হাবিব মুহাম্মাদ
মানুষ একে অন্যের পরিপূরক। পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে একে অন্যের মুখাপেক্ষী। রাসুল (সা.) বলেন, ‘মুমিনরা সবাই এক প্রাচীরের মতো, তারা একজন অন্যজনকে শক্তিশালী করে।’ (বুখারি: ৬০২) তবে পরস্পরকে সাহায্যের মানদণ্ড কী হবে, ইসলামে তার দিকনির্দেশনা রয়েছে। সহযোগিতা করা বা না করার মানদণ্ড ন্যায় ও অন্যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা সৎকর্ম ও তাকওয়ার ক্ষেত্রে একে অন্যকে সহযোগিতা করবে, পাপ ও জুলুমের কাজে সহযোগিতা করবে না।’ (সুরা মায়িদা: ২)
অসংখ্য আয়াত এবং হাদিসে সৎ ও ন্যায়সম্মত কাজে সহযোগিতা করার উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে; বরং এটি কর্তব্যও বটে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে অন্যের সাহায্যে এগিয়ে আসে, আল্লাহ তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন।’ (মুসলিম: ২৬৯৯)
অনেকে অধস্তন পার্থিব সুযোগ-সুবিধা রক্ষার জন্য নেতৃস্থানীয়দের জুলুম-নির্যাতনের সহযোগী হয়, এ ক্ষেত্রে তারা নিজেদের অপারগ মনে করে থাকে। অথচ অন্যায়ে সহযোগিতা করা জুলুম ও নাফরমানি। পার্থিব ক্ষতি হলেও আল্লাহর নাফরমানি করে কারও আনুগত্য করা বৈধ নয়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রবের নাফরমানিতে কোনো সৃষ্টির আনুগত্য বৈধ নয়।’ (শরহুস সুন্নাহ: ২৪৫৫)
ন্যায়-অন্যায় বিবেচনা না করে শুধু স্বজনপ্রীতি, দলপ্রীতি ও গোত্রপ্রীতির কারণে পরস্পর সহযোগিতা করা জাহিলি সমাজের চিত্র। তা নির্মূল করার জন্য রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে নিছক স্বজন, দল ও গোত্রপ্রীতির কারণে অন্যকে (অন্যায়ে) সাহায্য করে, সে আমার উম্মত নয়। এ অবস্থায় মৃত্যু বরণ করলে তার মৃত্যু জাহিলি মৃত্যু বলে গণ্য হবে।’ (মুসলিম: ১৮৪৮)
পরস্পরের সহযোগিতা ছাড়া একটি আদর্শ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়। ন্যায় কাজে সহযোগিতা এবং অন্যায় কাজে বাধা প্রদানের মাধ্যমে একটি আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
মানুষ একে অন্যের পরিপূরক। পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে একে অন্যের মুখাপেক্ষী। রাসুল (সা.) বলেন, ‘মুমিনরা সবাই এক প্রাচীরের মতো, তারা একজন অন্যজনকে শক্তিশালী করে।’ (বুখারি: ৬০২) তবে পরস্পরকে সাহায্যের মানদণ্ড কী হবে, ইসলামে তার দিকনির্দেশনা রয়েছে। সহযোগিতা করা বা না করার মানদণ্ড ন্যায় ও অন্যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা সৎকর্ম ও তাকওয়ার ক্ষেত্রে একে অন্যকে সহযোগিতা করবে, পাপ ও জুলুমের কাজে সহযোগিতা করবে না।’ (সুরা মায়িদা: ২)
অসংখ্য আয়াত এবং হাদিসে সৎ ও ন্যায়সম্মত কাজে সহযোগিতা করার উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে; বরং এটি কর্তব্যও বটে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে অন্যের সাহায্যে এগিয়ে আসে, আল্লাহ তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন।’ (মুসলিম: ২৬৯৯)
অনেকে অধস্তন পার্থিব সুযোগ-সুবিধা রক্ষার জন্য নেতৃস্থানীয়দের জুলুম-নির্যাতনের সহযোগী হয়, এ ক্ষেত্রে তারা নিজেদের অপারগ মনে করে থাকে। অথচ অন্যায়ে সহযোগিতা করা জুলুম ও নাফরমানি। পার্থিব ক্ষতি হলেও আল্লাহর নাফরমানি করে কারও আনুগত্য করা বৈধ নয়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রবের নাফরমানিতে কোনো সৃষ্টির আনুগত্য বৈধ নয়।’ (শরহুস সুন্নাহ: ২৪৫৫)
ন্যায়-অন্যায় বিবেচনা না করে শুধু স্বজনপ্রীতি, দলপ্রীতি ও গোত্রপ্রীতির কারণে পরস্পর সহযোগিতা করা জাহিলি সমাজের চিত্র। তা নির্মূল করার জন্য রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে নিছক স্বজন, দল ও গোত্রপ্রীতির কারণে অন্যকে (অন্যায়ে) সাহায্য করে, সে আমার উম্মত নয়। এ অবস্থায় মৃত্যু বরণ করলে তার মৃত্যু জাহিলি মৃত্যু বলে গণ্য হবে।’ (মুসলিম: ১৮৪৮)
পরস্পরের সহযোগিতা ছাড়া একটি আদর্শ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়। ন্যায় কাজে সহযোগিতা এবং অন্যায় কাজে বাধা প্রদানের মাধ্যমে একটি আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
কোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
১৪ ঘণ্টা আগেআল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
১ দিন আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
২ দিন আগে