Ajker Patrika

নারী ও শিশু হত্যা বড় গুনাহ

আবদুল আযীয কাসেমি
নারী ও শিশু হত্যা বড় গুনাহ

জাহিলি যুগে নারীদের ঘৃণার চোখে দেখা হতো। কন্যাসন্তানকে মনে করা হতো অভিশাপ। এমনকি লাঞ্ছনার ভয়ে তাদের কেউ কেউ নিজেদের কন্যাসন্তানকে জীবন্ত দাফন করেছে বলে ইতিহাসে পাওয়া যায়। ইসলাম এসব বর্বরতার কবর রচনা করেছে। নারী জাতি ও শিশুদের পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন মহানবী (সা.)। নারীরা মায়ের জাতি। পুরুষদের তাদের সম্মানের চোখে দেখতে বলা হয়েছে। মায়ের সেবাযত্নকে বলা হয়েছে সম্মানের প্রতীক।

শিশুমাত্রই স্নেহের পাত্র। ধর্ম-বর্ণ-গোত্রনির্বিশেষে শিশু মাত্রই আদরণীয়। নবীজি (সা.) শিশুদের খুব স্নেহ করতেন। কোনো শিশুকে তার কাছে নিয়ে আসা হলে তিনি কোলে নিয়ে চুমু খেতেন। সাহাবায়ে কেরাম তাদের নবজাতক সন্তানকে কোলে নিয়ে আসতেন নবীজির দরবারে। নবীজি তাদের তাহনিক করাতেন অর্থাৎ, খেজুর ইত্যাদি চিবিয়ে তার মুখে দিতেন। তাকে আদর করতেন। মাহমুদ ইবনে লাবিদ নামের এক সাহাবির মুখে তিনি মজাচ্ছলে কুলির পানি ছিটিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি আজীবন সেই মধুর স্মৃতি স্মরণ করেছেন।

শত্রু পক্ষের নারী ও শিশুদের সঙ্গে যুদ্ধের ময়দানে কী আচরণ করা হবে? এ প্রসঙ্গে মহানবী (সা.-এর এক হাদিসে এসেছে, হজরত আনাস রাদি. বলেন, নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা আল্লাহ ও তার রাসুলের ধর্মের নাম নিয়ে বের হও। মনে রাখবে, বার্ধক্যের ভারে ন্যুজ এমন কাউকে হত্যা কোরো না। কোনো নারী ও শিশুকে হত্যা কোরো না। যুদ্ধলব্ধ সম্পদ আত্মসাৎ কোরো না। গনিমতের সম্পদ একত্র করো। ন্যায়সংগত আচরণ করো। জেনে রেখো, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা ন্যায়সংগত আচরণকারীদের সঙ্গে আছেন।’ (আবু দাউদ)

লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত