মাওলানা ইসমাইল নাজিম ইসলামবিষয়ক গবেষক
হারাম উপার্জন বলতে বোঝায়, ইসলামে সেসব উপায়ে উপার্জন করা নিষেধ, তা অবলম্বন করে উপার্জন করা। যেমন: সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, সম্পদ আত্মসাৎ, চুরি, ডাকাতি, প্রতারণা ইত্যাদি। সমাজে এমন হারাম উপার্জনকারী অনেক। তাদের অনেকে আবার নিজেদের ইবাদতগুজার বান্দা হিসেবে জাহির করে। ইবাদত করে মানুষের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করে। দান-সদকা করে বেশি বেশি। আল্লাহর কাছে দোয়াও করে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তাদের এসব আমল কি আল্লাহর কাছে কবুল হয়?
জবাব হলো, হারাম উপার্জনকারীর কোনো ইবাদতই আল্লাহর কাছে কবুল হয় না। কারণ হারাম আয় ইসলামের দৃষ্টিতে অপবিত্র বস্তু। আর ইবাদত, দোয়া, দান-সদকা পবিত্র জিনিস, যা কেবল পবিত্র বস্তুর মাধ্যমেই সম্পন্ন করা আবশ্যক। হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘এমন কখনো হবে না যে কোনো বান্দা হারাম পন্থায় সম্পদ উপার্জন করবে, এরপর তা থেকে আল্লাহর পথে ব্যয় করবে এবং তাতে বরকত দান করা হবে; সে তা থেকে সদকা করবে এবং তা কবুল করা হবে। বরং ওই ব্যক্তি সেই সম্পদ মৃত্যুর পর রেখে গেলেও তা তাকে আরও বেশি করে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা গুনাহ দিয়ে অন্য গুনাহ নির্মূল করেন না। তবে নেক আমল দিয়ে গুনাহ নির্মূল করেন। নিশ্চয়ই অপবিত্র বস্তু অপর অপবিত্র বস্তুর অপবিত্রতা দূর করতে পারে না।’ (মুসনাদে আহমদ: ৩৬৭২; মুসনাদে বাজ্জার: ২০২৬)
এমনকি হারাম উপার্জনকারীর দোয়াও আল্লাহ তাআলা কবুল করেন না। হাদিসে এসেছে, ‘দীর্ঘ ভ্রমণের এলোমেলো চুল ও ধূলিমলিন চেহারার ব্যক্তি দুই হাত আকাশের দিকে তুলে বলছে—হে আমার রব, হে আমার রব; অথচ তার আহার হারাম, পানীয় হারাম, পোশাক-পরিচ্ছদ হারাম। তার হারাম খাবার দিয়ে পুরো দেহ গড়ে উঠেছে। তাহলে তার এত দোয়া কীভাবে কবুল হবে?’ (মুসলিম: ১০১৫)
হারাম উপার্জন বলতে বোঝায়, ইসলামে সেসব উপায়ে উপার্জন করা নিষেধ, তা অবলম্বন করে উপার্জন করা। যেমন: সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, সম্পদ আত্মসাৎ, চুরি, ডাকাতি, প্রতারণা ইত্যাদি। সমাজে এমন হারাম উপার্জনকারী অনেক। তাদের অনেকে আবার নিজেদের ইবাদতগুজার বান্দা হিসেবে জাহির করে। ইবাদত করে মানুষের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করে। দান-সদকা করে বেশি বেশি। আল্লাহর কাছে দোয়াও করে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তাদের এসব আমল কি আল্লাহর কাছে কবুল হয়?
জবাব হলো, হারাম উপার্জনকারীর কোনো ইবাদতই আল্লাহর কাছে কবুল হয় না। কারণ হারাম আয় ইসলামের দৃষ্টিতে অপবিত্র বস্তু। আর ইবাদত, দোয়া, দান-সদকা পবিত্র জিনিস, যা কেবল পবিত্র বস্তুর মাধ্যমেই সম্পন্ন করা আবশ্যক। হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘এমন কখনো হবে না যে কোনো বান্দা হারাম পন্থায় সম্পদ উপার্জন করবে, এরপর তা থেকে আল্লাহর পথে ব্যয় করবে এবং তাতে বরকত দান করা হবে; সে তা থেকে সদকা করবে এবং তা কবুল করা হবে। বরং ওই ব্যক্তি সেই সম্পদ মৃত্যুর পর রেখে গেলেও তা তাকে আরও বেশি করে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা গুনাহ দিয়ে অন্য গুনাহ নির্মূল করেন না। তবে নেক আমল দিয়ে গুনাহ নির্মূল করেন। নিশ্চয়ই অপবিত্র বস্তু অপর অপবিত্র বস্তুর অপবিত্রতা দূর করতে পারে না।’ (মুসনাদে আহমদ: ৩৬৭২; মুসনাদে বাজ্জার: ২০২৬)
এমনকি হারাম উপার্জনকারীর দোয়াও আল্লাহ তাআলা কবুল করেন না। হাদিসে এসেছে, ‘দীর্ঘ ভ্রমণের এলোমেলো চুল ও ধূলিমলিন চেহারার ব্যক্তি দুই হাত আকাশের দিকে তুলে বলছে—হে আমার রব, হে আমার রব; অথচ তার আহার হারাম, পানীয় হারাম, পোশাক-পরিচ্ছদ হারাম। তার হারাম খাবার দিয়ে পুরো দেহ গড়ে উঠেছে। তাহলে তার এত দোয়া কীভাবে কবুল হবে?’ (মুসলিম: ১০১৫)
হজরত ইবরাহিম (আ.) সর্বপ্রথম হজের প্রবর্তন করেন। হজ প্রবর্তনের আগে ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে সঙ্গে নিয়ে পুনর্নির্মাণ করেন কাবাঘর। পুনর্নির্মাণ শেষ হলে ইবরাহিম (আ.)-এর প্রতি নির্দেশ হলো হজব্রত পালনের।
৮ ঘণ্টা আগেহৃদয়ের সৌন্দর্য প্রকাশ করে মুচকি হাসি। এই হাসি এক নিঃশব্দ ভাষা। একটি মুচকি হাসি অনেক সময় দূরের মানুষকে আপন করে তোলে। কখনো ক্লান্ত মুখে এনে দেয় প্রশান্তি। আবার কখনো এই হাসি উত্তম সদকা। আমাদের নবী (সা.) বলেন, ‘প্রতিটি ভালো কাজই সদকা। আর অন্য ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা—একটি ভালো কাজ...
১২ ঘণ্টা আগেপ্রশংসা এমন এক গুরুত্বপূর্ণ ও ও সর্বজনীন বিষয় যা পৃথিবীর সব মাখলুক করে থাকে। এমনকি পরকালীন জীবনে জান্নাতিরা যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে, তখন সেখানেও ৫ অবস্থায় আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করবেন।
১ দিন আগেহালাল পেশাকে ইসলাম মর্যাদার চোখে দেখে। হালাল পেশায় নিযুক্ত শ্রমিকের মর্যাদাও কম নয়। তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। প্রিয় নবী (সা.) বলেন ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন।
২ দিন আগে