Ajker Patrika

জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেতে যে দোয়া শিখিয়েছেন নবীজি

শাব্বির আহমদ
মোনাজাত। ছবি: সংগৃহীত
মোনাজাত। ছবি: সংগৃহীত

মানুষ মরণশীল। সবার দুয়ারেই একদিন মৃত্যু হাজির হবে। ছাড়তে হবে মায়ার পৃথিবী। রওনা করতে হবে অনন্ত পথের যাত্রায়—যে যাত্রা থেকে কেউ কোনো দিন ফিরে আসে না। যেখান থেকে শুরু হয় পরকালীন জীবন।

পরকালীন জীবনের ভয়ানক অধ্যায় জাহান্নাম। পবিত্র কোরআনে জাহান্নামের ব্যাপারে এসেছে, ‘আমি জালিমদের জন্য আগুন প্রস্তুত করে রেখেছি—যার লেলিহান শিখা তাদের ঘিরে ফেলবে। তারা পানীয় চাইলে তাদের গলিত শিশার ন্যায় পানি দেওয়া হবে—যা তাদের মুখমণ্ডল দগ্ধ করবে, কতই না নিকৃষ্ট পানীয়! আর কতই না নিকৃষ্ট আশ্রয়স্থল! (সুরা: কাহাফ ২৯)

অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘…সেই আগুন ভয় কর—যার ইন্ধন হবে মানুষ এবং পাথর, যা প্রস্তুত রয়েছে কাফেরদের জন্য।’ (সুরা বাকারা: ২৪)

পরকালীন জীবনে যারা আল্লাহর অপার দয়ায় জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে, তারাই প্রকৃত সৌভাগ্যবান। তাদেরই পবিত্র কোরআনে প্রকৃত সফল ব্যক্তি বলে সম্বোধন করা হয়েছে। ইহকালীন এ জীবনে আল্লাহ ও তার রাসুলের দেখানো পথে চলার মাধ্যমেই কেবল জাহান্নাম থেকে মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে।

জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া

জাহান্নাম থেকে বাঁচতে রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবাদের অনেক দোয়া ও আমল শিখিয়ে দিয়েছেন। হজরত হারিস ইবনে মুসলিম (রা.) তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে চুপে চুপে বলেন, যখন তুমি মাগরিবের নামাজ থেকে অবসর হয়ে সাতবার বলবে—

‘আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান নার।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর।’

ওই রাতে মারা গেলে তোমার জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তি লেখা হবে। আর যখন তুমি ফজরের নামাজ শেষ করবে তখনো অনুরূপ বলবে। অতঃপর তুমি যদি ওই দিন মারা যাও, তাহলে তোমার জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তি লেখা হবে।’ (সুনানে আবু দাউদ)

বর্ণনাকারী সাহাবি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে তা চুপে চুপে বলেছেন, যেন আমি আমার ভাইদের কাছে তা বিশেষভাবে প্রচার করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত