মুফতি ইশমাম আহমেদ
প্রশ্ন: জুমার আগের চার রাকাত সুন্নত আদায় করা অবস্থায় অনেক সময় খতিব সাহেব খুতবা শুরু করে দেন। জানার বিষয় হলো, এমন পরিস্থিতিতে আমার জন্য করণীয় কী?
ফাহমিদুর রহমান, ঢাকা
উত্তর: জুমার খুতবা শোনা গুরুত্বপূর্ণ আমল। সুন্নত বা নফল নামাজ আদায় করা অবস্থায় খুতবা শুরু হয়ে গেলে করণীয় হলো, দুই রাকাত নামাজ সম্পন্ন করে সালাম ফিরিয়ে নেওয়া। আর যদি তৃতীয় রাকাতে দাঁড়িয়ে যান, তাহলে তৃতীয় রাকাতের সিজদা না করে থাকলে বসে যাবেন এবং সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবেন। উভয় অবস্থায় জুমার পর ওই চার রাকাত সুন্নত পড়ে নেওয়া উত্তম। আর যদি তৃতীয় রাকাতের সিজদা করে ফেলেন, তাহলে চার রাকাতই পূর্ণ করবেন। কারণ হাদিস দ্বারা সুদৃঢ়ভাবে প্রমাণিত হয়, খুতবার সময় চুপ হয়ে খুতবা শোনা ওয়াজিব এবং কথাবার্তা বলা হারাম।
একইভাবে খুতবার সময় সুন্নত-নফল নামাজ শুরু করাও বৈধ নয়। এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘যখন ইমাম খুতবার জন্য বের হবেন, তখন নামাজ পড়বে না, কথাও বলবে না।’ (মিশকাত: ৩ / ৪৩২)। তাই মুসল্লিদের উচিত খুতবার সময় কথাবার্তা থেকে বিরত থেকে অত্যন্ত মনোযোগী হয়ে খুতবা শোনা এবং যেসব কাজ নামাজ নিষিদ্ধ তা থেকে বিরত থাকা। নামাজ শুরু করে থাকলেও দ্রুত শেষ করে খুতবা শ্রবণে মনোযোগী হওয়া।
ফিকহ শাস্ত্রের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ ‘ফাতাওয়ায়ে শামি’তে একটি মূলনীতি উল্লেখ রয়েছে, ‘যেসব কাজ নামাজের মধ্যে হারাম, তা খুতবা চলার সময়ও হারাম। যেমন—কথাবার্তা বলা, পানাহার করা ইত্যাদি।’ (ফাতাওয়ায়ে শামি: ৩ / ৩৫)। অনেক মুসল্লি খুতবা চলাকালে বিভিন্ন কাজে লিপ্ত হয়, যা সম্পূর্ণ শরিয়ত পরিপন্থী ও হারাম। এ ছাড়া অনেক মসজিদে খুতবা চলাকালে চাঁদার বাক্স চালানো হয়, এটাও শরিয়তের দৃষ্টিতে নাজায়েজ ও অশোভনীয়। তাই খুতবার সময় এসব নাজায়েজ কর্ম পরিহার করে মনোযোগী হয়ে খুতবা শোনা অত্যন্ত জরুরি। (আলমুহিতুল বুরহানি:
২ / ৪৬৪; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া:
২ / ৫৭৭)
উত্তর দিয়েছেন,মুফতি ইশমাম আহমেদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
প্রশ্ন: জুমার আগের চার রাকাত সুন্নত আদায় করা অবস্থায় অনেক সময় খতিব সাহেব খুতবা শুরু করে দেন। জানার বিষয় হলো, এমন পরিস্থিতিতে আমার জন্য করণীয় কী?
ফাহমিদুর রহমান, ঢাকা
উত্তর: জুমার খুতবা শোনা গুরুত্বপূর্ণ আমল। সুন্নত বা নফল নামাজ আদায় করা অবস্থায় খুতবা শুরু হয়ে গেলে করণীয় হলো, দুই রাকাত নামাজ সম্পন্ন করে সালাম ফিরিয়ে নেওয়া। আর যদি তৃতীয় রাকাতে দাঁড়িয়ে যান, তাহলে তৃতীয় রাকাতের সিজদা না করে থাকলে বসে যাবেন এবং সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবেন। উভয় অবস্থায় জুমার পর ওই চার রাকাত সুন্নত পড়ে নেওয়া উত্তম। আর যদি তৃতীয় রাকাতের সিজদা করে ফেলেন, তাহলে চার রাকাতই পূর্ণ করবেন। কারণ হাদিস দ্বারা সুদৃঢ়ভাবে প্রমাণিত হয়, খুতবার সময় চুপ হয়ে খুতবা শোনা ওয়াজিব এবং কথাবার্তা বলা হারাম।
একইভাবে খুতবার সময় সুন্নত-নফল নামাজ শুরু করাও বৈধ নয়। এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘যখন ইমাম খুতবার জন্য বের হবেন, তখন নামাজ পড়বে না, কথাও বলবে না।’ (মিশকাত: ৩ / ৪৩২)। তাই মুসল্লিদের উচিত খুতবার সময় কথাবার্তা থেকে বিরত থেকে অত্যন্ত মনোযোগী হয়ে খুতবা শোনা এবং যেসব কাজ নামাজ নিষিদ্ধ তা থেকে বিরত থাকা। নামাজ শুরু করে থাকলেও দ্রুত শেষ করে খুতবা শ্রবণে মনোযোগী হওয়া।
ফিকহ শাস্ত্রের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ ‘ফাতাওয়ায়ে শামি’তে একটি মূলনীতি উল্লেখ রয়েছে, ‘যেসব কাজ নামাজের মধ্যে হারাম, তা খুতবা চলার সময়ও হারাম। যেমন—কথাবার্তা বলা, পানাহার করা ইত্যাদি।’ (ফাতাওয়ায়ে শামি: ৩ / ৩৫)। অনেক মুসল্লি খুতবা চলাকালে বিভিন্ন কাজে লিপ্ত হয়, যা সম্পূর্ণ শরিয়ত পরিপন্থী ও হারাম। এ ছাড়া অনেক মসজিদে খুতবা চলাকালে চাঁদার বাক্স চালানো হয়, এটাও শরিয়তের দৃষ্টিতে নাজায়েজ ও অশোভনীয়। তাই খুতবার সময় এসব নাজায়েজ কর্ম পরিহার করে মনোযোগী হয়ে খুতবা শোনা অত্যন্ত জরুরি। (আলমুহিতুল বুরহানি:
২ / ৪৬৪; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া:
২ / ৫৭৭)
উত্তর দিয়েছেন,মুফতি ইশমাম আহমেদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
ইসলামের ইতিহাসের এক গভীর শোকের মাস হলো মহররম। এই মাসের দশম দিন ‘আশুরা’ মুসলিম জাতির হৃদয়ে বহন করে এক গাঢ় স্মৃতি, করুণ ইতিহাস ও চেতনার মশাল। আর এই দিনের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে কারবালার প্রান্তরে হুসাইন ইবনে আলী (রা.)-এর শাহাদাত। মহররম, আশুরা ও কারবালা—এই তিনটি শব্দ যেন ত্যাগ, সত্য এবং
১৪ ঘণ্টা আগেপ্রত্যেক সভ্য জাতির মধ্যে পারস্পরিক দেখা-সাক্ষাতের সময় ভালোবাসা ও সম্প্রীতি প্রকাশার্থে কোনো কোনো বাক্য আদান-প্রদান করার প্রথা প্রচলিত আছে। কিন্তু তুলনা করলে দেখা যাবে যে ইসলামের সালাম যতটুকু ব্যাপক অর্থবোধক, অন্য কোনো জাতির অভিবাদন ততটুকু নয়। কেননা, এতে শুধু ভালোবাসাই প্রকাশ করা হয় না...
১৪ ঘণ্টা আগেমহানবী (সা.) ৪০ বছর বয়সে আল্লাহর পক্ষ থেকে নবুওয়াতপ্রাপ্ত হোন। এরপর আল্লাহর নির্দেশে তিনি ইসলামের দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছাতে থাকেন। তাঁর দাওয়াতে বিবেক সম্পন্ন মানুষজন সত্যপথ চিনতে পারে। ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিতে শুরু করে। নবী করিম (সা.)-এর আহ্বানে মানুষের সঠিক পথে আসার বিষয়টি মক্কার কাফেররা...
১৫ ঘণ্টা আগেজান্নাত কেবল এক কল্পনার জগৎ নয়, বরং পরকালীন জীবনে আল্লাহ তাআলার প্রতিশ্রুত এক বাস্তব পুরস্কার—যা তিনি প্রস্তুত রেখেছেন তাঁর প্রিয় বান্দাদের জন্য। এই জান্নাত কোনো সাধারণ বসতবাড়ি নয়, এটি এমন এক শান্তিময় আবাস—যেখানে নেই দুঃখ-কষ্ট, হিংসা কিংবা মৃত্যু। তবে এই জান্নাতের অধিকারী হবেন কারা?
১৫ ঘণ্টা আগে