ইসলাম ডেস্ক

আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’-এর অর্থ ঈদুল ফিতরের সদকা। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুল (সা.) স্বাধীন-দাস ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য গম বা খেজুরের এক সা (৩ কেজি ২৭০ গ্রাম) ফিতরা আবশ্যক করে দিয়েছেন। এবং তা ঈদুল ফিতরের নামাজে যাওয়ার আগেই আদায় করার আদেশ দিয়েছেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৫০৩)
ফিতরা কেন দিতে হয়
যেসব কারণে ফিতরা দিতে হয়, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো—
দরিদ্রদের প্রতি সদ্ব্যবহার এবং ঈদুল ফিতরের দিনে তাদের ভিক্ষা করা থেকে বিরত রাখা।
উদারতা-বদান্যতা ও সহমর্মিতার চর্চা করা।
রোজাদারের রোজায় যেসব দুর্বলতা ও ভুল হয়, তা থেকে পবিত্র হওয়া।
তারাবি ও রোজার মতো নেয়ামতে ধন্য করায় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা।
ফিতরা কার ওপর ওয়াজিব
ফিতরার নিসাব জাকাতের নিসাবের সমপরিমাণ। অর্থাৎ কারো কাছে সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা অথবা তার সমমূল্যের নগদ অর্থ কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অতিরিক্ত সম্পদ ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের সময় বিদ্যমান থাকলে তার ওপর ফিতরা ওয়াজিব হবে। যাঁর ওপর ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব, তিনি নিজের পক্ষ থেকে যেমন আদায় করবেন, তেমনি নিজের অধীনদের পক্ষ থেকেও আদায় করবেন। তবে এতে জাকাতের মতো বর্ষ অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়। (ফাতহুল কাদির: ২ / ২৮১)
ফিতরার উপকরণ ও পরিমাণ
রাসুল (সা.)-এর যুগে মোট চারটি পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা হতো। খেজুর, কিশমিশ, যব ও পনির। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা পরিমাণ যব অথবা এক সা পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির অথবা এক সা পরিমাণ কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।’ (বুখারি: ১৫০৬)
উল্লিখিত খাদ্যবস্তুর পরিবর্তে সেগুলোর কোনো একটিকে মাপকাঠি ধরে তার মূল্য আদায় করলেও তা আদায় হয়ে যাবে। মূল্যের দিক থেকে ওই খাদ্যবস্তুগুলোর মধ্যে তফাত থাকলেও সবচেয়ে কম দামের বস্তুকে মাপকাঠি ধরে যদি কেউ ফিতরা আদায় করে দেয়, তাহলেও তা আদায় হয়ে যাবে।
বর্তমান বাজারদর হিসাবে যেহেতু গমের দামই সবচেয়ে কম, তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিবছর আধা ‘সা’ গমকে মাপকাঠি ধরে ওই সময়ের বাজারদর হিসাবে তার মূল্য ফিতরার সর্বনিম্ন পরিমাণ ঘোষণা করা হয়। এ বছর তা জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে এর মানে এই নয় যে ধনীরাও তাদের ফিতরা ১১৫ টাকাই আদায় করবে। উত্তম হলো, নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী বেশি মূল্যের খাদ্যবস্তুকে মাপকাঠি ধরে ফিতরা আদায় করা। কেননা সদকার মূল লক্ষ্যই হলো গরিবদের প্রয়োজন পূরণ ও তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ। এ ছাড়া আদায়কারীর সামর্থ্যকেও বিবেচনায় রাখা উচিত, যদিও শরিয়তে সর্বনিম্ন মূল্যে ফিতরা আদায় করার দরজা খোলা রাখা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনিরের হিসাবে ফিতরার আলাদা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কেউ চাইলে আটার হিসাবে ফিতরা না দিয়ে উল্লিখিত জিনিসগুলোর হিসাবেও ফিতরা দিতে পারবে।
ফিতরা কখন আদায় করবেন
পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করা উত্তম। তবে রমজান মাসেও তা আদায় করা যায়।

আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’-এর অর্থ ঈদুল ফিতরের সদকা। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুল (সা.) স্বাধীন-দাস ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য গম বা খেজুরের এক সা (৩ কেজি ২৭০ গ্রাম) ফিতরা আবশ্যক করে দিয়েছেন। এবং তা ঈদুল ফিতরের নামাজে যাওয়ার আগেই আদায় করার আদেশ দিয়েছেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৫০৩)
ফিতরা কেন দিতে হয়
যেসব কারণে ফিতরা দিতে হয়, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো—
দরিদ্রদের প্রতি সদ্ব্যবহার এবং ঈদুল ফিতরের দিনে তাদের ভিক্ষা করা থেকে বিরত রাখা।
উদারতা-বদান্যতা ও সহমর্মিতার চর্চা করা।
রোজাদারের রোজায় যেসব দুর্বলতা ও ভুল হয়, তা থেকে পবিত্র হওয়া।
তারাবি ও রোজার মতো নেয়ামতে ধন্য করায় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা।
ফিতরা কার ওপর ওয়াজিব
ফিতরার নিসাব জাকাতের নিসাবের সমপরিমাণ। অর্থাৎ কারো কাছে সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা অথবা তার সমমূল্যের নগদ অর্থ কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অতিরিক্ত সম্পদ ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের সময় বিদ্যমান থাকলে তার ওপর ফিতরা ওয়াজিব হবে। যাঁর ওপর ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব, তিনি নিজের পক্ষ থেকে যেমন আদায় করবেন, তেমনি নিজের অধীনদের পক্ষ থেকেও আদায় করবেন। তবে এতে জাকাতের মতো বর্ষ অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়। (ফাতহুল কাদির: ২ / ২৮১)
ফিতরার উপকরণ ও পরিমাণ
রাসুল (সা.)-এর যুগে মোট চারটি পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা হতো। খেজুর, কিশমিশ, যব ও পনির। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা পরিমাণ যব অথবা এক সা পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির অথবা এক সা পরিমাণ কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।’ (বুখারি: ১৫০৬)
উল্লিখিত খাদ্যবস্তুর পরিবর্তে সেগুলোর কোনো একটিকে মাপকাঠি ধরে তার মূল্য আদায় করলেও তা আদায় হয়ে যাবে। মূল্যের দিক থেকে ওই খাদ্যবস্তুগুলোর মধ্যে তফাত থাকলেও সবচেয়ে কম দামের বস্তুকে মাপকাঠি ধরে যদি কেউ ফিতরা আদায় করে দেয়, তাহলেও তা আদায় হয়ে যাবে।
বর্তমান বাজারদর হিসাবে যেহেতু গমের দামই সবচেয়ে কম, তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিবছর আধা ‘সা’ গমকে মাপকাঠি ধরে ওই সময়ের বাজারদর হিসাবে তার মূল্য ফিতরার সর্বনিম্ন পরিমাণ ঘোষণা করা হয়। এ বছর তা জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে এর মানে এই নয় যে ধনীরাও তাদের ফিতরা ১১৫ টাকাই আদায় করবে। উত্তম হলো, নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী বেশি মূল্যের খাদ্যবস্তুকে মাপকাঠি ধরে ফিতরা আদায় করা। কেননা সদকার মূল লক্ষ্যই হলো গরিবদের প্রয়োজন পূরণ ও তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ। এ ছাড়া আদায়কারীর সামর্থ্যকেও বিবেচনায় রাখা উচিত, যদিও শরিয়তে সর্বনিম্ন মূল্যে ফিতরা আদায় করার দরজা খোলা রাখা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনিরের হিসাবে ফিতরার আলাদা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কেউ চাইলে আটার হিসাবে ফিতরা না দিয়ে উল্লিখিত জিনিসগুলোর হিসাবেও ফিতরা দিতে পারবে।
ফিতরা কখন আদায় করবেন
পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করা উত্তম। তবে রমজান মাসেও তা আদায় করা যায়।

সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে, আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে, তাদের এমন ব্যবসায়ের, যার ক্ষয় নেই। এ জন্য যে আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদের আরও বেশি দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।’
১৯ ঘণ্টা আগে
জীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।
পারিবারিক জীবনে সুখের অন্যতম মাধ্যম ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা। দুই মনের দুজন এক ছাদের নিচে বসবাস শুরু করার পর কখনো অযাচিত মনোমালিন্য তৈরি হতে পারে। সংসারজীবনে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এই স্বাভাবিক বিষয় যেন জটিলতার দিকে এগোতে না পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। পরিবারে কোনোভাবেই সন্দেহ প্রবেশের সুযোগ দেওয়া যাবে না। সন্দেহ সম্পর্ককে তিলে তিলে ক্ষয় করে। কখনো একজন রেগে গেলে অন্যজনকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। নিজেদের মাঝে অভিমান জমা হলে আগের ভালোবাসার মুহূর্তগুলোর কথা স্মরণ করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব রাগ-অভিমান পেছনে ফেলে একে অপরকে আপন করে নিতে হবে।
আবু বকর (রা.) একবার আয়েশা (রা.)-এর ঘরে প্রবেশ করে দেখলেন, তিনি নবীজি (সা.)-এর সঙ্গে জোরগলায় কথা বলছেন। তখন তিনি আয়েশা (রা.)-কে বলেন, ‘তুমি আল্লাহর রাসুলের (সা.) সঙ্গে এভাবে উঁচু গলায় কথা বলছ!’ ঠিক ওই সময় নবী করিম (সা.) আবু বকরকে (রা.) থামিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর হজরত আবু বকর বের হয়ে যান। তখন নবীজি (সা.) প্রিয়তমা স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য বলেন, ‘দেখলে, কীভাবে তোমাকে ওই লোকের হাত থেকে বাঁচালাম!’ কিছুক্ষণ পর আবার আবু বকর (রা.) এসে তাঁদের দুজনকেই হাসতে দেখলেন। তখন তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), যুদ্ধের সময় আপনারা যেভাবে আমাকে দলে নিয়েছিলেন, সন্ধির সময়ও সেভাবে দলে নিন।’ (মুসনাদে আহমদ: ১৭৯২৭)
পারিবারিক, সাংসারিক ও দাম্পত্যজীবনে সুখ বজায় রাখতে পারস্পরিক দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা অপরিহার্য। স্বামী-স্ত্রী প্রত্যেকেরই আলাদা দায়িত্ব রয়েছে। সেসব দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকলে পরিবারে নেমে আসে অনাবিল সুখ।

সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।
পারিবারিক জীবনে সুখের অন্যতম মাধ্যম ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা। দুই মনের দুজন এক ছাদের নিচে বসবাস শুরু করার পর কখনো অযাচিত মনোমালিন্য তৈরি হতে পারে। সংসারজীবনে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এই স্বাভাবিক বিষয় যেন জটিলতার দিকে এগোতে না পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। পরিবারে কোনোভাবেই সন্দেহ প্রবেশের সুযোগ দেওয়া যাবে না। সন্দেহ সম্পর্ককে তিলে তিলে ক্ষয় করে। কখনো একজন রেগে গেলে অন্যজনকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। নিজেদের মাঝে অভিমান জমা হলে আগের ভালোবাসার মুহূর্তগুলোর কথা স্মরণ করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব রাগ-অভিমান পেছনে ফেলে একে অপরকে আপন করে নিতে হবে।
আবু বকর (রা.) একবার আয়েশা (রা.)-এর ঘরে প্রবেশ করে দেখলেন, তিনি নবীজি (সা.)-এর সঙ্গে জোরগলায় কথা বলছেন। তখন তিনি আয়েশা (রা.)-কে বলেন, ‘তুমি আল্লাহর রাসুলের (সা.) সঙ্গে এভাবে উঁচু গলায় কথা বলছ!’ ঠিক ওই সময় নবী করিম (সা.) আবু বকরকে (রা.) থামিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর হজরত আবু বকর বের হয়ে যান। তখন নবীজি (সা.) প্রিয়তমা স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য বলেন, ‘দেখলে, কীভাবে তোমাকে ওই লোকের হাত থেকে বাঁচালাম!’ কিছুক্ষণ পর আবার আবু বকর (রা.) এসে তাঁদের দুজনকেই হাসতে দেখলেন। তখন তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), যুদ্ধের সময় আপনারা যেভাবে আমাকে দলে নিয়েছিলেন, সন্ধির সময়ও সেভাবে দলে নিন।’ (মুসনাদে আহমদ: ১৭৯২৭)
পারিবারিক, সাংসারিক ও দাম্পত্যজীবনে সুখ বজায় রাখতে পারস্পরিক দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা অপরিহার্য। স্বামী-স্ত্রী প্রত্যেকেরই আলাদা দায়িত্ব রয়েছে। সেসব দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকলে পরিবারে নেমে আসে অনাবিল সুখ।

রাসুল (সা.)-এর যুগে মোট চারটি পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা হতো। খেজুর, কিশমিশ, যব ও পনির। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা পরিমাণ যব অথবা এক সা পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির অথবা এক সা পরিমাণ কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।’
১২ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে, আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে, তাদের এমন ব্যবসায়ের, যার ক্ষয় নেই। এ জন্য যে আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদের আরও বেশি দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।’
১৯ ঘণ্টা আগে
জীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫২ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫৩ মিনিট | ০৬: ১০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩১ মিনিট | ০৪: ৫২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫২ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫৩ মিনিট | ০৬: ১০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩১ মিনিট | ০৪: ৫২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

রাসুল (সা.)-এর যুগে মোট চারটি পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা হতো। খেজুর, কিশমিশ, যব ও পনির। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা পরিমাণ যব অথবা এক সা পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির অথবা এক সা পরিমাণ কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।’
১২ মার্চ ২০২৫
সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।
৪ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে, আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে, তাদের এমন ব্যবসায়ের, যার ক্ষয় নেই। এ জন্য যে আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদের আরও বেশি দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।’
১৯ ঘণ্টা আগে
জীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

কোরআন নুর, আলো এবং এক চিরন্তন মুজিজা। এটি কেবল একটি কিতাব নয়, বরং মুমিন হৃদয়ের জন্য পরম শান্তি ও প্রশান্তির উৎস। কোরআন পাঠ করা মুমিনদের জন্য এক অফুরন্ত কল্যাণের পথ।
আল্লাহর কিতাব পাঠ ও সে অনুযায়ী আমল করা দুনিয়ার সব ব্যবসার চেয়ে বহুগুণে উত্তম ও নিরাপদ। এই ব্যবসায় কোনো ক্ষতি নেই, আছে শুধু লাভ আর লাভ, যা আমাদের আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা করে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে, আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে, তাদের এমন ব্যবসায়ের, যার ক্ষয় নেই। এ জন্য যে আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদের আরও বেশি দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।’ (সুরা ফাতির: ২৯-৩০)
আল্লাহর প্রিয় বান্দারা সব সময় এই লাভজনক ব্যবসার সন্ধানে রত ছিলেন। এই ব্যবসার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান দেব—যা তোমাদের রক্ষা করবে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি হতে?’ (সুরা সাফ: ১০)
যারা আল্লাহর কিতাব অধ্যয়নে রত থাকে, ইমানের সঙ্গে তা পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে এবং নেক আমল করে, আল্লাহ পরকালে তাদের কর্মের প্রতিদান তাদের কল্পনার চেয়েও বহুগুণ বেশি দেবেন। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল ও দয়াময়।
কোরআন পাঠকারী মুমিনদের জন্য মহান আল্লাহ বহু মর্যাদা ও পুরস্কারের ব্যবস্থা রেখেছেন:
উহুদের শহীদদের দাফনের ক্ষেত্রেও নবীজি (সা.) তাদের মধ্য থেকে কোরআন সম্পর্কে অধিক জ্ঞান রাখতেন এমন ব্যক্তিকে কবরে আগে রাখতেন। এটি কোরআন পাঠকারীর মর্যাদারই প্রমাণ।
কোরআন পাঠ করা, এর অর্থ বোঝা এবং তদনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা আমাদের জন্য সর্বোত্তম ব্যবসা এবং মুক্তি লাভের একমাত্র পথ। আসুন, আমরা বেশি বেশি করে কোরআন পাঠ করি এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার পথে অগ্রসর হই।
লেখক: মাওলানা সাইফুল ইসলাম সালেহী, ইসলামবিষয়ক গবেষক

কোরআন নুর, আলো এবং এক চিরন্তন মুজিজা। এটি কেবল একটি কিতাব নয়, বরং মুমিন হৃদয়ের জন্য পরম শান্তি ও প্রশান্তির উৎস। কোরআন পাঠ করা মুমিনদের জন্য এক অফুরন্ত কল্যাণের পথ।
আল্লাহর কিতাব পাঠ ও সে অনুযায়ী আমল করা দুনিয়ার সব ব্যবসার চেয়ে বহুগুণে উত্তম ও নিরাপদ। এই ব্যবসায় কোনো ক্ষতি নেই, আছে শুধু লাভ আর লাভ, যা আমাদের আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা করে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে, আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে, তাদের এমন ব্যবসায়ের, যার ক্ষয় নেই। এ জন্য যে আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদের আরও বেশি দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।’ (সুরা ফাতির: ২৯-৩০)
আল্লাহর প্রিয় বান্দারা সব সময় এই লাভজনক ব্যবসার সন্ধানে রত ছিলেন। এই ব্যবসার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান দেব—যা তোমাদের রক্ষা করবে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি হতে?’ (সুরা সাফ: ১০)
যারা আল্লাহর কিতাব অধ্যয়নে রত থাকে, ইমানের সঙ্গে তা পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে এবং নেক আমল করে, আল্লাহ পরকালে তাদের কর্মের প্রতিদান তাদের কল্পনার চেয়েও বহুগুণ বেশি দেবেন। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল ও দয়াময়।
কোরআন পাঠকারী মুমিনদের জন্য মহান আল্লাহ বহু মর্যাদা ও পুরস্কারের ব্যবস্থা রেখেছেন:
উহুদের শহীদদের দাফনের ক্ষেত্রেও নবীজি (সা.) তাদের মধ্য থেকে কোরআন সম্পর্কে অধিক জ্ঞান রাখতেন এমন ব্যক্তিকে কবরে আগে রাখতেন। এটি কোরআন পাঠকারীর মর্যাদারই প্রমাণ।
কোরআন পাঠ করা, এর অর্থ বোঝা এবং তদনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা আমাদের জন্য সর্বোত্তম ব্যবসা এবং মুক্তি লাভের একমাত্র পথ। আসুন, আমরা বেশি বেশি করে কোরআন পাঠ করি এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার পথে অগ্রসর হই।
লেখক: মাওলানা সাইফুল ইসলাম সালেহী, ইসলামবিষয়ক গবেষক

রাসুল (সা.)-এর যুগে মোট চারটি পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা হতো। খেজুর, কিশমিশ, যব ও পনির। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা পরিমাণ যব অথবা এক সা পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির অথবা এক সা পরিমাণ কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।’
১২ মার্চ ২০২৫
সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
জীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবী (সা.) দোয়া করতেন, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল মা-ছামি ওয়াল মাগরামি।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে পাপ ও ঋণ থেকে আশ্রয় চাই।’
একবার এক সাহাবি নবীজি (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আপনি ঋণ থেকে এত বেশি পরিত্রাণ চান কেন?’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘মানুষ ঋণগ্রস্ত হলে যখন কথা বলে মিথ্যা বলে এবং ওয়াদা করলে তা খেলাপ করে।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৩৯৭)
আবু উমামা (রা.) একবার নবী করিম (সা.)-কে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), ঋণের বোঝা ও দুশ্চিন্তা আমাকে ঘিরে ধরেছে।’ রাসুল (সা.) সকাল-সন্ধ্যায় তাকে এই দোয়া পড়তে বললেন—‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজানি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল আজজি ওয়াল কাসালি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউজুবিকা মিন দ্বালায়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষের দমন-পীড়ন থেকে।’
আবু উমামা (রা.) বলেন, ‘দোয়াটি পড়ার ফলে চিন্তামুক্ত হই এবং ঋণ আদায়ে সক্ষম হই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৮৯৩) ঋণ থেকে মুক্তি পেতে আলি (রা.)-কে নবীজি (সা.) একটি দোয়া শিখিয়েছিলেন। দোয়াটি হলো, ‘আল্লাহুম্মাক ফিনি বি হালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।’ অর্থ: হে আল্লাহ, হারামের পরিবর্তে তোমার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট করো। আর তোমাকে ছাড়া আমাকে কারও মুখাপেক্ষী করো না। তোমার অনুগ্রহে আমাকে সচ্ছলতা দান করো।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৫৬৩)

জীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবী (সা.) দোয়া করতেন, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল মা-ছামি ওয়াল মাগরামি।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে পাপ ও ঋণ থেকে আশ্রয় চাই।’
একবার এক সাহাবি নবীজি (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আপনি ঋণ থেকে এত বেশি পরিত্রাণ চান কেন?’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘মানুষ ঋণগ্রস্ত হলে যখন কথা বলে মিথ্যা বলে এবং ওয়াদা করলে তা খেলাপ করে।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৩৯৭)
আবু উমামা (রা.) একবার নবী করিম (সা.)-কে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), ঋণের বোঝা ও দুশ্চিন্তা আমাকে ঘিরে ধরেছে।’ রাসুল (সা.) সকাল-সন্ধ্যায় তাকে এই দোয়া পড়তে বললেন—‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজানি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল আজজি ওয়াল কাসালি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউজুবিকা মিন দ্বালায়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষের দমন-পীড়ন থেকে।’
আবু উমামা (রা.) বলেন, ‘দোয়াটি পড়ার ফলে চিন্তামুক্ত হই এবং ঋণ আদায়ে সক্ষম হই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৮৯৩) ঋণ থেকে মুক্তি পেতে আলি (রা.)-কে নবীজি (সা.) একটি দোয়া শিখিয়েছিলেন। দোয়াটি হলো, ‘আল্লাহুম্মাক ফিনি বি হালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।’ অর্থ: হে আল্লাহ, হারামের পরিবর্তে তোমার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট করো। আর তোমাকে ছাড়া আমাকে কারও মুখাপেক্ষী করো না। তোমার অনুগ্রহে আমাকে সচ্ছলতা দান করো।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৫৬৩)

রাসুল (সা.)-এর যুগে মোট চারটি পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা হতো। খেজুর, কিশমিশ, যব ও পনির। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা পরিমাণ যব অথবা এক সা পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির অথবা এক সা পরিমাণ কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।’
১২ মার্চ ২০২৫
সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে, আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে, তাদের এমন ব্যবসায়ের, যার ক্ষয় নেই। এ জন্য যে আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদের আরও বেশি দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।’
১৯ ঘণ্টা আগে