ইসলাম ডেস্ক
সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যৌনাচার থেকে বিরত থাকার নাম রোজা। মোট ৭টি কারণে রোজা ভঙ্গ হয়। দুটি কারণ পবিত্র কোরআন থেকে প্রমাণিত, আর বাকি ৫টি হাদিস থেকে প্রমাণিত। এখানে রোজা নষ্টের ৭টি কারণ বিস্তারিত তুলে ধরা হলো—
১. সহবাস
সহবাস করলে রোজা নষ্ট হয়। রোজা ফরজ হওয়ার প্রথম দিকে রমজানের রাতেও স্ত্রী সহবাসের অনুমতি ছিল না। পরে আল্লাহ তাআলা আয়াত নাজিল করে রাতে সহবাসের অনুমতি দেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এখন (রাতে) তোমরা নিজ স্ত্রীদের সঙ্গে সহবাস করো…।’ (সুরা বাকারা: ১৮৭)
রোজা রেখে সহবাস করা বড় গুনাহের কাজ। যে ব্যক্তি রমজানে দিনের বেলায় স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গম করবে, তার রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। বীর্যপাত হোক বা না হোক। তার জন্য তওবা করা, সেদিনের রোজা পূর্ণ করা, রমজানের পরে রোজার কাজা করা ও কাফফারা আদায় করা আবশ্যক। (বুখারি: ১৯৩৬; মুসলিম: ১১১১)
২. হস্তমৈথুন
হস্তমৈথুন বলতে বোঝায় হাত দিয়ে কিংবা অন্য কিছু দিয়ে বীর্যপাত ঘটানো। হস্তমৈথুন রোজা নষ্ট করে। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সে আমার কারণে পানাহার ও যৌনকর্ম পরিহার করে।’ (মুসলিম: ১১৫১) সুতরাং যে ব্যক্তি রমজানে দিনের বেলায় হস্তমৈথুন করবে, তার জন্য তওবা করা, সেদিনের বাকি সময় উপবাস থাকা এবং রমজানের পরে রোজাটির কাজা পালন করা আবশ্যক। আর হস্তমৈথুন শুরু করে বীর্যপাত হওয়ার আগে বিরত হলে রোজা ভাঙবে না।
৩. পানাহার
মুখ দিয়ে কোনো কিছু পাকস্থলীতে পৌঁছালে তা পানাহার গণ্য হবে। রোজার কথা স্মরণ থাকা সত্ত্বেও পানাহার করলে রোজা ভঙ্গ হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা কিছু লিখে রেখেছেন, তা (সন্তান) তালাশ করো। আর পানাহার করো—যতক্ষণ না কালো সুতা থেকে ভোরের শুভ্র সুতা পরিষ্কার ফুটে ওঠে...।’ (সুরা বাকারা: ১৮৭) একইভাবে নাক দিয়ে কোনো কিছু পৌঁছানোও পানাহারের অন্তর্ভুক্ত। নবী (সা.) বলেছেন, ‘রোজাদার না হলে তুমি ভালোভাবে নাকে পানি দাও।’ (সুনানে তিরমিজি: ৭৮৮)
৪. যা পানাহার বলে গণ্য হবে
খাবারের বিকল্প হিসেবে ইনজেকশন পুশ করা। কারণ, এমন ইনজেকশন নিলে পানাহারের প্রয়োজন হয় না। (মাজালিসু শারহি রমাদান: পৃ.৭০)
তবে, যেসব ইনজেকশন পানাহারের বিকল্প নয়; বরং চিকিৎসার জন্য দেওয়া হয়, যেমন ইনসুলিন, পেনিসিলিন কিংবা শরীর চাঙা করার জন্য দেওয়া হয় কিংবা টিকা হিসেবে দেওয়া হয়—এগুলো রোযা নষ্ট করবে না। এসব ইনজেকশন মাংসপেশিতে দেওয়া হোক কিংবা শিরাতে দেওয়া হোক। (শায়খ মুহাম্মদ বিন ইবরাহিমের ফতোয়াসমগ্র: ৪ / ১৮৯)
তবে বাড়তি সাবধানতা হিসেবে এসব ইনজেকশন রাতে নেওয়া উত্তম।
৫. শিঙা লাগিয়ে রক্ত বের করা
শিঙা লাগিয়ে রক্ত বের করলে রোজা নষ্ট হবে। নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি শিঙা লাগায় ও যার শিঙা লাগানো হয় উভয়ের রোজা নষ্ট হবে।’ (আবু দাউদ: ২৩৬৭)
তবে কোনো কারণে রক্তক্ষরণ হলে রোজা নষ্ট হবে না। কারণ, রক্তক্ষরণ ইচ্ছাকৃত নয়। একইভাবে দাঁত তোলা, ক্ষতস্থান ড্রেসিং করা কিংবা রক্ত পরীক্ষা করা ইত্যাদির কারণে রোজা নষ্ট হবে না। কারণ, এগুলো শিঙা লাগানোর পর্যায়ভুক্ত নয়।
৬. ইচ্ছাকৃত বমি করা
ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে রোজা নষ্ট হবে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি এসে যায়, তাকে ওই রোজা কাজা করতে হবে না। কিন্তু যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় বমি করবে, তাকে সেই রোজা কাজা করতে হবে।’ (তিরমিজি: ৭২০)
৭. ঋতুস্রাব ও প্রসবকালীন স্রাব
হায়েজ ও নিফাস বা ঋতুস্রাব ও প্রসবকালীন স্রাব শুরু হলে রোজা নষ্ট হবে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যখন নারীদের ঋতুস্রাব হয়, তখন কি তারা নামাজ ও রোজা ত্যাগ করে না?’ (বুখারি: ৩০৪)
সূর্যাস্তের একটু আগে স্রাব শুরু হলেও রোজা নষ্ট হয়ে যাবে।
সূত্র: ইসলামকিউএ
সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যৌনাচার থেকে বিরত থাকার নাম রোজা। মোট ৭টি কারণে রোজা ভঙ্গ হয়। দুটি কারণ পবিত্র কোরআন থেকে প্রমাণিত, আর বাকি ৫টি হাদিস থেকে প্রমাণিত। এখানে রোজা নষ্টের ৭টি কারণ বিস্তারিত তুলে ধরা হলো—
১. সহবাস
সহবাস করলে রোজা নষ্ট হয়। রোজা ফরজ হওয়ার প্রথম দিকে রমজানের রাতেও স্ত্রী সহবাসের অনুমতি ছিল না। পরে আল্লাহ তাআলা আয়াত নাজিল করে রাতে সহবাসের অনুমতি দেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এখন (রাতে) তোমরা নিজ স্ত্রীদের সঙ্গে সহবাস করো…।’ (সুরা বাকারা: ১৮৭)
রোজা রেখে সহবাস করা বড় গুনাহের কাজ। যে ব্যক্তি রমজানে দিনের বেলায় স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গম করবে, তার রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। বীর্যপাত হোক বা না হোক। তার জন্য তওবা করা, সেদিনের রোজা পূর্ণ করা, রমজানের পরে রোজার কাজা করা ও কাফফারা আদায় করা আবশ্যক। (বুখারি: ১৯৩৬; মুসলিম: ১১১১)
২. হস্তমৈথুন
হস্তমৈথুন বলতে বোঝায় হাত দিয়ে কিংবা অন্য কিছু দিয়ে বীর্যপাত ঘটানো। হস্তমৈথুন রোজা নষ্ট করে। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সে আমার কারণে পানাহার ও যৌনকর্ম পরিহার করে।’ (মুসলিম: ১১৫১) সুতরাং যে ব্যক্তি রমজানে দিনের বেলায় হস্তমৈথুন করবে, তার জন্য তওবা করা, সেদিনের বাকি সময় উপবাস থাকা এবং রমজানের পরে রোজাটির কাজা পালন করা আবশ্যক। আর হস্তমৈথুন শুরু করে বীর্যপাত হওয়ার আগে বিরত হলে রোজা ভাঙবে না।
৩. পানাহার
