মুফতি আবু দারদা
ইসলামের দৃষ্টিতে নারীদের জন্য নাক-কান ফোঁড়ানো জায়েজ। শরিয়তের পক্ষ থেকে এতে কোনো বাধা নেই। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সময়ের বিভিন্ন ঘটনা থেকে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। নারীদের নাক-কান ফোঁড়ানোতে কখনো নিষেধ বা নিরুৎসাহিতও করেননি তিনি। তাই গয়না পরার জন্য নারীদের নাক-কান ফোঁড়ানো ইসলামে সম্পূর্ণ বৈধ বিষয়।
হাদিসে এসেছে, হজরত আবদুর রহমান ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। আমি এক ব্যক্তিকে ইবনে আব্বাস (রা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করতে শুনেছি, ‘ঈদুল ফিতর বা আজহার কোনো একটিতে কি আপনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন?’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ। অবশ্যই তাঁর সঙ্গে আমার এত ঘনিষ্ঠতা না থাকলে স্বল্প বয়সের কারণে আমি তাঁর সঙ্গে উপস্থিত হতে পারতাম না।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বের হলেন। তারপর নামাজ আদায় করলেন। খুতবা দিলেন।’
ইবনে আব্বাস (রা.) এখানে আজান ও ইকামতের কথা উল্লেখ করেননি। ‘এরপর তিনি নারীদের কাছে এলেন এবং তাদের ওয়াজ-নসিহত করলেন। তাদের দান-সদকা করার আদেশ দিলেন। আমি দেখলাম, তারা তাদের কান ও গলার দিকে হাত প্রসারিত করে (কান ও গলায় পরিহিত গয়নাগুলো) হজরত বিলাল (রা.)-এর কাছে দিয়ে দিচ্ছেন। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) হজরত বিলাল (রা.)-এর ঘরে গেলেন।’ (বুখারি)
আরেকটি দীর্ঘ হাদিসের একাংশে এসেছে, একাদশতম নারী বলল, ‘আমার স্বামী আবু জারা। তার কথা আমি কী বলব? সে আমাকে এত বেশি গয়না দিয়েছে যে আমার কান ভারী হয়ে গেছে।...’ হজরত আয়েশা (রা.) বললেন, ‘হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, ‘আবু জারা তার স্ত্রী উম্মে জারার জন্য যেমন, আমিও তোমার প্রতি তেমন।’ (বুখারি)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলামের দৃষ্টিতে নারীদের জন্য নাক-কান ফোঁড়ানো জায়েজ। শরিয়তের পক্ষ থেকে এতে কোনো বাধা নেই। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সময়ের বিভিন্ন ঘটনা থেকে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। নারীদের নাক-কান ফোঁড়ানোতে কখনো নিষেধ বা নিরুৎসাহিতও করেননি তিনি। তাই গয়না পরার জন্য নারীদের নাক-কান ফোঁড়ানো ইসলামে সম্পূর্ণ বৈধ বিষয়।
হাদিসে এসেছে, হজরত আবদুর রহমান ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। আমি এক ব্যক্তিকে ইবনে আব্বাস (রা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করতে শুনেছি, ‘ঈদুল ফিতর বা আজহার কোনো একটিতে কি আপনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন?’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ। অবশ্যই তাঁর সঙ্গে আমার এত ঘনিষ্ঠতা না থাকলে স্বল্প বয়সের কারণে আমি তাঁর সঙ্গে উপস্থিত হতে পারতাম না।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বের হলেন। তারপর নামাজ আদায় করলেন। খুতবা দিলেন।’
ইবনে আব্বাস (রা.) এখানে আজান ও ইকামতের কথা উল্লেখ করেননি। ‘এরপর তিনি নারীদের কাছে এলেন এবং তাদের ওয়াজ-নসিহত করলেন। তাদের দান-সদকা করার আদেশ দিলেন। আমি দেখলাম, তারা তাদের কান ও গলার দিকে হাত প্রসারিত করে (কান ও গলায় পরিহিত গয়নাগুলো) হজরত বিলাল (রা.)-এর কাছে দিয়ে দিচ্ছেন। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) হজরত বিলাল (রা.)-এর ঘরে গেলেন।’ (বুখারি)
আরেকটি দীর্ঘ হাদিসের একাংশে এসেছে, একাদশতম নারী বলল, ‘আমার স্বামী আবু জারা। তার কথা আমি কী বলব? সে আমাকে এত বেশি গয়না দিয়েছে যে আমার কান ভারী হয়ে গেছে।...’ হজরত আয়েশা (রা.) বললেন, ‘হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, ‘আবু জারা তার স্ত্রী উম্মে জারার জন্য যেমন, আমিও তোমার প্রতি তেমন।’ (বুখারি)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা এই পঙ্ক্তিগুলো শুধু কাব্যের সৌন্দর্য নয়, এগুলো একটি চেতনার ঘোষণা। কাজী নজরুল ইসলাম এই চার লাইনের মধ্যে তুলে ধরেছেন ইসলামের সর্বজনীনতা, সাম্যের দীক্ষা এবং মানবতাবাদের এক অভিন্ন বার্তা। কিন্তু আমরা যখন এই কবিতার আলোকে বর্তমান বাংলাদেশের দিকে তাকাই, তখন অনেক প্রশ্ন ভিড়...
৩ ঘণ্টা আগেমানুষ হিসেবে আমাদের একটি স্বভাবজাত চাহিদা হলো, আমরা নিজেদের প্রশংসা শুনতে খুব পছন্দ করি। প্রশংসা মিথ্যা হলেও বলতে বারণ করি না, শুনতেই থাকি। বরং আরও বেশি কামনা করি। এর বিপরীতে নিন্দা বা সমালোচনা একদমই সহ্য করতে পারি না। চরম বাস্তব ও সত্য হলেও সমালোচককে থামিয়ে দিই। ক্ষমতা থাকলে নিন্দুককে দমিয়ে দিই...
৭ ঘণ্টা আগেসুখী সংসার গঠনে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হয়। বিশেষ করে স্বামীকে হতে হয় খুব সচেতন, দায়িত্ববান এবং চিন্তাশীল। ঘরে ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে তাকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করা সচেতন পুরুষের পরিচয়। এটি নবী করিম (সা.)-এর সুন্নত। এতে অত্যন্ত সওয়াবও পাওয়া যায়।
৯ ঘণ্টা আগেবিশ্বাসভঙ্গের এক নির্মম রূপ বিশ্বাসঘাতকতা বা গাদ্দারি। এটি বিশ্বাসের বন্ধন ছিন্ন করে দেয়। বিশ্বাস মানুষের মনে-প্রাণে আস্থার দেয়াল গড়ে তোলে। আর বিশ্বাসঘাতকতা সেই দেয়ালে আঘাত করে ভেঙে ফেলে সবকিছু।
১৫ ঘণ্টা আগে