Ajker Patrika

সামর্থ্য থাকার পরও হজ না করলে যে শাস্তি

কাউসার লাবীব
সামর্থ্য থাকার পরও হজ না করলে যে শাস্তি

হজ একটি ব্যতিক্রমধর্মী ইবাদত। এটি শুধু শারীরিক ও আর্থিক সামর্থ্যবানদের ওপরই ফরজ। সামর্থ্যবানদের জীবনে একবার এই ইবাদত আদায় করা আবশ্যক। মহানবী (সা.) বলেন, ‘হজ জীবনে একবারই ফরজ। কেউ যদি একাধিকবার করে, তবে তা হবে নফল হজ।’ (সহিহ্ বুখারি: ৭২৮৮)

যথাসময়ে হজ পালনের বিষয়ে বেশ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। নবীজি (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি হজ করার ইচ্ছে করে, সে যেন তাড়াতাড়ি তা আদায় করে। কারণ যেকোনো সময় সে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে, বাহনের ব্যবস্থাও না থাকতে পারে অথবা অন্য কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। (মুসনাদে আহমদ: ১৮৩৩)। অন্য হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা হজ ও ওমরাহর মাধ্যমে এই ঘরের (বায়তুল্লাহ) উপকার গ্রহণ করো। কেননা তা এর আগে দুইবার ধ্বংস হয়েছে। তৃতীয়বারের পর উঠিয়ে নেওয়া হবে।’ (সহিহ্ ইবনে খুজাইমা: ২৫০৬)। হাদিসে আরও এসেছে, ‘আল্লাহ তাআলা বলেছেন, আমি আমার বান্দার শরীর সুস্থ রাখলাম, তার রিজিক ও আয়-উপার্জনে প্রশস্ততা দান করলাম। পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও যদি সে আমার গৃহের হজের উদ্দেশ্যে আগমন না করে, তবে সে হতভাগ্য, বঞ্চিত। (সহিহ্ ইবনে হিব্বান: ৩৬৯৫)

সামর্থ্য থাকার পরও হজ আদায় না করলে কঠোর শাস্তির কথাও বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা (কাবাঘরে) পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ। কেউ যদি তা অস্বীকার করে, তাহলে জেনে রাখা উচিত—আল্লাহ সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষী নন।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘বায়তুল্লাহর হজ করার জন্য যে ব্যক্তির পথ সম্বল আছে এবং বাহন ইত্যাদির ব্যয় বহনের সামর্থ্য আছে, অথচ সে হজ সম্পাদন করে না—সে ইহুদি কিংবা খ্রিষ্টান হয়ে মৃত্যুবরণ করুক, তাতে কিছু যায়-আসে না।’ (সুনানে তিরমিজি: ৮১২)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত