মেহেদী হাসান সাকিফ
আয়াতুল কুরসি পবিত্র কোরআনের ফজিলতপূর্ণ আয়াতগুলোর একটি। মহানবী (সা.) এটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি উবাই ইবনে কাআব (রা.)কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া…তথা আয়াতুল কুরসি।’ তখন নবী (সা.) উবাইয়ের বুকে হাত দিয়ে মৃদু নাড়া দিয়ে বললেন, ‘আবুল মুনজির, এই জ্ঞানের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।’ (মুসলিম)
আয়াতুল কুরসি পাঠের ফজিলত অনেক। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসি পড়বে, শয়তান সারা রাত তার কাছে আসবে না।’ (বুখারি)
অন্য হাদিসে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তা (আয়াতুল কুরসি) পাঠ করবে, সে সকাল পর্যন্ত (শয়তান থেকে) নিরাপদে থাকবে। আর যে সকালে পাঠ করবে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত (শয়তান থেকে) নিরাপদে থাকবে।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান)
আরেক হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে, তার জন্য জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকবে না।’ (নাসায়ি)
আয়াতুল কুরসিতে মূলত আল্লাহ তাআলার একত্ববাদ ও অসীম ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ—তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক। তাঁকে না তন্দ্রা স্পর্শ করে, না নিদ্রা। আসমান-জমিনে যা কিছু আছে, সব তাঁরই। তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে কে সুপারিশ করবে? তাঁদের সামনে-পেছনে কী আছে, তিনি জানেন। তিনি যা চান তা ছাড়া তারা তাঁর জ্ঞানের কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না। তাঁর সিংহাসন আসমান-জমিন বেষ্টন করেছে এবং তা হেফাজত করতে তাঁর কষ্ট হয় না। এবং তিনিই সর্বোচ্চ ও মহান।’ (সুরা বাকারা: ২৫৫)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আয়াতুল কুরসি পবিত্র কোরআনের ফজিলতপূর্ণ আয়াতগুলোর একটি। মহানবী (সা.) এটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি উবাই ইবনে কাআব (রা.)কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া…তথা আয়াতুল কুরসি।’ তখন নবী (সা.) উবাইয়ের বুকে হাত দিয়ে মৃদু নাড়া দিয়ে বললেন, ‘আবুল মুনজির, এই জ্ঞানের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।’ (মুসলিম)
আয়াতুল কুরসি পাঠের ফজিলত অনেক। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসি পড়বে, শয়তান সারা রাত তার কাছে আসবে না।’ (বুখারি)
অন্য হাদিসে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তা (আয়াতুল কুরসি) পাঠ করবে, সে সকাল পর্যন্ত (শয়তান থেকে) নিরাপদে থাকবে। আর যে সকালে পাঠ করবে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত (শয়তান থেকে) নিরাপদে থাকবে।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান)
আরেক হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে, তার জন্য জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকবে না।’ (নাসায়ি)
আয়াতুল কুরসিতে মূলত আল্লাহ তাআলার একত্ববাদ ও অসীম ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ—তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক। তাঁকে না তন্দ্রা স্পর্শ করে, না নিদ্রা। আসমান-জমিনে যা কিছু আছে, সব তাঁরই। তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে কে সুপারিশ করবে? তাঁদের সামনে-পেছনে কী আছে, তিনি জানেন। তিনি যা চান তা ছাড়া তারা তাঁর জ্ঞানের কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না। তাঁর সিংহাসন আসমান-জমিন বেষ্টন করেছে এবং তা হেফাজত করতে তাঁর কষ্ট হয় না। এবং তিনিই সর্বোচ্চ ও মহান।’ (সুরা বাকারা: ২৫৫)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
কোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
১৯ মিনিট আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
৫ ঘণ্টা আগেআল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
২১ ঘণ্টা আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
১ দিন আগে