মাহমুদ হাসান ফাহিম
ইসলামে যা বৈধ করা হয়েছে শরিয়তের পরিভাষায় তা হালাল এবং যা অবৈধ করা হয়েছে তা হারাম। (কাওয়ায়েদুল ফিকহ) হালাল-হারামের বিধান মানুষের কল্যাণেই আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রণীত হয়েছে। এখানে ইসলামে হালাল-হারামের কয়েকটি মূলনীতি তুলে ধরা হলো:
এক. ইসলাম যাকে হালাল বলবে তা হালাল আর যা হারাম বলবে তা হারাম। সুতরাং কেউ যদি হালালকে হারাম বা হারামকে হালাল সাব্যস্ত করতে চায় তাহলে সে আর মুসলমান থাকে না। এরশাদ হয়েছে, ‘তিনি তোমাদের জন্য যা হারাম করেছেন, তা বিশদভাবে তোমাদের কাছে বর্ণনা করে দিয়েছেন।’ (সুরা আনআম: ১৯)
দুই. সব ধরনের ক্ষতিকর বস্তু হারাম। যেসব বস্তু অপবিত্র, নিকৃষ্ট ও ক্ষতিকর, তা ইসলামে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। যেমন মদ, মৃতপ্রাণী, রক্ত ও শূকর। এরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের ওপর হারাম করা হয়েছে মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের গোশত এবং সেই পশু যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নামে জবাই করা হয়েছে। ...’ (সুরা মায়িদা: ৩)
তিন. যেসব উপকরণ হারাম কাজ সংঘটিত হওয়ার কারণ হয়, ইসলাম সেগুলোকেও হারাম ঘোষণা করেছে। কারণ যা কিছু হারামের দিকে ধাবিত করে তাও হারাম। যেমন ব্যভিচার হারাম। আর যে কাজ ব্যভিচারের পথ উন্মুক্ত করে, তাও হারাম করেছে। (ইসলামে হালাল-হারামের বিধান)
চার. হারাম কাজ করার জন্য কৌশল অবলম্বন করাও হারাম। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘ইহুদিরা যা করত, তোমরা তা করতে যেয়ো না। আল্লাহ যা হারাম করেছেন, তারা সেগুলো কৌশলে হালাল করার চেষ্টা করত।’ (গিয়াসাতুল লাহফান)
পাঁচ. যে বস্তুতে অন্যের অধিকার আছে, তা হারাম। যেমন চোরাই মাল, লুটতরাজের মাল, ছিনতাইকৃত মাল ইত্যাদি। এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা পরস্পরে একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করো না। ...’ (সুরা বাকারা: ১৮৮)
মাহমুদ হাসান ফাহিম, ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলামে যা বৈধ করা হয়েছে শরিয়তের পরিভাষায় তা হালাল এবং যা অবৈধ করা হয়েছে তা হারাম। (কাওয়ায়েদুল ফিকহ) হালাল-হারামের বিধান মানুষের কল্যাণেই আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রণীত হয়েছে। এখানে ইসলামে হালাল-হারামের কয়েকটি মূলনীতি তুলে ধরা হলো:
এক. ইসলাম যাকে হালাল বলবে তা হালাল আর যা হারাম বলবে তা হারাম। সুতরাং কেউ যদি হালালকে হারাম বা হারামকে হালাল সাব্যস্ত করতে চায় তাহলে সে আর মুসলমান থাকে না। এরশাদ হয়েছে, ‘তিনি তোমাদের জন্য যা হারাম করেছেন, তা বিশদভাবে তোমাদের কাছে বর্ণনা করে দিয়েছেন।’ (সুরা আনআম: ১৯)
দুই. সব ধরনের ক্ষতিকর বস্তু হারাম। যেসব বস্তু অপবিত্র, নিকৃষ্ট ও ক্ষতিকর, তা ইসলামে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। যেমন মদ, মৃতপ্রাণী, রক্ত ও শূকর। এরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের ওপর হারাম করা হয়েছে মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের গোশত এবং সেই পশু যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নামে জবাই করা হয়েছে। ...’ (সুরা মায়িদা: ৩)
তিন. যেসব উপকরণ হারাম কাজ সংঘটিত হওয়ার কারণ হয়, ইসলাম সেগুলোকেও হারাম ঘোষণা করেছে। কারণ যা কিছু হারামের দিকে ধাবিত করে তাও হারাম। যেমন ব্যভিচার হারাম। আর যে কাজ ব্যভিচারের পথ উন্মুক্ত করে, তাও হারাম করেছে। (ইসলামে হালাল-হারামের বিধান)
চার. হারাম কাজ করার জন্য কৌশল অবলম্বন করাও হারাম। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘ইহুদিরা যা করত, তোমরা তা করতে যেয়ো না। আল্লাহ যা হারাম করেছেন, তারা সেগুলো কৌশলে হালাল করার চেষ্টা করত।’ (গিয়াসাতুল লাহফান)
পাঁচ. যে বস্তুতে অন্যের অধিকার আছে, তা হারাম। যেমন চোরাই মাল, লুটতরাজের মাল, ছিনতাইকৃত মাল ইত্যাদি। এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা পরস্পরে একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করো না। ...’ (সুরা বাকারা: ১৮৮)
মাহমুদ হাসান ফাহিম, ইসলামবিষয়ক গবেষক
কোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
১৩ ঘণ্টা আগেআল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
১ দিন আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
২ দিন আগে