শারে আল মুতানাব্বি
মুসলমানদের মধ্যে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশে বাগদাদ নগরীর যুগান্তকারী ভূমিকা রয়েছে। আব্বাসি আমলে মুসলিম বিশ্বের প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠা এ নগরী এখনো ইসলামের সোনালি অতীতের বহু স্মৃতিচিহ্ন বহন করে চলেছে। শারে আল মুতানাব্বি এক ঐতিহাসিক বাজার, যা কেবল বাগদাদ কিংবা ইরাক নয়, গোটা আরব বিশ্বে বই বিপণনের জন্য বিখ্যাত। লিখেছেন ইজাজুল হক।
ইজাজুল হক, ঢাকা

আরব বিশ্বে একটি প্রবাদ আছে—কায়রো লেখে, বৈরুত প্রকাশ করে আর বাগদাদ পড়ে। মূলত শারে আল মুতানাব্বির কারণেই এ প্রবাদে বাগদাদের নাম জুড়ে গেছে। পুরোনো বাগদাদে অবস্থিত শারে আল মুতানাব্বির শিকড় আব্বাসি আমলে। বাগদাদের প্রথম বইয়ের বাজার এটি। সেকালের বই বিক্রেতারা এখানে জড়ো হতেন। কালের পরিক্রমায় অসংখ্য রাজনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্যে এখনো টিকে আছে শারে আল মুতানাব্বি।
শারে আল মুতানাব্বি নামটি ১৯৩২ সালে বাদশাহ প্রথম ফয়সালের দেওয়া। বাজারের বর্তমান কাঠামোটি তিনি তৈরি করেন এবং আব্বাসি আমলের বিখ্যাত কবি আবু-তাইয়েব আল মুতানাব্বির (৯১৫-৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দ) নামে বাজারটির নামকরণ করেন।
বাজারের প্রবেশপথে খিলানযুক্ত কারুকাজ করা একটি সুদৃশ্য ফটক রয়েছে। এতে সোনালি হরফে খোদাই করা আছে কবি আল মুতানাব্বির দুটি পঙ্ক্তি। কয়েক কিলোমিটারজুড়ে অবস্থিত এ বাজারে বইয়ের দোকানের পাশাপাশি ছাপাখানা, কফিশপ, ক্লাব, সরকারি অফিসসহ অনেক স্থাপনা রয়েছে। বাজারের শেষ প্রান্তে দজলা নদীর পাড়ে রয়েছে কবি আল মুতানাব্বির চমৎকার এক ভাস্কর্য।
শারে আল মুতানাব্বিকে বলা হয় বাগদাদের লেখক, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদদের তীর্থস্থান। দজলার পাড়ে গড়ে ওঠা মেসোপটেমিয়া সভ্যতা থেকে শুরু করে আধুনিক ইরাকের উত্থান-পতনের রাজসাক্ষী এ জায়গা। কত রাজা-বাদশাহ এসেছেন, গেছেন! কত প্রতাপশালী শাসকের পদতলে পিষ্ট হয়েছে বাগদাদ! রাজবংশের শাসন, কমিউনিস্ট শাসন, বাথ পার্টির শাসন, মার্কিন আগ্রাসন—কত পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে এ নগরী! তবে শারে আল মুতানাব্বি এখনো টিকে আছে।
শাসকদের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে শারে আল মুতানাব্বির বইয়ের বাজারের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে সব কালেই। অনেক বই নিষিদ্ধ হয়েছে সময়ে সময়ে। অনেক প্রেস বন্ধ হয়ে গেছে। তবে বাগদাদের প্রতিবাদী চরিত্রকে বদলানো যায়নি। এ বাজারের অলিগলিতে সব সময় বুদ্ধিদীপ্ত মানুষের আনাগোনা ছিল। এ বাজারের কোনো এক আড্ডা থেকে উঠে এসেছে এ জনপদের ভবিষ্যৎ তৈরির বিপ্লবী কোনো সিদ্ধান্ত।
লেখক, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদদের জন্য এখানে গড়ে উঠেছে বিখ্যাত কিছু কফিশপ। সেসবের মধ্যে শাবান্দর ক্যাফে অন্যতম। বাজারের শেষ প্রান্তের শতবর্ষী এ ক্যাফে এখনো বুদ্ধিবৃত্তিক ও রাজনৈতিক মানুষের আনাগোনায় মুখর থাকে। ইরাকের অনেক প্রেসিডেন্ট এসব কফিশপে নির্দ্বিধায় যাতায়াত করতেন।
শারে আল মুতানাব্বিতে বইয়ের দোকান ও ছাপাখানা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে ভাসমান দোকান। এসব দোকান এখনো অনেকটা অরক্ষিত বলা যায়। রাতের আঁধারে দোকানের বইপত্রের কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকলেও কেউ চুরি করে না। তাই তো ইরাকিরা বলে—পাঠক কখনো চুরি করে না, চোর কখনো পড়ে না।
২০০৭ সালে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসন চলাকালে এক গাড়িবোমা হামলায় শারে আল মুতানাব্বি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ২৬ জন নিহত হয়। এরপর দীর্ঘদিন বাজারটি বন্ধ ছিল। পরে নুরি আল-মালিকির আমলে তা সংস্কার করে আবার চালু করা হয়। ফলে নতুন জীবন পায় ইরাকি বুদ্ধিবৃত্তির এ আঁতুড়ঘর।
সারা বছরই শিল্পসাহিত্য-সংশ্লিষ্ট আয়োজন চলতে থাকে এ বাজারে। বইমেলা, শিল্পকর্ম প্রদর্শনী, সাহিত্য আড্ডা, সেমিনার, কনফারেন্স, সভা, সমিতিসহ হাজারো উৎসব আলো ছড়ায় এখানে। বই যে পৃথিবী পাল্টে দিতে পারে, তারই প্রমাণ হয়ে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের সাক্ষী শারে আল মুতানাব্বি।

আরব বিশ্বে একটি প্রবাদ আছে—কায়রো লেখে, বৈরুত প্রকাশ করে আর বাগদাদ পড়ে। মূলত শারে আল মুতানাব্বির কারণেই এ প্রবাদে বাগদাদের নাম জুড়ে গেছে। পুরোনো বাগদাদে অবস্থিত শারে আল মুতানাব্বির শিকড় আব্বাসি আমলে। বাগদাদের প্রথম বইয়ের বাজার এটি। সেকালের বই বিক্রেতারা এখানে জড়ো হতেন। কালের পরিক্রমায় অসংখ্য রাজনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্যে এখনো টিকে আছে শারে আল মুতানাব্বি।
শারে আল মুতানাব্বি নামটি ১৯৩২ সালে বাদশাহ প্রথম ফয়সালের দেওয়া। বাজারের বর্তমান কাঠামোটি তিনি তৈরি করেন এবং আব্বাসি আমলের বিখ্যাত কবি আবু-তাইয়েব আল মুতানাব্বির (৯১৫-৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দ) নামে বাজারটির নামকরণ করেন।
বাজারের প্রবেশপথে খিলানযুক্ত কারুকাজ করা একটি সুদৃশ্য ফটক রয়েছে। এতে সোনালি হরফে খোদাই করা আছে কবি আল মুতানাব্বির দুটি পঙ্ক্তি। কয়েক কিলোমিটারজুড়ে অবস্থিত এ বাজারে বইয়ের দোকানের পাশাপাশি ছাপাখানা, কফিশপ, ক্লাব, সরকারি অফিসসহ অনেক স্থাপনা রয়েছে। বাজারের শেষ প্রান্তে দজলা নদীর পাড়ে রয়েছে কবি আল মুতানাব্বির চমৎকার এক ভাস্কর্য।
শারে আল মুতানাব্বিকে বলা হয় বাগদাদের লেখক, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদদের তীর্থস্থান। দজলার পাড়ে গড়ে ওঠা মেসোপটেমিয়া সভ্যতা থেকে শুরু করে আধুনিক ইরাকের উত্থান-পতনের রাজসাক্ষী এ জায়গা। কত রাজা-বাদশাহ এসেছেন, গেছেন! কত প্রতাপশালী শাসকের পদতলে পিষ্ট হয়েছে বাগদাদ! রাজবংশের শাসন, কমিউনিস্ট শাসন, বাথ পার্টির শাসন, মার্কিন আগ্রাসন—কত পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে এ নগরী! তবে শারে আল মুতানাব্বি এখনো টিকে আছে।
শাসকদের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে শারে আল মুতানাব্বির বইয়ের বাজারের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে সব কালেই। অনেক বই নিষিদ্ধ হয়েছে সময়ে সময়ে। অনেক প্রেস বন্ধ হয়ে গেছে। তবে বাগদাদের প্রতিবাদী চরিত্রকে বদলানো যায়নি। এ বাজারের অলিগলিতে সব সময় বুদ্ধিদীপ্ত মানুষের আনাগোনা ছিল। এ বাজারের কোনো এক আড্ডা থেকে উঠে এসেছে এ জনপদের ভবিষ্যৎ তৈরির বিপ্লবী কোনো সিদ্ধান্ত।
লেখক, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদদের জন্য এখানে গড়ে উঠেছে বিখ্যাত কিছু কফিশপ। সেসবের মধ্যে শাবান্দর ক্যাফে অন্যতম। বাজারের শেষ প্রান্তের শতবর্ষী এ ক্যাফে এখনো বুদ্ধিবৃত্তিক ও রাজনৈতিক মানুষের আনাগোনায় মুখর থাকে। ইরাকের অনেক প্রেসিডেন্ট এসব কফিশপে নির্দ্বিধায় যাতায়াত করতেন।
শারে আল মুতানাব্বিতে বইয়ের দোকান ও ছাপাখানা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে ভাসমান দোকান। এসব দোকান এখনো অনেকটা অরক্ষিত বলা যায়। রাতের আঁধারে দোকানের বইপত্রের কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকলেও কেউ চুরি করে না। তাই তো ইরাকিরা বলে—পাঠক কখনো চুরি করে না, চোর কখনো পড়ে না।
২০০৭ সালে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসন চলাকালে এক গাড়িবোমা হামলায় শারে আল মুতানাব্বি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ২৬ জন নিহত হয়। এরপর দীর্ঘদিন বাজারটি বন্ধ ছিল। পরে নুরি আল-মালিকির আমলে তা সংস্কার করে আবার চালু করা হয়। ফলে নতুন জীবন পায় ইরাকি বুদ্ধিবৃত্তির এ আঁতুড়ঘর।
সারা বছরই শিল্পসাহিত্য-সংশ্লিষ্ট আয়োজন চলতে থাকে এ বাজারে। বইমেলা, শিল্পকর্ম প্রদর্শনী, সাহিত্য আড্ডা, সেমিনার, কনফারেন্স, সভা, সমিতিসহ হাজারো উৎসব আলো ছড়ায় এখানে। বই যে পৃথিবী পাল্টে দিতে পারে, তারই প্রমাণ হয়ে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের সাক্ষী শারে আল মুতানাব্বি।
শারে আল মুতানাব্বি
মুসলমানদের মধ্যে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশে বাগদাদ নগরীর যুগান্তকারী ভূমিকা রয়েছে। আব্বাসি আমলে মুসলিম বিশ্বের প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠা এ নগরী এখনো ইসলামের সোনালি অতীতের বহু স্মৃতিচিহ্ন বহন করে চলেছে। শারে আল মুতানাব্বি এক ঐতিহাসিক বাজার, যা কেবল বাগদাদ কিংবা ইরাক নয়, গোটা আরব বিশ্বে বই বিপণনের জন্য বিখ্যাত। লিখেছেন ইজাজুল হক।
ইজাজুল হক, ঢাকা

আরব বিশ্বে একটি প্রবাদ আছে—কায়রো লেখে, বৈরুত প্রকাশ করে আর বাগদাদ পড়ে। মূলত শারে আল মুতানাব্বির কারণেই এ প্রবাদে বাগদাদের নাম জুড়ে গেছে। পুরোনো বাগদাদে অবস্থিত শারে আল মুতানাব্বির শিকড় আব্বাসি আমলে। বাগদাদের প্রথম বইয়ের বাজার এটি। সেকালের বই বিক্রেতারা এখানে জড়ো হতেন। কালের পরিক্রমায় অসংখ্য রাজনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্যে এখনো টিকে আছে শারে আল মুতানাব্বি।
শারে আল মুতানাব্বি নামটি ১৯৩২ সালে বাদশাহ প্রথম ফয়সালের দেওয়া। বাজারের বর্তমান কাঠামোটি তিনি তৈরি করেন এবং আব্বাসি আমলের বিখ্যাত কবি আবু-তাইয়েব আল মুতানাব্বির (৯১৫-৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দ) নামে বাজারটির নামকরণ করেন।
বাজারের প্রবেশপথে খিলানযুক্ত কারুকাজ করা একটি সুদৃশ্য ফটক রয়েছে। এতে সোনালি হরফে খোদাই করা আছে কবি আল মুতানাব্বির দুটি পঙ্ক্তি। কয়েক কিলোমিটারজুড়ে অবস্থিত এ বাজারে বইয়ের দোকানের পাশাপাশি ছাপাখানা, কফিশপ, ক্লাব, সরকারি অফিসসহ অনেক স্থাপনা রয়েছে। বাজারের শেষ প্রান্তে দজলা নদীর পাড়ে রয়েছে কবি আল মুতানাব্বির চমৎকার এক ভাস্কর্য।
শারে আল মুতানাব্বিকে বলা হয় বাগদাদের লেখক, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদদের তীর্থস্থান। দজলার পাড়ে গড়ে ওঠা মেসোপটেমিয়া সভ্যতা থেকে শুরু করে আধুনিক ইরাকের উত্থান-পতনের রাজসাক্ষী এ জায়গা। কত রাজা-বাদশাহ এসেছেন, গেছেন! কত প্রতাপশালী শাসকের পদতলে পিষ্ট হয়েছে বাগদাদ! রাজবংশের শাসন, কমিউনিস্ট শাসন, বাথ পার্টির শাসন, মার্কিন আগ্রাসন—কত পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে এ নগরী! তবে শারে আল মুতানাব্বি এখনো টিকে আছে।
শাসকদের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে শারে আল মুতানাব্বির বইয়ের বাজারের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে সব কালেই। অনেক বই নিষিদ্ধ হয়েছে সময়ে সময়ে। অনেক প্রেস বন্ধ হয়ে গেছে। তবে বাগদাদের প্রতিবাদী চরিত্রকে বদলানো যায়নি। এ বাজারের অলিগলিতে সব সময় বুদ্ধিদীপ্ত মানুষের আনাগোনা ছিল। এ বাজারের কোনো এক আড্ডা থেকে উঠে এসেছে এ জনপদের ভবিষ্যৎ তৈরির বিপ্লবী কোনো সিদ্ধান্ত।
লেখক, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদদের জন্য এখানে গড়ে উঠেছে বিখ্যাত কিছু কফিশপ। সেসবের মধ্যে শাবান্দর ক্যাফে অন্যতম। বাজারের শেষ প্রান্তের শতবর্ষী এ ক্যাফে এখনো বুদ্ধিবৃত্তিক ও রাজনৈতিক মানুষের আনাগোনায় মুখর থাকে। ইরাকের অনেক প্রেসিডেন্ট এসব কফিশপে নির্দ্বিধায় যাতায়াত করতেন।
শারে আল মুতানাব্বিতে বইয়ের দোকান ও ছাপাখানা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে ভাসমান দোকান। এসব দোকান এখনো অনেকটা অরক্ষিত বলা যায়। রাতের আঁধারে দোকানের বইপত্রের কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকলেও কেউ চুরি করে না। তাই তো ইরাকিরা বলে—পাঠক কখনো চুরি করে না, চোর কখনো পড়ে না।
২০০৭ সালে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসন চলাকালে এক গাড়িবোমা হামলায় শারে আল মুতানাব্বি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ২৬ জন নিহত হয়। এরপর দীর্ঘদিন বাজারটি বন্ধ ছিল। পরে নুরি আল-মালিকির আমলে তা সংস্কার করে আবার চালু করা হয়। ফলে নতুন জীবন পায় ইরাকি বুদ্ধিবৃত্তির এ আঁতুড়ঘর।
সারা বছরই শিল্পসাহিত্য-সংশ্লিষ্ট আয়োজন চলতে থাকে এ বাজারে। বইমেলা, শিল্পকর্ম প্রদর্শনী, সাহিত্য আড্ডা, সেমিনার, কনফারেন্স, সভা, সমিতিসহ হাজারো উৎসব আলো ছড়ায় এখানে। বই যে পৃথিবী পাল্টে দিতে পারে, তারই প্রমাণ হয়ে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের সাক্ষী শারে আল মুতানাব্বি।

আরব বিশ্বে একটি প্রবাদ আছে—কায়রো লেখে, বৈরুত প্রকাশ করে আর বাগদাদ পড়ে। মূলত শারে আল মুতানাব্বির কারণেই এ প্রবাদে বাগদাদের নাম জুড়ে গেছে। পুরোনো বাগদাদে অবস্থিত শারে আল মুতানাব্বির শিকড় আব্বাসি আমলে। বাগদাদের প্রথম বইয়ের বাজার এটি। সেকালের বই বিক্রেতারা এখানে জড়ো হতেন। কালের পরিক্রমায় অসংখ্য রাজনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্যে এখনো টিকে আছে শারে আল মুতানাব্বি।
শারে আল মুতানাব্বি নামটি ১৯৩২ সালে বাদশাহ প্রথম ফয়সালের দেওয়া। বাজারের বর্তমান কাঠামোটি তিনি তৈরি করেন এবং আব্বাসি আমলের বিখ্যাত কবি আবু-তাইয়েব আল মুতানাব্বির (৯১৫-৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দ) নামে বাজারটির নামকরণ করেন।
বাজারের প্রবেশপথে খিলানযুক্ত কারুকাজ করা একটি সুদৃশ্য ফটক রয়েছে। এতে সোনালি হরফে খোদাই করা আছে কবি আল মুতানাব্বির দুটি পঙ্ক্তি। কয়েক কিলোমিটারজুড়ে অবস্থিত এ বাজারে বইয়ের দোকানের পাশাপাশি ছাপাখানা, কফিশপ, ক্লাব, সরকারি অফিসসহ অনেক স্থাপনা রয়েছে। বাজারের শেষ প্রান্তে দজলা নদীর পাড়ে রয়েছে কবি আল মুতানাব্বির চমৎকার এক ভাস্কর্য।
শারে আল মুতানাব্বিকে বলা হয় বাগদাদের লেখক, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদদের তীর্থস্থান। দজলার পাড়ে গড়ে ওঠা মেসোপটেমিয়া সভ্যতা থেকে শুরু করে আধুনিক ইরাকের উত্থান-পতনের রাজসাক্ষী এ জায়গা। কত রাজা-বাদশাহ এসেছেন, গেছেন! কত প্রতাপশালী শাসকের পদতলে পিষ্ট হয়েছে বাগদাদ! রাজবংশের শাসন, কমিউনিস্ট শাসন, বাথ পার্টির শাসন, মার্কিন আগ্রাসন—কত পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে এ নগরী! তবে শারে আল মুতানাব্বি এখনো টিকে আছে।
শাসকদের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে শারে আল মুতানাব্বির বইয়ের বাজারের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে সব কালেই। অনেক বই নিষিদ্ধ হয়েছে সময়ে সময়ে। অনেক প্রেস বন্ধ হয়ে গেছে। তবে বাগদাদের প্রতিবাদী চরিত্রকে বদলানো যায়নি। এ বাজারের অলিগলিতে সব সময় বুদ্ধিদীপ্ত মানুষের আনাগোনা ছিল। এ বাজারের কোনো এক আড্ডা থেকে উঠে এসেছে এ জনপদের ভবিষ্যৎ তৈরির বিপ্লবী কোনো সিদ্ধান্ত।
লেখক, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদদের জন্য এখানে গড়ে উঠেছে বিখ্যাত কিছু কফিশপ। সেসবের মধ্যে শাবান্দর ক্যাফে অন্যতম। বাজারের শেষ প্রান্তের শতবর্ষী এ ক্যাফে এখনো বুদ্ধিবৃত্তিক ও রাজনৈতিক মানুষের আনাগোনায় মুখর থাকে। ইরাকের অনেক প্রেসিডেন্ট এসব কফিশপে নির্দ্বিধায় যাতায়াত করতেন।
শারে আল মুতানাব্বিতে বইয়ের দোকান ও ছাপাখানা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে ভাসমান দোকান। এসব দোকান এখনো অনেকটা অরক্ষিত বলা যায়। রাতের আঁধারে দোকানের বইপত্রের কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকলেও কেউ চুরি করে না। তাই তো ইরাকিরা বলে—পাঠক কখনো চুরি করে না, চোর কখনো পড়ে না।
২০০৭ সালে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসন চলাকালে এক গাড়িবোমা হামলায় শারে আল মুতানাব্বি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ২৬ জন নিহত হয়। এরপর দীর্ঘদিন বাজারটি বন্ধ ছিল। পরে নুরি আল-মালিকির আমলে তা সংস্কার করে আবার চালু করা হয়। ফলে নতুন জীবন পায় ইরাকি বুদ্ধিবৃত্তির এ আঁতুড়ঘর।
সারা বছরই শিল্পসাহিত্য-সংশ্লিষ্ট আয়োজন চলতে থাকে এ বাজারে। বইমেলা, শিল্পকর্ম প্রদর্শনী, সাহিত্য আড্ডা, সেমিনার, কনফারেন্স, সভা, সমিতিসহ হাজারো উৎসব আলো ছড়ায় এখানে। বই যে পৃথিবী পাল্টে দিতে পারে, তারই প্রমাণ হয়ে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের সাক্ষী শারে আল মুতানাব্বি।

ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
২১ ঘণ্টা আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
নবী করিম (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে তার নামাজের। যদি তার নামাজের হিসাব সঠিক হয় তাহলে সে সফলকাম হবে এবং নাজাত পাবে। আর যদি নামাজ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সে বিফল ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ফরজ নামাজে কিছু কমতি হয়, তাহলে আল্লাহ বলবেন, দেখো, আমার বান্দার কোনো নফল ইবাদত রয়েছে কি না? তখন নফল দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরণ করা হবে। এরপর এভাবে অন্য সব ফরজ আমলের ত্রুটি নফলের মাধ্যমে দূর করা হবে। (সুনানে আবু দাউদ: ৮৬৪)
নফল নামাজের মধ্য চাশতের নামাজ খুব ফজিলত পূর্ণ। এই নফল নামাজ দ্বিপ্রহরের আগপর্যন্ত আদায় করা যায়। চাশতের নামাজ সাধারণত ৪ রাকাত। তবে বেশিও আদায় করা যায়। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) চাশতের নামাজ ৪ রাকাত আদায় করতেন। আল্লাহ চাইলে কখনো কখনো বেশিও পড়তেন। (সহিহ্ মুসলিম: ১৬৯৬)
আবু জর গিফারী (রা.)-কে নবী (সা.) একবার বলেন, ‘যদি তুমি চাশতের নামাজ ২ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে গাফেলদের মধ্যে গণ্য করা হবে না। যদি ৪ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে নেককারদের মধ্যে গণ্য করা হবে। যদি তুমি ৬ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে আনুগত্যকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যদি তুমি ৮ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে সফলকাম ব্যক্তিদের তালিকায় লেখা হবে। যদি ১০ রাকাত পড়, তাহলে সেদিন তোমার আমলনামায় কোনো গুনাহ লেখা হবে না। আর যদি ১২ রাকাত পড়, তাহলে জান্নাতে তোমার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।’ (সুনানুল কুবরা বায়হাকি: ৪৯০৬)

ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
নবী করিম (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে তার নামাজের। যদি তার নামাজের হিসাব সঠিক হয় তাহলে সে সফলকাম হবে এবং নাজাত পাবে। আর যদি নামাজ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সে বিফল ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ফরজ নামাজে কিছু কমতি হয়, তাহলে আল্লাহ বলবেন, দেখো, আমার বান্দার কোনো নফল ইবাদত রয়েছে কি না? তখন নফল দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরণ করা হবে। এরপর এভাবে অন্য সব ফরজ আমলের ত্রুটি নফলের মাধ্যমে দূর করা হবে। (সুনানে আবু দাউদ: ৮৬৪)
নফল নামাজের মধ্য চাশতের নামাজ খুব ফজিলত পূর্ণ। এই নফল নামাজ দ্বিপ্রহরের আগপর্যন্ত আদায় করা যায়। চাশতের নামাজ সাধারণত ৪ রাকাত। তবে বেশিও আদায় করা যায়। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) চাশতের নামাজ ৪ রাকাত আদায় করতেন। আল্লাহ চাইলে কখনো কখনো বেশিও পড়তেন। (সহিহ্ মুসলিম: ১৬৯৬)
