আপনার জিজ্ঞাসা
মুফতি শাব্বির আহমদ
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম। আমার সদ্যোজাত কন্যা সন্তানের জন্য আমরা একটি ছোট ও তাৎপর্যপূর্ণ নাম খুঁজছিলাম। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তার নাম ‘বিসমিল্লাহ’ রাখব। নামটি সংক্ষিপ্ত ও আকর্ষণীয় হওয়ায় আমাদের খুব পছন্দ হয়েছে। কিন্তু আমাদের পরিবারের মুরব্বিরা আপত্তি করে বলছেন, ‘বিসমিল্লাহ’ আল্লাহর একটি অত্যন্ত পবিত্র ও মর্যাদাপূর্ণ বাক্য। এটি কোনো মানুষের নাম হতে পারে না এবং এই নাম রাখলে ভবিষ্যতে এটিকে সাধারণ নামে ডাকার কারণে পবিত্র বাক্যের প্রতি অসম্মান বা বেয়াদবি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আমি জানতে চাই: ১. ইসলামি শরিয়তে মেয়ের নাম ‘বিসমিল্লাহ’ রাখা কি জায়েজ? ২. যদি জায়েজও হয়, তবু এই পবিত্র বাক্যকে নাম হিসেবে ব্যবহার করা উত্তম নাকি বেয়াদবির আশঙ্কায় এই নাম রাখা থেকে বিরত থাকা উচিত?
মো. ফরহাদ হোসেন, মিরপুর, ঢাকা
ওয়া আলাইকুমুস সালাম। আপনার প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জীবনঘনিষ্ঠ। চমৎকার এই প্রশ্নের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
শিশুর নাম ‘বিসমিল্লাহ’ রাখার বিষয়ে ফিকহবিদদের মতামত হলো: নামের অর্থের দিক থেকে ‘বিসমিল্লাহ’ কোনো প্রচলিত ব্যক্তিবাচক নাম নয়, বরং এটি একটি পূর্ণাঙ্গ বাক্য বা কালাম। এর অর্থ হলো, ‘আমি আল্লাহর নামে শুরু করছি।’ এটি প্রতিটি ভালো কাজ শুরু করার আগে বরকত লাভের জন্য পাঠ করা হয়। যেহেতু এটি আল্লাহর কোনো নাম বা সিফাত নয়, বা কোনো নিষিদ্ধ অর্থ বহন করে না, তাই এই নাম রাখার ফলে শরয়িভাবে কোনো বড় অসুবিধা নেই বা গুনাহ হবে না।
যদিও এই নাম রাখা শরিয়তে সরাসরি হারাম নয়, তবে এটি না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ, নামের মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তির পরিচিতি দেওয়া এবং একটি সুন্দর অর্থ বহন করা। ‘বিসমিল্লাহ’ সেই অর্থে কোনো ব্যক্তির পরিচয় বা গুণকে প্রকাশ করে না।
‘বিসমিল্লাহ’ একটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ও পবিত্র কালাম। এই পবিত্র বাক্যটিকে যখন সাধারণ মানুষের মতো ডাকা হবে, বিশেষ করে রাগ বা বিরক্তির মুহূর্তে ডাকা হলে, তখন এর আদব ও মর্যাদার হানি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এর ফলে না জেনে অনেকেই এই পবিত্র বাক্যের প্রতি বেয়াদবি করে ফেলতে পারে।
মোটকথা হলো, যদি কেউ মেয়ের নাম ‘বিসমিল্লাহ’ রেখে দেন, তবে শরিয়তে কোনো বাধা নেই। কিন্তু উত্তম হলো মেয়েদের এমন নাম রাখা, যা সুন্দর অর্থবহ হয় এবং সাহাবিয়া বা নেককার নারীদের নামের সঙ্গে মিল থাকে।
দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া অবলম্বনে
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি শাব্বির আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম। আমার সদ্যোজাত কন্যা সন্তানের জন্য আমরা একটি ছোট ও তাৎপর্যপূর্ণ নাম খুঁজছিলাম। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তার নাম ‘বিসমিল্লাহ’ রাখব। নামটি সংক্ষিপ্ত ও আকর্ষণীয় হওয়ায় আমাদের খুব পছন্দ হয়েছে। কিন্তু আমাদের পরিবারের মুরব্বিরা আপত্তি করে বলছেন, ‘বিসমিল্লাহ’ আল্লাহর একটি অত্যন্ত পবিত্র ও মর্যাদাপূর্ণ বাক্য। এটি কোনো মানুষের নাম হতে পারে না এবং এই নাম রাখলে ভবিষ্যতে এটিকে সাধারণ নামে ডাকার কারণে পবিত্র বাক্যের প্রতি অসম্মান বা বেয়াদবি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আমি জানতে চাই: ১. ইসলামি শরিয়তে মেয়ের নাম ‘বিসমিল্লাহ’ রাখা কি জায়েজ? ২. যদি জায়েজও হয়, তবু এই পবিত্র বাক্যকে নাম হিসেবে ব্যবহার করা উত্তম নাকি বেয়াদবির আশঙ্কায় এই নাম রাখা থেকে বিরত থাকা উচিত?
মো. ফরহাদ হোসেন, মিরপুর, ঢাকা
ওয়া আলাইকুমুস সালাম। আপনার প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জীবনঘনিষ্ঠ। চমৎকার এই প্রশ্নের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
শিশুর নাম ‘বিসমিল্লাহ’ রাখার বিষয়ে ফিকহবিদদের মতামত হলো: নামের অর্থের দিক থেকে ‘বিসমিল্লাহ’ কোনো প্রচলিত ব্যক্তিবাচক নাম নয়, বরং এটি একটি পূর্ণাঙ্গ বাক্য বা কালাম। এর অর্থ হলো, ‘আমি আল্লাহর নামে শুরু করছি।’ এটি প্রতিটি ভালো কাজ শুরু করার আগে বরকত লাভের জন্য পাঠ করা হয়। যেহেতু এটি আল্লাহর কোনো নাম বা সিফাত নয়, বা কোনো নিষিদ্ধ অর্থ বহন করে না, তাই এই নাম রাখার ফলে শরয়িভাবে কোনো বড় অসুবিধা নেই বা গুনাহ হবে না।
যদিও এই নাম রাখা শরিয়তে সরাসরি হারাম নয়, তবে এটি না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ, নামের মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তির পরিচিতি দেওয়া এবং একটি সুন্দর অর্থ বহন করা। ‘বিসমিল্লাহ’ সেই অর্থে কোনো ব্যক্তির পরিচয় বা গুণকে প্রকাশ করে না।
‘বিসমিল্লাহ’ একটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ও পবিত্র কালাম। এই পবিত্র বাক্যটিকে যখন সাধারণ মানুষের মতো ডাকা হবে, বিশেষ করে রাগ বা বিরক্তির মুহূর্তে ডাকা হলে, তখন এর আদব ও মর্যাদার হানি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এর ফলে না জেনে অনেকেই এই পবিত্র বাক্যের প্রতি বেয়াদবি করে ফেলতে পারে।
মোটকথা হলো, যদি কেউ মেয়ের নাম ‘বিসমিল্লাহ’ রেখে দেন, তবে শরিয়তে কোনো বাধা নেই। কিন্তু উত্তম হলো মেয়েদের এমন নাম রাখা, যা সুন্দর অর্থবহ হয় এবং সাহাবিয়া বা নেককার নারীদের নামের সঙ্গে মিল থাকে।
দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া অবলম্বনে
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি শাব্বির আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
এই নশ্বর পৃথিবীতে আমাদের জীবন সুখের ভেলায় ভাসলেও হয়তো অদূরেই কোনো এক মানবসন্তান ক্ষুধায় কাতর বা গভীর কোনো বিপদে অসহায়। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে আমরা হয়তো তাদের দীর্ঘশ্বাসের শব্দ শুনতে পাই না, কিন্তু তাদের হৃদয়ের কান্না ও প্রয়োজন আকাশ ছুঁয়ে যায়। একজন মুমিন হিসেবে আমাদের মনে রাখা জরুরি, জীবন...
৩ ঘণ্টা আগেআল্লাহ তাআলা সপ্তাহের মধ্যে জুমাবারকে সর্বোত্তম দিন হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। কোরআনে সুরা জুমুআ, আয়াত ৯-এ বলা হয়েছে, ‘হে ইমানদারগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ত্যাগ করো।’
৫ ঘণ্টা আগেইসলাম সমগ্র মানবজাতির কল্যাণ ও শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছে। কোরআন ও সুন্নাহতে মুসলমানদের শুধু নিজেদের মধ্যে নয়, বরং অমুসলিমদের সঙ্গেও ন্যায়, সদাচার ও মানবিক আচরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধর্ম পালনে ইসলাম স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে এবং এ ক্ষেত্রে কোনো জবরদস্তি নেই বলে ঘোষণা করেছে।
৫ ঘণ্টা আগেভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসরের ঐতিহাসিক একটি শহর সারহিন্দ, যার স্তরে স্তরে জড়িয়ে আছে ইতিহাস ও ঐতিহ্য। শহরটি যেন এক বিশাল খোলা বই, যেখানে প্রতিটি পাতায় বোনা আছে অতীতের গল্প, ইতিহাসের ছাপ এবং আধ্যাত্মিকতার অনুধাবন।
৬ ঘণ্টা আগে