে কিছু গয়না ধার নিয়েছিলাম। অনেকদিন তা ব্যবহার করেছি, পরেছি, উপভোগ করেছি। এখন তারা
তাদের গহনা ফেরত চেয়েছে। বলুন, আমি কি তাদের তা ফেরত দেব?’
আলেম বললেন, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই! আল্লাহর কসম, তুমি অবশ্যই তা ফিরিয়ে দেবে।’
নারী বললেন, ‘কিন্তু আমি তো এটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করেছি!’
আলেম বললেন, ‘বরং এটিই তো অধিক গুরুত্বপূর্ণ যে, যাঁরা তোমাকে এটি কিছুদিনের জন্য ধার দিয়েছিলেন, এখন তাঁদের তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
তখন ওই নারী বললেন, ‘আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। তবে কি আপনি এমন কিছু নিয়ে শোক করছেন, যা আল্লাহ আপনাকে কিছু সময়ের জন্য দিয়েছিলেন, আর এখন তিনি সেটি ফিরিয়ে নিয়েছেন? অথচ তিনিই এর প্রকৃত মালিক!’
এই কথাগুলো শুনে আলেম হঠাৎ নিজের অবস্থার গভীরতা বুঝতে পারলেন। তাঁর চেতনা ফিরে এল। তিনি উপলব্ধি করলেন, তিনি যে শোকে মুহ্যমান ছিলেন, তা অনর্থক। আল্লাহর ইচ্ছাই শ্রেষ্ঠ, আর যা তিনি ফিরিয়ে নিয়েছেন, তা তাঁরই ছিল।
অবশেষে তিনি দুঃখ কাটিয়ে উঠলেন এবং আবার মানুষের মাঝে ফিরে এলেন। (মুয়াত্তা মালেক, পৃষ্ঠা: ১৬৩, হাদিস: ৪৩)
গল্প থেকে শিক্ষা
জ্ঞানী ও আলেমরা অনেক সময় সেই শিক্ষা ভুলে যান, যা তাঁরা শিখেছেন ও হেফজ করেছেন—যেমন এই আলেম ভুলে গিয়েছিলেন যে, তিনি নিজেই মানুষকে ধৈর্যের শিক্ষা দিতেন এবং বোঝাতেন যে, আল্লাহ যা কিছু আমাদের থেকে নিয়ে নেন, তা মূলত তিনি আমাদের কাছে কিছু সময়ের জন্য আমানত হিসেবে রেখেছিলেন, যা পরে ফিরিয়ে নেওয়া তাঁরই অধিকার।
যারা প্রজ্ঞা ও বোধশক্তির অধিকারী, তাঁদের দায়িত্ব হলো—অন্যদের সেই জ্ঞান ও উপলব্ধি করিয়ে দেওয়া, যা তারা ভুলে গেছেন বা খেয়াল করেননি। যেমন, এই বিচক্ষণ নারী আলেমকে তাঁর ভুলে যাওয়া শিক্ষা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন।
ফিকহ ও জ্ঞান অর্জন কেবল পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট নয়; বরং এটি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই এক অভিন্ন সম্পদ। এই গল্পে দেখা যায়, এক নারী কেবল জ্ঞান অর্জন করেননি, বরং এক বিদ্বান পুরুষকেও তাঁর ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন।
যদি কোনো নারী নিশ্চিত হন যে, তিনি নিজেকে বিপদ ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন, তাহলে তাঁর জন্য জ্ঞান বিতরণ, শিক্ষা দেওয়া এবং সমাজে কল্যাণ ছড়িয়ে দেওয়ার কোনো বাধা নেই।
উপমা ও উদাহরণের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, উপমা সন্দেহ দূর করে, অস্পষ্টতা দূর করে, পথহারা মানুষকে শিক্ষা দেয় এবং বিভ্রান্তদের সঠিক পথে পরিচালিত করে।

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন। এক ওয়াজের মাধ্যমে তাঁকে এমন এক বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করান, যা অজান্তেই তাঁর নিজের অবস্থাকে প্রতিফলিত করছিল।
নারীর ওয়াজ আলেমের হৃদয় স্পর্শ করে, তিনি গভীর শিক্ষা গ্রহণ করেন, তাঁর তীব্র শোক কেটে যায় এবং তিনি আবার মানুষের মাঝে ফিরে আসেন। কী ছিল সেই ওয়াজ, আসুন জেনে নিই সহিহ হাদিসের আলোকে—
ইমাম মালেক (রহ.) ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ থেকে, তিনি কাসিম ইবনে মুহাম্মদ থেকে বর্ণনা করেন—তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ইন্তেকাল করলে আমি প্রচণ্ড শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ি। তখন মুহাম্মদ ইবনে কাব আল-কুরাযি আমার কাছে এলেন এবং আমাকে সান্ত্বনা দিলেন। তিনি বললেন, বনি ইসরাইলের এক বড় আলেম ছিলেন। জ্ঞানী, ধার্মিক ও নিষ্ঠাবান ইবাদতগুজার ছিলেন। তিনি তাঁর স্ত্রীর প্রতি অত্যন্ত আসক্ত ছিলেন এবং তাঁকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন।
হঠাৎ করেই তাঁর স্ত্রী ইন্তেকাল করলেন। এতে তিনি এতটাই মর্মাহত হলেন যে, দুঃখে-কষ্টে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়লেন। তিনি নিজেকে মানুষের কাছ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন। ঘরের দরজা বন্ধ করে একাকী বসবাস করতে লাগলেন। কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারত না। কেউ তাঁর কাছে আসতেও পারত না।
একদিন এক নারী তাঁর অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারলেন এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলেন যে, তাঁকে বুঝিয়ে এই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনবেন। তিনি আলেমের বাড়িতে এলেন এবং বললেন, ‘আমার একটি জরুরি মাসআলা আছে, যার সমাধান কেবল তিনিই দিতে পারেন। আমি তাঁর কাছ থেকে সরাসরি জবাব ছাড়া অন্য কিছুতে সন্তুষ্ট হব না।’
লোকজন চলে গেলেও তিনি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেন এবং বললেন, ‘আমি এখান থেকে যাব না। আমাকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই হবে।’
অবশেষে আলেমের কাছে একজন গিয়ে বললেন, ‘দরজার বাইরে এক নারী এসেছেন, যিনি আপনার কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলার সমাধান জানতে চাচ্ছেন। তিনি বলে গেছেন, কেবল আপনার মুখ থেকেই তিনি উত্তর শুনতে চান এবং কোনোভাবেই ফিরে যাবেন না।’
আলেম বললেন, ‘তাঁকে ভেতরে আসতে দাও।’
নারী ভেতরে প্রবেশ করলেন এবং বললেন, ‘আমি আপনার কাছে একটি ফতোয়া জানতে এসেছি।’
আলেম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী মাসআলা?’
তিনি বললেন, ‘আমি আমার এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে কিছু গয়না ধার নিয়েছিলাম। অনেকদিন তা ব্যবহার করেছি, পরেছি, উপভোগ করেছি। এখন তারা
তাদের গহনা ফেরত চেয়েছে। বলুন, আমি কি তাদের তা ফেরত দেব?’
আলেম বললেন, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই! আল্লাহর কসম, তুমি অবশ্যই তা ফিরিয়ে দেবে।’
নারী বললেন, ‘কিন্তু আমি তো এটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করেছি!’
আলেম বললেন, ‘বরং এটিই তো অধিক গুরুত্বপূর্ণ যে, যাঁরা তোমাকে এটি কিছুদিনের জন্য ধার দিয়েছিলেন, এখন তাঁদের তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
তখন ওই নারী বললেন, ‘আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। তবে কি আপনি এমন কিছু নিয়ে শোক করছেন, যা আল্লাহ আপনাকে কিছু সময়ের জন্য দিয়েছিলেন, আর এখন তিনি সেটি ফিরিয়ে নিয়েছেন? অথচ তিনিই এর প্রকৃত মালিক!’
এই কথাগুলো শুনে আলেম হঠাৎ নিজের অবস্থার গভীরতা বুঝতে পারলেন। তাঁর চেতনা ফিরে এল। তিনি উপলব্ধি করলেন, তিনি যে শোকে মুহ্যমান ছিলেন, তা অনর্থক। আল্লাহর ইচ্ছাই শ্রেষ্ঠ, আর যা তিনি ফিরিয়ে নিয়েছেন, তা তাঁরই ছিল।
অবশেষে তিনি দুঃখ কাটিয়ে উঠলেন এবং আবার মানুষের মাঝে ফিরে এলেন। (মুয়াত্তা মালেক, পৃষ্ঠা: ১৬৩, হাদিস: ৪৩)
গল্প থেকে শিক্ষা
জ্ঞানী ও আলেমরা অনেক সময় সেই শিক্ষা ভুলে যান, যা তাঁরা শিখেছেন ও হেফজ করেছেন—যেমন এই আলেম ভুলে গিয়েছিলেন যে, তিনি নিজেই মানুষকে ধৈর্যের শিক্ষা দিতেন এবং বোঝাতেন যে, আল্লাহ যা কিছু আমাদের থেকে নিয়ে নেন, তা মূলত তিনি আমাদের কাছে কিছু সময়ের জন্য আমানত হিসেবে রেখেছিলেন, যা পরে ফিরিয়ে নেওয়া তাঁরই অধিকার।
যারা প্রজ্ঞা ও বোধশক্তির অধিকারী, তাঁদের দায়িত্ব হলো—অন্যদের সেই জ্ঞান ও উপলব্ধি করিয়ে দেওয়া, যা তারা ভুলে গেছেন বা খেয়াল করেননি। যেমন, এই বিচক্ষণ নারী আলেমকে তাঁর ভুলে যাওয়া শিক্ষা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন।
ফিকহ ও জ্ঞান অর্জন কেবল পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট নয়; বরং এটি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই এক অভিন্ন সম্পদ। এই গল্পে দেখা যায়, এক নারী কেবল জ্ঞান অর্জন করেননি, বরং এক বিদ্বান পুরুষকেও তাঁর ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন।
যদি কোনো নারী নিশ্চিত হন যে, তিনি নিজেকে বিপদ ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন, তাহলে তাঁর জন্য জ্ঞান বিতরণ, শিক্ষা দেওয়া এবং সমাজে কল্যাণ ছড়িয়ে দেওয়ার কোনো বাধা নেই।
উপমা ও উদাহরণের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, উপমা সন্দেহ দূর করে, অস্পষ্টতা দূর করে, পথহারা মানুষকে শিক্ষা দেয় এবং বিভ্রান্তদের সঠিক পথে পরিচালিত করে।

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন রোজাদাররা প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তাদের প্রবেশের পরই সেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে, যেন এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে।’ (সহিহ বুখারি: ১৮৯৬)। প্রিয় নবীজি (সা.) আরও বলেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’। (সহিহ আল জামে: ৬২২৪)
নবী করিম (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতে বলতেন। নিজেও বছরের নানা দিনে নফল রোজা রাখতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) যেসব দিন নফল রোজা রাখতেন, তার মধ্যে অন্যতম সোমবার। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ১০২৭)
আবু কাতাদাহ আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে একবার সোমবারে রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এই দিনেই আমাকে নবুওয়াত দেওয়া হয়েছিল। অথবা, এই দিনে আমার ওপর (কোরআন) নাজিল করা হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)
হাফসা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। (মাসের প্রথম সপ্তাহের) সোম ও বৃহস্পতিবার এবং (দ্বিতীয় সপ্তাহের) সোমবার।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৫১)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, রোজা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম। সোমবারের রোজা আমাদের জন্য হতে পারে তাকওয়া অর্জনের অপার সুযোগ।

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন রোজাদাররা প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তাদের প্রবেশের পরই সেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে, যেন এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে।’ (সহিহ বুখারি: ১৮৯৬)। প্রিয় নবীজি (সা.) আরও বলেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’। (সহিহ আল জামে: ৬২২৪)
নবী করিম (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতে বলতেন। নিজেও বছরের নানা দিনে নফল রোজা রাখতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) যেসব দিন নফল রোজা রাখতেন, তার মধ্যে অন্যতম সোমবার। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ১০২৭)
আবু কাতাদাহ আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে একবার সোমবারে রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এই দিনেই আমাকে নবুওয়াত দেওয়া হয়েছিল। অথবা, এই দিনে আমার ওপর (কোরআন) নাজিল করা হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)
হাফসা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। (মাসের প্রথম সপ্তাহের) সোম ও বৃহস্পতিবার এবং (দ্বিতীয় সপ্তাহের) সোমবার।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৫১)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, রোজা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম। সোমবারের রোজা আমাদের জন্য হতে পারে তাকওয়া অর্জনের অপার সুযোগ।

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন।
১৯ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন।
১৯ মার্চ ২০২৫
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আদব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সালাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তার বার্তা বহন করে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। দুঃখজনকভাবে, সমাজে এই মহান সুন্নাহর চর্চা কমে আসছে।
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
নবীজি (সা.) সালামের মাধ্যমে জান্নাতের পথ সহজ করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস অনুসারে, সালামের পূর্ণ বাক্য বিনিময়ে ৩০ নেকি লাভ হয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৯৫)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আর তা হলো পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করা।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৪)
সালামের এত গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, মনোযোগের অভাব, সালামকে স্রেফ সৌজন্য মনে করার কারণে এর চর্চা কমছে। অপরিচিত বা কম পরিচিত ব্যক্তিকে সালাম দিতে দ্বিধা করা হয়, অথচ হাদিস অনুযায়ী এতেই বেশি সওয়াব। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সালামের চর্চা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।
সালাম কেবল একটি সুন্নাহ নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তা ও আত্মিক শান্তির প্রতীক। যিনি প্রথমে সালাম দেন, তিনি আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় এবং উত্তম। আমরা এই মহান সুন্নাহর ব্যাপক অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

আদব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সালাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তার বার্তা বহন করে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। দুঃখজনকভাবে, সমাজে এই মহান সুন্নাহর চর্চা কমে আসছে।
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
নবীজি (সা.) সালামের মাধ্যমে জান্নাতের পথ সহজ করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস অনুসারে, সালামের পূর্ণ বাক্য বিনিময়ে ৩০ নেকি লাভ হয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৯৫)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আর তা হলো পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করা।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৪)
সালামের এত গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, মনোযোগের অভাব, সালামকে স্রেফ সৌজন্য মনে করার কারণে এর চর্চা কমছে। অপরিচিত বা কম পরিচিত ব্যক্তিকে সালাম দিতে দ্বিধা করা হয়, অথচ হাদিস অনুযায়ী এতেই বেশি সওয়াব। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সালামের চর্চা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।
সালাম কেবল একটি সুন্নাহ নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তা ও আত্মিক শান্তির প্রতীক। যিনি প্রথমে সালাম দেন, তিনি আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় এবং উত্তম। আমরা এই মহান সুন্নাহর ব্যাপক অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন।
১৯ মার্চ ২০২৫
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেসাকী মাহবুব

মানবসমাজে পারস্পরিক ভালোবাসা, সদ্ভাব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। এই লক্ষ্য অর্জনে হাদিয়া বা উপহার আদান-প্রদান একটি অত্যন্ত কার্যকরী ও পরীক্ষিত পদ্ধতি।
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা। এটি মানুষের মন থেকে রাগ, বিদ্বেষ ও শত্রুতার ভাব দূর করে ভালোবাসার বীজ বপন করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পর উপহার আদান-প্রদান করো, তাহলে তোমাদের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি হবে।’ (জামে তিরমিজি)
অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি বা তিক্ততা সৃষ্টি হয়, যা থেকে শত্রুতার জন্ম নেয়। হাদিয়া এ ক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। আন্তরিকভাবে দেওয়া একটি উপহার কঠিন হৃদয়ের দেয়াল ভেঙে দিতে সক্ষম।
হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা পরস্পর হাদিয়া আদান-প্রদান করো। কেননা, হাদিয়া অন্তর থেকে বিদ্বেষ দূর করে দেয়।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাও, তাহলে তোমাদের বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে; আর তোমরা পরস্পরকে উপহার দাও, তাহলে শত্রুতা দূর হয়ে যাবে।’ (মুআত্তা ইমাম মালেক, আল-আদাবুল মুফরাদ)
বাস্তব জীবনে দেখা যায়, একজন তিক্ততা পোষণকারী আত্মীয় বা প্রতিবেশীকে আন্তরিকতার সঙ্গে একটি উপহার দিলে তার পাষাণ হৃদয়ে পরিবর্তন আসে এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এটি প্রমাণ করে যে হাদিয়া মানুষের ভেতরের নেতিবাচক অনুভূতিকে ইতিবাচক রূপে রূপান্তরিত করতে পারে।
হাদিয়া গ্রহণ ও প্রদান করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি প্রিয় অভ্যাস ছিল। তিনি উপহার গ্রহণ করতেন এবং বিনিময়ে কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করতেন। এটি ছিল তাঁর উচ্চ নৈতিকতার প্রমাণ।
আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিয়া গ্রহণ করতেন এবং এর প্রতিদান দিতেন।’ (সহিহ্ বুখারি)
সামান্য ও নগণ্য হাদিয়াও তিনি ফিরিয়ে দিতেন না। এর মাধ্যমে তিনি উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন যে উপহারের মূল্য নয়, বরং আন্তরিকতাই আসল। হাদিয়া আদান-প্রদান শুধু একটি সামাজিক প্রথা নয়, এটি একটি ইবাদত এবং নবুওয়াতের শিক্ষা। এটি এমন এক মানবিক কৌশল, যা মানুষের হৃদয়ের গভীরে প্রবেশ করে বিদ্বেষ দূর করে ভালোবাসা ও সদ্ভাব প্রতিষ্ঠা করে।
আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সম্পর্কগুলোকে সুন্দর ও মজবুত করার জন্য হাদিয়ার এই ঐশী মাধ্যমটিকে গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। হাদিয়ার মূল্য নয়, বরং এর পেছনে থাকা আন্তরিকতাই পারে যেকোনো মানুষের অন্তর পরিবর্তন করে সম্পর্ককে স্থায়ী ও মধুর করতে।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কশবামাজাইল, পাংশা, রাজবাড়ী।

মানবসমাজে পারস্পরিক ভালোবাসা, সদ্ভাব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। এই লক্ষ্য অর্জনে হাদিয়া বা উপহার আদান-প্রদান একটি অত্যন্ত কার্যকরী ও পরীক্ষিত পদ্ধতি।
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা। এটি মানুষের মন থেকে রাগ, বিদ্বেষ ও শত্রুতার ভাব দূর করে ভালোবাসার বীজ বপন করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পর উপহার আদান-প্রদান করো, তাহলে তোমাদের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি হবে।’ (জামে তিরমিজি)
অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি বা তিক্ততা সৃষ্টি হয়, যা থেকে শত্রুতার জন্ম নেয়। হাদিয়া এ ক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। আন্তরিকভাবে দেওয়া একটি উপহার কঠিন হৃদয়ের দেয়াল ভেঙে দিতে সক্ষম।
হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা পরস্পর হাদিয়া আদান-প্রদান করো। কেননা, হাদিয়া অন্তর থেকে বিদ্বেষ দূর করে দেয়।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাও, তাহলে তোমাদের বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে; আর তোমরা পরস্পরকে উপহার দাও, তাহলে শত্রুতা দূর হয়ে যাবে।’ (মুআত্তা ইমাম মালেক, আল-আদাবুল মুফরাদ)
বাস্তব জীবনে দেখা যায়, একজন তিক্ততা পোষণকারী আত্মীয় বা প্রতিবেশীকে আন্তরিকতার সঙ্গে একটি উপহার দিলে তার পাষাণ হৃদয়ে পরিবর্তন আসে এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এটি প্রমাণ করে যে হাদিয়া মানুষের ভেতরের নেতিবাচক অনুভূতিকে ইতিবাচক রূপে রূপান্তরিত করতে পারে।
হাদিয়া গ্রহণ ও প্রদান করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি প্রিয় অভ্যাস ছিল। তিনি উপহার গ্রহণ করতেন এবং বিনিময়ে কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করতেন। এটি ছিল তাঁর উচ্চ নৈতিকতার প্রমাণ।
আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিয়া গ্রহণ করতেন এবং এর প্রতিদান দিতেন।’ (সহিহ্ বুখারি)
সামান্য ও নগণ্য হাদিয়াও তিনি ফিরিয়ে দিতেন না। এর মাধ্যমে তিনি উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন যে উপহারের মূল্য নয়, বরং আন্তরিকতাই আসল। হাদিয়া আদান-প্রদান শুধু একটি সামাজিক প্রথা নয়, এটি একটি ইবাদত এবং নবুওয়াতের শিক্ষা। এটি এমন এক মানবিক কৌশল, যা মানুষের হৃদয়ের গভীরে প্রবেশ করে বিদ্বেষ দূর করে ভালোবাসা ও সদ্ভাব প্রতিষ্ঠা করে।
আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সম্পর্কগুলোকে সুন্দর ও মজবুত করার জন্য হাদিয়ার এই ঐশী মাধ্যমটিকে গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। হাদিয়ার মূল্য নয়, বরং এর পেছনে থাকা আন্তরিকতাই পারে যেকোনো মানুষের অন্তর পরিবর্তন করে সম্পর্ককে স্থায়ী ও মধুর করতে।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কশবামাজাইল, পাংশা, রাজবাড়ী।

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন।
১৯ মার্চ ২০২৫
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে