Ajker Patrika

নারীদের নাক-কান ফোঁড়ানোর বিধান

মুফতি আবু দারদা
আপডেট : ১৪ জুন ২০২৩, ১৬: ৪৫
নারীদের নাক-কান ফোঁড়ানোর বিধান

ইসলামের দৃষ্টিতে নারীদের জন্য নাক-কান ফোঁড়ানো জায়েজ। শরিয়তের পক্ষ থেকে এতে কোনো বাধা নেই। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সময়ের বিভিন্ন ঘটনা থেকে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। নারীদের নাক-কান ফোঁড়ানোতে কখনো নিষেধ বা নিরুৎসাহিতও করেননি তিনি। তাই গয়না পরার জন্য নারীদের নাক-কান ফোঁড়ানো ইসলামে সম্পূর্ণ বৈধ বিষয়।

হাদিসে এসেছে, হজরত আবদুর রহমান ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। আমি এক ব্যক্তিকে ইবনে আব্বাস (রা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করতে শুনেছি, ‘ঈদুল ফিতর বা আজহার কোনো একটিতে কি আপনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন?’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ। অবশ্যই তাঁর সঙ্গে আমার এত ঘনিষ্ঠতা না থাকলে স্বল্প বয়সের কারণে আমি তাঁর সঙ্গে উপস্থিত হতে পারতাম না।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বের হলেন। তারপর নামাজ আদায় করলেন। খুতবা দিলেন।’

ইবনে আব্বাস (রা.) এখানে আজান ও ইকামতের কথা উল্লেখ করেননি। ‘এরপর তিনি নারীদের কাছে এলেন এবং তাদের ওয়াজ-নসিহত করলেন। তাদের দান-সদকা করার আদেশ দিলেন। আমি দেখলাম, তারা তাদের কান ও গলার দিকে হাত প্রসারিত করে (কান ও গলায় পরিহিত গয়নাগুলো) হজরত বিলাল (রা.)-এর কাছে দিয়ে দিচ্ছেন। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) হজরত বিলাল (রা.)-এর ঘরে গেলেন।’ (বুখারি)

আরেকটি দীর্ঘ হাদিসের একাংশে এসেছে, একাদশতম নারী বলল, ‘আমার স্বামী আবু জারা। তার কথা আমি কী বলব? সে আমাকে এত বেশি গয়না দিয়েছে যে আমার কান ভারী হয়ে গেছে।...’ হজরত আয়েশা (রা.) বললেন, ‘হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, ‘আবু জারা তার স্ত্রী উম্মে জারার জন্য যেমন, আমিও তোমার প্রতি তেমন।’ (বুখারি) 

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকেরা পাচ্ছেন গেজেটেড মর্যাদা

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে আরেকটি প্রক্সি ওয়ারে জড়াতে চায়: ফরহাদ মজহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত