ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক
জন্মভূমির প্রতি মানুষের ভালোবাসা সহজাত। নবী-রাসুলগণও এই ভালোবাসার বাইরে ছিলেন না। তাঁরাও নিজের দেশ ও জন্মভূমিকে ভালোবেসেছেন গভীরভাবে। আমাদের মহানবী (সা.)ও দেশের প্রতি গভীর মমতা লালন করতেন। তাঁর বিভিন্ন কথা-কাজে তার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. হেরা গুহায় অহি নাজিলের শুরুর দিকে খাদিজা (রা.) নবীজিকে ওয়ারাকা ইবনে নওফলের কাছে নিয়ে যান। ওয়ারাকা জানালেন, অহির পয়গামের দায়িত্ব পালনের কোনো এক পর্যায়ে ভবিষ্যতে জন্মভূমি মক্কা থেকে নির্বাসনে যেতে হবে আপনাকে। এ কথা শুনে সন্ত্রস্ত হৃদয়ে মহানবী (সা.) কেবল একটি প্রশ্নই করেছিলেন, ‘আওয়া মুখরিজিয়্যাহ হুম?’ অর্থাৎ, ‘তারা কি সত্যিই আমাকে বের করে দেবে?’ (বুখারি)
দুই. হিজরতের দিনের ঘটনা। সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আদি ইবনে হামরা (রা.) বলেন, আমি দেখেছি, নবী (সা.) তাঁর উটের পিঠে আরোহিত অবস্থায় হাজওয়ারা নামক স্থানে এসে বলেন, ‘আল্লাহর কসম, তুমি (মক্কা) আল্লাহর গোটা জমিনের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং দুনিয়ার সব ভূখণ্ডের মধ্যে তুমি আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয়। আল্লাহর কসম, তোমার কাছ থেকে আমাকে তাড়িয়ে না দিলে আমি (তোমাকে ত্যাগ করে) চলে যেতাম না।’ (ইবনে মাজাহ)
তিন. মহানবী (সা.)-এর হিজরতের কাফেলা মক্কা ছেড়ে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে জুহফা অতিক্রম করছিল, যেখান থেকে কাফেলা উত্তর দিকে চলতে শুরু করবে। এখানে মহানবী (সা.)-এর হৃদয় মক্কার জন্য এতই উদ্বেল-অস্থির হয়ে উঠেছিল, যার জন্য প্রশস্তির আশ্বাস নেমে আসতে হয়েছে আরশের ওপর থেকে। আল্লাহ তাআলা ফেরেশতা মারফত বার্তা পাঠান, ‘যিনি আপনার জন্য কোরআন (অবতীর্ণ করা) অপরিহার্য করেছেন, তিনি আপনাকে অবশ্যই স্বদেশে ফিরিয়ে আনবেন।’ (সুরা কাসাস, আয়াত: ৮৫)
জন্মভূমির প্রতি মানুষের ভালোবাসা সহজাত। নবী-রাসুলগণও এই ভালোবাসার বাইরে ছিলেন না। তাঁরাও নিজের দেশ ও জন্মভূমিকে ভালোবেসেছেন গভীরভাবে। আমাদের মহানবী (সা.)ও দেশের প্রতি গভীর মমতা লালন করতেন। তাঁর বিভিন্ন কথা-কাজে তার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. হেরা গুহায় অহি নাজিলের শুরুর দিকে খাদিজা (রা.) নবীজিকে ওয়ারাকা ইবনে নওফলের কাছে নিয়ে যান। ওয়ারাকা জানালেন, অহির পয়গামের দায়িত্ব পালনের কোনো এক পর্যায়ে ভবিষ্যতে জন্মভূমি মক্কা থেকে নির্বাসনে যেতে হবে আপনাকে। এ কথা শুনে সন্ত্রস্ত হৃদয়ে মহানবী (সা.) কেবল একটি প্রশ্নই করেছিলেন, ‘আওয়া মুখরিজিয়্যাহ হুম?’ অর্থাৎ, ‘তারা কি সত্যিই আমাকে বের করে দেবে?’ (বুখারি)
দুই. হিজরতের দিনের ঘটনা। সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আদি ইবনে হামরা (রা.) বলেন, আমি দেখেছি, নবী (সা.) তাঁর উটের পিঠে আরোহিত অবস্থায় হাজওয়ারা নামক স্থানে এসে বলেন, ‘আল্লাহর কসম, তুমি (মক্কা) আল্লাহর গোটা জমিনের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং দুনিয়ার সব ভূখণ্ডের মধ্যে তুমি আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয়। আল্লাহর কসম, তোমার কাছ থেকে আমাকে তাড়িয়ে না দিলে আমি (তোমাকে ত্যাগ করে) চলে যেতাম না।’ (ইবনে মাজাহ)
তিন. মহানবী (সা.)-এর হিজরতের কাফেলা মক্কা ছেড়ে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে জুহফা অতিক্রম করছিল, যেখান থেকে কাফেলা উত্তর দিকে চলতে শুরু করবে। এখানে মহানবী (সা.)-এর হৃদয় মক্কার জন্য এতই উদ্বেল-অস্থির হয়ে উঠেছিল, যার জন্য প্রশস্তির আশ্বাস নেমে আসতে হয়েছে আরশের ওপর থেকে। আল্লাহ তাআলা ফেরেশতা মারফত বার্তা পাঠান, ‘যিনি আপনার জন্য কোরআন (অবতীর্ণ করা) অপরিহার্য করেছেন, তিনি আপনাকে অবশ্যই স্বদেশে ফিরিয়ে আনবেন।’ (সুরা কাসাস, আয়াত: ৮৫)
পবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
৩ ঘণ্টা আগেক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১৭ ঘণ্টা আগেআল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১৯ ঘণ্টা আগেমহান আল্লাহ আমাদের একমাত্র রিজিকদাতা। সমগ্র সৃষ্টিকুলের রিজিকের ব্যবস্থা তিনিই করে থাকেন। তাই রিজিকের সন্ধানে দিশেহারা নয়, বরং আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকা জরুরি। কোরআন ও হাদিসের আলোকে ৪টি আমল করলে রিজিক বৃদ্ধি হবে বলে আশা করা যায়।
২০ ঘণ্টা আগে