আমজাদ ইউনুস

ভুল মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। সবার জীবনে ছোট-বড় ভুল হয়ে থাকে। ভুল আমাদের অপূর্ণতা দূর করে পূর্ণতা লাভে সাহায্য করে। রাসুল (সা.) মানবতার সবচেয়ে বড় শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি ভুলকে লজ্জার কারণ হিসেবে নয়; বরং শিক্ষণীয় মুহূর্ত হিসেবে গ্রহণ করতে শিখিয়েছেন। তিনি ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি ও সৃজনশীলতার সঙ্গে মানুষের ভুলত্রুটি সংশোধন করেছেন। এখানে তেমনি কয়েকটি কৌশলের কথা তুলে ধরা হলো।
ভুলে নজর দেওয়া
রাসুল (সা.) পরম ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে সুকৌশলে ভুল সংশোধন করতেন। কখনো কখনো ভুলের প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করতেন এবং তাৎক্ষণিক জবাব দেওয়া থেকে বিরত থাকতেন। কখনো কখনো ভুল শোধরাতে নীরব থাকতেন। একবার তিনি তাঁর সাহাবিদের একটি কাজে অনুমতির ইঙ্গিত দিতে তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হাঁটছিলেন। তাঁর অঙ্গভঙ্গির পরিবর্তন দেখে সাহাবিরা বুঝে নিলেন, তাঁদের কাজটি সঠিক নয়। যখন ভুল বড় ধরনের হতো, তখন তাঁর কথায় জোর দিতেন এবং একই কথা বারবার বলতেন।
উসামা ইবনে যায়েদ একবার রাসুল (সা.)-এর কাছে এক যুদ্ধের ঘটনা বর্ণনা করছিলেন। এক শত্রু সৈন্যের কথা উল্লেখ করে বললেন, ‘সৈন্যটি চিৎকার করে বলছিল—লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। সে এ আশায় কালেমা বলছিল যে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’ উসামা আরও জানালেন, ‘তিনি ওই সৈন্যকে তরবারির আঘাতে হত্যা করেছেন। এ কথা শুনে নবী (সা.)-এর মুখের রং বদলে গেল। তিনি বারবার বলতে থাকলেন, ‘কীভাবে তুমি তাকে হত্যা করলে, যখন সে বলছিল—লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।’ (বুখারি ও মুসলিম)
কোমল আচরণ
দুর্বল-অসহায়দের ভুল অতি কোমলভাবে শুধরে দিতেন মহানবী (সা.)। একদিন এক বেদুইন রাসুল (সা.)-এর মসজিদে প্রথম প্রবেশ করল। এরপর মসজিদের মেঝেতে প্রস্রাব করে দিল। রাসুল (সা.) নম্রভাবে সংশোধন করে বললেন, ‘আমরা মসজিদে প্রস্রাব করি না। এই ঘরগুলো ইবাদত ও আল্লাহর স্মরণের জন্য তৈরি করা হয়েছে।’ (ইবনে মাজাহ)
আল্লাহর কথা মনে করিয়ে দেওয়া
ভুল শোধরাতে মহানবী (সা.) মানুষকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিতেন। তাদের জন্য দোয়া করতেন। রাসুল (সা.) একদিন আবু মাসুদ আনসারিকে দাস প্রহার করতে দেখে একটি কথাই বলেছিলেন, ‘তুমি তার ওপর যে ক্ষমতা রাখো, তার তুলনায় আল্লাহ তোমার ওপর অনেক বেশি ক্ষমতা রাখেন।’ আবু মাসুদ তৎক্ষণাৎ দাসটি মুক্ত করে দিলেন। (মুসলিম)
পরিচয় গোপন রাখা
শ্রোতাদের সামনে অভিনব কৌশলে ভুল সংশোধন করতেন মহানবী (সা.)। সবার উপকারে ভুল শোধরাতে সুকৌশলে সম্পৃক্ত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে কথা বলতেন। বলতেন, ‘কী হলো লোকজনের, তারা এমন এমন কাজ করছে।’ এভাবে তিনি সাধারণ ভুল করা লোকদের সতর্ক করতেন, একই সঙ্গে সুকৌশলে ভুলে জড়িত ব্যক্তিদের তওবা করে নেওয়ার ইঙ্গিত দিতেন। অন্যের দোষ খুঁজে বেড়াতেন না। সাহাবিদেরও এ কাজে নিরুৎসাহিত করতেন। তিনি বলেছেন, ‘যে অন্য ভাইয়ের পাপ খুঁজে বেড়ায়, আল্লাহও তার দোষ খুঁজে বের করবেন।’ (তিরমিজি)
কঠোরতা অবলম্বন
ভুল শোধরাতে কখনো কখনো রাসুল (সা.) কঠোরতা অবলম্বন করতেন। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু ভুলের সংশোধন করতেন। একদিন এক সাহাবিকে গিবত করতে দেখলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কড়া কথা শুনিয়ে দিলেন এবং সতর্ক করলেন। (আল মুজামুল কবির)
মানুষের মর্যাদা রক্ষা
ভুল সংশোধনের সময় মানুষের মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতেন মহানবী (সা.)। ভুলের সমালোচনা করতেন; তবে ভুলকারীকে দোষ দিতেন না। উপহাস কিংবা খাটো করতেন না। একবার মাদকাসক্তি ছাড়তে অক্ষম এক ব্যক্তিকে লোকজন অভিশাপ দিচ্ছিল। রাসুল (সা.) বললেন, ‘তাকে লানত দিয়ো না। আমি তার ব্যাপারে জানি, সে আল্লাহ এবং তার রাসুলকে ভালোবাসে।’ (বুখারি)
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক

ভুল মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। সবার জীবনে ছোট-বড় ভুল হয়ে থাকে। ভুল আমাদের অপূর্ণতা দূর করে পূর্ণতা লাভে সাহায্য করে। রাসুল (সা.) মানবতার সবচেয়ে বড় শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি ভুলকে লজ্জার কারণ হিসেবে নয়; বরং শিক্ষণীয় মুহূর্ত হিসেবে গ্রহণ করতে শিখিয়েছেন। তিনি ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি ও সৃজনশীলতার সঙ্গে মানুষের ভুলত্রুটি সংশোধন করেছেন। এখানে তেমনি কয়েকটি কৌশলের কথা তুলে ধরা হলো।
ভুলে নজর দেওয়া
রাসুল (সা.) পরম ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে সুকৌশলে ভুল সংশোধন করতেন। কখনো কখনো ভুলের প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করতেন এবং তাৎক্ষণিক জবাব দেওয়া থেকে বিরত থাকতেন। কখনো কখনো ভুল শোধরাতে নীরব থাকতেন। একবার তিনি তাঁর সাহাবিদের একটি কাজে অনুমতির ইঙ্গিত দিতে তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হাঁটছিলেন। তাঁর অঙ্গভঙ্গির পরিবর্তন দেখে সাহাবিরা বুঝে নিলেন, তাঁদের কাজটি সঠিক নয়। যখন ভুল বড় ধরনের হতো, তখন তাঁর কথায় জোর দিতেন এবং একই কথা বারবার বলতেন।
উসামা ইবনে যায়েদ একবার রাসুল (সা.)-এর কাছে এক যুদ্ধের ঘটনা বর্ণনা করছিলেন। এক শত্রু সৈন্যের কথা উল্লেখ করে বললেন, ‘সৈন্যটি চিৎকার করে বলছিল—লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। সে এ আশায় কালেমা বলছিল যে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’ উসামা আরও জানালেন, ‘তিনি ওই সৈন্যকে তরবারির আঘাতে হত্যা করেছেন। এ কথা শুনে নবী (সা.)-এর মুখের রং বদলে গেল। তিনি বারবার বলতে থাকলেন, ‘কীভাবে তুমি তাকে হত্যা করলে, যখন সে বলছিল—লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।’ (বুখারি ও মুসলিম)
কোমল আচরণ
দুর্বল-অসহায়দের ভুল অতি কোমলভাবে শুধরে দিতেন মহানবী (সা.)। একদিন এক বেদুইন রাসুল (সা.)-এর মসজিদে প্রথম প্রবেশ করল। এরপর মসজিদের মেঝেতে প্রস্রাব করে দিল। রাসুল (সা.) নম্রভাবে সংশোধন করে বললেন, ‘আমরা মসজিদে প্রস্রাব করি না। এই ঘরগুলো ইবাদত ও আল্লাহর স্মরণের জন্য তৈরি করা হয়েছে।’ (ইবনে মাজাহ)
আল্লাহর কথা মনে করিয়ে দেওয়া
ভুল শোধরাতে মহানবী (সা.) মানুষকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিতেন। তাদের জন্য দোয়া করতেন। রাসুল (সা.) একদিন আবু মাসুদ আনসারিকে দাস প্রহার করতে দেখে একটি কথাই বলেছিলেন, ‘তুমি তার ওপর যে ক্ষমতা রাখো, তার তুলনায় আল্লাহ তোমার ওপর অনেক বেশি ক্ষমতা রাখেন।’ আবু মাসুদ তৎক্ষণাৎ দাসটি মুক্ত করে দিলেন। (মুসলিম)
পরিচয় গোপন রাখা
শ্রোতাদের সামনে অভিনব কৌশলে ভুল সংশোধন করতেন মহানবী (সা.)। সবার উপকারে ভুল শোধরাতে সুকৌশলে সম্পৃক্ত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে কথা বলতেন। বলতেন, ‘কী হলো লোকজনের, তারা এমন এমন কাজ করছে।’ এভাবে তিনি সাধারণ ভুল করা লোকদের সতর্ক করতেন, একই সঙ্গে সুকৌশলে ভুলে জড়িত ব্যক্তিদের তওবা করে নেওয়ার ইঙ্গিত দিতেন। অন্যের দোষ খুঁজে বেড়াতেন না। সাহাবিদেরও এ কাজে নিরুৎসাহিত করতেন। তিনি বলেছেন, ‘যে অন্য ভাইয়ের পাপ খুঁজে বেড়ায়, আল্লাহও তার দোষ খুঁজে বের করবেন।’ (তিরমিজি)
কঠোরতা অবলম্বন
ভুল শোধরাতে কখনো কখনো রাসুল (সা.) কঠোরতা অবলম্বন করতেন। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু ভুলের সংশোধন করতেন। একদিন এক সাহাবিকে গিবত করতে দেখলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কড়া কথা শুনিয়ে দিলেন এবং সতর্ক করলেন। (আল মুজামুল কবির)
মানুষের মর্যাদা রক্ষা
ভুল সংশোধনের সময় মানুষের মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতেন মহানবী (সা.)। ভুলের সমালোচনা করতেন; তবে ভুলকারীকে দোষ দিতেন না। উপহাস কিংবা খাটো করতেন না। একবার মাদকাসক্তি ছাড়তে অক্ষম এক ব্যক্তিকে লোকজন অভিশাপ দিচ্ছিল। রাসুল (সা.) বললেন, ‘তাকে লানত দিয়ো না। আমি তার ব্যাপারে জানি, সে আল্লাহ এবং তার রাসুলকে ভালোবাসে।’ (বুখারি)
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক
আমজাদ ইউনুস

ভুল মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। সবার জীবনে ছোট-বড় ভুল হয়ে থাকে। ভুল আমাদের অপূর্ণতা দূর করে পূর্ণতা লাভে সাহায্য করে। রাসুল (সা.) মানবতার সবচেয়ে বড় শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি ভুলকে লজ্জার কারণ হিসেবে নয়; বরং শিক্ষণীয় মুহূর্ত হিসেবে গ্রহণ করতে শিখিয়েছেন। তিনি ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি ও সৃজনশীলতার সঙ্গে মানুষের ভুলত্রুটি সংশোধন করেছেন। এখানে তেমনি কয়েকটি কৌশলের কথা তুলে ধরা হলো।
ভুলে নজর দেওয়া
রাসুল (সা.) পরম ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে সুকৌশলে ভুল সংশোধন করতেন। কখনো কখনো ভুলের প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করতেন এবং তাৎক্ষণিক জবাব দেওয়া থেকে বিরত থাকতেন। কখনো কখনো ভুল শোধরাতে নীরব থাকতেন। একবার তিনি তাঁর সাহাবিদের একটি কাজে অনুমতির ইঙ্গিত দিতে তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হাঁটছিলেন। তাঁর অঙ্গভঙ্গির পরিবর্তন দেখে সাহাবিরা বুঝে নিলেন, তাঁদের কাজটি সঠিক নয়। যখন ভুল বড় ধরনের হতো, তখন তাঁর কথায় জোর দিতেন এবং একই কথা বারবার বলতেন।
উসামা ইবনে যায়েদ একবার রাসুল (সা.)-এর কাছে এক যুদ্ধের ঘটনা বর্ণনা করছিলেন। এক শত্রু সৈন্যের কথা উল্লেখ করে বললেন, ‘সৈন্যটি চিৎকার করে বলছিল—লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। সে এ আশায় কালেমা বলছিল যে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’ উসামা আরও জানালেন, ‘তিনি ওই সৈন্যকে তরবারির আঘাতে হত্যা করেছেন। এ কথা শুনে নবী (সা.)-এর মুখের রং বদলে গেল। তিনি বারবার বলতে থাকলেন, ‘কীভাবে তুমি তাকে হত্যা করলে, যখন সে বলছিল—লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।’ (বুখারি ও মুসলিম)
কোমল আচরণ
দুর্বল-অসহায়দের ভুল অতি কোমলভাবে শুধরে দিতেন মহানবী (সা.)। একদিন এক বেদুইন রাসুল (সা.)-এর মসজিদে প্রথম প্রবেশ করল। এরপর মসজিদের মেঝেতে প্রস্রাব করে দিল। রাসুল (সা.) নম্রভাবে সংশোধন করে বললেন, ‘আমরা মসজিদে প্রস্রাব করি না। এই ঘরগুলো ইবাদত ও আল্লাহর স্মরণের জন্য তৈরি করা হয়েছে।’ (ইবনে মাজাহ)
আল্লাহর কথা মনে করিয়ে দেওয়া
ভুল শোধরাতে মহানবী (সা.) মানুষকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিতেন। তাদের জন্য দোয়া করতেন। রাসুল (সা.) একদিন আবু মাসুদ আনসারিকে দাস প্রহার করতে দেখে একটি কথাই বলেছিলেন, ‘তুমি তার ওপর যে ক্ষমতা রাখো, তার তুলনায় আল্লাহ তোমার ওপর অনেক বেশি ক্ষমতা রাখেন।’ আবু মাসুদ তৎক্ষণাৎ দাসটি মুক্ত করে দিলেন। (মুসলিম)
পরিচয় গোপন রাখা
শ্রোতাদের সামনে অভিনব কৌশলে ভুল সংশোধন করতেন মহানবী (সা.)। সবার উপকারে ভুল শোধরাতে সুকৌশলে সম্পৃক্ত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে কথা বলতেন। বলতেন, ‘কী হলো লোকজনের, তারা এমন এমন কাজ করছে।’ এভাবে তিনি সাধারণ ভুল করা লোকদের সতর্ক করতেন, একই সঙ্গে সুকৌশলে ভুলে জড়িত ব্যক্তিদের তওবা করে নেওয়ার ইঙ্গিত দিতেন। অন্যের দোষ খুঁজে বেড়াতেন না। সাহাবিদেরও এ কাজে নিরুৎসাহিত করতেন। তিনি বলেছেন, ‘যে অন্য ভাইয়ের পাপ খুঁজে বেড়ায়, আল্লাহও তার দোষ খুঁজে বের করবেন।’ (তিরমিজি)
কঠোরতা অবলম্বন
ভুল শোধরাতে কখনো কখনো রাসুল (সা.) কঠোরতা অবলম্বন করতেন। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু ভুলের সংশোধন করতেন। একদিন এক সাহাবিকে গিবত করতে দেখলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কড়া কথা শুনিয়ে দিলেন এবং সতর্ক করলেন। (আল মুজামুল কবির)
মানুষের মর্যাদা রক্ষা
ভুল সংশোধনের সময় মানুষের মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতেন মহানবী (সা.)। ভুলের সমালোচনা করতেন; তবে ভুলকারীকে দোষ দিতেন না। উপহাস কিংবা খাটো করতেন না। একবার মাদকাসক্তি ছাড়তে অক্ষম এক ব্যক্তিকে লোকজন অভিশাপ দিচ্ছিল। রাসুল (সা.) বললেন, ‘তাকে লানত দিয়ো না। আমি তার ব্যাপারে জানি, সে আল্লাহ এবং তার রাসুলকে ভালোবাসে।’ (বুখারি)
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক

ভুল মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। সবার জীবনে ছোট-বড় ভুল হয়ে থাকে। ভুল আমাদের অপূর্ণতা দূর করে পূর্ণতা লাভে সাহায্য করে। রাসুল (সা.) মানবতার সবচেয়ে বড় শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি ভুলকে লজ্জার কারণ হিসেবে নয়; বরং শিক্ষণীয় মুহূর্ত হিসেবে গ্রহণ করতে শিখিয়েছেন। তিনি ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি ও সৃজনশীলতার সঙ্গে মানুষের ভুলত্রুটি সংশোধন করেছেন। এখানে তেমনি কয়েকটি কৌশলের কথা তুলে ধরা হলো।
ভুলে নজর দেওয়া
রাসুল (সা.) পরম ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে সুকৌশলে ভুল সংশোধন করতেন। কখনো কখনো ভুলের প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করতেন এবং তাৎক্ষণিক জবাব দেওয়া থেকে বিরত থাকতেন। কখনো কখনো ভুল শোধরাতে নীরব থাকতেন। একবার তিনি তাঁর সাহাবিদের একটি কাজে অনুমতির ইঙ্গিত দিতে তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হাঁটছিলেন। তাঁর অঙ্গভঙ্গির পরিবর্তন দেখে সাহাবিরা বুঝে নিলেন, তাঁদের কাজটি সঠিক নয়। যখন ভুল বড় ধরনের হতো, তখন তাঁর কথায় জোর দিতেন এবং একই কথা বারবার বলতেন।
উসামা ইবনে যায়েদ একবার রাসুল (সা.)-এর কাছে এক যুদ্ধের ঘটনা বর্ণনা করছিলেন। এক শত্রু সৈন্যের কথা উল্লেখ করে বললেন, ‘সৈন্যটি চিৎকার করে বলছিল—লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। সে এ আশায় কালেমা বলছিল যে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’ উসামা আরও জানালেন, ‘তিনি ওই সৈন্যকে তরবারির আঘাতে হত্যা করেছেন। এ কথা শুনে নবী (সা.)-এর মুখের রং বদলে গেল। তিনি বারবার বলতে থাকলেন, ‘কীভাবে তুমি তাকে হত্যা করলে, যখন সে বলছিল—লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।’ (বুখারি ও মুসলিম)
কোমল আচরণ
দুর্বল-অসহায়দের ভুল অতি কোমলভাবে শুধরে দিতেন মহানবী (সা.)। একদিন এক বেদুইন রাসুল (সা.)-এর মসজিদে প্রথম প্রবেশ করল। এরপর মসজিদের মেঝেতে প্রস্রাব করে দিল। রাসুল (সা.) নম্রভাবে সংশোধন করে বললেন, ‘আমরা মসজিদে প্রস্রাব করি না। এই ঘরগুলো ইবাদত ও আল্লাহর স্মরণের জন্য তৈরি করা হয়েছে।’ (ইবনে মাজাহ)
আল্লাহর কথা মনে করিয়ে দেওয়া
ভুল শোধরাতে মহানবী (সা.) মানুষকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিতেন। তাদের জন্য দোয়া করতেন। রাসুল (সা.) একদিন আবু মাসুদ আনসারিকে দাস প্রহার করতে দেখে একটি কথাই বলেছিলেন, ‘তুমি তার ওপর যে ক্ষমতা রাখো, তার তুলনায় আল্লাহ তোমার ওপর অনেক বেশি ক্ষমতা রাখেন।’ আবু মাসুদ তৎক্ষণাৎ দাসটি মুক্ত করে দিলেন। (মুসলিম)
পরিচয় গোপন রাখা
শ্রোতাদের সামনে অভিনব কৌশলে ভুল সংশোধন করতেন মহানবী (সা.)। সবার উপকারে ভুল শোধরাতে সুকৌশলে সম্পৃক্ত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে কথা বলতেন। বলতেন, ‘কী হলো লোকজনের, তারা এমন এমন কাজ করছে।’ এভাবে তিনি সাধারণ ভুল করা লোকদের সতর্ক করতেন, একই সঙ্গে সুকৌশলে ভুলে জড়িত ব্যক্তিদের তওবা করে নেওয়ার ইঙ্গিত দিতেন। অন্যের দোষ খুঁজে বেড়াতেন না। সাহাবিদেরও এ কাজে নিরুৎসাহিত করতেন। তিনি বলেছেন, ‘যে অন্য ভাইয়ের পাপ খুঁজে বেড়ায়, আল্লাহও তার দোষ খুঁজে বের করবেন।’ (তিরমিজি)
কঠোরতা অবলম্বন
ভুল শোধরাতে কখনো কখনো রাসুল (সা.) কঠোরতা অবলম্বন করতেন। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু ভুলের সংশোধন করতেন। একদিন এক সাহাবিকে গিবত করতে দেখলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কড়া কথা শুনিয়ে দিলেন এবং সতর্ক করলেন। (আল মুজামুল কবির)
মানুষের মর্যাদা রক্ষা
ভুল সংশোধনের সময় মানুষের মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতেন মহানবী (সা.)। ভুলের সমালোচনা করতেন; তবে ভুলকারীকে দোষ দিতেন না। উপহাস কিংবা খাটো করতেন না। একবার মাদকাসক্তি ছাড়তে অক্ষম এক ব্যক্তিকে লোকজন অভিশাপ দিচ্ছিল। রাসুল (সা.) বললেন, ‘তাকে লানত দিয়ো না। আমি তার ব্যাপারে জানি, সে আল্লাহ এবং তার রাসুলকে ভালোবাসে।’ (বুখারি)
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ভুল মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। সবার জীবনে ছোট-বড় ভুল হয়ে থাকে। ভুল আমাদের অপূর্ণতা দূর করে পূর্ণতা লাভে সাহায্য করে। রাসুল (সা.) মানবতার সবচেয়ে বড় শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি ভুলকে লজ্জার কারণ হিসেবে নয়; বরং শিক্ষণীয় মুহূর্ত হিসেবে গ্রহণ করতে শিখিয়েছেন।
১৩ অক্টোবর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ভুল মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। সবার জীবনে ছোট-বড় ভুল হয়ে থাকে। ভুল আমাদের অপূর্ণতা দূর করে পূর্ণতা লাভে সাহায্য করে। রাসুল (সা.) মানবতার সবচেয়ে বড় শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি ভুলকে লজ্জার কারণ হিসেবে নয়; বরং শিক্ষণীয় মুহূর্ত হিসেবে গ্রহণ করতে শিখিয়েছেন।
১৩ অক্টোবর ২০২৩
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। সবার জীবনে ছোট-বড় ভুল হয়ে থাকে। ভুল আমাদের অপূর্ণতা দূর করে পূর্ণতা লাভে সাহায্য করে। রাসুল (সা.) মানবতার সবচেয়ে বড় শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি ভুলকে লজ্জার কারণ হিসেবে নয়; বরং শিক্ষণীয় মুহূর্ত হিসেবে গ্রহণ করতে শিখিয়েছেন।
১৩ অক্টোবর ২০২৩
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ভুল মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। সবার জীবনে ছোট-বড় ভুল হয়ে থাকে। ভুল আমাদের অপূর্ণতা দূর করে পূর্ণতা লাভে সাহায্য করে। রাসুল (সা.) মানবতার সবচেয়ে বড় শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি ভুলকে লজ্জার কারণ হিসেবে নয়; বরং শিক্ষণীয় মুহূর্ত হিসেবে গ্রহণ করতে শিখিয়েছেন।
১৩ অক্টোবর ২০২৩
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে