কাউসার লাবীব
মানুষের সফলতা শুধু পার্থিব জীবনে নয়, বরং পরকালীন মুক্তিতেই নিহিত। আমরা অনেকেই ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে নিজের পরকাল নিশ্চিত ভাবি। নামাজ, রোজা, জাকাত—এসব আমাদের নেক আমলের প্রতীক।
কিন্তু প্রিয় নবী (সা.) এমন এক হাদিসে আমাদের সতর্ক করেছেন, যেখানে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, একজন মানুষ যতই ইবাদতগুজার হোক, যদি তার ব্যবহার খারাপ হয়—তবে তার সেই আমল হয়তো তাকে জাহান্নামেও নিয়ে যেতে পারে। এ যেন আত্মসমীক্ষার এক দর্পণ, যেখানে প্রতিফলিত হয় আমাদের আসল চরিত্র।
নবী করিম (সা.) একবার সাহাবিদের জিজ্ঞেস করলেন—‘তোমরা জানো দেউলিয়া কে?’
সাহাবিরা বললেন, ‘দেউলিয়া তো সেই, যার কাছে টাকা-পয়সা নেই, সম্পদ নেই।’
তখন নবীজি বললেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে দেউলিয়া (মুফলিস) সেই ব্যক্তি, যে নামাজ পড়েছে, রোজা রেখেছে, জাকাত দিয়েছে। কিন্তু সে কাউকে গালি দিয়েছে, কারও ওপরে অপবাদ দিয়েছে, কারও সম্পদ আত্মসাৎ করেছে, কাউকে আঘাত করেছে। কিয়ামতের দিনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তার সওয়াব দিয়ে দেওয়া হবে। যখন তার সব সওয়াব শেষ হয়ে যাবে, তখন তাদের গুনাহ তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে। এরপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’ (সহিহ্ মুসলিম)
এই হাদিসটি আমাদের সামনে তুলে ধরে এমন এক ভয়ংকর চিত্র, যা শুধু অন্যায় বা জুলুমের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং একেকটি ইবাদতপ্রিয় মানুষের আত্মধ্বংসের চিত্র। আমরা হয়তো নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি আমলে আগ্রহী, কিন্তু মানুষকে কষ্ট দেওয়া, অপবাদ দেওয়া, গিবত করা, কারও অধিকার হরণ করা—এসবকে তেমন গুরুত্ব দিই না। অথচ কিয়ামতের দিন এই অধিকার লঙ্ঘনের দায়ই আমাদের নেক আমলগুলোকে নিঃশেষ করে দিতে পারে।
এই হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) যে বার্তাটি দিয়েছেন, তা মূলত একজন মুসলিমের পূর্ণাঙ্গ চরিত্রের দাবি তুলে ধরে। ইসলাম কেবল আনুষ্ঠানিক ইবাদত নয়; বরং তা একটি নৈতিক জীবনব্যবস্থা। যার ভেতরে আছে অন্যের অধিকার রক্ষা, সদাচরণ, ভদ্রতা, ক্ষমাশীলতা এবং মানবিকতা।
এই হাদিস আমাদের একটি মৌলিক শিক্ষা দেয়—শুধু নামাজ-রোজা করলেই সফলতা আসবে না, বরং তার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ হিসেবে আমাদের আচরণ, মানবিক মূল্যবোধ, অন্যের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক হতে হবে। ইসলামের প্রকৃত চেতনা হলো—ইবাদতের পাশাপাশি মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, কারও সম্মানহানির কারণ না হওয়া।
আমরা যেন এমন দেউলিয়া না হয়ে যাই, যার খাতা নামাজ-রোজায় পূর্ণ, কিন্তু যার হৃদয় শূন্য দয়া, সহমর্মিতা ও ন্যায়বোধ থেকে। আসুন, আমরা আমাদের আমলনামা শুধু নামাজ দিয়ে নয়, সুন্দর চরিত্র, সদ্ব্যবহার এবং মানবিকতা দিয়েও পূর্ণ করি।
মানুষের সফলতা শুধু পার্থিব জীবনে নয়, বরং পরকালীন মুক্তিতেই নিহিত। আমরা অনেকেই ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে নিজের পরকাল নিশ্চিত ভাবি। নামাজ, রোজা, জাকাত—এসব আমাদের নেক আমলের প্রতীক।
কিন্তু প্রিয় নবী (সা.) এমন এক হাদিসে আমাদের সতর্ক করেছেন, যেখানে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, একজন মানুষ যতই ইবাদতগুজার হোক, যদি তার ব্যবহার খারাপ হয়—তবে তার সেই আমল হয়তো তাকে জাহান্নামেও নিয়ে যেতে পারে। এ যেন আত্মসমীক্ষার এক দর্পণ, যেখানে প্রতিফলিত হয় আমাদের আসল চরিত্র।
নবী করিম (সা.) একবার সাহাবিদের জিজ্ঞেস করলেন—‘তোমরা জানো দেউলিয়া কে?’
সাহাবিরা বললেন, ‘দেউলিয়া তো সেই, যার কাছে টাকা-পয়সা নেই, সম্পদ নেই।’
তখন নবীজি বললেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে দেউলিয়া (মুফলিস) সেই ব্যক্তি, যে নামাজ পড়েছে, রোজা রেখেছে, জাকাত দিয়েছে। কিন্তু সে কাউকে গালি দিয়েছে, কারও ওপরে অপবাদ দিয়েছে, কারও সম্পদ আত্মসাৎ করেছে, কাউকে আঘাত করেছে। কিয়ামতের দিনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তার সওয়াব দিয়ে দেওয়া হবে। যখন তার সব সওয়াব শেষ হয়ে যাবে, তখন তাদের গুনাহ তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে। এরপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’ (সহিহ্ মুসলিম)
এই হাদিসটি আমাদের সামনে তুলে ধরে এমন এক ভয়ংকর চিত্র, যা শুধু অন্যায় বা জুলুমের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং একেকটি ইবাদতপ্রিয় মানুষের আত্মধ্বংসের চিত্র। আমরা হয়তো নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি আমলে আগ্রহী, কিন্তু মানুষকে কষ্ট দেওয়া, অপবাদ দেওয়া, গিবত করা, কারও অধিকার হরণ করা—এসবকে তেমন গুরুত্ব দিই না। অথচ কিয়ামতের দিন এই অধিকার লঙ্ঘনের দায়ই আমাদের নেক আমলগুলোকে নিঃশেষ করে দিতে পারে।
এই হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) যে বার্তাটি দিয়েছেন, তা মূলত একজন মুসলিমের পূর্ণাঙ্গ চরিত্রের দাবি তুলে ধরে। ইসলাম কেবল আনুষ্ঠানিক ইবাদত নয়; বরং তা একটি নৈতিক জীবনব্যবস্থা। যার ভেতরে আছে অন্যের অধিকার রক্ষা, সদাচরণ, ভদ্রতা, ক্ষমাশীলতা এবং মানবিকতা।
এই হাদিস আমাদের একটি মৌলিক শিক্ষা দেয়—শুধু নামাজ-রোজা করলেই সফলতা আসবে না, বরং তার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ হিসেবে আমাদের আচরণ, মানবিক মূল্যবোধ, অন্যের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক হতে হবে। ইসলামের প্রকৃত চেতনা হলো—ইবাদতের পাশাপাশি মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, কারও সম্মানহানির কারণ না হওয়া।
আমরা যেন এমন দেউলিয়া না হয়ে যাই, যার খাতা নামাজ-রোজায় পূর্ণ, কিন্তু যার হৃদয় শূন্য দয়া, সহমর্মিতা ও ন্যায়বোধ থেকে। আসুন, আমরা আমাদের আমলনামা শুধু নামাজ দিয়ে নয়, সুন্দর চরিত্র, সদ্ব্যবহার এবং মানবিকতা দিয়েও পূর্ণ করি।
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩১ মিনিট আগেইসলাম আমাদের জন্য মহান আল্লাহর এক অপরিমেয় নিয়ামত, যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। মানবজাতির হেদায়েতের জন্য তিনি অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন এবং আসমানি কিতাব নাজিল করেছেন। তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং সর্বশেষ ঐশী গ্রন্থ পবিত্র কোরআন।
৫ ঘণ্টা আগেইসলামের সত্য বাণী দ্রুতই পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। সত্যান্বেষী মানুষেরা দলে দলে আশ্রয় নিতে থাকে ইসলামের পতাকাতলে। অন্ধকার বিদূরিত হয়ে জ্বলে ওঠে সত্যের আলো। সমাজ থেকে দূর হয়ে যায় যাবতীয় পাপ, অন্যায় আর অসাধুতা। রাসুলের সংস্পর্শ লাভে একসময়ের পাষণ্ড, নির্দয় মানুষগুলোও পরিণত হয় সোনার মানুষে।
৫ ঘণ্টা আগেমুমিনের জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইবাদত হলো প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর দরুদ পাঠ করা। এটি এমন এক আমল, যা সরাসরি কোরআনের নির্দেশ এবং অসংখ্য সহিহ হাদিসে এর ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর ওপর দরুদ পাঠ করেন।
১৮ ঘণ্টা আগে