আসআদ শাহীন

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন। এক ওয়াজের মাধ্যমে তাঁকে এমন এক বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করান, যা অজান্তেই তাঁর নিজের অবস্থাকে প্রতিফলিত করছিল।
নারীর ওয়াজ আলেমের হৃদয় স্পর্শ করে, তিনি গভীর শিক্ষা গ্রহণ করেন, তাঁর তীব্র শোক কেটে যায় এবং তিনি আবার মানুষের মাঝে ফিরে আসেন। কী ছিল সেই ওয়াজ, আসুন জেনে নিই সহিহ হাদিসের আলোকে—
ইমাম মালেক (রহ.) ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ থেকে, তিনি কাসিম ইবনে মুহাম্মদ থেকে বর্ণনা করেন—তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ইন্তেকাল করলে আমি প্রচণ্ড শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ি। তখন মুহাম্মদ ইবনে কাব আল-কুরাযি আমার কাছে এলেন এবং আমাকে সান্ত্বনা দিলেন। তিনি বললেন, বনি ইসরাইলের এক বড় আলেম ছিলেন। জ্ঞানী, ধার্মিক ও নিষ্ঠাবান ইবাদতগুজার ছিলেন। তিনি তাঁর স্ত্রীর প্রতি অত্যন্ত আসক্ত ছিলেন এবং তাঁকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন।
হঠাৎ করেই তাঁর স্ত্রী ইন্তেকাল করলেন। এতে তিনি এতটাই মর্মাহত হলেন যে, দুঃখে-কষ্টে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়লেন। তিনি নিজেকে মানুষের কাছ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন। ঘরের দরজা বন্ধ করে একাকী বসবাস করতে লাগলেন। কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারত না। কেউ তাঁর কাছে আসতেও পারত না।
একদিন এক নারী তাঁর অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারলেন এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলেন যে, তাঁকে বুঝিয়ে এই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনবেন। তিনি আলেমের বাড়িতে এলেন এবং বললেন, ‘আমার একটি জরুরি মাসআলা আছে, যার সমাধান কেবল তিনিই দিতে পারেন। আমি তাঁর কাছ থেকে সরাসরি জবাব ছাড়া অন্য কিছুতে সন্তুষ্ট হব না।’
লোকজন চলে গেলেও তিনি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেন এবং বললেন, ‘আমি এখান থেকে যাব না। আমাকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই হবে।’
অবশেষে আলেমের কাছে একজন গিয়ে বললেন, ‘দরজার বাইরে এক নারী এসেছেন, যিনি আপনার কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলার সমাধান জানতে চাচ্ছেন। তিনি বলে গেছেন, কেবল আপনার মুখ থেকেই তিনি উত্তর শুনতে চান এবং কোনোভাবেই ফিরে যাবেন না।’
আলেম বললেন, ‘তাঁকে ভেতরে আসতে দাও।’
নারী ভেতরে প্রবেশ করলেন এবং বললেন, ‘আমি আপনার কাছে একটি ফতোয়া জানতে এসেছি।’
আলেম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী মাসআলা?’
তিনি বললেন, ‘আমি আমার এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে কিছু গয়না ধার নিয়েছিলাম। অনেকদিন তা ব্যবহার করেছি, পরেছি, উপভোগ করেছি। এখন তারা
তাদের গহনা ফেরত চেয়েছে। বলুন, আমি কি তাদের তা ফেরত দেব?’
আলেম বললেন, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই! আল্লাহর কসম, তুমি অবশ্যই তা ফিরিয়ে দেবে।’
নারী বললেন, ‘কিন্তু আমি তো এটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করেছি!’
আলেম বললেন, ‘বরং এটিই তো অধিক গুরুত্বপূর্ণ যে, যাঁরা তোমাকে এটি কিছুদিনের জন্য ধার দিয়েছিলেন, এখন তাঁদের তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
তখন ওই নারী বললেন, ‘আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। তবে কি আপনি এমন কিছু নিয়ে শোক করছেন, যা আল্লাহ আপনাকে কিছু সময়ের জন্য দিয়েছিলেন, আর এখন তিনি সেটি ফিরিয়ে নিয়েছেন? অথচ তিনিই এর প্রকৃত মালিক!’
এই কথাগুলো শুনে আলেম হঠাৎ নিজের অবস্থার গভীরতা বুঝতে পারলেন। তাঁর চেতনা ফিরে এল। তিনি উপলব্ধি করলেন, তিনি যে শোকে মুহ্যমান ছিলেন, তা অনর্থক। আল্লাহর ইচ্ছাই শ্রেষ্ঠ, আর যা তিনি ফিরিয়ে নিয়েছেন, তা তাঁরই ছিল।
অবশেষে তিনি দুঃখ কাটিয়ে উঠলেন এবং আবার মানুষের মাঝে ফিরে এলেন। (মুয়াত্তা মালেক, পৃষ্ঠা: ১৬৩, হাদিস: ৪৩)
গল্প থেকে শিক্ষা
জ্ঞানী ও আলেমরা অনেক সময় সেই শিক্ষা ভুলে যান, যা তাঁরা শিখেছেন ও হেফজ করেছেন—যেমন এই আলেম ভুলে গিয়েছিলেন যে, তিনি নিজেই মানুষকে ধৈর্যের শিক্ষা দিতেন এবং বোঝাতেন যে, আল্লাহ যা কিছু আমাদের থেকে নিয়ে নেন, তা মূলত তিনি আমাদের কাছে কিছু সময়ের জন্য আমানত হিসেবে রেখেছিলেন, যা পরে ফিরিয়ে নেওয়া তাঁরই অধিকার।
যারা প্রজ্ঞা ও বোধশক্তির অধিকারী, তাঁদের দায়িত্ব হলো—অন্যদের সেই জ্ঞান ও উপলব্ধি করিয়ে দেওয়া, যা তারা ভুলে গেছেন বা খেয়াল করেননি। যেমন, এই বিচক্ষণ নারী আলেমকে তাঁর ভুলে যাওয়া শিক্ষা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন।
ফিকহ ও জ্ঞান অর্জন কেবল পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট নয়; বরং এটি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই এক অভিন্ন সম্পদ। এই গল্পে দেখা যায়, এক নারী কেবল জ্ঞান অর্জন করেননি, বরং এক বিদ্বান পুরুষকেও তাঁর ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন।
যদি কোনো নারী নিশ্চিত হন যে, তিনি নিজেকে বিপদ ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন, তাহলে তাঁর জন্য জ্ঞান বিতরণ, শিক্ষা দেওয়া এবং সমাজে কল্যাণ ছড়িয়ে দেওয়ার কোনো বাধা নেই।
উপমা ও উদাহরণের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, উপমা সন্দেহ দূর করে, অস্পষ্টতা দূর করে, পথহারা মানুষকে শিক্ষা দেয় এবং বিভ্রান্তদের সঠিক পথে পরিচালিত করে।

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন। এক ওয়াজের মাধ্যমে তাঁকে এমন এক বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করান, যা অজান্তেই তাঁর নিজের অবস্থাকে প্রতিফলিত করছিল।
নারীর ওয়াজ আলেমের হৃদয় স্পর্শ করে, তিনি গভীর শিক্ষা গ্রহণ করেন, তাঁর তীব্র শোক কেটে যায় এবং তিনি আবার মানুষের মাঝে ফিরে আসেন। কী ছিল সেই ওয়াজ, আসুন জেনে নিই সহিহ হাদিসের আলোকে—
ইমাম মালেক (রহ.) ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ থেকে, তিনি কাসিম ইবনে মুহাম্মদ থেকে বর্ণনা করেন—তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ইন্তেকাল করলে আমি প্রচণ্ড শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ি। তখন মুহাম্মদ ইবনে কাব আল-কুরাযি আমার কাছে এলেন এবং আমাকে সান্ত্বনা দিলেন। তিনি বললেন, বনি ইসরাইলের এক বড় আলেম ছিলেন। জ্ঞানী, ধার্মিক ও নিষ্ঠাবান ইবাদতগুজার ছিলেন। তিনি তাঁর স্ত্রীর প্রতি অত্যন্ত আসক্ত ছিলেন এবং তাঁকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন।
হঠাৎ করেই তাঁর স্ত্রী ইন্তেকাল করলেন। এতে তিনি এতটাই মর্মাহত হলেন যে, দুঃখে-কষ্টে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়লেন। তিনি নিজেকে মানুষের কাছ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন। ঘরের দরজা বন্ধ করে একাকী বসবাস করতে লাগলেন। কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারত না। কেউ তাঁর কাছে আসতেও পারত না।
একদিন এক নারী তাঁর অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারলেন এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলেন যে, তাঁকে বুঝিয়ে এই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনবেন। তিনি আলেমের বাড়িতে এলেন এবং বললেন, ‘আমার একটি জরুরি মাসআলা আছে, যার সমাধান কেবল তিনিই দিতে পারেন। আমি তাঁর কাছ থেকে সরাসরি জবাব ছাড়া অন্য কিছুতে সন্তুষ্ট হব না।’
লোকজন চলে গেলেও তিনি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেন এবং বললেন, ‘আমি এখান থেকে যাব না। আমাকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই হবে।’
অবশেষে আলেমের কাছে একজন গিয়ে বললেন, ‘দরজার বাইরে এক নারী এসেছেন, যিনি আপনার কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলার সমাধান জানতে চাচ্ছেন। তিনি বলে গেছেন, কেবল আপনার মুখ থেকেই তিনি উত্তর শুনতে চান এবং কোনোভাবেই ফিরে যাবেন না।’
আলেম বললেন, ‘তাঁকে ভেতরে আসতে দাও।’
নারী ভেতরে প্রবেশ করলেন এবং বললেন, ‘আমি আপনার কাছে একটি ফতোয়া জানতে এসেছি।’
আলেম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী মাসআলা?’
তিনি বললেন, ‘আমি আমার এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে কিছু গয়না ধার নিয়েছিলাম। অনেকদিন তা ব্যবহার করেছি, পরেছি, উপভোগ করেছি। এখন তারা
তাদের গহনা ফেরত চেয়েছে। বলুন, আমি কি তাদের তা ফেরত দেব?’
আলেম বললেন, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই! আল্লাহর কসম, তুমি অবশ্যই তা ফিরিয়ে দেবে।’
নারী বললেন, ‘কিন্তু আমি তো এটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করেছি!’
আলেম বললেন, ‘বরং এটিই তো অধিক গুরুত্বপূর্ণ যে, যাঁরা তোমাকে এটি কিছুদিনের জন্য ধার দিয়েছিলেন, এখন তাঁদের তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
তখন ওই নারী বললেন, ‘আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। তবে কি আপনি এমন কিছু নিয়ে শোক করছেন, যা আল্লাহ আপনাকে কিছু সময়ের জন্য দিয়েছিলেন, আর এখন তিনি সেটি ফিরিয়ে নিয়েছেন? অথচ তিনিই এর প্রকৃত মালিক!’
এই কথাগুলো শুনে আলেম হঠাৎ নিজের অবস্থার গভীরতা বুঝতে পারলেন। তাঁর চেতনা ফিরে এল। তিনি উপলব্ধি করলেন, তিনি যে শোকে মুহ্যমান ছিলেন, তা অনর্থক। আল্লাহর ইচ্ছাই শ্রেষ্ঠ, আর যা তিনি ফিরিয়ে নিয়েছেন, তা তাঁরই ছিল।
অবশেষে তিনি দুঃখ কাটিয়ে উঠলেন এবং আবার মানুষের মাঝে ফিরে এলেন। (মুয়াত্তা মালেক, পৃষ্ঠা: ১৬৩, হাদিস: ৪৩)
গল্প থেকে শিক্ষা
জ্ঞানী ও আলেমরা অনেক সময় সেই শিক্ষা ভুলে যান, যা তাঁরা শিখেছেন ও হেফজ করেছেন—যেমন এই আলেম ভুলে গিয়েছিলেন যে, তিনি নিজেই মানুষকে ধৈর্যের শিক্ষা দিতেন এবং বোঝাতেন যে, আল্লাহ যা কিছু আমাদের থেকে নিয়ে নেন, তা মূলত তিনি আমাদের কাছে কিছু সময়ের জন্য আমানত হিসেবে রেখেছিলেন, যা পরে ফিরিয়ে নেওয়া তাঁরই অধিকার।
যারা প্রজ্ঞা ও বোধশক্তির অধিকারী, তাঁদের দায়িত্ব হলো—অন্যদের সেই জ্ঞান ও উপলব্ধি করিয়ে দেওয়া, যা তারা ভুলে গেছেন বা খেয়াল করেননি। যেমন, এই বিচক্ষণ নারী আলেমকে তাঁর ভুলে যাওয়া শিক্ষা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন।
ফিকহ ও জ্ঞান অর্জন কেবল পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট নয়; বরং এটি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই এক অভিন্ন সম্পদ। এই গল্পে দেখা যায়, এক নারী কেবল জ্ঞান অর্জন করেননি, বরং এক বিদ্বান পুরুষকেও তাঁর ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন।
যদি কোনো নারী নিশ্চিত হন যে, তিনি নিজেকে বিপদ ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন, তাহলে তাঁর জন্য জ্ঞান বিতরণ, শিক্ষা দেওয়া এবং সমাজে কল্যাণ ছড়িয়ে দেওয়ার কোনো বাধা নেই।
উপমা ও উদাহরণের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, উপমা সন্দেহ দূর করে, অস্পষ্টতা দূর করে, পথহারা মানুষকে শিক্ষা দেয় এবং বিভ্রান্তদের সঠিক পথে পরিচালিত করে।
আসআদ শাহীন

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন। এক ওয়াজের মাধ্যমে তাঁকে এমন এক বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করান, যা অজান্তেই তাঁর নিজের অবস্থাকে প্রতিফলিত করছিল।
নারীর ওয়াজ আলেমের হৃদয় স্পর্শ করে, তিনি গভীর শিক্ষা গ্রহণ করেন, তাঁর তীব্র শোক কেটে যায় এবং তিনি আবার মানুষের মাঝে ফিরে আসেন। কী ছিল সেই ওয়াজ, আসুন জেনে নিই সহিহ হাদিসের আলোকে—
ইমাম মালেক (রহ.) ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ থেকে, তিনি কাসিম ইবনে মুহাম্মদ থেকে বর্ণনা করেন—তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ইন্তেকাল করলে আমি প্রচণ্ড শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ি। তখন মুহাম্মদ ইবনে কাব আল-কুরাযি আমার কাছে এলেন এবং আমাকে সান্ত্বনা দিলেন। তিনি বললেন, বনি ইসরাইলের এক বড় আলেম ছিলেন। জ্ঞানী, ধার্মিক ও নিষ্ঠাবান ইবাদতগুজার ছিলেন। তিনি তাঁর স্ত্রীর প্রতি অত্যন্ত আসক্ত ছিলেন এবং তাঁকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন।
হঠাৎ করেই তাঁর স্ত্রী ইন্তেকাল করলেন। এতে তিনি এতটাই মর্মাহত হলেন যে, দুঃখে-কষ্টে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়লেন। তিনি নিজেকে মানুষের কাছ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন। ঘরের দরজা বন্ধ করে একাকী বসবাস করতে লাগলেন। কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারত না। কেউ তাঁর কাছে আসতেও পারত না।
একদিন এক নারী তাঁর অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারলেন এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলেন যে, তাঁকে বুঝিয়ে এই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনবেন। তিনি আলেমের বাড়িতে এলেন এবং বললেন, ‘আমার একটি জরুরি মাসআলা আছে, যার সমাধান কেবল তিনিই দিতে পারেন। আমি তাঁর কাছ থেকে সরাসরি জবাব ছাড়া অন্য কিছুতে সন্তুষ্ট হব না।’
লোকজন চলে গেলেও তিনি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেন এবং বললেন, ‘আমি এখান থেকে যাব না। আমাকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই হবে।’
অবশেষে আলেমের কাছে একজন গিয়ে বললেন, ‘দরজার বাইরে এক নারী এসেছেন, যিনি আপনার কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলার সমাধান জানতে চাচ্ছেন। তিনি বলে গেছেন, কেবল আপনার মুখ থেকেই তিনি উত্তর শুনতে চান এবং কোনোভাবেই ফিরে যাবেন না।’
আলেম বললেন, ‘তাঁকে ভেতরে আসতে দাও।’
নারী ভেতরে প্রবেশ করলেন এবং বললেন, ‘আমি আপনার কাছে একটি ফতোয়া জানতে এসেছি।’
আলেম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী মাসআলা?’
তিনি বললেন, ‘আমি আমার এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে কিছু গয়না ধার নিয়েছিলাম। অনেকদিন তা ব্যবহার করেছি, পরেছি, উপভোগ করেছি। এখন তারা
তাদের গহনা ফেরত চেয়েছে। বলুন, আমি কি তাদের তা ফেরত দেব?’
আলেম বললেন, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই! আল্লাহর কসম, তুমি অবশ্যই তা ফিরিয়ে দেবে।’
নারী বললেন, ‘কিন্তু আমি তো এটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করেছি!’
আলেম বললেন, ‘বরং এটিই তো অধিক গুরুত্বপূর্ণ যে, যাঁরা তোমাকে এটি কিছুদিনের জন্য ধার দিয়েছিলেন, এখন তাঁদের তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
তখন ওই নারী বললেন, ‘আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। তবে কি আপনি এমন কিছু নিয়ে শোক করছেন, যা আল্লাহ আপনাকে কিছু সময়ের জন্য দিয়েছিলেন, আর এখন তিনি সেটি ফিরিয়ে নিয়েছেন? অথচ তিনিই এর প্রকৃত মালিক!’
এই কথাগুলো শুনে আলেম হঠাৎ নিজের অবস্থার গভীরতা বুঝতে পারলেন। তাঁর চেতনা ফিরে এল। তিনি উপলব্ধি করলেন, তিনি যে শোকে মুহ্যমান ছিলেন, তা অনর্থক। আল্লাহর ইচ্ছাই শ্রেষ্ঠ, আর যা তিনি ফিরিয়ে নিয়েছেন, তা তাঁরই ছিল।
অবশেষে তিনি দুঃখ কাটিয়ে উঠলেন এবং আবার মানুষের মাঝে ফিরে এলেন। (মুয়াত্তা মালেক, পৃষ্ঠা: ১৬৩, হাদিস: ৪৩)
গল্প থেকে শিক্ষা
জ্ঞানী ও আলেমরা অনেক সময় সেই শিক্ষা ভুলে যান, যা তাঁরা শিখেছেন ও হেফজ করেছেন—যেমন এই আলেম ভুলে গিয়েছিলেন যে, তিনি নিজেই মানুষকে ধৈর্যের শিক্ষা দিতেন এবং বোঝাতেন যে, আল্লাহ যা কিছু আমাদের থেকে নিয়ে নেন, তা মূলত তিনি আমাদের কাছে কিছু সময়ের জন্য আমানত হিসেবে রেখেছিলেন, যা পরে ফিরিয়ে নেওয়া তাঁরই অধিকার।
যারা প্রজ্ঞা ও বোধশক্তির অধিকারী, তাঁদের দায়িত্ব হলো—অন্যদের সেই জ্ঞান ও উপলব্ধি করিয়ে দেওয়া, যা তারা ভুলে গেছেন বা খেয়াল করেননি। যেমন, এই বিচক্ষণ নারী আলেমকে তাঁর ভুলে যাওয়া শিক্ষা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন।
ফিকহ ও জ্ঞান অর্জন কেবল পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট নয়; বরং এটি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই এক অভিন্ন সম্পদ। এই গল্পে দেখা যায়, এক নারী কেবল জ্ঞান অর্জন করেননি, বরং এক বিদ্বান পুরুষকেও তাঁর ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন।
যদি কোনো নারী নিশ্চিত হন যে, তিনি নিজেকে বিপদ ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন, তাহলে তাঁর জন্য জ্ঞান বিতরণ, শিক্ষা দেওয়া এবং সমাজে কল্যাণ ছড়িয়ে দেওয়ার কোনো বাধা নেই।
উপমা ও উদাহরণের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, উপমা সন্দেহ দূর করে, অস্পষ্টতা দূর করে, পথহারা মানুষকে শিক্ষা দেয় এবং বিভ্রান্তদের সঠিক পথে পরিচালিত করে।

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন। এক ওয়াজের মাধ্যমে তাঁকে এমন এক বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করান, যা অজান্তেই তাঁর নিজের অবস্থাকে প্রতিফলিত করছিল।
নারীর ওয়াজ আলেমের হৃদয় স্পর্শ করে, তিনি গভীর শিক্ষা গ্রহণ করেন, তাঁর তীব্র শোক কেটে যায় এবং তিনি আবার মানুষের মাঝে ফিরে আসেন। কী ছিল সেই ওয়াজ, আসুন জেনে নিই সহিহ হাদিসের আলোকে—
ইমাম মালেক (রহ.) ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ থেকে, তিনি কাসিম ইবনে মুহাম্মদ থেকে বর্ণনা করেন—তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ইন্তেকাল করলে আমি প্রচণ্ড শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ি। তখন মুহাম্মদ ইবনে কাব আল-কুরাযি আমার কাছে এলেন এবং আমাকে সান্ত্বনা দিলেন। তিনি বললেন, বনি ইসরাইলের এক বড় আলেম ছিলেন। জ্ঞানী, ধার্মিক ও নিষ্ঠাবান ইবাদতগুজার ছিলেন। তিনি তাঁর স্ত্রীর প্রতি অত্যন্ত আসক্ত ছিলেন এবং তাঁকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন।
হঠাৎ করেই তাঁর স্ত্রী ইন্তেকাল করলেন। এতে তিনি এতটাই মর্মাহত হলেন যে, দুঃখে-কষ্টে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়লেন। তিনি নিজেকে মানুষের কাছ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন। ঘরের দরজা বন্ধ করে একাকী বসবাস করতে লাগলেন। কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারত না। কেউ তাঁর কাছে আসতেও পারত না।
একদিন এক নারী তাঁর অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারলেন এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলেন যে, তাঁকে বুঝিয়ে এই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনবেন। তিনি আলেমের বাড়িতে এলেন এবং বললেন, ‘আমার একটি জরুরি মাসআলা আছে, যার সমাধান কেবল তিনিই দিতে পারেন। আমি তাঁর কাছ থেকে সরাসরি জবাব ছাড়া অন্য কিছুতে সন্তুষ্ট হব না।’
লোকজন চলে গেলেও তিনি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেন এবং বললেন, ‘আমি এখান থেকে যাব না। আমাকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই হবে।’
অবশেষে আলেমের কাছে একজন গিয়ে বললেন, ‘দরজার বাইরে এক নারী এসেছেন, যিনি আপনার কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলার সমাধান জানতে চাচ্ছেন। তিনি বলে গেছেন, কেবল আপনার মুখ থেকেই তিনি উত্তর শুনতে চান এবং কোনোভাবেই ফিরে যাবেন না।’
আলেম বললেন, ‘তাঁকে ভেতরে আসতে দাও।’
নারী ভেতরে প্রবেশ করলেন এবং বললেন, ‘আমি আপনার কাছে একটি ফতোয়া জানতে এসেছি।’
আলেম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী মাসআলা?’
তিনি বললেন, ‘আমি আমার এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে কিছু গয়না ধার নিয়েছিলাম। অনেকদিন তা ব্যবহার করেছি, পরেছি, উপভোগ করেছি। এখন তারা
তাদের গহনা ফেরত চেয়েছে। বলুন, আমি কি তাদের তা ফেরত দেব?’
আলেম বললেন, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই! আল্লাহর কসম, তুমি অবশ্যই তা ফিরিয়ে দেবে।’
নারী বললেন, ‘কিন্তু আমি তো এটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করেছি!’
আলেম বললেন, ‘বরং এটিই তো অধিক গুরুত্বপূর্ণ যে, যাঁরা তোমাকে এটি কিছুদিনের জন্য ধার দিয়েছিলেন, এখন তাঁদের তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
তখন ওই নারী বললেন, ‘আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। তবে কি আপনি এমন কিছু নিয়ে শোক করছেন, যা আল্লাহ আপনাকে কিছু সময়ের জন্য দিয়েছিলেন, আর এখন তিনি সেটি ফিরিয়ে নিয়েছেন? অথচ তিনিই এর প্রকৃত মালিক!’
এই কথাগুলো শুনে আলেম হঠাৎ নিজের অবস্থার গভীরতা বুঝতে পারলেন। তাঁর চেতনা ফিরে এল। তিনি উপলব্ধি করলেন, তিনি যে শোকে মুহ্যমান ছিলেন, তা অনর্থক। আল্লাহর ইচ্ছাই শ্রেষ্ঠ, আর যা তিনি ফিরিয়ে নিয়েছেন, তা তাঁরই ছিল।
অবশেষে তিনি দুঃখ কাটিয়ে উঠলেন এবং আবার মানুষের মাঝে ফিরে এলেন। (মুয়াত্তা মালেক, পৃষ্ঠা: ১৬৩, হাদিস: ৪৩)
গল্প থেকে শিক্ষা
জ্ঞানী ও আলেমরা অনেক সময় সেই শিক্ষা ভুলে যান, যা তাঁরা শিখেছেন ও হেফজ করেছেন—যেমন এই আলেম ভুলে গিয়েছিলেন যে, তিনি নিজেই মানুষকে ধৈর্যের শিক্ষা দিতেন এবং বোঝাতেন যে, আল্লাহ যা কিছু আমাদের থেকে নিয়ে নেন, তা মূলত তিনি আমাদের কাছে কিছু সময়ের জন্য আমানত হিসেবে রেখেছিলেন, যা পরে ফিরিয়ে নেওয়া তাঁরই অধিকার।
যারা প্রজ্ঞা ও বোধশক্তির অধিকারী, তাঁদের দায়িত্ব হলো—অন্যদের সেই জ্ঞান ও উপলব্ধি করিয়ে দেওয়া, যা তারা ভুলে গেছেন বা খেয়াল করেননি। যেমন, এই বিচক্ষণ নারী আলেমকে তাঁর ভুলে যাওয়া শিক্ষা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন।
ফিকহ ও জ্ঞান অর্জন কেবল পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট নয়; বরং এটি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই এক অভিন্ন সম্পদ। এই গল্পে দেখা যায়, এক নারী কেবল জ্ঞান অর্জন করেননি, বরং এক বিদ্বান পুরুষকেও তাঁর ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন।
যদি কোনো নারী নিশ্চিত হন যে, তিনি নিজেকে বিপদ ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন, তাহলে তাঁর জন্য জ্ঞান বিতরণ, শিক্ষা দেওয়া এবং সমাজে কল্যাণ ছড়িয়ে দেওয়ার কোনো বাধা নেই।
উপমা ও উদাহরণের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, উপমা সন্দেহ দূর করে, অস্পষ্টতা দূর করে, পথহারা মানুষকে শিক্ষা দেয় এবং বিভ্রান্তদের সঠিক পথে পরিচালিত করে।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন।
১৯ মার্চ ২০২৫
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন।
১৯ মার্চ ২০২৫
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন।
১৯ মার্চ ২০২৫
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন।
১৯ মার্চ ২০২৫
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১২ ঘণ্টা আগে