মুখ দিয়ে কোনো কিছু পাকস্থলীতে পৌঁছালে তা পানাহার গণ্য হবে। রোজার কথা স্মরণ থাকা সত্ত্বেও পানাহার করলে রোজা ভঙ্গ হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা কিছু লিখে রেখেছেন, তা (সন্তান) তালাশ করো। আর পানাহার করো—যতক্ষণ না কালো সুতা থেকে ভোরের শুভ্র সুতা পরিষ্কার ফুটে ওঠে...।’ (সুরা বাকারা: ১৮৭) একইভাবে নাক দিয়ে কোনো কিছু পৌঁছানোও পানাহারের অন্তর্ভুক্ত। নবী (সা.) বলেছেন, ‘রোজাদার না হলে তুমি ভালোভাবে নাকে পানি দাও।’ (সুনানে তিরমিজি: ৭৮৮)
৪. যা পানাহার বলে গণ্য হবে
খাবারের বিকল্প হিসেবে ইনজেকশন পুশ করা। কারণ, এমন ইনজেকশন নিলে পানাহারের প্রয়োজন হয় না। (মাজালিসু শারহি রমাদান: পৃ.৭০)
তবে, যেসব ইনজেকশন পানাহারের বিকল্প নয়; বরং চিকিৎসার জন্য দেওয়া হয়, যেমন ইনসুলিন, পেনিসিলিন কিংবা শরীর চাঙা করার জন্য দেওয়া হয় কিংবা টিকা হিসেবে দেওয়া হয়—এগুলো রোযা নষ্ট করবে না। এসব ইনজেকশন মাংসপেশিতে দেওয়া হোক কিংবা শিরাতে দেওয়া হোক। (শায়খ মুহাম্মদ বিন ইবরাহিমের ফতোয়াসমগ্র: ৪ / ১৮৯)
তবে বাড়তি সাবধানতা হিসেবে এসব ইনজেকশন রাতে নেওয়া উত্তম।
৫. শিঙা লাগিয়ে রক্ত বের করা
শিঙা লাগিয়ে রক্ত বের করলে রোজা নষ্ট হবে। নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি শিঙা লাগায় ও যার শিঙা লাগানো হয় উভয়ের রোজা নষ্ট হবে।’ (আবু দাউদ: ২৩৬৭)
তবে কোনো কারণে রক্তক্ষরণ হলে রোজা নষ্ট হবে না। কারণ, রক্তক্ষরণ ইচ্ছাকৃত নয়। একইভাবে দাঁত তোলা, ক্ষতস্থান ড্রেসিং করা কিংবা রক্ত পরীক্ষা করা ইত্যাদির কারণে রোজা নষ্ট হবে না। কারণ, এগুলো শিঙা লাগানোর পর্যায়ভুক্ত নয়।
৬. ইচ্ছাকৃত বমি করা
ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে রোজা নষ্ট হবে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি এসে যায়, তাকে ওই রোজা কাজা করতে হবে না। কিন্তু যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় বমি করবে, তাকে সেই রোজা কাজা করতে হবে।’ (তিরমিজি: ৭২০)
৭. ঋতুস্রাব ও প্রসবকালীন স্রাব
হায়েজ ও নিফাস বা ঋতুস্রাব ও প্রসবকালীন স্রাব শুরু হলে রোজা নষ্ট হবে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যখন নারীদের ঋতুস্রাব হয়, তখন কি তারা নামাজ ও রোজা ত্যাগ করে না?’ (বুখারি: ৩০৪)
সূর্যাস্তের একটু আগে স্রাব শুরু হলেও রোজা নষ্ট হয়ে যাবে।
সূত্র: ইসলামকিউএ
হালাল পেশাকে ইসলাম মর্যাদার চোখে দেখে। হালাল পেশায় নিযুক্ত শ্রমিকের মর্যাদাও কম নয়। তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। প্রিয় নবী (সা.) বলেন ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম অনন্য। ইসলাম সমাজের সব স্তরের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা সুনিশ্চিত করেছে। মালিক-শ্রমিক একজনকে অপরজনের ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেকোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
১ দিন আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
২ দিন আগে