মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া
প্রশ্ন: আসরের নামাজে ইমাম ভুলে প্রথম বৈঠক না করে দাঁড়িয়ে যান। মুসল্লিরা লুকমা দিলেও তিনি বৈঠকে ফিরে আসেননি। বরং নামাজের শেষে সাহু সিজদা আদায় করেন। এ ক্ষেত্রে নামাজ শুদ্ধ হয়েছে, নাকি ফিরে এলেই শুদ্ধ হতো? জানতে চাই।
নাদিম হাসনাইন, ঢাকা
উত্তর: নামাজ শুদ্ধ হয়েছে। ইমাম না বসে সঠিক কাজই করেছেন। কারণ তিন রাকাত বা চার রাকাতের নামাজে ইমাম প্রথম বৈঠক না করে ভুলে তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে গেলে তাঁর করণীয় হলো, বৈঠকের জন্য ফিরে আসবেন না এবং প্রথম বৈঠক ছুটে যাওয়ার কারণে নামাজ শেষে সাহু সিজদা করবেন। সুতরাং এখানে ইমাম যেহেতু সাহু সিজদা আদায় করেছেন, তাই তাঁর নামাজ শুদ্ধ হয়ে গেছে। ফলে মুক্তাদিদের নামাজও শুদ্ধ হয়েছে।
হাদিসে এসেছে, হজরত জিয়াদ ইবনে ইলাকা (রহ.) বর্ণনা করেন, সাহাবি মুগিরা ইবনে শুবা (রা.) একদিন আমাদের নিয়ে নামাজ পড়লেন এবং দ্বিতীয় রাকাতে না বসে দাঁড়িয়ে গেলেন। তখন মুসল্লিরা ‘সুবহানাল্লাহ’ বলে লুকমা দিলেন। কিন্তু তিনি না বসে তাঁদের দাঁড়িয়ে যেতে ইঙ্গিত করেন। এরপর নামাজ শেষে সালাম ফিরিয়ে সাহু সিজদা আদায় করলেন এবং ফের সালাম ফেরালেন। এরপর বললেন, ‘রাসুল (সা.) এমনটিই করেছেন।’ (তিরমিজি: ৩৬৫)
প্রশ্ন অনুযায়ী ইমাম যদি মুসল্লিদের লুকমার কারণে বসে যেতেন, তাহলে কোনো কোনো আলেমের মতে, নামাজ নষ্ট হয়ে যেত। কারণ তিন বা চার রাকাতের নামাজে পুরোপুরি দাঁড়িয়ে যাওয়ার পরে বৈঠকে ফিরে আসা যায় না। বরং সেই মুহূর্তে তাঁর করণীয় হলো, ধারাবাহিকতা নষ্ট না করে বাকি নামাজ শেষ করে সাহু সিজদা দেওয়া। তবে ইবনুল হুমাম (রহ.)-সহ অনেক ফকিহর মতে, ফিরে গেলেও শেষে সাহু সিজদা দিলে নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে।
তবে এটি অনিচ্ছাকৃতভাবে বৈঠকে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ইচ্ছাকৃতভাবে ফিরে যাওয়া গুনাহের কারণ হবে। আর পুরো বিষয়টিই জামাতের নামাজের জন্য প্রযোজ্য। একাকী নামাজ পড়ার সময় এমনটি হলে ফের শুরু থেকে নামাজ পড়তে হবে।
সূত্র: কিতাবুল আসল: ১ / ১৬১; খুলাসাতুল ফাতাওয়া: ১ / ১৭৮; আলবাহরুর রায়েক: ২ / ১০০; শরহুল মুনইয়া: পৃ. ৪৫৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১ / ১২৭; রদ্দুল মুহতার: ২ / ৮৪।
উত্তর দিয়েছেন
মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া, আল-আজহারি মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া, আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম
প্রশ্ন: আসরের নামাজে ইমাম ভুলে প্রথম বৈঠক না করে দাঁড়িয়ে যান। মুসল্লিরা লুকমা দিলেও তিনি বৈঠকে ফিরে আসেননি। বরং নামাজের শেষে সাহু সিজদা আদায় করেন। এ ক্ষেত্রে নামাজ শুদ্ধ হয়েছে, নাকি ফিরে এলেই শুদ্ধ হতো? জানতে চাই।
নাদিম হাসনাইন, ঢাকা
উত্তর: নামাজ শুদ্ধ হয়েছে। ইমাম না বসে সঠিক কাজই করেছেন। কারণ তিন রাকাত বা চার রাকাতের নামাজে ইমাম প্রথম বৈঠক না করে ভুলে তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে গেলে তাঁর করণীয় হলো, বৈঠকের জন্য ফিরে আসবেন না এবং প্রথম বৈঠক ছুটে যাওয়ার কারণে নামাজ শেষে সাহু সিজদা করবেন। সুতরাং এখানে ইমাম যেহেতু সাহু সিজদা আদায় করেছেন, তাই তাঁর নামাজ শুদ্ধ হয়ে গেছে। ফলে মুক্তাদিদের নামাজও শুদ্ধ হয়েছে।
হাদিসে এসেছে, হজরত জিয়াদ ইবনে ইলাকা (রহ.) বর্ণনা করেন, সাহাবি মুগিরা ইবনে শুবা (রা.) একদিন আমাদের নিয়ে নামাজ পড়লেন এবং দ্বিতীয় রাকাতে না বসে দাঁড়িয়ে গেলেন। তখন মুসল্লিরা ‘সুবহানাল্লাহ’ বলে লুকমা দিলেন। কিন্তু তিনি না বসে তাঁদের দাঁড়িয়ে যেতে ইঙ্গিত করেন। এরপর নামাজ শেষে সালাম ফিরিয়ে সাহু সিজদা আদায় করলেন এবং ফের সালাম ফেরালেন। এরপর বললেন, ‘রাসুল (সা.) এমনটিই করেছেন।’ (তিরমিজি: ৩৬৫)
প্রশ্ন অনুযায়ী ইমাম যদি মুসল্লিদের লুকমার কারণে বসে যেতেন, তাহলে কোনো কোনো আলেমের মতে, নামাজ নষ্ট হয়ে যেত। কারণ তিন বা চার রাকাতের নামাজে পুরোপুরি দাঁড়িয়ে যাওয়ার পরে বৈঠকে ফিরে আসা যায় না। বরং সেই মুহূর্তে তাঁর করণীয় হলো, ধারাবাহিকতা নষ্ট না করে বাকি নামাজ শেষ করে সাহু সিজদা দেওয়া। তবে ইবনুল হুমাম (রহ.)-সহ অনেক ফকিহর মতে, ফিরে গেলেও শেষে সাহু সিজদা দিলে নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে।
তবে এটি অনিচ্ছাকৃতভাবে বৈঠকে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ইচ্ছাকৃতভাবে ফিরে যাওয়া গুনাহের কারণ হবে। আর পুরো বিষয়টিই জামাতের নামাজের জন্য প্রযোজ্য। একাকী নামাজ পড়ার সময় এমনটি হলে ফের শুরু থেকে নামাজ পড়তে হবে।
সূত্র: কিতাবুল আসল: ১ / ১৬১; খুলাসাতুল ফাতাওয়া: ১ / ১৭৮; আলবাহরুর রায়েক: ২ / ১০০; শরহুল মুনইয়া: পৃ. ৪৫৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১ / ১২৭; রদ্দুল মুহতার: ২ / ৮৪।
উত্তর দিয়েছেন
মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া, আল-আজহারি মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া, আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম
প্রত্যেকের রিজিক নির্ধারিত, অহেতুক লোভ করে লাভ নেই। বাড়তি উপার্জনের জন্য উন্মত্ত হয়ে ছুটলেও শেষে কাজের কাজ কিছুই হবে না। চেষ্টা তো অবশ্যই করতে হবে, এটাই আল্লাহ তাআলার বিধান। তবে তা অর্জন করতে গিয়ে বাড়াবাড়ি না করে যতটুকু হয় তাতে সন্তুষ্ট থাকার অভ্যাস করা। আর কাঙ্ক্ষিত বস্তু অর্জন না হলেও...
৪ ঘণ্টা আগেহিজরি বছরের প্রথম মাস মহররম। এই মাসের সম্মান ও ফজিলত অনেক বেশি। এই মাসের ১০ তারিখ আশুরা। এই আশুরার সঙ্গে জড়িত রয়েছে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা। তাই মহররম ও আশুরার দিনের করণীয় ও বর্জনীয় নিয়ে বেশ বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ি লক্ষ্য করা যায়। তাই এ সংক্রান্ত করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
৭ ঘণ্টা আগেনামাজ ইসলামের অন্যতম রোকন ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। মুসলমানদের ওপর প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে অনেকের জীবনে এমন মুহূর্ত আসে, যখন নামাজ আদায় করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। বিশেষ করে জীবনের অন্তিম সময়ে মৃত্যুশয্যায় থাকা ব্যক্তিরা এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। এই পরিস্থিতিতে নামাজ ছুটে...
১৬ ঘণ্টা আগেইসলামের অন্যতম রুকন নামাজ। নামাজ আদায়ের জন্য অজু আবশ্যক। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জান্নাতের চাবি নামাজ। আর নামাজের চাবি হচ্ছে অজু।’ (জামে তিরমিজি: ৪)। অজু করার পর বেশ কিছু কারণ পাওয়া গেলে তা ভেঙে যায়।
২ দিন আগে