ইমদাদুল হক শেখ
বৃষ্টি আল্লাহ তাআলার এক বিশেষ নিয়ামত। এ নিয়ামতে সঞ্জীবিত হয় ফেটে চৌচির হওয়া শুকনো মাটি। সজীব হয়ে ওঠে ফসলের মাঠ। প্রাণবন্ত হয় আমাদের চারপাশ। একটুখানি বৃষ্টির পরশে মানবদেহে অনুভূত হয় পরম শীতলতা। শুধু মানবদেহেই নয়, বরং পশুপাখিরাও পায় স্বস্তির শ্বাস ও উৎকৃষ্ট রিজিক। এককথায় বৃষ্টির মাঝে লুকিয়ে থাকে আল্লাহ তাআলার অজস্র নিয়ামত। আর এ বিশেষ নিয়ামত বর্ষণের সময় রয়েছে কিছু সুন্নত আমল
এক. বৃষ্টির সময় আল্লাহ তাআলার কাছে কল্যাণকর বৃষ্টির দোয়া করা সুন্নত। রাসুল (সা.) বৃষ্টির সময়ে এই দোয়া পাঠ করতেন, ‘আল্লাহুম্মা সায়্যিবান নাফিআ’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ আপনি কল্যাণকর বৃষ্টি দান করুন।’ (বুখারি: ৬৯১)
দুই. বৃষ্টির সময় অন্তরে খোদাভীতি জাগ্রত করা সুন্নত। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হলে ও ঝোড়ো হাওয়া প্রবাহিত হলে, রাসুল (সা.)-এর চেহারায় বিষণ্নতা অনুভূত হতো, এদিক-সেদিক পায়চারি করতেন এবং (এই ভেবে) ঘাবড়ে যেতেন যে এটি আল্লাহর আজাব কি না।’ (মুসলিম: ১৯৫৭)
তিন. বৃষ্টিকে অশুভ মনে না করে আল্লাহর রহমত বলে মনে করা উচিত। আয়েশা (রা.) বলেন, নবী (সা.) যখন বৃষ্টি দেখতেন তখন বলতেন, ‘এ তো আল্লাহর রহমত।’ (মুসলিম: ১৯৫৭)
চার. বৃষ্টির পানি গায়ে লাগানো নবীজির মুস্তাহাব। আনাস (রা.) বলেন, ‘আমরা একবার বৃষ্টি বর্ষণকালে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি তাঁর শরীরের একাংশ উদোম করে বৃষ্টির পানি লাগালেন। আমরা কারণ জানতে চাইলে তিনি বললেন, ‘বৃষ্টি আল্লাহর রহমত ও বরকত।’ (মুসলিম: ১৯৫৬)
পাঁচ. বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দুই সময়ের দোয়া প্রত্যাখ্যাত হয় না। এক. আজানের সময়, দুই. বৃষ্টির সময়।’ (কিতাবুল উম্ম: ১৪৬৯)
লেখক: শিক্ষক, জামেয়াতুস সুন্নাহ, ঝিনাইদহ
বৃষ্টি আল্লাহ তাআলার এক বিশেষ নিয়ামত। এ নিয়ামতে সঞ্জীবিত হয় ফেটে চৌচির হওয়া শুকনো মাটি। সজীব হয়ে ওঠে ফসলের মাঠ। প্রাণবন্ত হয় আমাদের চারপাশ। একটুখানি বৃষ্টির পরশে মানবদেহে অনুভূত হয় পরম শীতলতা। শুধু মানবদেহেই নয়, বরং পশুপাখিরাও পায় স্বস্তির শ্বাস ও উৎকৃষ্ট রিজিক। এককথায় বৃষ্টির মাঝে লুকিয়ে থাকে আল্লাহ তাআলার অজস্র নিয়ামত। আর এ বিশেষ নিয়ামত বর্ষণের সময় রয়েছে কিছু সুন্নত আমল
এক. বৃষ্টির সময় আল্লাহ তাআলার কাছে কল্যাণকর বৃষ্টির দোয়া করা সুন্নত। রাসুল (সা.) বৃষ্টির সময়ে এই দোয়া পাঠ করতেন, ‘আল্লাহুম্মা সায়্যিবান নাফিআ’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ আপনি কল্যাণকর বৃষ্টি দান করুন।’ (বুখারি: ৬৯১)
দুই. বৃষ্টির সময় অন্তরে খোদাভীতি জাগ্রত করা সুন্নত। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হলে ও ঝোড়ো হাওয়া প্রবাহিত হলে, রাসুল (সা.)-এর চেহারায় বিষণ্নতা অনুভূত হতো, এদিক-সেদিক পায়চারি করতেন এবং (এই ভেবে) ঘাবড়ে যেতেন যে এটি আল্লাহর আজাব কি না।’ (মুসলিম: ১৯৫৭)
তিন. বৃষ্টিকে অশুভ মনে না করে আল্লাহর রহমত বলে মনে করা উচিত। আয়েশা (রা.) বলেন, নবী (সা.) যখন বৃষ্টি দেখতেন তখন বলতেন, ‘এ তো আল্লাহর রহমত।’ (মুসলিম: ১৯৫৭)
চার. বৃষ্টির পানি গায়ে লাগানো নবীজির মুস্তাহাব। আনাস (রা.) বলেন, ‘আমরা একবার বৃষ্টি বর্ষণকালে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি তাঁর শরীরের একাংশ উদোম করে বৃষ্টির পানি লাগালেন। আমরা কারণ জানতে চাইলে তিনি বললেন, ‘বৃষ্টি আল্লাহর রহমত ও বরকত।’ (মুসলিম: ১৯৫৬)
পাঁচ. বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দুই সময়ের দোয়া প্রত্যাখ্যাত হয় না। এক. আজানের সময়, দুই. বৃষ্টির সময়।’ (কিতাবুল উম্ম: ১৪৬৯)
লেখক: শিক্ষক, জামেয়াতুস সুন্নাহ, ঝিনাইদহ
কোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
৮ ঘণ্টা আগেআল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
১ দিন আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
১ দিন আগে