আনওয়ার হুসাইন

মরুভূমির তপ্ত বুকে হঠাৎ যেমন ঝরে যায় নির্মল বৃষ্টি, যেমন ঘন অন্ধকারের বুক চিরে উদিত হয় প্রথম প্রভাত; তেমনি মানবসভ্যতার অন্তহীন অবক্ষয়ের যুগে তিনি এসেছিলেন আলোর দূত হয়ে। তিনি আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। যিনি পৃথিবীকে দিয়েছেন মুক্তির আলো, মানুষকে দিয়েছেন শান্তির দিশা, আর মানবতাকে দিয়েছেন সত্যিকারের মর্যাদা।
অমানিশা ভেঙে ভোরের সূচনা
হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমনের আগে পৃথিবী ছিল এক ভয়াল অন্ধকারে ঢাকা। কন্যাশিশুকে জীবিত কবর দেওয়া হতো, দাস-দাসীর কোনো অধিকার ছিল না। হারিয়ে গিয়েছিল মানুষের বিবেক। তখন আল্লাহর বাণী পৃথিবীতে আলো হয়ে নেমে এল, ‘বলুন, হে মানুষ! আমি তোমাদের সবার প্রতি প্রেরিত রাসুল।’ (সুরা আরাফ: ১৫৮)। এ যেন আকাশে প্রথম সূর্যোদয়ের মতো; বিভ্রান্ত পৃথিবী পেল নতুন জীবন।
সমতার মহাগান
আরাফাতের ময়দানে তিনি উচ্চারণ করলেন মানবতার শ্রেষ্ঠ জয়গান, ‘তোমাদের সবার পিতা একজন, মা একজন। তোমরা সবাই সমান। কোনো আরবের ওপর অনারবের, শ্বেতাঙ্গের ওপর কৃষ্ণাঙ্গের শ্রেষ্ঠত্ব নেই। শ্রেষ্ঠ সে, যে আল্লাহভীরু।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৮৯, জামে তিরমিজি: ৩২৭০)
এই ঘোষণা ইতিহাসের পাতায় খোদাই করে দিল—মানুষ মানুষকেই ভালোবাসবে। বিভাজন নয়, ঐক্যই হবে সভ্যতার ভিত্তি।
নারীর চোখে মুক্তির আলো
যে সমাজে কন্যা ছিল লজ্জার বোঝা, সেখানে তিনি কন্যাকে জান্নাতের সুখবর দিলেন। ‘যার কন্যাসন্তান আছে এবং সে তাকে জীবিত কবর দেয়নি, তাকে অপমান করেনি, পুত্রকে প্রাধান্য দিয়ে বঞ্চিত করেনি, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৪৬)
নারী পেল সম্মান, পেল উত্তরাধিকার, পেল মর্যাদা। আজও পৃথিবীর নারীর মুক্তির ইতিহাস শুরু হয় নবীজি (সা.)-এর হাত ধরেই।
আখলাকের আলোকবর্তিকা
নবীজি (সা.) শুধু বাণী দেননি; তাঁর জীবনই ছিল বাণীর প্রতিচ্ছবি। তিনি ঘোষণা করলেন, ‘আমি তো উত্তম চরিত্রের পূর্ণতা সাধনের জন্যই প্রেরিত হয়েছি।’ (মুয়াত্তা মালেক: ১৬১৪)
শত্রুকে ক্ষমা করা, দুর্বলকে রক্ষা করা, দুঃখীকে ভালোবাসা, সত্যকে আঁকড়ে ধরা—এসব ছিল তাঁর দৈনন্দিন জীবন। এক ব্যবসায়ী হিসেবে তাঁর সততা, এক নেতা হিসেবে তাঁর ন্যায়পরায়ণতা, এক স্বামী ও পিতা হিসেবে তাঁর ভালোবাসা—সব মিলিয়ে তিনি হয়ে উঠলেন মানবতার সবচেয়ে উজ্জ্বল প্রতিমূর্তি।
পূর্ণাঙ্গ সভ্যতার দিশারি
মহানবী (সা.) শুধু নামাজের ইমাম নন, তিনি এক পূর্ণাঙ্গ সভ্যতার স্থপতি। রাজনীতি থেকে পরিবার, অর্থনীতি থেকে আইন—সব ক্ষেত্রেই তিনি দিলেন সাম্য ও ন্যায়ের শিক্ষা। তিনি দেখালেন কীভাবে দুনিয়া ও আখিরাতের ভারসাম্য বজায় রেখে জীবনকে সুন্দর করা যায়।
আজকের পৃথিবীর প্রয়োজন
আজ যখন পৃথিবী জ্বলছে বৈষম্য, যুদ্ধ আর ঘৃণার আগুনে, তখন নবীজি (সা.)-এর শিক্ষা আরও জরুরি। তাঁর কণ্ঠ আজও যেন বাতাসে ভেসে আসে, ‘মানুষ মানুষের ভাই।’ এ এক বাণী, যা পারে বিভক্ত দুনিয়াকে জুড়ে দিতে, আহত পৃথিবীকে সান্ত্বনা দিতে।
মহানবী (সা.) আমাদের শিখিয়েছেন, আল্লাহ ছাড়া কারও সামনে মাথা নত কোরো না। দুর্বলকে পদদলিত নয়, বরং রক্ষা করো। নারীর সম্মান রক্ষা করো, শিশুকে ভালোবাসো। সত্যকে আঁকড়ে ধরো, মিথ্যার সঙ্গে আপস কোরো না।
নবীজি (সা.) এসেছিলেন একাকী, হাতে ছিল না সেনাবাহিনী, কোষাগারে ছিল না সোনা-রুপা। কিন্তু তিনি জয় করেছিলেন হৃদয়, ভেঙেছিলেন অন্যায়ের শিকল, জ্বালিয়েছিলেন দয়ার প্রদীপ। পৃথিবীর বুকে যত মানবতা, যত ন্যায়, যত সত্যের দীপ্তি—সবকিছুর কেন্দ্রে আছেন তিনি।
আল্লাহর বাণীই তাঁর শ্রেষ্ঠ পরিচয়, ‘আমি তো তোমাকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ১০৭)।
হ্যাঁ, মানবজাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ উপহারই হলেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)।
লেখক: শিক্ষক, মা’হাদুল মাদীনাহ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।

মরুভূমির তপ্ত বুকে হঠাৎ যেমন ঝরে যায় নির্মল বৃষ্টি, যেমন ঘন অন্ধকারের বুক চিরে উদিত হয় প্রথম প্রভাত; তেমনি মানবসভ্যতার অন্তহীন অবক্ষয়ের যুগে তিনি এসেছিলেন আলোর দূত হয়ে। তিনি আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। যিনি পৃথিবীকে দিয়েছেন মুক্তির আলো, মানুষকে দিয়েছেন শান্তির দিশা, আর মানবতাকে দিয়েছেন সত্যিকারের মর্যাদা।
অমানিশা ভেঙে ভোরের সূচনা
হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমনের আগে পৃথিবী ছিল এক ভয়াল অন্ধকারে ঢাকা। কন্যাশিশুকে জীবিত কবর দেওয়া হতো, দাস-দাসীর কোনো অধিকার ছিল না। হারিয়ে গিয়েছিল মানুষের বিবেক। তখন আল্লাহর বাণী পৃথিবীতে আলো হয়ে নেমে এল, ‘বলুন, হে মানুষ! আমি তোমাদের সবার প্রতি প্রেরিত রাসুল।’ (সুরা আরাফ: ১৫৮)। এ যেন আকাশে প্রথম সূর্যোদয়ের মতো; বিভ্রান্ত পৃথিবী পেল নতুন জীবন।
সমতার মহাগান
আরাফাতের ময়দানে তিনি উচ্চারণ করলেন মানবতার শ্রেষ্ঠ জয়গান, ‘তোমাদের সবার পিতা একজন, মা একজন। তোমরা সবাই সমান। কোনো আরবের ওপর অনারবের, শ্বেতাঙ্গের ওপর কৃষ্ণাঙ্গের শ্রেষ্ঠত্ব নেই। শ্রেষ্ঠ সে, যে আল্লাহভীরু।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৮৯, জামে তিরমিজি: ৩২৭০)
এই ঘোষণা ইতিহাসের পাতায় খোদাই করে দিল—মানুষ মানুষকেই ভালোবাসবে। বিভাজন নয়, ঐক্যই হবে সভ্যতার ভিত্তি।
নারীর চোখে মুক্তির আলো
যে সমাজে কন্যা ছিল লজ্জার বোঝা, সেখানে তিনি কন্যাকে জান্নাতের সুখবর দিলেন। ‘যার কন্যাসন্তান আছে এবং সে তাকে জীবিত কবর দেয়নি, তাকে অপমান করেনি, পুত্রকে প্রাধান্য দিয়ে বঞ্চিত করেনি, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৪৬)
নারী পেল সম্মান, পেল উত্তরাধিকার, পেল মর্যাদা। আজও পৃথিবীর নারীর মুক্তির ইতিহাস শুরু হয় নবীজি (সা.)-এর হাত ধরেই।
আখলাকের আলোকবর্তিকা
নবীজি (সা.) শুধু বাণী দেননি; তাঁর জীবনই ছিল বাণীর প্রতিচ্ছবি। তিনি ঘোষণা করলেন, ‘আমি তো উত্তম চরিত্রের পূর্ণতা সাধনের জন্যই প্রেরিত হয়েছি।’ (মুয়াত্তা মালেক: ১৬১৪)
শত্রুকে ক্ষমা করা, দুর্বলকে রক্ষা করা, দুঃখীকে ভালোবাসা, সত্যকে আঁকড়ে ধরা—এসব ছিল তাঁর দৈনন্দিন জীবন। এক ব্যবসায়ী হিসেবে তাঁর সততা, এক নেতা হিসেবে তাঁর ন্যায়পরায়ণতা, এক স্বামী ও পিতা হিসেবে তাঁর ভালোবাসা—সব মিলিয়ে তিনি হয়ে উঠলেন মানবতার সবচেয়ে উজ্জ্বল প্রতিমূর্তি।
পূর্ণাঙ্গ সভ্যতার দিশারি
মহানবী (সা.) শুধু নামাজের ইমাম নন, তিনি এক পূর্ণাঙ্গ সভ্যতার স্থপতি। রাজনীতি থেকে পরিবার, অর্থনীতি থেকে আইন—সব ক্ষেত্রেই তিনি দিলেন সাম্য ও ন্যায়ের শিক্ষা। তিনি দেখালেন কীভাবে দুনিয়া ও আখিরাতের ভারসাম্য বজায় রেখে জীবনকে সুন্দর করা যায়।
আজকের পৃথিবীর প্রয়োজন
আজ যখন পৃথিবী জ্বলছে বৈষম্য, যুদ্ধ আর ঘৃণার আগুনে, তখন নবীজি (সা.)-এর শিক্ষা আরও জরুরি। তাঁর কণ্ঠ আজও যেন বাতাসে ভেসে আসে, ‘মানুষ মানুষের ভাই।’ এ এক বাণী, যা পারে বিভক্ত দুনিয়াকে জুড়ে দিতে, আহত পৃথিবীকে সান্ত্বনা দিতে।
মহানবী (সা.) আমাদের শিখিয়েছেন, আল্লাহ ছাড়া কারও সামনে মাথা নত কোরো না। দুর্বলকে পদদলিত নয়, বরং রক্ষা করো। নারীর সম্মান রক্ষা করো, শিশুকে ভালোবাসো। সত্যকে আঁকড়ে ধরো, মিথ্যার সঙ্গে আপস কোরো না।
নবীজি (সা.) এসেছিলেন একাকী, হাতে ছিল না সেনাবাহিনী, কোষাগারে ছিল না সোনা-রুপা। কিন্তু তিনি জয় করেছিলেন হৃদয়, ভেঙেছিলেন অন্যায়ের শিকল, জ্বালিয়েছিলেন দয়ার প্রদীপ। পৃথিবীর বুকে যত মানবতা, যত ন্যায়, যত সত্যের দীপ্তি—সবকিছুর কেন্দ্রে আছেন তিনি।
আল্লাহর বাণীই তাঁর শ্রেষ্ঠ পরিচয়, ‘আমি তো তোমাকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ১০৭)।
হ্যাঁ, মানবজাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ উপহারই হলেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)।
লেখক: শিক্ষক, মা’হাদুল মাদীনাহ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।
আনওয়ার হুসাইন

মরুভূমির তপ্ত বুকে হঠাৎ যেমন ঝরে যায় নির্মল বৃষ্টি, যেমন ঘন অন্ধকারের বুক চিরে উদিত হয় প্রথম প্রভাত; তেমনি মানবসভ্যতার অন্তহীন অবক্ষয়ের যুগে তিনি এসেছিলেন আলোর দূত হয়ে। তিনি আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। যিনি পৃথিবীকে দিয়েছেন মুক্তির আলো, মানুষকে দিয়েছেন শান্তির দিশা, আর মানবতাকে দিয়েছেন সত্যিকারের মর্যাদা।
অমানিশা ভেঙে ভোরের সূচনা
হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমনের আগে পৃথিবী ছিল এক ভয়াল অন্ধকারে ঢাকা। কন্যাশিশুকে জীবিত কবর দেওয়া হতো, দাস-দাসীর কোনো অধিকার ছিল না। হারিয়ে গিয়েছিল মানুষের বিবেক। তখন আল্লাহর বাণী পৃথিবীতে আলো হয়ে নেমে এল, ‘বলুন, হে মানুষ! আমি তোমাদের সবার প্রতি প্রেরিত রাসুল।’ (সুরা আরাফ: ১৫৮)। এ যেন আকাশে প্রথম সূর্যোদয়ের মতো; বিভ্রান্ত পৃথিবী পেল নতুন জীবন।
সমতার মহাগান
আরাফাতের ময়দানে তিনি উচ্চারণ করলেন মানবতার শ্রেষ্ঠ জয়গান, ‘তোমাদের সবার পিতা একজন, মা একজন। তোমরা সবাই সমান। কোনো আরবের ওপর অনারবের, শ্বেতাঙ্গের ওপর কৃষ্ণাঙ্গের শ্রেষ্ঠত্ব নেই। শ্রেষ্ঠ সে, যে আল্লাহভীরু।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৮৯, জামে তিরমিজি: ৩২৭০)
এই ঘোষণা ইতিহাসের পাতায় খোদাই করে দিল—মানুষ মানুষকেই ভালোবাসবে। বিভাজন নয়, ঐক্যই হবে সভ্যতার ভিত্তি।
নারীর চোখে মুক্তির আলো
যে সমাজে কন্যা ছিল লজ্জার বোঝা, সেখানে তিনি কন্যাকে জান্নাতের সুখবর দিলেন। ‘যার কন্যাসন্তান আছে এবং সে তাকে জীবিত কবর দেয়নি, তাকে অপমান করেনি, পুত্রকে প্রাধান্য দিয়ে বঞ্চিত করেনি, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৪৬)
নারী পেল সম্মান, পেল উত্তরাধিকার, পেল মর্যাদা। আজও পৃথিবীর নারীর মুক্তির ইতিহাস শুরু হয় নবীজি (সা.)-এর হাত ধরেই।
আখলাকের আলোকবর্তিকা
নবীজি (সা.) শুধু বাণী দেননি; তাঁর জীবনই ছিল বাণীর প্রতিচ্ছবি। তিনি ঘোষণা করলেন, ‘আমি তো উত্তম চরিত্রের পূর্ণতা সাধনের জন্যই প্রেরিত হয়েছি।’ (মুয়াত্তা মালেক: ১৬১৪)
শত্রুকে ক্ষমা করা, দুর্বলকে রক্ষা করা, দুঃখীকে ভালোবাসা, সত্যকে আঁকড়ে ধরা—এসব ছিল তাঁর দৈনন্দিন জীবন। এক ব্যবসায়ী হিসেবে তাঁর সততা, এক নেতা হিসেবে তাঁর ন্যায়পরায়ণতা, এক স্বামী ও পিতা হিসেবে তাঁর ভালোবাসা—সব মিলিয়ে তিনি হয়ে উঠলেন মানবতার সবচেয়ে উজ্জ্বল প্রতিমূর্তি।
পূর্ণাঙ্গ সভ্যতার দিশারি
মহানবী (সা.) শুধু নামাজের ইমাম নন, তিনি এক পূর্ণাঙ্গ সভ্যতার স্থপতি। রাজনীতি থেকে পরিবার, অর্থনীতি থেকে আইন—সব ক্ষেত্রেই তিনি দিলেন সাম্য ও ন্যায়ের শিক্ষা। তিনি দেখালেন কীভাবে দুনিয়া ও আখিরাতের ভারসাম্য বজায় রেখে জীবনকে সুন্দর করা যায়।
আজকের পৃথিবীর প্রয়োজন
আজ যখন পৃথিবী জ্বলছে বৈষম্য, যুদ্ধ আর ঘৃণার আগুনে, তখন নবীজি (সা.)-এর শিক্ষা আরও জরুরি। তাঁর কণ্ঠ আজও যেন বাতাসে ভেসে আসে, ‘মানুষ মানুষের ভাই।’ এ এক বাণী, যা পারে বিভক্ত দুনিয়াকে জুড়ে দিতে, আহত পৃথিবীকে সান্ত্বনা দিতে।
মহানবী (সা.) আমাদের শিখিয়েছেন, আল্লাহ ছাড়া কারও সামনে মাথা নত কোরো না। দুর্বলকে পদদলিত নয়, বরং রক্ষা করো। নারীর সম্মান রক্ষা করো, শিশুকে ভালোবাসো। সত্যকে আঁকড়ে ধরো, মিথ্যার সঙ্গে আপস কোরো না।
নবীজি (সা.) এসেছিলেন একাকী, হাতে ছিল না সেনাবাহিনী, কোষাগারে ছিল না সোনা-রুপা। কিন্তু তিনি জয় করেছিলেন হৃদয়, ভেঙেছিলেন অন্যায়ের শিকল, জ্বালিয়েছিলেন দয়ার প্রদীপ। পৃথিবীর বুকে যত মানবতা, যত ন্যায়, যত সত্যের দীপ্তি—সবকিছুর কেন্দ্রে আছেন তিনি।
আল্লাহর বাণীই তাঁর শ্রেষ্ঠ পরিচয়, ‘আমি তো তোমাকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ১০৭)।
হ্যাঁ, মানবজাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ উপহারই হলেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)।
লেখক: শিক্ষক, মা’হাদুল মাদীনাহ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।

মরুভূমির তপ্ত বুকে হঠাৎ যেমন ঝরে যায় নির্মল বৃষ্টি, যেমন ঘন অন্ধকারের বুক চিরে উদিত হয় প্রথম প্রভাত; তেমনি মানবসভ্যতার অন্তহীন অবক্ষয়ের যুগে তিনি এসেছিলেন আলোর দূত হয়ে। তিনি আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। যিনি পৃথিবীকে দিয়েছেন মুক্তির আলো, মানুষকে দিয়েছেন শান্তির দিশা, আর মানবতাকে দিয়েছেন সত্যিকারের মর্যাদা।
অমানিশা ভেঙে ভোরের সূচনা
হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমনের আগে পৃথিবী ছিল এক ভয়াল অন্ধকারে ঢাকা। কন্যাশিশুকে জীবিত কবর দেওয়া হতো, দাস-দাসীর কোনো অধিকার ছিল না। হারিয়ে গিয়েছিল মানুষের বিবেক। তখন আল্লাহর বাণী পৃথিবীতে আলো হয়ে নেমে এল, ‘বলুন, হে মানুষ! আমি তোমাদের সবার প্রতি প্রেরিত রাসুল।’ (সুরা আরাফ: ১৫৮)। এ যেন আকাশে প্রথম সূর্যোদয়ের মতো; বিভ্রান্ত পৃথিবী পেল নতুন জীবন।
সমতার মহাগান
আরাফাতের ময়দানে তিনি উচ্চারণ করলেন মানবতার শ্রেষ্ঠ জয়গান, ‘তোমাদের সবার পিতা একজন, মা একজন। তোমরা সবাই সমান। কোনো আরবের ওপর অনারবের, শ্বেতাঙ্গের ওপর কৃষ্ণাঙ্গের শ্রেষ্ঠত্ব নেই। শ্রেষ্ঠ সে, যে আল্লাহভীরু।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৮৯, জামে তিরমিজি: ৩২৭০)
এই ঘোষণা ইতিহাসের পাতায় খোদাই করে দিল—মানুষ মানুষকেই ভালোবাসবে। বিভাজন নয়, ঐক্যই হবে সভ্যতার ভিত্তি।
নারীর চোখে মুক্তির আলো
যে সমাজে কন্যা ছিল লজ্জার বোঝা, সেখানে তিনি কন্যাকে জান্নাতের সুখবর দিলেন। ‘যার কন্যাসন্তান আছে এবং সে তাকে জীবিত কবর দেয়নি, তাকে অপমান করেনি, পুত্রকে প্রাধান্য দিয়ে বঞ্চিত করেনি, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৪৬)
নারী পেল সম্মান, পেল উত্তরাধিকার, পেল মর্যাদা। আজও পৃথিবীর নারীর মুক্তির ইতিহাস শুরু হয় নবীজি (সা.)-এর হাত ধরেই।
আখলাকের আলোকবর্তিকা
নবীজি (সা.) শুধু বাণী দেননি; তাঁর জীবনই ছিল বাণীর প্রতিচ্ছবি। তিনি ঘোষণা করলেন, ‘আমি তো উত্তম চরিত্রের পূর্ণতা সাধনের জন্যই প্রেরিত হয়েছি।’ (মুয়াত্তা মালেক: ১৬১৪)
শত্রুকে ক্ষমা করা, দুর্বলকে রক্ষা করা, দুঃখীকে ভালোবাসা, সত্যকে আঁকড়ে ধরা—এসব ছিল তাঁর দৈনন্দিন জীবন। এক ব্যবসায়ী হিসেবে তাঁর সততা, এক নেতা হিসেবে তাঁর ন্যায়পরায়ণতা, এক স্বামী ও পিতা হিসেবে তাঁর ভালোবাসা—সব মিলিয়ে তিনি হয়ে উঠলেন মানবতার সবচেয়ে উজ্জ্বল প্রতিমূর্তি।
পূর্ণাঙ্গ সভ্যতার দিশারি
মহানবী (সা.) শুধু নামাজের ইমাম নন, তিনি এক পূর্ণাঙ্গ সভ্যতার স্থপতি। রাজনীতি থেকে পরিবার, অর্থনীতি থেকে আইন—সব ক্ষেত্রেই তিনি দিলেন সাম্য ও ন্যায়ের শিক্ষা। তিনি দেখালেন কীভাবে দুনিয়া ও আখিরাতের ভারসাম্য বজায় রেখে জীবনকে সুন্দর করা যায়।
আজকের পৃথিবীর প্রয়োজন
আজ যখন পৃথিবী জ্বলছে বৈষম্য, যুদ্ধ আর ঘৃণার আগুনে, তখন নবীজি (সা.)-এর শিক্ষা আরও জরুরি। তাঁর কণ্ঠ আজও যেন বাতাসে ভেসে আসে, ‘মানুষ মানুষের ভাই।’ এ এক বাণী, যা পারে বিভক্ত দুনিয়াকে জুড়ে দিতে, আহত পৃথিবীকে সান্ত্বনা দিতে।
মহানবী (সা.) আমাদের শিখিয়েছেন, আল্লাহ ছাড়া কারও সামনে মাথা নত কোরো না। দুর্বলকে পদদলিত নয়, বরং রক্ষা করো। নারীর সম্মান রক্ষা করো, শিশুকে ভালোবাসো। সত্যকে আঁকড়ে ধরো, মিথ্যার সঙ্গে আপস কোরো না।
নবীজি (সা.) এসেছিলেন একাকী, হাতে ছিল না সেনাবাহিনী, কোষাগারে ছিল না সোনা-রুপা। কিন্তু তিনি জয় করেছিলেন হৃদয়, ভেঙেছিলেন অন্যায়ের শিকল, জ্বালিয়েছিলেন দয়ার প্রদীপ। পৃথিবীর বুকে যত মানবতা, যত ন্যায়, যত সত্যের দীপ্তি—সবকিছুর কেন্দ্রে আছেন তিনি।
আল্লাহর বাণীই তাঁর শ্রেষ্ঠ পরিচয়, ‘আমি তো তোমাকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ১০৭)।
হ্যাঁ, মানবজাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ উপহারই হলেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)।
লেখক: শিক্ষক, মা’হাদুল মাদীনাহ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১০ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
১৪ ঘণ্টা আগে
অজুকে স্বাগত জানিয়ে আদায় করা দুই রাকাত নফল নামাজকে বলে তাহিয়্যাতুল অজু। অজু করার পরপরই এ নামাজ আদায় করতে হয়। এ নামাজের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। তাহিয়্যাতুল অজুর মাধ্যমে বান্দার পাপ মুছে যায়, আল্লাহর দরবারে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মরুভূমির তপ্ত বুকে হঠাৎ যেমন ঝরে যায় নির্মল বৃষ্টি, যেমন ঘন অন্ধকারের বুক চিরে উদিত হয় প্রথম প্রভাত; তেমনি মানবসভ্যতার অন্তহীন অবক্ষয়ের যুগে তিনি এসেছিলেন আলোর দূত হয়ে। তিনি আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। যিনি পৃথিবীকে দিয়েছেন মুক্তির আলো, মানুষকে দিয়েছেন শান্তির দিশা, আর মানবতাকে দিয়েছেন
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১০ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
১৪ ঘণ্টা আগে
অজুকে স্বাগত জানিয়ে আদায় করা দুই রাকাত নফল নামাজকে বলে তাহিয়্যাতুল অজু। অজু করার পরপরই এ নামাজ আদায় করতে হয়। এ নামাজের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। তাহিয়্যাতুল অজুর মাধ্যমে বান্দার পাপ মুছে যায়, আল্লাহর দরবারে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আদব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সালাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তার বার্তা বহন করে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। দুঃখজনকভাবে, সমাজে এই মহান সুন্নাহর চর্চা কমে আসছে।
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
নবীজি (সা.) সালামের মাধ্যমে জান্নাতের পথ সহজ করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস অনুসারে, সালামের পূর্ণ বাক্য বিনিময়ে ৩০ নেকি লাভ হয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৯৫)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আর তা হলো পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করা।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৪)
সালামের এত গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, মনোযোগের অভাব, সালামকে স্রেফ সৌজন্য মনে করার কারণে এর চর্চা কমছে। অপরিচিত বা কম পরিচিত ব্যক্তিকে সালাম দিতে দ্বিধা করা হয়, অথচ হাদিস অনুযায়ী এতেই বেশি সওয়াব। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সালামের চর্চা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।
সালাম কেবল একটি সুন্নাহ নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তা ও আত্মিক শান্তির প্রতীক। যিনি প্রথমে সালাম দেন, তিনি আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় এবং উত্তম। আমরা এই মহান সুন্নাহর ব্যাপক অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

আদব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সালাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তার বার্তা বহন করে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। দুঃখজনকভাবে, সমাজে এই মহান সুন্নাহর চর্চা কমে আসছে।
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
নবীজি (সা.) সালামের মাধ্যমে জান্নাতের পথ সহজ করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস অনুসারে, সালামের পূর্ণ বাক্য বিনিময়ে ৩০ নেকি লাভ হয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৯৫)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আর তা হলো পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করা।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৪)
সালামের এত গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, মনোযোগের অভাব, সালামকে স্রেফ সৌজন্য মনে করার কারণে এর চর্চা কমছে। অপরিচিত বা কম পরিচিত ব্যক্তিকে সালাম দিতে দ্বিধা করা হয়, অথচ হাদিস অনুযায়ী এতেই বেশি সওয়াব। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সালামের চর্চা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।
সালাম কেবল একটি সুন্নাহ নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তা ও আত্মিক শান্তির প্রতীক। যিনি প্রথমে সালাম দেন, তিনি আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় এবং উত্তম। আমরা এই মহান সুন্নাহর ব্যাপক অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

মরুভূমির তপ্ত বুকে হঠাৎ যেমন ঝরে যায় নির্মল বৃষ্টি, যেমন ঘন অন্ধকারের বুক চিরে উদিত হয় প্রথম প্রভাত; তেমনি মানবসভ্যতার অন্তহীন অবক্ষয়ের যুগে তিনি এসেছিলেন আলোর দূত হয়ে। তিনি আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। যিনি পৃথিবীকে দিয়েছেন মুক্তির আলো, মানুষকে দিয়েছেন শান্তির দিশা, আর মানবতাকে দিয়েছেন
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
১৪ ঘণ্টা আগে
অজুকে স্বাগত জানিয়ে আদায় করা দুই রাকাত নফল নামাজকে বলে তাহিয়্যাতুল অজু। অজু করার পরপরই এ নামাজ আদায় করতে হয়। এ নামাজের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। তাহিয়্যাতুল অজুর মাধ্যমে বান্দার পাপ মুছে যায়, আল্লাহর দরবারে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
২০ ঘণ্টা আগেসাকী মাহবুব

মানবসমাজে পারস্পরিক ভালোবাসা, সদ্ভাব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। এই লক্ষ্য অর্জনে হাদিয়া বা উপহার আদান-প্রদান একটি অত্যন্ত কার্যকরী ও পরীক্ষিত পদ্ধতি।
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা। এটি মানুষের মন থেকে রাগ, বিদ্বেষ ও শত্রুতার ভাব দূর করে ভালোবাসার বীজ বপন করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পর উপহার আদান-প্রদান করো, তাহলে তোমাদের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি হবে।’ (জামে তিরমিজি)
অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি বা তিক্ততা সৃষ্টি হয়, যা থেকে শত্রুতার জন্ম নেয়। হাদিয়া এ ক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। আন্তরিকভাবে দেওয়া একটি উপহার কঠিন হৃদয়ের দেয়াল ভেঙে দিতে সক্ষম।
হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা পরস্পর হাদিয়া আদান-প্রদান করো। কেননা, হাদিয়া অন্তর থেকে বিদ্বেষ দূর করে দেয়।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাও, তাহলে তোমাদের বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে; আর তোমরা পরস্পরকে উপহার দাও, তাহলে শত্রুতা দূর হয়ে যাবে।’ (মুআত্তা ইমাম মালেক, আল-আদাবুল মুফরাদ)
বাস্তব জীবনে দেখা যায়, একজন তিক্ততা পোষণকারী আত্মীয় বা প্রতিবেশীকে আন্তরিকতার সঙ্গে একটি উপহার দিলে তার পাষাণ হৃদয়ে পরিবর্তন আসে এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এটি প্রমাণ করে যে হাদিয়া মানুষের ভেতরের নেতিবাচক অনুভূতিকে ইতিবাচক রূপে রূপান্তরিত করতে পারে।
হাদিয়া গ্রহণ ও প্রদান করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি প্রিয় অভ্যাস ছিল। তিনি উপহার গ্রহণ করতেন এবং বিনিময়ে কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করতেন। এটি ছিল তাঁর উচ্চ নৈতিকতার প্রমাণ।
আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিয়া গ্রহণ করতেন এবং এর প্রতিদান দিতেন।’ (সহিহ্ বুখারি)
সামান্য ও নগণ্য হাদিয়াও তিনি ফিরিয়ে দিতেন না। এর মাধ্যমে তিনি উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন যে উপহারের মূল্য নয়, বরং আন্তরিকতাই আসল। হাদিয়া আদান-প্রদান শুধু একটি সামাজিক প্রথা নয়, এটি একটি ইবাদত এবং নবুওয়াতের শিক্ষা। এটি এমন এক মানবিক কৌশল, যা মানুষের হৃদয়ের গভীরে প্রবেশ করে বিদ্বেষ দূর করে ভালোবাসা ও সদ্ভাব প্রতিষ্ঠা করে।
আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সম্পর্কগুলোকে সুন্দর ও মজবুত করার জন্য হাদিয়ার এই ঐশী মাধ্যমটিকে গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। হাদিয়ার মূল্য নয়, বরং এর পেছনে থাকা আন্তরিকতাই পারে যেকোনো মানুষের অন্তর পরিবর্তন করে সম্পর্ককে স্থায়ী ও মধুর করতে।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কশবামাজাইল, পাংশা, রাজবাড়ী।

মানবসমাজে পারস্পরিক ভালোবাসা, সদ্ভাব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। এই লক্ষ্য অর্জনে হাদিয়া বা উপহার আদান-প্রদান একটি অত্যন্ত কার্যকরী ও পরীক্ষিত পদ্ধতি।
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা। এটি মানুষের মন থেকে রাগ, বিদ্বেষ ও শত্রুতার ভাব দূর করে ভালোবাসার বীজ বপন করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পর উপহার আদান-প্রদান করো, তাহলে তোমাদের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি হবে।’ (জামে তিরমিজি)
অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি বা তিক্ততা সৃষ্টি হয়, যা থেকে শত্রুতার জন্ম নেয়। হাদিয়া এ ক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। আন্তরিকভাবে দেওয়া একটি উপহার কঠিন হৃদয়ের দেয়াল ভেঙে দিতে সক্ষম।
হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা পরস্পর হাদিয়া আদান-প্রদান করো। কেননা, হাদিয়া অন্তর থেকে বিদ্বেষ দূর করে দেয়।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাও, তাহলে তোমাদের বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে; আর তোমরা পরস্পরকে উপহার দাও, তাহলে শত্রুতা দূর হয়ে যাবে।’ (মুআত্তা ইমাম মালেক, আল-আদাবুল মুফরাদ)
বাস্তব জীবনে দেখা যায়, একজন তিক্ততা পোষণকারী আত্মীয় বা প্রতিবেশীকে আন্তরিকতার সঙ্গে একটি উপহার দিলে তার পাষাণ হৃদয়ে পরিবর্তন আসে এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এটি প্রমাণ করে যে হাদিয়া মানুষের ভেতরের নেতিবাচক অনুভূতিকে ইতিবাচক রূপে রূপান্তরিত করতে পারে।
হাদিয়া গ্রহণ ও প্রদান করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি প্রিয় অভ্যাস ছিল। তিনি উপহার গ্রহণ করতেন এবং বিনিময়ে কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করতেন। এটি ছিল তাঁর উচ্চ নৈতিকতার প্রমাণ।
আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিয়া গ্রহণ করতেন এবং এর প্রতিদান দিতেন।’ (সহিহ্ বুখারি)
সামান্য ও নগণ্য হাদিয়াও তিনি ফিরিয়ে দিতেন না। এর মাধ্যমে তিনি উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন যে উপহারের মূল্য নয়, বরং আন্তরিকতাই আসল। হাদিয়া আদান-প্রদান শুধু একটি সামাজিক প্রথা নয়, এটি একটি ইবাদত এবং নবুওয়াতের শিক্ষা। এটি এমন এক মানবিক কৌশল, যা মানুষের হৃদয়ের গভীরে প্রবেশ করে বিদ্বেষ দূর করে ভালোবাসা ও সদ্ভাব প্রতিষ্ঠা করে।
আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সম্পর্কগুলোকে সুন্দর ও মজবুত করার জন্য হাদিয়ার এই ঐশী মাধ্যমটিকে গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। হাদিয়ার মূল্য নয়, বরং এর পেছনে থাকা আন্তরিকতাই পারে যেকোনো মানুষের অন্তর পরিবর্তন করে সম্পর্ককে স্থায়ী ও মধুর করতে।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কশবামাজাইল, পাংশা, রাজবাড়ী।

মরুভূমির তপ্ত বুকে হঠাৎ যেমন ঝরে যায় নির্মল বৃষ্টি, যেমন ঘন অন্ধকারের বুক চিরে উদিত হয় প্রথম প্রভাত; তেমনি মানবসভ্যতার অন্তহীন অবক্ষয়ের যুগে তিনি এসেছিলেন আলোর দূত হয়ে। তিনি আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। যিনি পৃথিবীকে দিয়েছেন মুক্তির আলো, মানুষকে দিয়েছেন শান্তির দিশা, আর মানবতাকে দিয়েছেন
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১০ ঘণ্টা আগে
অজুকে স্বাগত জানিয়ে আদায় করা দুই রাকাত নফল নামাজকে বলে তাহিয়্যাতুল অজু। অজু করার পরপরই এ নামাজ আদায় করতে হয়। এ নামাজের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। তাহিয়্যাতুল অজুর মাধ্যমে বান্দার পাপ মুছে যায়, আল্লাহর দরবারে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

অজুকে স্বাগত জানিয়ে আদায় করা দুই রাকাত নফল নামাজকে বলে তাহিয়্যাতুল অজু। অজু করার পরপরই এ নামাজ আদায় করতে হয়। এ নামাজের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। তাহিয়্যাতুল অজুর মাধ্যমে বান্দার পাপ মুছে যায়, আল্লাহর দরবারে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
এ নামাজ আদায়ের নিয়ম অন্যান্য নফল নামাজের মতোই। নিয়ত করে তাকবির বেঁধে নামাজ শুরু করবে। দুই রাকাতেই ফাতেহার পর অন্য সুরা মেলাবে। বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু, দরুদ শরিফ ও দোয়ায়ে মাসুরা পড়ে সালাম ফেরাবে। তবে নামাজের নিষিদ্ধ সময়ে অজু করলে তখন এ নামাজ আদায় করা যাবে না।
উকবা ইবনে আমির (রা.) থেকে বর্ণিত, একটি হাদিস থেকে তাহিয়্যাতুল অজুর ফজিলত সম্পর্কে জানা যায়। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে মুসলমান ভালোভাবে অজু করে শরীর ও মনকে পুরোপুরি নিবদ্ধ রেখে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৩৪)
একবার উসমান (রা.) ভালোভাবে অজু করে বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে এভাবে অজু করে একাগ্রতার সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে, তার পেছনের সব (ছগিরা) গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৫৯)
একদিন ফজরের নামাজের পর বেলাল (রা.)-কে নবী করিম (সা.) বললেন, ‘বেলাল, আমাকে বলো দেখি, ইসলাম গ্রহণের পর থেকে নিজের কোন আমল তোমার কাছে (সওয়াবের আশার দিক থেকে) সবচেয়ে উত্তম বলে মনে হয়? কারণ, আমি জান্নাতে আমার সামনে সামনে তোমার হাঁটার আওয়াজ শুনেছি।’ বেলাল (রা.) বললেন, ‘তেমন কোনো আমল আমার নেই; যার ফলে আমি (বিপুল সওয়াবের) আশা করতে পারি। তবে দিনরাতে যখনই অজু করি; সেই অজুর মাধ্যমে যে কয় রাকাত সম্ভব হয়, (নফল) নামাজ আদায় করি।’ (সহিহ্ বুখারি: ১১৪৯)

অজুকে স্বাগত জানিয়ে আদায় করা দুই রাকাত নফল নামাজকে বলে তাহিয়্যাতুল অজু। অজু করার পরপরই এ নামাজ আদায় করতে হয়। এ নামাজের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। তাহিয়্যাতুল অজুর মাধ্যমে বান্দার পাপ মুছে যায়, আল্লাহর দরবারে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
এ নামাজ আদায়ের নিয়ম অন্যান্য নফল নামাজের মতোই। নিয়ত করে তাকবির বেঁধে নামাজ শুরু করবে। দুই রাকাতেই ফাতেহার পর অন্য সুরা মেলাবে। বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু, দরুদ শরিফ ও দোয়ায়ে মাসুরা পড়ে সালাম ফেরাবে। তবে নামাজের নিষিদ্ধ সময়ে অজু করলে তখন এ নামাজ আদায় করা যাবে না।
উকবা ইবনে আমির (রা.) থেকে বর্ণিত, একটি হাদিস থেকে তাহিয়্যাতুল অজুর ফজিলত সম্পর্কে জানা যায়। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে মুসলমান ভালোভাবে অজু করে শরীর ও মনকে পুরোপুরি নিবদ্ধ রেখে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৩৪)
একবার উসমান (রা.) ভালোভাবে অজু করে বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে এভাবে অজু করে একাগ্রতার সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে, তার পেছনের সব (ছগিরা) গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৫৯)
একদিন ফজরের নামাজের পর বেলাল (রা.)-কে নবী করিম (সা.) বললেন, ‘বেলাল, আমাকে বলো দেখি, ইসলাম গ্রহণের পর থেকে নিজের কোন আমল তোমার কাছে (সওয়াবের আশার দিক থেকে) সবচেয়ে উত্তম বলে মনে হয়? কারণ, আমি জান্নাতে আমার সামনে সামনে তোমার হাঁটার আওয়াজ শুনেছি।’ বেলাল (রা.) বললেন, ‘তেমন কোনো আমল আমার নেই; যার ফলে আমি (বিপুল সওয়াবের) আশা করতে পারি। তবে দিনরাতে যখনই অজু করি; সেই অজুর মাধ্যমে যে কয় রাকাত সম্ভব হয়, (নফল) নামাজ আদায় করি।’ (সহিহ্ বুখারি: ১১৪৯)

মরুভূমির তপ্ত বুকে হঠাৎ যেমন ঝরে যায় নির্মল বৃষ্টি, যেমন ঘন অন্ধকারের বুক চিরে উদিত হয় প্রথম প্রভাত; তেমনি মানবসভ্যতার অন্তহীন অবক্ষয়ের যুগে তিনি এসেছিলেন আলোর দূত হয়ে। তিনি আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। যিনি পৃথিবীকে দিয়েছেন মুক্তির আলো, মানুষকে দিয়েছেন শান্তির দিশা, আর মানবতাকে দিয়েছেন
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১০ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
১৪ ঘণ্টা আগে