ইসলাম ডেস্ক

ইসলামে সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ দিন হলো জুমা। এই দিনটি মুসলিম জীবনে আত্মশুদ্ধি, কল্যাণের দোয়া এবং আল্লাহর রহমত লাভের এক স্বর্ণালি সুযোগ। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বারবার জুমার ফজিলতের কথা বলা হয়েছে। এ দিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো—সুরা কাহাফ তিলাওয়াত। সাহাবিদের যুগ থেকেই এই আমল গুরুত্বের সঙ্গে পালন হয়ে আসছে, যার রয়েছে চমৎকার ফজিলত ও কল্যাণ।
পবিত্র কোরআনের ১৮ তম সুরা এটি, যা ১১০ আয়াত নিয়ে গঠিত। জুমার দিন এ সুরা তিলাওয়াতে অনেক ফজিলত রয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, জুমার দিন যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ পাঠ করবে, তার (ইমানের) নুর এ জুমা থেকে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকি: ৫৯৯৬, মিশকাতুল মাসাবিহ: ২১৭৫)
আলী (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিন যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে আট দিন পর্যন্ত সব ধরনের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয়, তবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকেও নিরাপদ থাকবে। (হাদিসুজ জুহরি: ১২৭, আল-আহাদিসুল মুখতারাহ: ৪৩০)
আবু দারদা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ্ মুসলিম: ৮০৯)
আবু সাইদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ যেভাবে অবতীর্ণ হয়েছে, সেভাবে তিলাওয়াত করবে, তার জন্য কিয়ামতের দিন সেটা নুর (আলো) হবে। (শুআবুল ইমান: ২২২১)
বারা ইবনে আজেব (রা.) বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি কোনো এক রাতে সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করছিল। তার পাশে দুটি রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। এরই মধ্যে একটি মেঘখণ্ড এসে তাকে ঢেকে ফেলল। এরপর যখন সেই মেঘখণ্ড ধীরে ধীরে নিচে নামতে লাগল, তখন তার ঘোড়া ছোটাছুটি শুরু করল। পরদিন সকালে ওই ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-এর কাছে এসে রাতের ঘটনা বর্ণনা করলেন। নবীজি (সা.) সব শুনে বললেন, ওইটি ছিল সাকিনা (রহমত), যা কোরআন তিলাওয়াতের বরকতে নাজিল হয়েছিল। (সহিহ্ বুখারি: ৫০১১; সহিহ্ মুসলিম: ৭৯৫)
ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মতে, বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত যেকোনো সময় সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করলে তা জুমার দিনে পড়া হয়েছে বলে গণ্য হবে। এ ছাড়া এক বৈঠকে সুরা কাহাফ পুরোটা পাঠ করা আবশ্যক নয়। একাধিক বৈঠকে ভাগ ভাগ করে সুরাটি পড়ে শেষ করলেও একই সওয়াব পাওয়া যাবে।
জুমার দিনের ফজিলত অনস্বীকার্য। এই দিনে সুরা কাহাফ তিলাওয়াত একটি শক্তিশালী আত্মিক ঢাল—যা শুধু নুর ও বরকতের উৎসই নয়, বরং ফিতনা থেকে নিরাপত্তার অদৃশ্য প্রাচীরও। দাজ্জালের মতো ভয়ংকর ফিতনা থেকেও মুক্তির আশ্বাস পাওয়া যায় এর মাধ্যমে। বর্তমান যুগে যখন চারপাশে নানা বিভ্রান্তি ও সংকট, তখন এ আমল আমাদের আত্মা, চিন্তা ও জীবনে আলোর বারতা নিয়ে আসতে পারে।

ইসলামে সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ দিন হলো জুমা। এই দিনটি মুসলিম জীবনে আত্মশুদ্ধি, কল্যাণের দোয়া এবং আল্লাহর রহমত লাভের এক স্বর্ণালি সুযোগ। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বারবার জুমার ফজিলতের কথা বলা হয়েছে। এ দিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো—সুরা কাহাফ তিলাওয়াত। সাহাবিদের যুগ থেকেই এই আমল গুরুত্বের সঙ্গে পালন হয়ে আসছে, যার রয়েছে চমৎকার ফজিলত ও কল্যাণ।
পবিত্র কোরআনের ১৮ তম সুরা এটি, যা ১১০ আয়াত নিয়ে গঠিত। জুমার দিন এ সুরা তিলাওয়াতে অনেক ফজিলত রয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, জুমার দিন যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ পাঠ করবে, তার (ইমানের) নুর এ জুমা থেকে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকি: ৫৯৯৬, মিশকাতুল মাসাবিহ: ২১৭৫)
আলী (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিন যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে আট দিন পর্যন্ত সব ধরনের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয়, তবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকেও নিরাপদ থাকবে। (হাদিসুজ জুহরি: ১২৭, আল-আহাদিসুল মুখতারাহ: ৪৩০)
আবু দারদা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ্ মুসলিম: ৮০৯)
আবু সাইদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ যেভাবে অবতীর্ণ হয়েছে, সেভাবে তিলাওয়াত করবে, তার জন্য কিয়ামতের দিন সেটা নুর (আলো) হবে। (শুআবুল ইমান: ২২২১)
বারা ইবনে আজেব (রা.) বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি কোনো এক রাতে সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করছিল। তার পাশে দুটি রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। এরই মধ্যে একটি মেঘখণ্ড এসে তাকে ঢেকে ফেলল। এরপর যখন সেই মেঘখণ্ড ধীরে ধীরে নিচে নামতে লাগল, তখন তার ঘোড়া ছোটাছুটি শুরু করল। পরদিন সকালে ওই ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-এর কাছে এসে রাতের ঘটনা বর্ণনা করলেন। নবীজি (সা.) সব শুনে বললেন, ওইটি ছিল সাকিনা (রহমত), যা কোরআন তিলাওয়াতের বরকতে নাজিল হয়েছিল। (সহিহ্ বুখারি: ৫০১১; সহিহ্ মুসলিম: ৭৯৫)
ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মতে, বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত যেকোনো সময় সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করলে তা জুমার দিনে পড়া হয়েছে বলে গণ্য হবে। এ ছাড়া এক বৈঠকে সুরা কাহাফ পুরোটা পাঠ করা আবশ্যক নয়। একাধিক বৈঠকে ভাগ ভাগ করে সুরাটি পড়ে শেষ করলেও একই সওয়াব পাওয়া যাবে।
জুমার দিনের ফজিলত অনস্বীকার্য। এই দিনে সুরা কাহাফ তিলাওয়াত একটি শক্তিশালী আত্মিক ঢাল—যা শুধু নুর ও বরকতের উৎসই নয়, বরং ফিতনা থেকে নিরাপত্তার অদৃশ্য প্রাচীরও। দাজ্জালের মতো ভয়ংকর ফিতনা থেকেও মুক্তির আশ্বাস পাওয়া যায় এর মাধ্যমে। বর্তমান যুগে যখন চারপাশে নানা বিভ্রান্তি ও সংকট, তখন এ আমল আমাদের আত্মা, চিন্তা ও জীবনে আলোর বারতা নিয়ে আসতে পারে।
ইসলাম ডেস্ক

ইসলামে সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ দিন হলো জুমা। এই দিনটি মুসলিম জীবনে আত্মশুদ্ধি, কল্যাণের দোয়া এবং আল্লাহর রহমত লাভের এক স্বর্ণালি সুযোগ। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বারবার জুমার ফজিলতের কথা বলা হয়েছে। এ দিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো—সুরা কাহাফ তিলাওয়াত। সাহাবিদের যুগ থেকেই এই আমল গুরুত্বের সঙ্গে পালন হয়ে আসছে, যার রয়েছে চমৎকার ফজিলত ও কল্যাণ।
পবিত্র কোরআনের ১৮ তম সুরা এটি, যা ১১০ আয়াত নিয়ে গঠিত। জুমার দিন এ সুরা তিলাওয়াতে অনেক ফজিলত রয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, জুমার দিন যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ পাঠ করবে, তার (ইমানের) নুর এ জুমা থেকে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকি: ৫৯৯৬, মিশকাতুল মাসাবিহ: ২১৭৫)
আলী (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিন যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে আট দিন পর্যন্ত সব ধরনের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয়, তবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকেও নিরাপদ থাকবে। (হাদিসুজ জুহরি: ১২৭, আল-আহাদিসুল মুখতারাহ: ৪৩০)
আবু দারদা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ্ মুসলিম: ৮০৯)
আবু সাইদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ যেভাবে অবতীর্ণ হয়েছে, সেভাবে তিলাওয়াত করবে, তার জন্য কিয়ামতের দিন সেটা নুর (আলো) হবে। (শুআবুল ইমান: ২২২১)
বারা ইবনে আজেব (রা.) বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি কোনো এক রাতে সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করছিল। তার পাশে দুটি রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। এরই মধ্যে একটি মেঘখণ্ড এসে তাকে ঢেকে ফেলল। এরপর যখন সেই মেঘখণ্ড ধীরে ধীরে নিচে নামতে লাগল, তখন তার ঘোড়া ছোটাছুটি শুরু করল। পরদিন সকালে ওই ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-এর কাছে এসে রাতের ঘটনা বর্ণনা করলেন। নবীজি (সা.) সব শুনে বললেন, ওইটি ছিল সাকিনা (রহমত), যা কোরআন তিলাওয়াতের বরকতে নাজিল হয়েছিল। (সহিহ্ বুখারি: ৫০১১; সহিহ্ মুসলিম: ৭৯৫)
ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মতে, বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত যেকোনো সময় সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করলে তা জুমার দিনে পড়া হয়েছে বলে গণ্য হবে। এ ছাড়া এক বৈঠকে সুরা কাহাফ পুরোটা পাঠ করা আবশ্যক নয়। একাধিক বৈঠকে ভাগ ভাগ করে সুরাটি পড়ে শেষ করলেও একই সওয়াব পাওয়া যাবে।
জুমার দিনের ফজিলত অনস্বীকার্য। এই দিনে সুরা কাহাফ তিলাওয়াত একটি শক্তিশালী আত্মিক ঢাল—যা শুধু নুর ও বরকতের উৎসই নয়, বরং ফিতনা থেকে নিরাপত্তার অদৃশ্য প্রাচীরও। দাজ্জালের মতো ভয়ংকর ফিতনা থেকেও মুক্তির আশ্বাস পাওয়া যায় এর মাধ্যমে। বর্তমান যুগে যখন চারপাশে নানা বিভ্রান্তি ও সংকট, তখন এ আমল আমাদের আত্মা, চিন্তা ও জীবনে আলোর বারতা নিয়ে আসতে পারে।

ইসলামে সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ দিন হলো জুমা। এই দিনটি মুসলিম জীবনে আত্মশুদ্ধি, কল্যাণের দোয়া এবং আল্লাহর রহমত লাভের এক স্বর্ণালি সুযোগ। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বারবার জুমার ফজিলতের কথা বলা হয়েছে। এ দিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো—সুরা কাহাফ তিলাওয়াত। সাহাবিদের যুগ থেকেই এই আমল গুরুত্বের সঙ্গে পালন হয়ে আসছে, যার রয়েছে চমৎকার ফজিলত ও কল্যাণ।
পবিত্র কোরআনের ১৮ তম সুরা এটি, যা ১১০ আয়াত নিয়ে গঠিত। জুমার দিন এ সুরা তিলাওয়াতে অনেক ফজিলত রয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, জুমার দিন যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ পাঠ করবে, তার (ইমানের) নুর এ জুমা থেকে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকি: ৫৯৯৬, মিশকাতুল মাসাবিহ: ২১৭৫)
আলী (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিন যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে আট দিন পর্যন্ত সব ধরনের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয়, তবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকেও নিরাপদ থাকবে। (হাদিসুজ জুহরি: ১২৭, আল-আহাদিসুল মুখতারাহ: ৪৩০)
আবু দারদা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ্ মুসলিম: ৮০৯)
আবু সাইদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ যেভাবে অবতীর্ণ হয়েছে, সেভাবে তিলাওয়াত করবে, তার জন্য কিয়ামতের দিন সেটা নুর (আলো) হবে। (শুআবুল ইমান: ২২২১)
বারা ইবনে আজেব (রা.) বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি কোনো এক রাতে সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করছিল। তার পাশে দুটি রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। এরই মধ্যে একটি মেঘখণ্ড এসে তাকে ঢেকে ফেলল। এরপর যখন সেই মেঘখণ্ড ধীরে ধীরে নিচে নামতে লাগল, তখন তার ঘোড়া ছোটাছুটি শুরু করল। পরদিন সকালে ওই ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-এর কাছে এসে রাতের ঘটনা বর্ণনা করলেন। নবীজি (সা.) সব শুনে বললেন, ওইটি ছিল সাকিনা (রহমত), যা কোরআন তিলাওয়াতের বরকতে নাজিল হয়েছিল। (সহিহ্ বুখারি: ৫০১১; সহিহ্ মুসলিম: ৭৯৫)
ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মতে, বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত যেকোনো সময় সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করলে তা জুমার দিনে পড়া হয়েছে বলে গণ্য হবে। এ ছাড়া এক বৈঠকে সুরা কাহাফ পুরোটা পাঠ করা আবশ্যক নয়। একাধিক বৈঠকে ভাগ ভাগ করে সুরাটি পড়ে শেষ করলেও একই সওয়াব পাওয়া যাবে।
জুমার দিনের ফজিলত অনস্বীকার্য। এই দিনে সুরা কাহাফ তিলাওয়াত একটি শক্তিশালী আত্মিক ঢাল—যা শুধু নুর ও বরকতের উৎসই নয়, বরং ফিতনা থেকে নিরাপত্তার অদৃশ্য প্রাচীরও। দাজ্জালের মতো ভয়ংকর ফিতনা থেকেও মুক্তির আশ্বাস পাওয়া যায় এর মাধ্যমে। বর্তমান যুগে যখন চারপাশে নানা বিভ্রান্তি ও সংকট, তখন এ আমল আমাদের আত্মা, চিন্তা ও জীবনে আলোর বারতা নিয়ে আসতে পারে।

হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২ ঘণ্টা আগে
অজুকে স্বাগত জানিয়ে আদায় করা দুই রাকাত নফল নামাজকে বলে তাহিয়্যাতুল অজু। অজু করার পরপরই এ নামাজ আদায় করতে হয়। এ নামাজের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। তাহিয়্যাতুল অজুর মাধ্যমে বান্দার পাপ মুছে যায়, আল্লাহর দরবারে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
৮ ঘণ্টা আগে
মানুষকে কষ্ট দেওয়া অমানবিক নিষ্ঠুরতা। হোক সেটা কথা বা কাজকর্মে। আমরা দৈনন্দিন চেনা-অচেনা হাজারো মানুষের সঙ্গে কথা বলি। চলাচলের রাস্তায়, অফিস-আদালতে, যানবাহনে। কখনো ভেবে দেখেছি—আমার কথায় বা আচরণে কেউ কষ্ট পেল কি না? কাউকে কটুকথা বললাম কি না?
১ দিন আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস জমাদিউল আউয়াল। মাসটির নাম শুনলেই মনে হয় প্রশান্ত এক সময়—শীতল আবহে আত্মশুদ্ধি, তাওবা আর নতুনভাবে ইমানের জাগরণ ঘটানোর উপযুক্ত সময়। এ মাসের প্রতিটি জুমা যেমন বরকত ও রহমতের দিন, তেমনি তৃতীয় জুমাটি যেন আল্লাহর দিকে ফিরে আসার এক অনন্য সুযোগ।
২ দিন আগেসাকী মাহবুব

মানবসমাজে পারস্পরিক ভালোবাসা, সদ্ভাব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। এই লক্ষ্য অর্জনে হাদিয়া বা উপহার আদান-প্রদান একটি অত্যন্ত কার্যকরী ও পরীক্ষিত পদ্ধতি।
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা। এটি মানুষের মন থেকে রাগ, বিদ্বেষ ও শত্রুতার ভাব দূর করে ভালোবাসার বীজ বপন করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পর উপহার আদান-প্রদান করো, তাহলে তোমাদের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি হবে।’ (জামে তিরমিজি)
অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি বা তিক্ততা সৃষ্টি হয়, যা থেকে শত্রুতার জন্ম নেয়। হাদিয়া এ ক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। আন্তরিকভাবে দেওয়া একটি উপহার কঠিন হৃদয়ের দেয়াল ভেঙে দিতে সক্ষম।
হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা পরস্পর হাদিয়া আদান-প্রদান করো। কেননা, হাদিয়া অন্তর থেকে বিদ্বেষ দূর করে দেয়।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাও, তাহলে তোমাদের বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে; আর তোমরা পরস্পরকে উপহার দাও, তাহলে শত্রুতা দূর হয়ে যাবে।’ (মুআত্তা ইমাম মালেক, আল-আদাবুল মুফরাদ)
বাস্তব জীবনে দেখা যায়, একজন তিক্ততা পোষণকারী আত্মীয় বা প্রতিবেশীকে আন্তরিকতার সঙ্গে একটি উপহার দিলে তার পাষাণ হৃদয়ে পরিবর্তন আসে এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এটি প্রমাণ করে যে হাদিয়া মানুষের ভেতরের নেতিবাচক অনুভূতিকে ইতিবাচক রূপে রূপান্তরিত করতে পারে।
হাদিয়া গ্রহণ ও প্রদান করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি প্রিয় অভ্যাস ছিল। তিনি উপহার গ্রহণ করতেন এবং বিনিময়ে কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করতেন। এটি ছিল তাঁর উচ্চ নৈতিকতার প্রমাণ।
আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিয়া গ্রহণ করতেন এবং এর প্রতিদান দিতেন।’ (সহিহ্ বুখারি)
সামান্য ও নগণ্য হাদিয়াও তিনি ফিরিয়ে দিতেন না। এর মাধ্যমে তিনি উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন যে উপহারের মূল্য নয়, বরং আন্তরিকতাই আসল। হাদিয়া আদান-প্রদান শুধু একটি সামাজিক প্রথা নয়, এটি একটি ইবাদত এবং নবুওয়াতের শিক্ষা। এটি এমন এক মানবিক কৌশল, যা মানুষের হৃদয়ের গভীরে প্রবেশ করে বিদ্বেষ দূর করে ভালোবাসা ও সদ্ভাব প্রতিষ্ঠা করে।
আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সম্পর্কগুলোকে সুন্দর ও মজবুত করার জন্য হাদিয়ার এই ঐশী মাধ্যমটিকে গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। হাদিয়ার মূল্য নয়, বরং এর পেছনে থাকা আন্তরিকতাই পারে যেকোনো মানুষের অন্তর পরিবর্তন করে সম্পর্ককে স্থায়ী ও মধুর করতে।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কশবামাজাইল, পাংশা, রাজবাড়ী।

মানবসমাজে পারস্পরিক ভালোবাসা, সদ্ভাব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। এই লক্ষ্য অর্জনে হাদিয়া বা উপহার আদান-প্রদান একটি অত্যন্ত কার্যকরী ও পরীক্ষিত পদ্ধতি।
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা। এটি মানুষের মন থেকে রাগ, বিদ্বেষ ও শত্রুতার ভাব দূর করে ভালোবাসার বীজ বপন করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পর উপহার আদান-প্রদান করো, তাহলে তোমাদের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি হবে।’ (জামে তিরমিজি)
অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি বা তিক্ততা সৃষ্টি হয়, যা থেকে শত্রুতার জন্ম নেয়। হাদিয়া এ ক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। আন্তরিকভাবে দেওয়া একটি উপহার কঠিন হৃদয়ের দেয়াল ভেঙে দিতে সক্ষম।
হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা পরস্পর হাদিয়া আদান-প্রদান করো। কেননা, হাদিয়া অন্তর থেকে বিদ্বেষ দূর করে দেয়।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাও, তাহলে তোমাদের বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে; আর তোমরা পরস্পরকে উপহার দাও, তাহলে শত্রুতা দূর হয়ে যাবে।’ (মুআত্তা ইমাম মালেক, আল-আদাবুল মুফরাদ)
বাস্তব জীবনে দেখা যায়, একজন তিক্ততা পোষণকারী আত্মীয় বা প্রতিবেশীকে আন্তরিকতার সঙ্গে একটি উপহার দিলে তার পাষাণ হৃদয়ে পরিবর্তন আসে এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এটি প্রমাণ করে যে হাদিয়া মানুষের ভেতরের নেতিবাচক অনুভূতিকে ইতিবাচক রূপে রূপান্তরিত করতে পারে।
হাদিয়া গ্রহণ ও প্রদান করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি প্রিয় অভ্যাস ছিল। তিনি উপহার গ্রহণ করতেন এবং বিনিময়ে কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করতেন। এটি ছিল তাঁর উচ্চ নৈতিকতার প্রমাণ।
আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিয়া গ্রহণ করতেন এবং এর প্রতিদান দিতেন।’ (সহিহ্ বুখারি)
সামান্য ও নগণ্য হাদিয়াও তিনি ফিরিয়ে দিতেন না। এর মাধ্যমে তিনি উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন যে উপহারের মূল্য নয়, বরং আন্তরিকতাই আসল। হাদিয়া আদান-প্রদান শুধু একটি সামাজিক প্রথা নয়, এটি একটি ইবাদত এবং নবুওয়াতের শিক্ষা। এটি এমন এক মানবিক কৌশল, যা মানুষের হৃদয়ের গভীরে প্রবেশ করে বিদ্বেষ দূর করে ভালোবাসা ও সদ্ভাব প্রতিষ্ঠা করে।
আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সম্পর্কগুলোকে সুন্দর ও মজবুত করার জন্য হাদিয়ার এই ঐশী মাধ্যমটিকে গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। হাদিয়ার মূল্য নয়, বরং এর পেছনে থাকা আন্তরিকতাই পারে যেকোনো মানুষের অন্তর পরিবর্তন করে সম্পর্ককে স্থায়ী ও মধুর করতে।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কশবামাজাইল, পাংশা, রাজবাড়ী।

ইসলামে সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ দিন হলো জুমা। এই দিনটি মুসলিম জীবনে আত্মশুদ্ধি, কল্যাণের দোয়া এবং আল্লাহর রহমত লাভের এক স্বর্ণালি সুযোগ। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বারবার জুমার ফজিলতের কথা বলা হয়েছে। এ দিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো—সুরা কাহাফ তিলাওয়াত। সাহাবিদের যুগ থেকেই এই আমল...
১১ জুলাই ২০২৫
অজুকে স্বাগত জানিয়ে আদায় করা দুই রাকাত নফল নামাজকে বলে তাহিয়্যাতুল অজু। অজু করার পরপরই এ নামাজ আদায় করতে হয়। এ নামাজের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। তাহিয়্যাতুল অজুর মাধ্যমে বান্দার পাপ মুছে যায়, আল্লাহর দরবারে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
৮ ঘণ্টা আগে
মানুষকে কষ্ট দেওয়া অমানবিক নিষ্ঠুরতা। হোক সেটা কথা বা কাজকর্মে। আমরা দৈনন্দিন চেনা-অচেনা হাজারো মানুষের সঙ্গে কথা বলি। চলাচলের রাস্তায়, অফিস-আদালতে, যানবাহনে। কখনো ভেবে দেখেছি—আমার কথায় বা আচরণে কেউ কষ্ট পেল কি না? কাউকে কটুকথা বললাম কি না?
১ দিন আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস জমাদিউল আউয়াল। মাসটির নাম শুনলেই মনে হয় প্রশান্ত এক সময়—শীতল আবহে আত্মশুদ্ধি, তাওবা আর নতুনভাবে ইমানের জাগরণ ঘটানোর উপযুক্ত সময়। এ মাসের প্রতিটি জুমা যেমন বরকত ও রহমতের দিন, তেমনি তৃতীয় জুমাটি যেন আল্লাহর দিকে ফিরে আসার এক অনন্য সুযোগ।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

অজুকে স্বাগত জানিয়ে আদায় করা দুই রাকাত নফল নামাজকে বলে তাহিয়্যাতুল অজু। অজু করার পরপরই এ নামাজ আদায় করতে হয়। এ নামাজের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। তাহিয়্যাতুল অজুর মাধ্যমে বান্দার পাপ মুছে যায়, আল্লাহর দরবারে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
এ নামাজ আদায়ের নিয়ম অন্যান্য নফল নামাজের মতোই। নিয়ত করে তাকবির বেঁধে নামাজ শুরু করবে। দুই রাকাতেই ফাতেহার পর অন্য সুরা মেলাবে। বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু, দরুদ শরিফ ও দোয়ায়ে মাসুরা পড়ে সালাম ফেরাবে। তবে নামাজের নিষিদ্ধ সময়ে অজু করলে তখন এ নামাজ আদায় করা যাবে না।
উকবা ইবনে আমির (রা.) থেকে বর্ণিত, একটি হাদিস থেকে তাহিয়্যাতুল অজুর ফজিলত সম্পর্কে জানা যায়। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে মুসলমান ভালোভাবে অজু করে শরীর ও মনকে পুরোপুরি নিবদ্ধ রেখে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৩৪)
একবার উসমান (রা.) ভালোভাবে অজু করে বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে এভাবে অজু করে একাগ্রতার সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে, তার পেছনের সব (ছগিরা) গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৫৯)
একদিন ফজরের নামাজের পর বেলাল (রা.)-কে নবী করিম (সা.) বললেন, ‘বেলাল, আমাকে বলো দেখি, ইসলাম গ্রহণের পর থেকে নিজের কোন আমল তোমার কাছে (সওয়াবের আশার দিক থেকে) সবচেয়ে উত্তম বলে মনে হয়? কারণ, আমি জান্নাতে আমার সামনে সামনে তোমার হাঁটার আওয়াজ শুনেছি।’ বেলাল (রা.) বললেন, ‘তেমন কোনো আমল আমার নেই; যার ফলে আমি (বিপুল সওয়াবের) আশা করতে পারি। তবে দিনরাতে যখনই অজু করি; সেই অজুর মাধ্যমে যে কয় রাকাত সম্ভব হয়, (নফল) নামাজ আদায় করি।’ (সহিহ্ বুখারি: ১১৪৯)

অজুকে স্বাগত জানিয়ে আদায় করা দুই রাকাত নফল নামাজকে বলে তাহিয়্যাতুল অজু। অজু করার পরপরই এ নামাজ আদায় করতে হয়। এ নামাজের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। তাহিয়্যাতুল অজুর মাধ্যমে বান্দার পাপ মুছে যায়, আল্লাহর দরবারে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
এ নামাজ আদায়ের নিয়ম অন্যান্য নফল নামাজের মতোই। নিয়ত করে তাকবির বেঁধে নামাজ শুরু করবে। দুই রাকাতেই ফাতেহার পর অন্য সুরা মেলাবে। বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু, দরুদ শরিফ ও দোয়ায়ে মাসুরা পড়ে সালাম ফেরাবে। তবে নামাজের নিষিদ্ধ সময়ে অজু করলে তখন এ নামাজ আদায় করা যাবে না।
উকবা ইবনে আমির (রা.) থেকে বর্ণিত, একটি হাদিস থেকে তাহিয়্যাতুল অজুর ফজিলত সম্পর্কে জানা যায়। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে মুসলমান ভালোভাবে অজু করে শরীর ও মনকে পুরোপুরি নিবদ্ধ রেখে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৩৪)
একবার উসমান (রা.) ভালোভাবে অজু করে বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে এভাবে অজু করে একাগ্রতার সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে, তার পেছনের সব (ছগিরা) গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৫৯)
একদিন ফজরের নামাজের পর বেলাল (রা.)-কে নবী করিম (সা.) বললেন, ‘বেলাল, আমাকে বলো দেখি, ইসলাম গ্রহণের পর থেকে নিজের কোন আমল তোমার কাছে (সওয়াবের আশার দিক থেকে) সবচেয়ে উত্তম বলে মনে হয়? কারণ, আমি জান্নাতে আমার সামনে সামনে তোমার হাঁটার আওয়াজ শুনেছি।’ বেলাল (রা.) বললেন, ‘তেমন কোনো আমল আমার নেই; যার ফলে আমি (বিপুল সওয়াবের) আশা করতে পারি। তবে দিনরাতে যখনই অজু করি; সেই অজুর মাধ্যমে যে কয় রাকাত সম্ভব হয়, (নফল) নামাজ আদায় করি।’ (সহিহ্ বুখারি: ১১৪৯)

ইসলামে সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ দিন হলো জুমা। এই দিনটি মুসলিম জীবনে আত্মশুদ্ধি, কল্যাণের দোয়া এবং আল্লাহর রহমত লাভের এক স্বর্ণালি সুযোগ। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বারবার জুমার ফজিলতের কথা বলা হয়েছে। এ দিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো—সুরা কাহাফ তিলাওয়াত। সাহাবিদের যুগ থেকেই এই আমল...
১১ জুলাই ২০২৫
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২ ঘণ্টা আগে
মানুষকে কষ্ট দেওয়া অমানবিক নিষ্ঠুরতা। হোক সেটা কথা বা কাজকর্মে। আমরা দৈনন্দিন চেনা-অচেনা হাজারো মানুষের সঙ্গে কথা বলি। চলাচলের রাস্তায়, অফিস-আদালতে, যানবাহনে। কখনো ভেবে দেখেছি—আমার কথায় বা আচরণে কেউ কষ্ট পেল কি না? কাউকে কটুকথা বললাম কি না?
১ দিন আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস জমাদিউল আউয়াল। মাসটির নাম শুনলেই মনে হয় প্রশান্ত এক সময়—শীতল আবহে আত্মশুদ্ধি, তাওবা আর নতুনভাবে ইমানের জাগরণ ঘটানোর উপযুক্ত সময়। এ মাসের প্রতিটি জুমা যেমন বরকত ও রহমতের দিন, তেমনি তৃতীয় জুমাটি যেন আল্লাহর দিকে ফিরে আসার এক অনন্য সুযোগ।
২ দিন আগেআবরার নাঈম

মানুষকে কষ্ট দেওয়া অমানবিক নিষ্ঠুরতা। হোক সেটা কথা বা কাজকর্মে। আমরা দৈনন্দিন চেনা-অচেনা হাজারো মানুষের সঙ্গে কথা বলি। চলাচলের রাস্তায়, অফিস-আদালতে, যানবাহনে। কখনো ভেবে দেখেছি—আমার কথায় বা আচরণে কেউ কষ্ট পেল কি না? কাউকে কটুকথা বললাম কি না?
যদি কেউ আমার কথায় মনঃক্ষুণ্ন হয়ে থাকে, তাহলে আমি নিজেকে মুসলিম দাবি করলেও প্রকৃত মুসলিম হতে পারিনি। কারণ হাদিসের ভাষ্যমতে, প্রকৃত মুসলিম তো সে—যার হাত ও জবান থেকে অন্য মানুষ নিরাপদ থাকে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুসলিম ওই ব্যক্তি—যার হাত ও জিহ্বা থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে। (সুনানে নাসায়ি: ৪৯৯৫)
প্রকৃত মুমিন হতে হলে নিজের ভেতর বহুমুখী গুণাবলির সমন্বয় সাধন করতে হয়। শুধু ইবাদত-বন্দেগিতে সীমাবদ্ধ থেকে খাঁটি মুমিন হওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আনুষঙ্গিক নানা বিষয় ও বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। যেমন, মানুষের প্রতি সদাচারী হওয়া। অন্যের জানমালের ক্ষতি না করা বা ক্ষতির কারণ না হওয়া। কেননা, চুরি-ডাকাতি কিংবা অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ লুট ও আত্মসাৎ করা কোনো মুমিনের গুণ হতে পারে না। তাই এসব পরিহারযোগ্য। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন ওই ব্যক্তি—যার কাছে অন্য মানুষ নিজের জান ও মালকে নিরাপদ মনে করে। (সুনানে নাসায়ি)
এগুলো আসলে খুব কঠিন কোনো কাজ নয়। একটু মানবিক ও সুচিন্তক হলেই নিজে ভালো মানুষ এবং অন্যের আস্থার পাত্র হওয়া যায়। কথা ও কাজে একটু সংযমী হলেই অন্যকে কষ্ট দেওয়া থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে মানুষের সঙ্গে সদাচারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

মানুষকে কষ্ট দেওয়া অমানবিক নিষ্ঠুরতা। হোক সেটা কথা বা কাজকর্মে। আমরা দৈনন্দিন চেনা-অচেনা হাজারো মানুষের সঙ্গে কথা বলি। চলাচলের রাস্তায়, অফিস-আদালতে, যানবাহনে। কখনো ভেবে দেখেছি—আমার কথায় বা আচরণে কেউ কষ্ট পেল কি না? কাউকে কটুকথা বললাম কি না?
যদি কেউ আমার কথায় মনঃক্ষুণ্ন হয়ে থাকে, তাহলে আমি নিজেকে মুসলিম দাবি করলেও প্রকৃত মুসলিম হতে পারিনি। কারণ হাদিসের ভাষ্যমতে, প্রকৃত মুসলিম তো সে—যার হাত ও জবান থেকে অন্য মানুষ নিরাপদ থাকে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুসলিম ওই ব্যক্তি—যার হাত ও জিহ্বা থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে। (সুনানে নাসায়ি: ৪৯৯৫)
প্রকৃত মুমিন হতে হলে নিজের ভেতর বহুমুখী গুণাবলির সমন্বয় সাধন করতে হয়। শুধু ইবাদত-বন্দেগিতে সীমাবদ্ধ থেকে খাঁটি মুমিন হওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আনুষঙ্গিক নানা বিষয় ও বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। যেমন, মানুষের প্রতি সদাচারী হওয়া। অন্যের জানমালের ক্ষতি না করা বা ক্ষতির কারণ না হওয়া। কেননা, চুরি-ডাকাতি কিংবা অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ লুট ও আত্মসাৎ করা কোনো মুমিনের গুণ হতে পারে না। তাই এসব পরিহারযোগ্য। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন ওই ব্যক্তি—যার কাছে অন্য মানুষ নিজের জান ও মালকে নিরাপদ মনে করে। (সুনানে নাসায়ি)
এগুলো আসলে খুব কঠিন কোনো কাজ নয়। একটু মানবিক ও সুচিন্তক হলেই নিজে ভালো মানুষ এবং অন্যের আস্থার পাত্র হওয়া যায়। কথা ও কাজে একটু সংযমী হলেই অন্যকে কষ্ট দেওয়া থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে মানুষের সঙ্গে সদাচারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ইসলামে সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ দিন হলো জুমা। এই দিনটি মুসলিম জীবনে আত্মশুদ্ধি, কল্যাণের দোয়া এবং আল্লাহর রহমত লাভের এক স্বর্ণালি সুযোগ। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বারবার জুমার ফজিলতের কথা বলা হয়েছে। এ দিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো—সুরা কাহাফ তিলাওয়াত। সাহাবিদের যুগ থেকেই এই আমল...
১১ জুলাই ২০২৫
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২ ঘণ্টা আগে
অজুকে স্বাগত জানিয়ে আদায় করা দুই রাকাত নফল নামাজকে বলে তাহিয়্যাতুল অজু। অজু করার পরপরই এ নামাজ আদায় করতে হয়। এ নামাজের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। তাহিয়্যাতুল অজুর মাধ্যমে বান্দার পাপ মুছে যায়, আল্লাহর দরবারে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
৮ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস জমাদিউল আউয়াল। মাসটির নাম শুনলেই মনে হয় প্রশান্ত এক সময়—শীতল আবহে আত্মশুদ্ধি, তাওবা আর নতুনভাবে ইমানের জাগরণ ঘটানোর উপযুক্ত সময়। এ মাসের প্রতিটি জুমা যেমন বরকত ও রহমতের দিন, তেমনি তৃতীয় জুমাটি যেন আল্লাহর দিকে ফিরে আসার এক অনন্য সুযোগ।
২ দিন আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস জমাদিউল আউয়াল। মাসটির নাম শুনলেই মনে হয় প্রশান্ত এক সময়—শীতল আবহে আত্মশুদ্ধি, তাওবা আর নতুনভাবে ইমানের জাগরণ ঘটানোর উপযুক্ত সময়। এ মাসের প্রতিটি জুমা যেমন বরকত ও রহমতের দিন, তেমনি তৃতীয় জুমাটি যেন আল্লাহর দিকে ফিরে আসার এক অনন্য সুযোগ।
পবিত্র কোরআনের এসেছে, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের আহ্বান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ত্বরান্বিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।’ (সুরা জুমা: ৯)
জুমা কেবল নামাজের দিন নয়—এটি মুসলমানদের ঐক্য, সংহতি ও আত্মসমালোচনার দিন। সমাজের সব শ্রেণির মানুষ এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে; কেউ ধনী, কেউ দরিদ্র—কিন্তু সবাই আল্লাহর বান্দা। এই দিন আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সব পার্থিব বিভাজনকে ভুলে গিয়ে আল্লাহর সামনে এক হয়ে দাঁড়ানোই ইমানের সৌন্দর্য।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিনে গোসল করে, উত্তম পোশাক পরে, সুগন্ধি ব্যবহার করে এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনে, তার এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করা হয়।’ (সহিহ্ বুখারি: ৮৮৩; সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৭)। এই হাদিস শুধু বাহ্যিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কথা বলে না, বরং অভ্যন্তরীণ পরিশুদ্ধির প্রতীক। যেমন—পোশাক ধোয়া হয় ময়লা দূর করার জন্য, তেমনি আত্মাকে ধোয়া হয় তাওবা, ইস্তিগফার ও সৎকর্মের মাধ্যমে।
এই মাসের তৃতীয় জুমা তাই আমাদের মনে করিয়ে দেয়—একটি নতুন শুরু এখনো সম্ভব। যত গুনাহই হোক না কেন, আল্লাহর রহমতের দরজা সব সময় খোলা। এ জুমা আমাদের শেখায়—আল্লাহর দিকে ফিরে আসার জন্য কখনো দেরি করতে হয় না।
আসুন, এই জমাদিউল আউয়ালের তৃতীয় জুমাকে আমরা আত্মশুদ্ধি, তাওবা ও ইমান নবায়নের দিন হিসেবে গ্রহণ করি। আল্লাহ যেন আমাদের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে দেন, গুনাহ মাফ করেন, আর এই জুমাকে করে তোলেন আমাদের জীবনের মোড় ঘোরানোর দিন।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি

ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস জমাদিউল আউয়াল। মাসটির নাম শুনলেই মনে হয় প্রশান্ত এক সময়—শীতল আবহে আত্মশুদ্ধি, তাওবা আর নতুনভাবে ইমানের জাগরণ ঘটানোর উপযুক্ত সময়। এ মাসের প্রতিটি জুমা যেমন বরকত ও রহমতের দিন, তেমনি তৃতীয় জুমাটি যেন আল্লাহর দিকে ফিরে আসার এক অনন্য সুযোগ।
পবিত্র কোরআনের এসেছে, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের আহ্বান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ত্বরান্বিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।’ (সুরা জুমা: ৯)
জুমা কেবল নামাজের দিন নয়—এটি মুসলমানদের ঐক্য, সংহতি ও আত্মসমালোচনার দিন। সমাজের সব শ্রেণির মানুষ এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে; কেউ ধনী, কেউ দরিদ্র—কিন্তু সবাই আল্লাহর বান্দা। এই দিন আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সব পার্থিব বিভাজনকে ভুলে গিয়ে আল্লাহর সামনে এক হয়ে দাঁড়ানোই ইমানের সৌন্দর্য।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিনে গোসল করে, উত্তম পোশাক পরে, সুগন্ধি ব্যবহার করে এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনে, তার এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করা হয়।’ (সহিহ্ বুখারি: ৮৮৩; সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৭)। এই হাদিস শুধু বাহ্যিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কথা বলে না, বরং অভ্যন্তরীণ পরিশুদ্ধির প্রতীক। যেমন—পোশাক ধোয়া হয় ময়লা দূর করার জন্য, তেমনি আত্মাকে ধোয়া হয় তাওবা, ইস্তিগফার ও সৎকর্মের মাধ্যমে।
এই মাসের তৃতীয় জুমা তাই আমাদের মনে করিয়ে দেয়—একটি নতুন শুরু এখনো সম্ভব। যত গুনাহই হোক না কেন, আল্লাহর রহমতের দরজা সব সময় খোলা। এ জুমা আমাদের শেখায়—আল্লাহর দিকে ফিরে আসার জন্য কখনো দেরি করতে হয় না।
আসুন, এই জমাদিউল আউয়ালের তৃতীয় জুমাকে আমরা আত্মশুদ্ধি, তাওবা ও ইমান নবায়নের দিন হিসেবে গ্রহণ করি। আল্লাহ যেন আমাদের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে দেন, গুনাহ মাফ করেন, আর এই জুমাকে করে তোলেন আমাদের জীবনের মোড় ঘোরানোর দিন।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি

ইসলামে সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ দিন হলো জুমা। এই দিনটি মুসলিম জীবনে আত্মশুদ্ধি, কল্যাণের দোয়া এবং আল্লাহর রহমত লাভের এক স্বর্ণালি সুযোগ। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বারবার জুমার ফজিলতের কথা বলা হয়েছে। এ দিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো—সুরা কাহাফ তিলাওয়াত। সাহাবিদের যুগ থেকেই এই আমল...
১১ জুলাই ২০২৫
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২ ঘণ্টা আগে
অজুকে স্বাগত জানিয়ে আদায় করা দুই রাকাত নফল নামাজকে বলে তাহিয়্যাতুল অজু। অজু করার পরপরই এ নামাজ আদায় করতে হয়। এ নামাজের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। তাহিয়্যাতুল অজুর মাধ্যমে বান্দার পাপ মুছে যায়, আল্লাহর দরবারে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
৮ ঘণ্টা আগে
মানুষকে কষ্ট দেওয়া অমানবিক নিষ্ঠুরতা। হোক সেটা কথা বা কাজকর্মে। আমরা দৈনন্দিন চেনা-অচেনা হাজারো মানুষের সঙ্গে কথা বলি। চলাচলের রাস্তায়, অফিস-আদালতে, যানবাহনে। কখনো ভেবে দেখেছি—আমার কথায় বা আচরণে কেউ কষ্ট পেল কি না? কাউকে কটুকথা বললাম কি না?
১ দিন আগে