Ajker Patrika

আয়াতুল কুরসির ফজিলত ও মর্ম

মেহেদী হাসান সাকিফ
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৫, ১৪: ২১
আয়াতুল কুরসির ফজিলত ও মর্ম

আয়াতুল কুরসি পবিত্র কোরআনের ফজিলতপূর্ণ আয়াতগুলোর একটি। মহানবী (সা.) এটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি উবাই ইবনে কাআব (রা.)কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া…তথা আয়াতুল কুরসি।’ তখন নবী (সা.) উবাইয়ের বুকে হাত দিয়ে মৃদু নাড়া দিয়ে বললেন, ‘আবুল মুনজির, এই জ্ঞানের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।’ (মুসলিম)

আয়াতুল কুরসি পাঠের ফজিলত অনেক। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসি পড়বে, শয়তান সারা রাত তার কাছে আসবে না।’ (বুখারি) 
অন্য হাদিসে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তা (আয়াতুল কুরসি) পাঠ করবে, সে সকাল পর্যন্ত (শয়তান থেকে) নিরাপদে থাকবে। আর যে সকালে পাঠ করবে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত (শয়তান থেকে) নিরাপদে থাকবে।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান)

আরেক হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে, তার জন্য জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকবে না।’ (নাসায়ি)

আয়াতুল কুরসিতে মূলত আল্লাহ তাআলার একত্ববাদ ও অসীম ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ—তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক। তাঁকে না তন্দ্রা স্পর্শ করে, না নিদ্রা। আসমান-জমিনে যা কিছু আছে, সব তাঁরই। তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে কে সুপারিশ করবে? তাঁদের সামনে-পেছনে কী আছে, তিনি জানেন। তিনি যা চান তা ছাড়া তারা তাঁর জ্ঞানের কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না। তাঁর সিংহাসন আসমান-জমিন বেষ্টন করেছে এবং তা হেফাজত করতে তাঁর কষ্ট হয় না। এবং তিনিই সর্বোচ্চ ও মহান।’ (সুরা বাকারা: ২৫৫) 

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত