মুফতি সফিউল্লাহ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
নবীজির (সা.) জীবনে রয়েছে মানবজাতির জন্য সর্বোত্তম আদর্শ। তাঁর দৈহিক অবয়ব আলোচনা করার মধ্যেও রয়েছে মানবজাতির জন্য কল্যাণ ও রহমত। সাহাবায়ে কেরাম রাসুল (সা.)-এর জ্ঞান ও মারিফতের সঙ্গে বাহ্যিক সৌন্দর্যটুকুও উম্মতের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।
হজরত আলী (রা.) যখনই নবীজির অবয়ব বর্ণনা করতেন, তখন বলতেন, ‘রাসুল (সা.) অতি দীর্ঘ দেহের অধিকারী ছিলেন না আবার খাঁটোও ছিলেন না; বরং তিনি ছিলেন মধ্যম গড়নের। তাঁর মাথায় চুল বেশি কোঁকড়ানো ছিল না এবং সম্পূর্ণ সোজাও ছিল না; বরং সামান্য কোঁকড়ানো ভাব ছিল। তাঁর দেহ মোবারক তত মোটা ছিল না। আর চেহারা মোবারক সম্পূর্ণ গোলাকার ছিল না, তবে কিছুটা গোলাকার ছিল। গায়ের রং ছিল লাল-সাদা সংমিশ্রিত। চোখের বর্ণ ছিল কালো এবং পলক ছিল লম্বা ও চিকন। হাড়ের জোড়াগুলো ছিল মোটা। পুরো দেহ মোবারক ছিল পশমহীন, অবশ্য পশমের চিকন একটি রেখা বুক থেকে নাভি পর্যন্ত লম্বা ছিল। দুই হাত এবং দুই পায়ের তালু ছিল মাংসে পরিপূর্ণ। যখন তিনি হাঁটতেন, তখন পা পূর্ণভাবে উঠিয়ে মাটিতে রাখতেন, যেন তিনি কোনো উঁচু জায়গা থেকে নিচের দিকে নামছেন। যখন তিনি কারও দিকে তাকাতেন পরিপূর্ণভাবে মনোনিবেশ করতেন। উভয় কাঁধের মাঝখানে ছিল মোহরে নবুওয়ত। তিনি ছিলেন মানুষের মধ্যে অধিক দানশীল, সবচেয়ে বেশি সত্যবাদী। তিনি ছিলেন সবচেয়ে কোমল স্বভাবের এবং বংশের দিক থেকে সম্ভ্রান্ত এবং মর্যাদার অধিকারী। যে ব্যক্তি তাঁকে হঠাৎ দেখত, সে ভয় পেয়ে যেত (গাম্ভীর্যের কারণে)।
পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি পরিচিত হয়ে তাঁর সঙ্গে মিশত, সে তাঁকে অনেক ভালোবেসে ফেলত। তাঁর সম্পর্কে আলোচনাকারী এ কথা বলত যে আমি তার আগে ও পরে তাঁর মতো সৌন্দর্যময় কাউকে দেখিনি।’ (শামায়েলে তিরমিজি: ৭)
নবীজির (সা.) জীবনে রয়েছে মানবজাতির জন্য সর্বোত্তম আদর্শ। তাঁর দৈহিক অবয়ব আলোচনা করার মধ্যেও রয়েছে মানবজাতির জন্য কল্যাণ ও রহমত। সাহাবায়ে কেরাম রাসুল (সা.)-এর জ্ঞান ও মারিফতের সঙ্গে বাহ্যিক সৌন্দর্যটুকুও উম্মতের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।
হজরত আলী (রা.) যখনই নবীজির অবয়ব বর্ণনা করতেন, তখন বলতেন, ‘রাসুল (সা.) অতি দীর্ঘ দেহের অধিকারী ছিলেন না আবার খাঁটোও ছিলেন না; বরং তিনি ছিলেন মধ্যম গড়নের। তাঁর মাথায় চুল বেশি কোঁকড়ানো ছিল না এবং সম্পূর্ণ সোজাও ছিল না; বরং সামান্য কোঁকড়ানো ভাব ছিল। তাঁর দেহ মোবারক তত মোটা ছিল না। আর চেহারা মোবারক সম্পূর্ণ গোলাকার ছিল না, তবে কিছুটা গোলাকার ছিল। গায়ের রং ছিল লাল-সাদা সংমিশ্রিত। চোখের বর্ণ ছিল কালো এবং পলক ছিল লম্বা ও চিকন। হাড়ের জোড়াগুলো ছিল মোটা। পুরো দেহ মোবারক ছিল পশমহীন, অবশ্য পশমের চিকন একটি রেখা বুক থেকে নাভি পর্যন্ত লম্বা ছিল। দুই হাত এবং দুই পায়ের তালু ছিল মাংসে পরিপূর্ণ। যখন তিনি হাঁটতেন, তখন পা পূর্ণভাবে উঠিয়ে মাটিতে রাখতেন, যেন তিনি কোনো উঁচু জায়গা থেকে নিচের দিকে নামছেন। যখন তিনি কারও দিকে তাকাতেন পরিপূর্ণভাবে মনোনিবেশ করতেন। উভয় কাঁধের মাঝখানে ছিল মোহরে নবুওয়ত। তিনি ছিলেন মানুষের মধ্যে অধিক দানশীল, সবচেয়ে বেশি সত্যবাদী। তিনি ছিলেন সবচেয়ে কোমল স্বভাবের এবং বংশের দিক থেকে সম্ভ্রান্ত এবং মর্যাদার অধিকারী। যে ব্যক্তি তাঁকে হঠাৎ দেখত, সে ভয় পেয়ে যেত (গাম্ভীর্যের কারণে)।
পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি পরিচিত হয়ে তাঁর সঙ্গে মিশত, সে তাঁকে অনেক ভালোবেসে ফেলত। তাঁর সম্পর্কে আলোচনাকারী এ কথা বলত যে আমি তার আগে ও পরে তাঁর মতো সৌন্দর্যময় কাউকে দেখিনি।’ (শামায়েলে তিরমিজি: ৭)
কোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
৬ ঘণ্টা আগেআল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
১ দিন আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
১ দিন আগে