আবু জর গিফারী (রা.)-কে নবী (সা.) একবার বলেন, ‘যদি তুমি চাশতের নামাজ ২ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে গাফেলদের মধ্যে গণ্য করা হবে না। যদি ৪ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে নেককারদের মধ্যে গণ্য করা হবে। যদি তুমি ৬ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে আনুগত্যকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যদি তুমি ৮ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে সফলকাম ব্যক্তিদের তালিকায় লেখা হবে। যদি ১০ রাকাত পড়, তাহলে সেদিন তোমার আমলনামায় কোনো গুনাহ লেখা হবে না। আর যদি ১২ রাকাত পড়, তাহলে জান্নাতে তোমার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।’ (সুনানুল কুবরা বায়হাকি: ৪৯০৬)

আরব বিশ্বে একটি প্রবাদ আছে—কায়রো লেখে, বৈরুত প্রকাশ করে আর বাগদাদ পড়ে। মূলত শারে আল মুতানাব্বির কারণেই এ প্রবাদে বাগদাদের নাম জুড়ে গেছে। পুরোনো বাগদাদে অবস্থিত শারে আল মুতানাব্বির শিকড় আব্বাসি আমলে। বাগদাদের প্রথম বইয়ের বাজার এটি। সেকালের বই বিক্রেতারা এখানে জড়ো হতেন।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
২১ ঘণ্টা আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৮মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৯ মিনিট | ০৬: ০৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৪: ৪৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৮মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৯ মিনিট | ০৬: ০৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৪: ৪৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আরব বিশ্বে একটি প্রবাদ আছে—কায়রো লেখে, বৈরুত প্রকাশ করে আর বাগদাদ পড়ে। মূলত শারে আল মুতানাব্বির কারণেই এ প্রবাদে বাগদাদের নাম জুড়ে গেছে। পুরোনো বাগদাদে অবস্থিত শারে আল মুতানাব্বির শিকড় আব্বাসি আমলে। বাগদাদের প্রথম বইয়ের বাজার এটি। সেকালের বই বিক্রেতারা এখানে জড়ো হতেন।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
৬ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
২১ ঘণ্টা আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য আহ্বান করে।
প্রায় ১৪০০ বছর আগে নিরক্ষর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর এই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। তখনকার যুগে বিজ্ঞান, দর্শন, রাজনীতি কিংবা সমাজব্যবস্থা আজকের মতো এত উন্নত ছিল না, অথচ কোরআনের ভাষা, শৈলী ও ভাব এত উচ্চমানের যে, সে সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিকরাও তা অনুকরণ করে তৈরি করতে পারেননি। কোরআনের এই ভাষাগত সৌন্দর্যই প্রমাণ করে এটি কোনো মানব রচিত গ্রন্থ হতে পারে না, বরং আল্লাহর বাণী।
কোরআনের নির্দেশনাগুলো শুধু মুসলমানদের জন্য নয় বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রযোজ্য। এটি মানুষকে ন্যায়, দয়া, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পর্কে শেখায়। এতে বলা হয়েছে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা এবং পরিবেশ ও মানবতার প্রতি দায়িত্ববোধের কথা, নারী-পুরুষের অধিকার, প্রাণীর অধিকার, সৃষ্টির অধিকারসহ এমন কোনো বিষয় নেই যে এতে বাদ আছে।
এমনকি আধুনিক বিজ্ঞান যখন মহাবিশ্ব, ভ্রূণের সৃষ্টি বা সমুদ্রের রহস্য উন্মোচন করছে, তখন দেখা যায়—মহাগ্রন্থ কোরআনে শত শত বছর আগেই সেসব বিষয় সম্পর্কে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র মাথা খাটিয়ে গবেষণা করে এগুলোর খুঁটিনাটি বিচার-বিশ্লেষণ, গভীর তত্ত্ব বের করতে হবে।
পবিত্র কোরআন এমন এক মুজিজা যা শতাব্দীর পর শতাব্দী পর্যন্ত মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়। এটি শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয় বরং এটি হৃদয়কে আলোয় ভরিয়ে দেয়, মনের অন্ধকার দূর করে এবং মানুষকে ন্যায় ও সত্যের পথে চলার শিক্ষা দেয়। যতই যুগ পরিবর্তিত হোক, যতই প্রযুক্তি উন্নত হোক—কোরআনের বাণী সব সময় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক, প্রেরণাদায়ক ও চিরন্তন সত্যের প্রতীক।
কোরআনের সবচেয়ে বড় মুজিজা হলো এর অপরিবর্তনীয়তা। কেয়ামত পর্যন্ত পবিত্র কোরআনের একটি অক্ষরমাত্রও কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআন মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন।
লেখক: জনি সিদ্দিক, প্রাবন্ধিক

পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য আহ্বান করে।
প্রায় ১৪০০ বছর আগে নিরক্ষর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর এই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। তখনকার যুগে বিজ্ঞান, দর্শন, রাজনীতি কিংবা সমাজব্যবস্থা আজকের মতো এত উন্নত ছিল না, অথচ কোরআনের ভাষা, শৈলী ও ভাব এত উচ্চমানের যে, সে সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিকরাও তা অনুকরণ করে তৈরি করতে পারেননি। কোরআনের এই ভাষাগত সৌন্দর্যই প্রমাণ করে এটি কোনো মানব রচিত গ্রন্থ হতে পারে না, বরং আল্লাহর বাণী।
কোরআনের নির্দেশনাগুলো শুধু মুসলমানদের জন্য নয় বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রযোজ্য। এটি মানুষকে ন্যায়, দয়া, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পর্কে শেখায়। এতে বলা হয়েছে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা এবং পরিবেশ ও মানবতার প্রতি দায়িত্ববোধের কথা, নারী-পুরুষের অধিকার, প্রাণীর অধিকার, সৃষ্টির অধিকারসহ এমন কোনো বিষয় নেই যে এতে বাদ আছে।
এমনকি আধুনিক বিজ্ঞান যখন মহাবিশ্ব, ভ্রূণের সৃষ্টি বা সমুদ্রের রহস্য উন্মোচন করছে, তখন দেখা যায়—মহাগ্রন্থ কোরআনে শত শত বছর আগেই সেসব বিষয় সম্পর্কে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র মাথা খাটিয়ে গবেষণা করে এগুলোর খুঁটিনাটি বিচার-বিশ্লেষণ, গভীর তত্ত্ব বের করতে হবে।
পবিত্র কোরআন এমন এক মুজিজা যা শতাব্দীর পর শতাব্দী পর্যন্ত মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়। এটি শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয় বরং এটি হৃদয়কে আলোয় ভরিয়ে দেয়, মনের অন্ধকার দূর করে এবং মানুষকে ন্যায় ও সত্যের পথে চলার শিক্ষা দেয়। যতই যুগ পরিবর্তিত হোক, যতই প্রযুক্তি উন্নত হোক—কোরআনের বাণী সব সময় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক, প্রেরণাদায়ক ও চিরন্তন সত্যের প্রতীক।
কোরআনের সবচেয়ে বড় মুজিজা হলো এর অপরিবর্তনীয়তা। কেয়ামত পর্যন্ত পবিত্র কোরআনের একটি অক্ষরমাত্রও কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআন মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন।
লেখক: জনি সিদ্দিক, প্রাবন্ধিক

আরব বিশ্বে একটি প্রবাদ আছে—কায়রো লেখে, বৈরুত প্রকাশ করে আর বাগদাদ পড়ে। মূলত শারে আল মুতানাব্বির কারণেই এ প্রবাদে বাগদাদের নাম জুড়ে গেছে। পুরোনো বাগদাদে অবস্থিত শারে আল মুতানাব্বির শিকড় আব্বাসি আমলে। বাগদাদের প্রথম বইয়ের বাজার এটি। সেকালের বই বিক্রেতারা এখানে জড়ো হতেন।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
যারা অনাহারী তাদের মুখে খাদ্য তুলে দিতে হবে। দয়ার নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘দয়াশীলদের প্রতি করুণাময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের দয়া করবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৪১)
মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করে। তবে সমাজের সবাই সমান ভাগ্যবান নয়—কেউ কেউ আর্থিক, শারীরিক বা মানসিক দিক থেকে অসহায় অবস্থায় দিন কাটান। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো অনেক বড় সওয়াবের কাজ। এ ছাড়া মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও অসহায়ের সাহায্যে এগিয়ে আসা অত্যন্ত মহৎ কাজ। ইসলামে এ বিষয়টিতে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিমে মুখ ফেরানোটাই সৎকর্ম নয়, বরং প্রকৃত সৎকর্মশীল ওই ব্যক্তি, যে বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতা, আল্লাহর কিতাব ও নবীদের ওপর এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সম্পদ ব্যয় করে নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকিন, মুসাফির, প্রার্থী ও দাস মুক্তির জন্য।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
মহান আল্লাহ আরও বলেন, ‘যারা নিজের সম্পদ দিনে বা রাতে, প্রকাশ্যে অথবা গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে; তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই। তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা বাকারা: ২৭৪)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়ায় অন্যের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার ১০০ প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন।’ (সহিহ মুসলিম: ২৫৬৬)

আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
যারা অনাহারী তাদের মুখে খাদ্য তুলে দিতে হবে। দয়ার নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘দয়াশীলদের প্রতি করুণাময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের দয়া করবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৪১)
মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করে। তবে সমাজের সবাই সমান ভাগ্যবান নয়—কেউ কেউ আর্থিক, শারীরিক বা মানসিক দিক থেকে অসহায় অবস্থায় দিন কাটান। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো অনেক বড় সওয়াবের কাজ। এ ছাড়া মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও অসহায়ের সাহায্যে এগিয়ে আসা অত্যন্ত মহৎ কাজ। ইসলামে এ বিষয়টিতে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিমে মুখ ফেরানোটাই সৎকর্ম নয়, বরং প্রকৃত সৎকর্মশীল ওই ব্যক্তি, যে বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতা, আল্লাহর কিতাব ও নবীদের ওপর এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সম্পদ ব্যয় করে নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকিন, মুসাফির, প্রার্থী ও দাস মুক্তির জন্য।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
মহান আল্লাহ আরও বলেন, ‘যারা নিজের সম্পদ দিনে বা রাতে, প্রকাশ্যে অথবা গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে; তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই। তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা বাকারা: ২৭৪)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়ায় অন্যের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার ১০০ প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন।’ (সহিহ মুসলিম: ২৫৬৬)

আরব বিশ্বে একটি প্রবাদ আছে—কায়রো লেখে, বৈরুত প্রকাশ করে আর বাগদাদ পড়ে। মূলত শারে আল মুতানাব্বির কারণেই এ প্রবাদে বাগদাদের নাম জুড়ে গেছে। পুরোনো বাগদাদে অবস্থিত শারে আল মুতানাব্বির শিকড় আব্বাসি আমলে। বাগদাদের প্রথম বইয়ের বাজার এটি। সেকালের বই বিক্রেতারা এখানে জড়ো হতেন।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
২১ ঘণ্টা আগে