ইসলাম ডেস্ক
আমরা কোরআন ও হাদিসের প্রতি গভীরভাবে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলে দেখতে পাই এমন কিছু ভালোবাসার কথা বর্ণিত হয়েছে, যেসব মানুষকে আল্লাহর কাছে প্রিয় করে তোলে। ইহ-পরকালীন সম্মানে তাকে ভূষিত করে। পার্থিব জীবনেও দেয় শান্তি-স্বস্তি। এমন কিছু ভালোবাসার বিবরণ নিম্নে তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ ও রাসুলের জন্য ভালোবাসা:
জীবনে সর্বপ্রথম এবং সবার আগে যাদের ভালোবাসতে হবে, তারা হলেন আল্লাহ এবং তার রাসুল (সা.)। তাদের নিজের জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবাসতে হবে। এ ভালোবাসা হলো ইমানের ভালোবাসা। আনুগত্যের ভালোবাসা।
মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলো—যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাস, তাহলে আমার অনুসরণ করো, আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপগুলো ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা আলে ইমরান: ৩১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যার মধ্যে তিনটি গুণ থাকে সে ইমানের স্বাদ ও মিষ্টতা পেয়ে যায়—
দুই. মা-বাবার প্রতি ভালোবাসা:
মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের ভক্তি-শ্রদ্ধা করতে বলেছেন। আল্লাহর ইবাদতের পরেই মা বাবার সঙ্গে ভালো আচরণ ও ভক্তি-শ্রদ্ধার কথা বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর তোমার রব আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাঁকে ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করবে না এবং মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণ করবে। তাদের একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদের ‘উফ’ বলো না এবং তাদের ধমক দিয়ো না। আর তাদের সঙ্গে সম্মানজনক কথা বলো।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ২৩)
তিন . স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা:
প্রতিটি মানুষেরই পৃথিবীতে অন্তত একজন একান্ত ভালোবাসার মানুষের প্রয়োজন হয়, যে একান্ত তারই হবে। সুখে-দুঃখে তার সঙ্গ দেবে। যার কাছে তার যৌন কামনা বাসনা পূরণ করবে। যার চোখে তাকিয়ে হতাশা ও কষ্ট ভুলবে। তার উপস্থিতি তাকে প্রশান্তি দেবে। মানুষের এই চাহিদা মেটাতে মহান আল্লাহ এক পবিত্র সম্পর্কের সৃষ্টি করেছেন, তা হলো স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক।
মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে যে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয়ই এর মধ্যে নিদর্শনাবলি রয়েছে সে কওমের জন্য, যারা চিন্তা করে। (সুরা রুম: ২১)
চার . সন্তান-সন্ততির প্রতি ভালোবাসা:
সন্তানের প্রতি স্নেহ, মমতা ও ভালোবাসা মানুষের সহজাত এক বিষয়। ভালোবাসার শক্ত এ ভেতরে ওপরই টিকে আছে মানবজাতি। দাঁড়িয়ে আছে মানবসভ্যতা। সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার ভালোবাসার প্রতি ইঙ্গিত করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জেনে রেখো! নিশ্চয় সম্পদ ও সন্তানসন্ততি (এর মোহ ও মমতা) তোমাদের জন্য এক পরীক্ষা। (সুরা আনফাল: ২৮)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ধন-সম্পদ ও সন্তানসন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য।’ (সুরা কাহাফ: ৪৬)
আমাদের প্রিয় নবী (সা.) ও ছিলেন তার সন্তানসন্ততি ও পরিবারের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল। তিনি তার সন্তানদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন। এ প্রসঙ্গে হজরত আনাস রা. বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.) এর তুলনায় পরিবার-পরিজনের প্রতি অধিক স্নেহ-মমতা পোষণকারী আর কাউকে দেখিনি।’ (আল আদাবুল মুফরাদ: ৩৭৬)
এ ছাড়া সকল ধরনের বৈধ ভালোসার প্রতি ইসলাম উৎসাহিত করেছে। তাই সকল ধরনের বৈধ ভালোবাসার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া আমাদের একান্ত কাম্য।
লেখক: মুফতি ইবরাহীম আল খলীল, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
আমরা কোরআন ও হাদিসের প্রতি গভীরভাবে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলে দেখতে পাই এমন কিছু ভালোবাসার কথা বর্ণিত হয়েছে, যেসব মানুষকে আল্লাহর কাছে প্রিয় করে তোলে। ইহ-পরকালীন সম্মানে তাকে ভূষিত করে। পার্থিব জীবনেও দেয় শান্তি-স্বস্তি। এমন কিছু ভালোবাসার বিবরণ নিম্নে তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ ও রাসুলের জন্য ভালোবাসা:
জীবনে সর্বপ্রথম এবং সবার আগে যাদের ভালোবাসতে হবে, তারা হলেন আল্লাহ এবং তার রাসুল (সা.)। তাদের নিজের জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবাসতে হবে। এ ভালোবাসা হলো ইমানের ভালোবাসা। আনুগত্যের ভালোবাসা।
মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলো—যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাস, তাহলে আমার অনুসরণ করো, আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপগুলো ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা আলে ইমরান: ৩১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যার মধ্যে তিনটি গুণ থাকে সে ইমানের স্বাদ ও মিষ্টতা পেয়ে যায়—
দুই. মা-বাবার প্রতি ভালোবাসা:
মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের ভক্তি-শ্রদ্ধা করতে বলেছেন। আল্লাহর ইবাদতের পরেই মা বাবার সঙ্গে ভালো আচরণ ও ভক্তি-শ্রদ্ধার কথা বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর তোমার রব আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাঁকে ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করবে না এবং মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণ করবে। তাদের একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদের ‘উফ’ বলো না এবং তাদের ধমক দিয়ো না। আর তাদের সঙ্গে সম্মানজনক কথা বলো।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ২৩)
তিন . স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা:
প্রতিটি মানুষেরই পৃথিবীতে অন্তত একজন একান্ত ভালোবাসার মানুষের প্রয়োজন হয়, যে একান্ত তারই হবে। সুখে-দুঃখে তার সঙ্গ দেবে। যার কাছে তার যৌন কামনা বাসনা পূরণ করবে। যার চোখে তাকিয়ে হতাশা ও কষ্ট ভুলবে। তার উপস্থিতি তাকে প্রশান্তি দেবে। মানুষের এই চাহিদা মেটাতে মহান আল্লাহ এক পবিত্র সম্পর্কের সৃষ্টি করেছেন, তা হলো স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক।
মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে যে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয়ই এর মধ্যে নিদর্শনাবলি রয়েছে সে কওমের জন্য, যারা চিন্তা করে। (সুরা রুম: ২১)
চার . সন্তান-সন্ততির প্রতি ভালোবাসা:
সন্তানের প্রতি স্নেহ, মমতা ও ভালোবাসা মানুষের সহজাত এক বিষয়। ভালোবাসার শক্ত এ ভেতরে ওপরই টিকে আছে মানবজাতি। দাঁড়িয়ে আছে মানবসভ্যতা। সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার ভালোবাসার প্রতি ইঙ্গিত করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জেনে রেখো! নিশ্চয় সম্পদ ও সন্তানসন্ততি (এর মোহ ও মমতা) তোমাদের জন্য এক পরীক্ষা। (সুরা আনফাল: ২৮)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ধন-সম্পদ ও সন্তানসন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য।’ (সুরা কাহাফ: ৪৬)
আমাদের প্রিয় নবী (সা.) ও ছিলেন তার সন্তানসন্ততি ও পরিবারের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল। তিনি তার সন্তানদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন। এ প্রসঙ্গে হজরত আনাস রা. বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.) এর তুলনায় পরিবার-পরিজনের প্রতি অধিক স্নেহ-মমতা পোষণকারী আর কাউকে দেখিনি।’ (আল আদাবুল মুফরাদ: ৩৭৬)
এ ছাড়া সকল ধরনের বৈধ ভালোসার প্রতি ইসলাম উৎসাহিত করেছে। তাই সকল ধরনের বৈধ ভালোবাসার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া আমাদের একান্ত কাম্য।
লেখক: মুফতি ইবরাহীম আল খলীল, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
মানবসভ্যতার ইতিহাসে যুগে যুগে বহু ক্ষণজন্মা মনীষীর আগমন ঘটেছে, যাঁরা তাঁদের কর্ম ও প্রজ্ঞা দিয়ে ইতিহাসের গতিপথ বদলে দিয়েছেন। তাঁরা জাতির ভাগ্য রচনা করে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। তবে এ সকল মহান ব্যক্তিত্বের মধ্যে খোলাফায়ে রাশেদিন (রা.)-এর মর্যাদা যেমন অতীত ইতিহাসে বিরল, তেমনি ভবিষ্যতেও তা অতুলনীয়...
১ ঘণ্টা আগেদানশীলতা ও উদারতা ছিল মহানবী (সা.)-এর চরিত্রের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য। তাঁর এই গুণ ছিল সর্বজনবিদিত। হাদিস এসেছে, ‘রাসুল (সা.) সব মানুষের চেয়ে বেশি দানশীল ছিলেন।’ (সহিহ্ বুখারি)। দানশীল ব্যক্তিদের একটি বিশেষ গুণ হলো, তাঁরা অতিথিদের খুব আদর-আপ্যায়ন করেন
৯ ঘণ্টা আগেমানুষের স্বভাবজাত দুইটি বৈশিষ্ট্য হলো কোমলতা ও কঠোরতা। তবে মানবিক সম্পর্ক, সামাজিক সংহতি, এমনকি আল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগেও প্রয়োজন হয় হৃদয়ের কোমলতা ও নম্রতার। কারণ সম্পর্ক গড়ে উঠে ভালোবাসা, সহানুভূতি ও মানবিক আচরণের মধ্যে দিয়ে। আর রূঢ় ও কঠোরতায় সম্পর্কের বিনাশ ঘটে।
২১ ঘণ্টা আগেআল্লাহর ইচ্ছায় মানুষ দুনিয়ায় আসে অল্প সময়ের জন্য—শূন্য হাতে জন্ম, শূন্য হাতেই বিদায়। জন্ম যাত্রার সূচনা, মৃত্যু তার অবশ্যম্ভাবী সমাপ্তি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
১ দিন আগে