মাহমুদ হাসান ফাহিম
ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে দুনিয়ার জীবনে আমাদের কিছু দায়িত্ব-কর্তব্য আছে। পরকালে এগুলোর জবাবদিহি করতে হবে। তাই দায়িত্বে অবহেলা না করার জন্য ইসলাম বারবার মানুষকে সতর্ক করেছে। পরকালে জবাবদিহির মুহূর্তটি হবে বড় কঠোর ও কঠিন।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। আর প্রত্যেকেই তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। নেতা একজন দায়িত্বশীল, সে তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। পুরুষ তার পরিবারের দায়িত্বশীল, সে তার পরিবারের লোকদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। স্ত্রী তার স্বামীর ঘরের রক্ষক, তাকে তার রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে।’ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘আমি এর সবই রাসুল (সা.) থেকে শুনেছি। আমার ধারণা হয়, তিনি এ কথাও বলেছেন, ‘ছেলে তার পিতার সম্পত্তির রক্ষক এবং সে-ও তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব, তোমরা প্রত্যেকেই রক্ষক এবং তোমাদের প্রত্যেককেই অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।’ (বুখারি: ২২৪৯; মুসলিম: ৪৫৭৩)
এই হাদিস থেকে আমরা যে শিক্ষা পাই তা হলো:
» আমরা কেউ দায়িত্বমুক্ত নই। নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রত্যেকের ওপরই কোনো না কোনো দায়িত্ব ন্যস্ত আছে। তা পালনে আমাদের আন্তরিক ও সচেষ্ট থাকা চাই।
» শাসক শ্রেণির কর্তব্য হলো, দেশবাসীকে শরিয়তের দিকনির্দেশনা মোতাবেক পরিচালনা করা এবং ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা।
» গৃহকর্তার কর্তব্য হলো সামর্থ্য অনুযায়ী পরিবারের সদস্যদের পার্থিব প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি দ্বীনি বিষয়ের তত্ত্বাবধান করা।
» স্ত্রীর কর্তব্য হলো, স্বামীর আনুগত্য করা, সন্তানসন্ততি ও ঘর-সংসারের প্রতি কল্যাণময় আচরণ করা।
» আখিরাত সত্য, এতে প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হবে এবং নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে—এই বিশ্বাস অন্তরে লালন করা।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে দুনিয়ার জীবনে আমাদের কিছু দায়িত্ব-কর্তব্য আছে। পরকালে এগুলোর জবাবদিহি করতে হবে। তাই দায়িত্বে অবহেলা না করার জন্য ইসলাম বারবার মানুষকে সতর্ক করেছে। পরকালে জবাবদিহির মুহূর্তটি হবে বড় কঠোর ও কঠিন।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। আর প্রত্যেকেই তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। নেতা একজন দায়িত্বশীল, সে তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। পুরুষ তার পরিবারের দায়িত্বশীল, সে তার পরিবারের লোকদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। স্ত্রী তার স্বামীর ঘরের রক্ষক, তাকে তার রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে।’ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘আমি এর সবই রাসুল (সা.) থেকে শুনেছি। আমার ধারণা হয়, তিনি এ কথাও বলেছেন, ‘ছেলে তার পিতার সম্পত্তির রক্ষক এবং সে-ও তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব, তোমরা প্রত্যেকেই রক্ষক এবং তোমাদের প্রত্যেককেই অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।’ (বুখারি: ২২৪৯; মুসলিম: ৪৫৭৩)
এই হাদিস থেকে আমরা যে শিক্ষা পাই তা হলো:
» আমরা কেউ দায়িত্বমুক্ত নই। নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রত্যেকের ওপরই কোনো না কোনো দায়িত্ব ন্যস্ত আছে। তা পালনে আমাদের আন্তরিক ও সচেষ্ট থাকা চাই।
» শাসক শ্রেণির কর্তব্য হলো, দেশবাসীকে শরিয়তের দিকনির্দেশনা মোতাবেক পরিচালনা করা এবং ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা।
» গৃহকর্তার কর্তব্য হলো সামর্থ্য অনুযায়ী পরিবারের সদস্যদের পার্থিব প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি দ্বীনি বিষয়ের তত্ত্বাবধান করা।
» স্ত্রীর কর্তব্য হলো, স্বামীর আনুগত্য করা, সন্তানসন্ততি ও ঘর-সংসারের প্রতি কল্যাণময় আচরণ করা।
» আখিরাত সত্য, এতে প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হবে এবং নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে—এই বিশ্বাস অন্তরে লালন করা।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা ইসলাম সমর্থন করে না। বরং একে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধ ও পাপের একটি বিবেচনা করা হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এই অপরাধ থেকে বিরত থাকার জন্য বারবার সতর্ক করেছেন, বিভিন্ন শাস্তির কথা বলে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। এখানে অন্যায় হত্যাকাণ্ডের পরকালীন শাস্তি সম্পর্কে কোরআনের..
৫ ঘণ্টা আগেসত্যে মুক্তি। মিথ্যা আনে বিপদ। মিথ্যাকে বলা হয় সব পাপের মূল। যুগে যুগে আল্লাহ তাআলা সত্যবাদীদের করেছেন পুরস্কৃত। আর মিথ্যাবাদীদের ধ্বংস করেছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘অতঃপর আমরা সবাই (আল্লাহর কাছে) এ মর্মে প্রার্থনা করি যে...
১ দিন আগেহজরত ইবরাহিম (আ.) সর্বপ্রথম হজের প্রবর্তন করেন। হজ প্রবর্তনের আগে ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে সঙ্গে নিয়ে পুনর্নির্মাণ করেন কাবাঘর। পুনর্নির্মাণ শেষ হলে ইবরাহিম (আ.)-এর প্রতি নির্দেশ হলো হজব্রত পালনের।
২ দিন আগেহৃদয়ের সৌন্দর্য প্রকাশ করে মুচকি হাসি। এই হাসি এক নিঃশব্দ ভাষা। একটি মুচকি হাসি অনেক সময় দূরের মানুষকে আপন করে তোলে। কখনো ক্লান্ত মুখে এনে দেয় প্রশান্তি। আবার কখনো এই হাসি উত্তম সদকা। আমাদের নবী (সা.) বলেন, ‘প্রতিটি ভালো কাজই সদকা। আর অন্য ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা—একটি ভালো কাজ...
২ দিন আগে