ইজাজুল হক, ঢাকা
সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষায় ঐক্য জরুরি বিষয়। পবিত্র কোরআনে বারবার মুমিনদের ঐক্যের ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে। বিভাজন বিশৃঙ্খলা উসকে দেয়; অশান্তি সৃষ্টি করে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধরে রেখো এবং বিভেদ কোরো না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর নিয়ামতের কথা স্মরণ করো।
তোমরা একে অপরের শত্রু ছিলে, আল্লাহ তোমাদের অন্তরগুলো জুড়ে দিলেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা ভাই ভাই হয়ে গেলে। …’ (সুরা আল ইমরান: ১০৩)
দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে বিবাদে জড়ানো মুমিনদের কাজ নয়। মুসলমানেরা যখন বিভেদ জিইয়ে রাখে, তখন ধীরে ধীরে তাদের শক্তি নিঃশেষ হয়ে যায় এবং শত্রুদের সামনে টিকে থাকা তাদের জন্য মুশকিল হয়ে পড়ে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য করো এবং পরস্পর কলহ কোরো না। অন্যথায় তোমরা দুর্বল হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব বিলুপ্ত হবে। …’ (সুরা আনফাল: ৪৬)
বিভেদ তৈরি হয়ে গেলে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ ত্যাগ করে কোরআন-সুন্নাহর সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়াই মুমিনের কাজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে বিরোধ দেখা দিলে আল্লাহ ও রাসুলের ওপরই বিষয়টি ন্যস্ত করো, যদি তোমরা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী হয়ে থাকো। এটাই উৎকৃষ্ট পন্থা এবং এর পরিণামও সর্বাপেক্ষা শুভ।’ (সুরা নিসা: ৫৯)
বিবদমান দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা করে দেওয়া অন্য মুসলমানদের দায়িত্ব। ইনসাফ ও তাকওয়ার ভিত্তিতে তাদের মধ্যে সন্ধি স্থাপন করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এ কথারই নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘সব মুমিন ভাই ভাই। কাজেই তোমাদের ভাইদের মধ্যে শান্তি-সমঝোতা করে দাও। আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও।’ (সুরা হুজরাত: ১০)
কখনো যদি মুসলমানদের বিভেদ চরমে পৌঁছায় এবং তা যুদ্ধ ও হানাহানিতে রূপ নেয়, তখন সবার জন্য সমঝোতার পথ অবলম্বন করা আবশ্যক। তবে সমঝোতার পরও কেউ সীমা লঙ্ঘন করলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুমিনদের দুটি দল যদি নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে লিপ্ত হয়, তবে তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দাও। এরপর তাদের এক দল যদি অন্য দলের ওপর বাড়াবাড়ি করে, তবে বাড়াবাড়ি করা দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো—যতক্ষণ না তারা আল্লাহর ফায়সালার পথে ফিরে না আসে। …’ (সুরা হুজরাত: ৯)
মুসলমানের মধ্যে বিভেদ ও বিদ্বেষ জিইয়ে রাখা শয়তানের কাজ। তাই বিভেদ দূর করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করতে হবে। সহিষ্ণুতা, কল্যাণকামিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ সুদৃঢ় করতে হবে। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে হবে। অন্যের দোষ চর্চা, বদনাম এবং অন্যের নামে মিথ্যা কথা ছড়ানো এ পথের প্রধান অন্তরায়। এসব থেকে নিজেদের বিরত রাখতে হবে।
সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষায় ঐক্য জরুরি বিষয়। পবিত্র কোরআনে বারবার মুমিনদের ঐক্যের ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে। বিভাজন বিশৃঙ্খলা উসকে দেয়; অশান্তি সৃষ্টি করে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধরে রেখো এবং বিভেদ কোরো না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর নিয়ামতের কথা স্মরণ করো।
তোমরা একে অপরের শত্রু ছিলে, আল্লাহ তোমাদের অন্তরগুলো জুড়ে দিলেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা ভাই ভাই হয়ে গেলে। …’ (সুরা আল ইমরান: ১০৩)
দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে বিবাদে জড়ানো মুমিনদের কাজ নয়। মুসলমানেরা যখন বিভেদ জিইয়ে রাখে, তখন ধীরে ধীরে তাদের শক্তি নিঃশেষ হয়ে যায় এবং শত্রুদের সামনে টিকে থাকা তাদের জন্য মুশকিল হয়ে পড়ে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য করো এবং পরস্পর কলহ কোরো না। অন্যথায় তোমরা দুর্বল হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব বিলুপ্ত হবে। …’ (সুরা আনফাল: ৪৬)
বিভেদ তৈরি হয়ে গেলে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ ত্যাগ করে কোরআন-সুন্নাহর সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়াই মুমিনের কাজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে বিরোধ দেখা দিলে আল্লাহ ও রাসুলের ওপরই বিষয়টি ন্যস্ত করো, যদি তোমরা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী হয়ে থাকো। এটাই উৎকৃষ্ট পন্থা এবং এর পরিণামও সর্বাপেক্ষা শুভ।’ (সুরা নিসা: ৫৯)
বিবদমান দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা করে দেওয়া অন্য মুসলমানদের দায়িত্ব। ইনসাফ ও তাকওয়ার ভিত্তিতে তাদের মধ্যে সন্ধি স্থাপন করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এ কথারই নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘সব মুমিন ভাই ভাই। কাজেই তোমাদের ভাইদের মধ্যে শান্তি-সমঝোতা করে দাও। আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও।’ (সুরা হুজরাত: ১০)
কখনো যদি মুসলমানদের বিভেদ চরমে পৌঁছায় এবং তা যুদ্ধ ও হানাহানিতে রূপ নেয়, তখন সবার জন্য সমঝোতার পথ অবলম্বন করা আবশ্যক। তবে সমঝোতার পরও কেউ সীমা লঙ্ঘন করলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুমিনদের দুটি দল যদি নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে লিপ্ত হয়, তবে তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দাও। এরপর তাদের এক দল যদি অন্য দলের ওপর বাড়াবাড়ি করে, তবে বাড়াবাড়ি করা দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো—যতক্ষণ না তারা আল্লাহর ফায়সালার পথে ফিরে না আসে। …’ (সুরা হুজরাত: ৯)
মুসলমানের মধ্যে বিভেদ ও বিদ্বেষ জিইয়ে রাখা শয়তানের কাজ। তাই বিভেদ দূর করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করতে হবে। সহিষ্ণুতা, কল্যাণকামিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ সুদৃঢ় করতে হবে। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে হবে। অন্যের দোষ চর্চা, বদনাম এবং অন্যের নামে মিথ্যা কথা ছড়ানো এ পথের প্রধান অন্তরায়। এসব থেকে নিজেদের বিরত রাখতে হবে।
দানশীলতা ও উদারতা ছিল মহানবী (সা.)-এর চরিত্রের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য। তাঁর এই গুণ ছিল সর্বজনবিদিত। হাদিস এসেছে, ‘রাসুল (সা.) সব মানুষের চেয়ে বেশি দানশীল ছিলেন।’ (সহিহ্ বুখারি)। দানশীল ব্যক্তিদের একটি বিশেষ গুণ হলো, তাঁরা অতিথিদের খুব আদর-আপ্যায়ন করেন
২ ঘণ্টা আগেমানুষের স্বভাবজাত দুইটি বৈশিষ্ট্য হলো কোমলতা ও কঠোরতা। তবে মানবিক সম্পর্ক, সামাজিক সংহতি, এমনকি আল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগেও প্রয়োজন হয় হৃদয়ের কোমলতা ও নম্রতার। কারণ সম্পর্ক গড়ে উঠে ভালোবাসা, সহানুভূতি ও মানবিক আচরণের মধ্যে দিয়ে। আর রূঢ় ও কঠোরতায় সম্পর্কের বিনাশ ঘটে।
১৫ ঘণ্টা আগেআল্লাহর ইচ্ছায় মানুষ দুনিয়ায় আসে অল্প সময়ের জন্য—শূন্য হাতে জন্ম, শূন্য হাতেই বিদায়। জন্ম যাত্রার সূচনা, মৃত্যু তার অবশ্যম্ভাবী সমাপ্তি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
১৯ ঘণ্টা আগেআল্লাহ তাআলা মানুষকে পরিশ্রমনির্ভর করে সৃষ্টি করেছেন। তাই দিনের বেলায় নানা কাজ শেষে রাতে মানুষ বিশ্রাম নেয়। প্রশান্তিময় বিশ্রামের সর্বোত্তম উপায় হলো ঘুম। তবে শোয়ার আগে শরীর ও মনকে পবিত্র করে নেওয়া উচিত।
১ দিন আগে