মুফতি খালিদ কাসেমি
আরবি ‘সতর’ শব্দের অর্থ ঢেকে রাখা, লুকিয়ে রাখা ইত্যাদি। নামাজে কিংবা নামাজের বাইরে শরীরের যে অংশ ঢেকে রাখা ফরজ, সেই অংশকে শরিয়তের পরিভাষায় সতর বলা হয়। পুরুষের সতর হলো নাভির নিচ থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘কোনো পুরুষ অন্য পুরুষের সতরের দিকে তাকাবে না। পুরুষের সতর হলো নাভির নিচ থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত।’ (আবু দাউদ)
শরয়ী প্রয়োজন ছাড়া কারও সামনে সতরের কোনো অংশ খোলা হারাম। অপারেশন কিংবা রোগ নির্ণয়ের উদ্দেশ্যে প্রয়োজন পরিমাণে ডাক্তারের সামনে সতর খোলার সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ডাক্তারের জন্য শুধু নির্ধারিত জায়গাটি দেখার অনুমতি রয়েছে। জনৈক সাহাবি নবী (সা.)কে সতরের পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাদের লজ্জাস্থান কতটুকু ঢেকে রাখব এবং কতটুকু খোলা রাখব?’ তিনি বললেন, ‘তোমার স্ত্রী ও দাসী ছাড়া সবার দৃষ্টি থেকে তোমার লজ্জাস্থান হেফাজত করবে।’ তিনি আবার প্রশ্ন করলেন, ‘পুরুষেরা একত্রে অবস্থানরত থাকলে?’ তিনি বললেন, ‘যত দূর সম্ভব কেউ যেন ঢেকে রাখতে হয় এমন স্থান দেখতে না পারে—তুমি তা-ই করো।’ তিনি আবার প্রশ্ন করলেন, ‘মানুষ তো কখনো নির্জন অবস্থায়ও থাকে।’ তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা তো লজ্জার ক্ষেত্রে বেশি হকদার।’ (তিরমিজি)
পোশাক শালীনতার অনন্য নিদর্শন। মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘হে আদমসন্তান, আমি তোমাদের জন্য পোশাকের ব্যবস্থা করেছি, যা তোমাদের দেহের যে অংশ প্রকাশ করা দূষণীয় তা আবৃত করে এবং যা শোভাস্বরূপ। বস্তুত তাকওয়ার যে পোশাক, সেটাই সর্বোত্তম। এসব মহান আল্লাহর নিদর্শনাবলির অন্যতম, যাতে মানুষ উপদেশ গ্রহণ করে।’ (সুরা আরাফ: ২৬)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
আরবি ‘সতর’ শব্দের অর্থ ঢেকে রাখা, লুকিয়ে রাখা ইত্যাদি। নামাজে কিংবা নামাজের বাইরে শরীরের যে অংশ ঢেকে রাখা ফরজ, সেই অংশকে শরিয়তের পরিভাষায় সতর বলা হয়। পুরুষের সতর হলো নাভির নিচ থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘কোনো পুরুষ অন্য পুরুষের সতরের দিকে তাকাবে না। পুরুষের সতর হলো নাভির নিচ থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত।’ (আবু দাউদ)
শরয়ী প্রয়োজন ছাড়া কারও সামনে সতরের কোনো অংশ খোলা হারাম। অপারেশন কিংবা রোগ নির্ণয়ের উদ্দেশ্যে প্রয়োজন পরিমাণে ডাক্তারের সামনে সতর খোলার সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ডাক্তারের জন্য শুধু নির্ধারিত জায়গাটি দেখার অনুমতি রয়েছে। জনৈক সাহাবি নবী (সা.)কে সতরের পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাদের লজ্জাস্থান কতটুকু ঢেকে রাখব এবং কতটুকু খোলা রাখব?’ তিনি বললেন, ‘তোমার স্ত্রী ও দাসী ছাড়া সবার দৃষ্টি থেকে তোমার লজ্জাস্থান হেফাজত করবে।’ তিনি আবার প্রশ্ন করলেন, ‘পুরুষেরা একত্রে অবস্থানরত থাকলে?’ তিনি বললেন, ‘যত দূর সম্ভব কেউ যেন ঢেকে রাখতে হয় এমন স্থান দেখতে না পারে—তুমি তা-ই করো।’ তিনি আবার প্রশ্ন করলেন, ‘মানুষ তো কখনো নির্জন অবস্থায়ও থাকে।’ তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা তো লজ্জার ক্ষেত্রে বেশি হকদার।’ (তিরমিজি)
পোশাক শালীনতার অনন্য নিদর্শন। মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘হে আদমসন্তান, আমি তোমাদের জন্য পোশাকের ব্যবস্থা করেছি, যা তোমাদের দেহের যে অংশ প্রকাশ করা দূষণীয় তা আবৃত করে এবং যা শোভাস্বরূপ। বস্তুত তাকওয়ার যে পোশাক, সেটাই সর্বোত্তম। এসব মহান আল্লাহর নিদর্শনাবলির অন্যতম, যাতে মানুষ উপদেশ গ্রহণ করে।’ (সুরা আরাফ: ২৬)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশংসা এমন এক গুরুত্বপূর্ণ ও ও সর্বজনীন বিষয় যা পৃথিবীর সব মাখলুক করে থাকে। এমনকি পরকালীন জীবনে জান্নাতিরা যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে, তখন সেখানেও ৫ অবস্থায় আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করবেন।
৪ ঘণ্টা আগেহালাল পেশাকে ইসলাম মর্যাদার চোখে দেখে। হালাল পেশায় নিযুক্ত শ্রমিকের মর্যাদাও কম নয়। তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। প্রিয় নবী (সা.) বলেন ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন।
১ দিন আগেইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম অনন্য। ইসলাম সমাজের সব স্তরের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা সুনিশ্চিত করেছে। মালিক-শ্রমিক একজনকে অপরজনের ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছে।
১ দিন আগেকোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
২ দিন আগে