ইসলাম ডেস্ক
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কার বিখ্যাত বনি হাশিম গোত্রে সোমবার দিন জন্মগ্রহণ করেন। গ্রেগরীয় ক্যালেন্ডার অনুসারে, দিনটি ৫৭০ বা ৫৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২০ বা ২২ এপ্রিল ছিল বলে জানা যায়, যা আরবি ক্যালেন্ডারের হিসাবে রবিউল আউয়াল মাসের ৯ তারিখ বা ১২ তারিখ। এ বিষয়ে বিস্তর মতভেদ রয়েছে। বিশিষ্ট সিরাত গবেষক সোলায়মান মনসুরপুরি ৯ রবিউল আউয়ালে তাঁর জন্ম হয়েছে বলে মত দিয়েছেন। (রহমাতুল্লিল আলামিন: ১ / ৩৮-৩৯)
ঐতিহাসিক ইবনে সাআদ থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর মা আমিনা বলেছেন, ‘যখন তাঁর জন্ম হয়েছিল তখন আমার শরীর থেকে একটি জ্যোতি বের হয়েছিল, যাতে শাম দেশের (বর্তমান সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন ও ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন ভূখণ্ড) অট্টালিকাগুলো আলোকিত হয়েছিল।’ (ইবনে সাআদ: ১ / ৬৩)
সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরপরই মা আমিনা তাঁর শ্বশুর আবদুল মুত্তালিবের কাছে পুত্রের জন্মগ্রহণের সুখবর পাঠান। খবর শুনেই মুত্তালিব আনন্দে আত্মহারা হয়ে প্রসূতির ঘরে প্রবেশ করেন এবং নবজাতককে কোলে নিয়ে পবিত্র কাবাঘরে উপস্থিত হন। এরপর অশ্রুসজল নয়নে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করতে থাকেন এবং নবজাতকের সার্বিক কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করতে থাকেন। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, এই নবজাতকের নাম রাখবেন মুহাম্মদ। আরবে এই নাম তখন বিরল ছিল। এরপর আরবের প্রচলিত প্রথানুযায়ী সপ্তম দিনে নবজাতকের খতনা করা হয়। (ইবনে হিশাম: ১ / ১৫৯-১৬০)
জন্মের পর মায়ের স্তন্যপান করেন শিশু মুহাম্মদ (সা.)। এরপর চাচা আবু লাহাবের দাসী সুওয়ায়বা তাঁকে দুধপান করান। (মুখতাসারুস সিরাহ: ১৩)
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কার বিখ্যাত বনি হাশিম গোত্রে সোমবার দিন জন্মগ্রহণ করেন। গ্রেগরীয় ক্যালেন্ডার অনুসারে, দিনটি ৫৭০ বা ৫৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২০ বা ২২ এপ্রিল ছিল বলে জানা যায়, যা আরবি ক্যালেন্ডারের হিসাবে রবিউল আউয়াল মাসের ৯ তারিখ বা ১২ তারিখ। এ বিষয়ে বিস্তর মতভেদ রয়েছে। বিশিষ্ট সিরাত গবেষক সোলায়মান মনসুরপুরি ৯ রবিউল আউয়ালে তাঁর জন্ম হয়েছে বলে মত দিয়েছেন। (রহমাতুল্লিল আলামিন: ১ / ৩৮-৩৯)
ঐতিহাসিক ইবনে সাআদ থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর মা আমিনা বলেছেন, ‘যখন তাঁর জন্ম হয়েছিল তখন আমার শরীর থেকে একটি জ্যোতি বের হয়েছিল, যাতে শাম দেশের (বর্তমান সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন ও ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন ভূখণ্ড) অট্টালিকাগুলো আলোকিত হয়েছিল।’ (ইবনে সাআদ: ১ / ৬৩)
সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরপরই মা আমিনা তাঁর শ্বশুর আবদুল মুত্তালিবের কাছে পুত্রের জন্মগ্রহণের সুখবর পাঠান। খবর শুনেই মুত্তালিব আনন্দে আত্মহারা হয়ে প্রসূতির ঘরে প্রবেশ করেন এবং নবজাতককে কোলে নিয়ে পবিত্র কাবাঘরে উপস্থিত হন। এরপর অশ্রুসজল নয়নে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করতে থাকেন এবং নবজাতকের সার্বিক কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করতে থাকেন। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, এই নবজাতকের নাম রাখবেন মুহাম্মদ। আরবে এই নাম তখন বিরল ছিল। এরপর আরবের প্রচলিত প্রথানুযায়ী সপ্তম দিনে নবজাতকের খতনা করা হয়। (ইবনে হিশাম: ১ / ১৫৯-১৬০)
জন্মের পর মায়ের স্তন্যপান করেন শিশু মুহাম্মদ (সা.)। এরপর চাচা আবু লাহাবের দাসী সুওয়ায়বা তাঁকে দুধপান করান। (মুখতাসারুস সিরাহ: ১৩)
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। ছিলেন দয়া ও ভালোবাসার মূর্ত প্রতীক। জাতি, ধর্ম, বর্ণনির্বিশেষে সবার জন্য ছিল তাঁর বুকভরা দরদ আর ভালোবাসা। তাঁর চরিত্রের অতি বিস্ময়কর একটি দিক ছিল, সবার সঙ্গে তিনি ভালো ব্যবহার করতেন। সুন্দর আচরণ করতেন। বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়াতেন।
৩ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআন মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন এক মহামানবের ওপর নাজিল হয়েছে, যিনি ছিলেন উম্মি; যাঁর কোনো অক্ষরজ্ঞান ছিল না। এটিই প্রমাণ করে, এ গ্রন্থের চমকপ্রদ আলংকারিক ভাষা ও শৈলী কোনো নিরক্ষর মানুষের ব্যক্তিগত ভাষা হতে পারে না। এই মহাগ্রন্থের অলৌকিকতা বিশেষ করে এর সাহিত্য ও ভাষাশৈলীতে নিহিত।
১৫ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২১ ঘণ্টা আগেমানবজাতিকে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য, অগণিত নিয়ামত দান করেছেন। এর মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অতুলনীয় দুটি নিয়ামত হলো—১. ইসলাম, ২. মহানবী (সা.)। এই দুই নিয়ামতের প্রভাব মানবজীবনে চিরস্থায়ী ও সর্বজনীন। তাই এই দুই নিয়ামত নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হলো:
২ দিন আগে