শরিফ আহমাদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
সৃষ্টির পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে মহান আল্লাহর কুদরত এবং নিয়ামত। তিনি সবাইকে ছোট-বড় অসংখ্য নিয়ামত দান করেছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমরা যদি আল্লাহর নিয়ামত গুনতে চাও, তাহলে তা গুনে শেষ করতে পারবে না।’ (সুরা ইব্রাহিম: ৩৪) এখানে শোকর আদায়ের পদ্ধতি আলোচনা করা হলো।
এক. নিয়ামতের শোকর আদায়ের সহজ পদ্ধতি নামাজ আদায় করা। নামাজ কৃতজ্ঞ বান্দাদের উন্নত স্তরে পৌঁছে দেয়। হজরত মুগিরা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) রাত জাগতেন, অথবা বর্ণনাকারী বলেছেন, নামাজ আদায় করতেন। এমনকি তাঁর পদযুগল অথবা তাঁর দুই পায়ের গোছা ফুলে যেত। তখন এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘এত কষ্ট কেন করছেন?’ তিনি বলতেন, ‘তাই বলে কি আমি একজন শোকরগুজার বান্দা হবো না?’ (বুখারি: ১০৬৩)
দুই. বিভিন্ন দোয়া ও আমলের মাধ্যমে শোকর আদায় করা। বিশেষ একটি দোয়া পাঠের জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) এক সাহাবিকে অসিয়ত করেছেন। হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) তার হাত ধরে বলেন, ‘হে মুআজ, আল্লাহর শপথ আমি তোমাকে ভালোবাসি। এরপর তিনি বলেন, আমি তোমাকে কিছু অসিয়ত করতে চাই। তুমি নামাজ আদায়ের পর এটা কখনো ত্যাগ করবে না। তা হলো—আল্লাহুম্মা আইন্নি আলা জিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিক।’ (আবু দাউদ: ১৫২২)
তিন. ছোট্ট বাক্য আলহামদুলিল্লাহ বলা। বাক্যটি ছোট হলেও এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। হজরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘সর্বোত্তম জিকির হলো—লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আর সর্বোত্তম দোয়া (কৃতজ্ঞতাসূচক বাক্য) আলহামদুলিল্লাহ।’ (তিরমিজি: ৩৩৮৩)
সৃষ্টির পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে মহান আল্লাহর কুদরত এবং নিয়ামত। তিনি সবাইকে ছোট-বড় অসংখ্য নিয়ামত দান করেছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমরা যদি আল্লাহর নিয়ামত গুনতে চাও, তাহলে তা গুনে শেষ করতে পারবে না।’ (সুরা ইব্রাহিম: ৩৪) এখানে শোকর আদায়ের পদ্ধতি আলোচনা করা হলো।
এক. নিয়ামতের শোকর আদায়ের সহজ পদ্ধতি নামাজ আদায় করা। নামাজ কৃতজ্ঞ বান্দাদের উন্নত স্তরে পৌঁছে দেয়। হজরত মুগিরা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) রাত জাগতেন, অথবা বর্ণনাকারী বলেছেন, নামাজ আদায় করতেন। এমনকি তাঁর পদযুগল অথবা তাঁর দুই পায়ের গোছা ফুলে যেত। তখন এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘এত কষ্ট কেন করছেন?’ তিনি বলতেন, ‘তাই বলে কি আমি একজন শোকরগুজার বান্দা হবো না?’ (বুখারি: ১০৬৩)
দুই. বিভিন্ন দোয়া ও আমলের মাধ্যমে শোকর আদায় করা। বিশেষ একটি দোয়া পাঠের জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) এক সাহাবিকে অসিয়ত করেছেন। হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) তার হাত ধরে বলেন, ‘হে মুআজ, আল্লাহর শপথ আমি তোমাকে ভালোবাসি। এরপর তিনি বলেন, আমি তোমাকে কিছু অসিয়ত করতে চাই। তুমি নামাজ আদায়ের পর এটা কখনো ত্যাগ করবে না। তা হলো—আল্লাহুম্মা আইন্নি আলা জিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিক।’ (আবু দাউদ: ১৫২২)
তিন. ছোট্ট বাক্য আলহামদুলিল্লাহ বলা। বাক্যটি ছোট হলেও এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। হজরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘সর্বোত্তম জিকির হলো—লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আর সর্বোত্তম দোয়া (কৃতজ্ঞতাসূচক বাক্য) আলহামদুলিল্লাহ।’ (তিরমিজি: ৩৩৮৩)
আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াতপ্রাপ্তির পর মক্কায় ১৩ বছর অবস্থান করেন। এই সময় তিনি মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করেন। এক যুগের বেশি সময় তিনি দিনরাত এক করে মক্কার মরুপ্রান্তরে এই মেহনত চালিয়ে যান। এতে তিনি কখনো ক্লান্ত হননি, হতাশ হননি, বিরক্ত হননি এবং নিরাশও হননি।
৪ ঘণ্টা আগেকয়েক দিন আগে আমার ছেলের বিয়ে ঠিক হয়। দুই পরিবার মিলে আমরা তারিখও নির্ধারণ করি। ইংরেজি মাস হিসেবে তারিখ নির্ধারণ করায় আরবি কোন তারিখ পড়ছে তা কেউ তেমন ভেবে দেখিনি। কয়েক দিন পর পাত্রীপক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘তাদের এক মুরব্বি বলেছেন, তারিখটি মহররম মাসে পড়ছে, তাই ওই মাসে বিয়ের আয়োজন করা যাবে না।
৪ ঘণ্টা আগেমহররম চার পবিত্র মাসের একটি। ইসলামি বর্ষপঞ্জি শুরু হয় এ মাসের মাধ্যমে। মহররম মাসের মর্যাদা কোরআন ও হাদিসে বিশেষভাবে উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া আশুরার কারণে মাসটি মুসলমানদের কাছে বেশ গুরুত্ব বহন করে। এই মাসে শান্তি ও তাকওয়ার সঙ্গে সময় কাটানোর কথা বলে ইসলাম।
৪ ঘণ্টা আগেইসলামি বিদ্যাপীঠের সূচনা হয়েছিল নবী করিম (সা.) যুগে, দ্বিতীয় বা তৃতীয় হিজরি শতকে। তবে ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থা অনন্য উচ্চতায় পৌঁছায় সেলজুক আমলে। সে সময় ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থায় ধর্মতত্ত্বের পাশাপাশি বিজ্ঞান, দর্শন, রাষ্ট্রকৌশল, তাসাওফ, চিকিৎসা, গণিত ও সাহিত্য শিক্ষা দেওয়া হতো। সেলজুক প্রধানমন্ত্রী নিজামু
৪ ঘণ্টা আগে