আলী ওসমান শেফায়েত
মানুষ কীভাবে পার্থিব জীবনকে কাজে লাগিয়ে পরকালীন জীবনে সাফল্য লাভ করবে এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করবে, সেটাই পবিত্র কোরআনের আলোচ্য বিষয়। পরকালে প্রবেশের প্রথম পদক্ষেপ মৃত্যু ও কবরের জীবন। তাই পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বারবার মানুষকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পরকালের প্রস্তুতি নিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। মৃত্যু এক অমোঘ সত্য; অথচ অধিকাংশ মানুষ এ বিষয়ে উদাসীন। তাই বিশ্বাসী বান্দার করণীয় হলো মৃত্যুর কথা বেশি বেশি স্মরণ করা এবং পরকালের অনন্ত জীবনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
পার্থিব জীবনের ভোগবিলাসে মত্ত হয়ে আল্লাহকে ভুলে যাওয়া বিশ্বাসী মানুষের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। অন্যথায় মৃত্যুর পর আফসোস করেও কোনো কাজ হবে না। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তানসন্ততি যেন তোমাদের আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন না করে। যারা এ কারণে উদাসীন হয়, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। আমি তোমাদের যা দিয়েছি, তা থেকে মৃত্যু আসার আগেই ব্যয় করো। অন্যথায় (পরকালে) সে (মুমিন) বলবে, হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিলেন না কেন? তাহলে আমি সদকা করতাম এবং সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। প্রত্যেক ব্যক্তির নির্ধারিত সময় যখন উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ কাউকে অবকাশ দেবেন না। তোমরা যা করো, আল্লাহ সে বিষয়ে খবর রাখেন।’ (সুরা মুনাফিকুন: ৯-১১)
পরকালে আল্লাহ তাআলা বান্দার সব কাজের প্রতিদান দেবেন। ভালো কাজের জন্য পুরস্কার যেমন মিলবে, তেমনি মন্দ কাজের জন্য মিলবে শাস্তি। মৃত্যু ও পরকাল থেকে পালিয়ে বেড়ানোর সাধ্য কারও নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং তোমরা নিজ নিজ কাজের প্রতিফল সম্পূর্ণভাবেই কিয়ামতের দিন পাবে...।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫; সুরা আনকাবুত: ৫৭)
মৃত্যুর পর উদাসীন বান্দাদের হুঁশ ফিরবে এবং ফের দুনিয়ার জীবন পেতে চাইবে। কিন্তু তা আর সম্ভব হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন তাদের কারও কাছে মৃত্যু আসে, তখন সে বলে—হে আমার পালনকর্তা, আমাকে ফের (দুনিয়ায়) পাঠান, যাতে আমি সৎকর্ম করতে পারি, যা আমি (এত দিন) করিনি। কখনোই নয়, এ তো তার একটি কথার কথা মাত্র। তাদের সামনে পর্দা আছে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত। এরপর যখন শিঙায় ফুঁক দেওয়া হবে, সেদিন তাদের পারস্পরিক আত্মীয়তার বন্ধন থাকবে না এবং একে অন্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে না। যাদের (নেক আমলের) পাল্লা ভারী হবে, তারা হবে সফলকাম। এবং যাদের পাল্লা হালকা হবে, তারাই নিজেদের ক্ষতিসাধনকারী। তারা জাহান্নামেই চিরকাল বসবাস করবে। আগুন তাদের মুখ পোড়াবে এবং তারা তাতে বীভৎস আকার ধারণ করবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৯৯-১০৪)
পরকালে মহান আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর কথা মনে থাকলে পাপাচারে জড়ানো মুশকিল। তাই পাপাচার থেকে বাঁচতে এবং পরকালে সফল হতে আল্লাহর ভয়, মৃত্যুর স্মরণ এবং জবাবদিহির কথা অন্তরে জাগরূক রাখার বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যে স্বীয় রবের সামনে দাঁড়ানোকে ভয় করে এবং কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখে, নিশ্চয়ই জান্নাতই হবে তার আবাসস্থল।’ (সুরা নাজিয়াত: ৪০-৪২)
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক
মানুষ কীভাবে পার্থিব জীবনকে কাজে লাগিয়ে পরকালীন জীবনে সাফল্য লাভ করবে এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করবে, সেটাই পবিত্র কোরআনের আলোচ্য বিষয়। পরকালে প্রবেশের প্রথম পদক্ষেপ মৃত্যু ও কবরের জীবন। তাই পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বারবার মানুষকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পরকালের প্রস্তুতি নিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। মৃত্যু এক অমোঘ সত্য; অথচ অধিকাংশ মানুষ এ বিষয়ে উদাসীন। তাই বিশ্বাসী বান্দার করণীয় হলো মৃত্যুর কথা বেশি বেশি স্মরণ করা এবং পরকালের অনন্ত জীবনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
পার্থিব জীবনের ভোগবিলাসে মত্ত হয়ে আল্লাহকে ভুলে যাওয়া বিশ্বাসী মানুষের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। অন্যথায় মৃত্যুর পর আফসোস করেও কোনো কাজ হবে না। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তানসন্ততি যেন তোমাদের আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন না করে। যারা এ কারণে উদাসীন হয়, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। আমি তোমাদের যা দিয়েছি, তা থেকে মৃত্যু আসার আগেই ব্যয় করো। অন্যথায় (পরকালে) সে (মুমিন) বলবে, হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিলেন না কেন? তাহলে আমি সদকা করতাম এবং সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। প্রত্যেক ব্যক্তির নির্ধারিত সময় যখন উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ কাউকে অবকাশ দেবেন না। তোমরা যা করো, আল্লাহ সে বিষয়ে খবর রাখেন।’ (সুরা মুনাফিকুন: ৯-১১)
পরকালে আল্লাহ তাআলা বান্দার সব কাজের প্রতিদান দেবেন। ভালো কাজের জন্য পুরস্কার যেমন মিলবে, তেমনি মন্দ কাজের জন্য মিলবে শাস্তি। মৃত্যু ও পরকাল থেকে পালিয়ে বেড়ানোর সাধ্য কারও নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং তোমরা নিজ নিজ কাজের প্রতিফল সম্পূর্ণভাবেই কিয়ামতের দিন পাবে...।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫; সুরা আনকাবুত: ৫৭)
মৃত্যুর পর উদাসীন বান্দাদের হুঁশ ফিরবে এবং ফের দুনিয়ার জীবন পেতে চাইবে। কিন্তু তা আর সম্ভব হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন তাদের কারও কাছে মৃত্যু আসে, তখন সে বলে—হে আমার পালনকর্তা, আমাকে ফের (দুনিয়ায়) পাঠান, যাতে আমি সৎকর্ম করতে পারি, যা আমি (এত দিন) করিনি। কখনোই নয়, এ তো তার একটি কথার কথা মাত্র। তাদের সামনে পর্দা আছে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত। এরপর যখন শিঙায় ফুঁক দেওয়া হবে, সেদিন তাদের পারস্পরিক আত্মীয়তার বন্ধন থাকবে না এবং একে অন্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে না। যাদের (নেক আমলের) পাল্লা ভারী হবে, তারা হবে সফলকাম। এবং যাদের পাল্লা হালকা হবে, তারাই নিজেদের ক্ষতিসাধনকারী। তারা জাহান্নামেই চিরকাল বসবাস করবে। আগুন তাদের মুখ পোড়াবে এবং তারা তাতে বীভৎস আকার ধারণ করবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৯৯-১০৪)
পরকালে মহান আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর কথা মনে থাকলে পাপাচারে জড়ানো মুশকিল। তাই পাপাচার থেকে বাঁচতে এবং পরকালে সফল হতে আল্লাহর ভয়, মৃত্যুর স্মরণ এবং জবাবদিহির কথা অন্তরে জাগরূক রাখার বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যে স্বীয় রবের সামনে দাঁড়ানোকে ভয় করে এবং কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখে, নিশ্চয়ই জান্নাতই হবে তার আবাসস্থল।’ (সুরা নাজিয়াত: ৪০-৪২)
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক
আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াতপ্রাপ্তির পর মক্কায় ১৩ বছর অবস্থান করেন। এই সময় তিনি মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করেন। এক যুগের বেশি সময় তিনি দিনরাত এক করে মক্কার মরুপ্রান্তরে এই মেহনত চালিয়ে যান। এতে তিনি কখনো ক্লান্ত হননি, হতাশ হননি, বিরক্ত হননি এবং নিরাশও হননি।
৪ ঘণ্টা আগেকয়েক দিন আগে আমার ছেলের বিয়ে ঠিক হয়। দুই পরিবার মিলে আমরা তারিখও নির্ধারণ করি। ইংরেজি মাস হিসেবে তারিখ নির্ধারণ করায় আরবি কোন তারিখ পড়ছে তা কেউ তেমন ভেবে দেখিনি। কয়েক দিন পর পাত্রীপক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘তাদের এক মুরব্বি বলেছেন, তারিখটি মহররম মাসে পড়ছে, তাই ওই মাসে বিয়ের আয়োজন করা যাবে না।
৪ ঘণ্টা আগেমহররম চার পবিত্র মাসের একটি। ইসলামি বর্ষপঞ্জি শুরু হয় এ মাসের মাধ্যমে। মহররম মাসের মর্যাদা কোরআন ও হাদিসে বিশেষভাবে উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া আশুরার কারণে মাসটি মুসলমানদের কাছে বেশ গুরুত্ব বহন করে। এই মাসে শান্তি ও তাকওয়ার সঙ্গে সময় কাটানোর কথা বলে ইসলাম।
৪ ঘণ্টা আগেইসলামি বিদ্যাপীঠের সূচনা হয়েছিল নবী করিম (সা.) যুগে, দ্বিতীয় বা তৃতীয় হিজরি শতকে। তবে ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থা অনন্য উচ্চতায় পৌঁছায় সেলজুক আমলে। সে সময় ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থায় ধর্মতত্ত্বের পাশাপাশি বিজ্ঞান, দর্শন, রাষ্ট্রকৌশল, তাসাওফ, চিকিৎসা, গণিত ও সাহিত্য শিক্ষা দেওয়া হতো। সেলজুক প্রধানমন্ত্রী নিজামু
৪ ঘণ্টা আগে