ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
মানবজীবনে সুখ-দুঃখ, প্রাচুর্য ও অভাব—সবই আল্লাহর পরীক্ষা। কখনো আল্লাহ তাআলা ধনসম্পদ ও নিয়ামতের প্রাচুর্য দান করেন, আবার কখনো অভাব-অনটন ও সংকটে মানুষকে পরীক্ষা করেন। দুর্বল ইমানদার মানুষ বিপদে ধৈর্যহারা হয়ে পড়ে, কিন্তু মুমিনেরা প্রতিটি অবস্থায় আল্লাহর ওপর ভরসা করে এবং তাঁরই কাছে মুক্তি প্রার্থনা করে।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেছেন, ‘যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের নিয়ামত বাড়িয়ে দেব, আর অকৃতজ্ঞ হলে আমার শাস্তি হবে কঠিন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৭)
রিজিকের মালিক কেবল আল্লাহ। তিনি চান তো সীমাহীন রিজিক দান করেন, আর চান তো অভাবের মাধ্যমে বান্দাকে পরীক্ষা করেন। তাই অভাব-অনটনের সময় হতাশ হওয়া যাবে না; বরং আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে চেষ্টা ও দোয়া অব্যাহত রাখতে হবে।
হাদিসে এসেছে, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘হে আদম সন্তান, আমার ইবাদতের জন্য ঝামেলামুক্ত হও, আমি তোমার অন্তরকে প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেব এবং অভাব দূর করে দেব।’ (জামে তিরমিজি)
দারিদ্র্য থেকে মুক্তির জন্য দোয়া পড়া উত্তম আমল। যেমন, হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল ফাকরি, ওয়াল কিল্লাতি, ওয়াজ্জিল্লাতি, ওয়া আউজুবিকা মিন আন আজলিমা আও উজলামা।’ (সহিহ বুখারি: ১৫৪৪)
অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দারিদ্র্য, কমতি ও অসম্মান থেকে। আবার আশ্রয় চাই, কাউকে জুলুম করা থেকে বা কারও দ্বারা জুলুমের শিকার হওয়া থেকে।
এ ছাড়া সাইয়েদুল ইস্তিগফার নিয়মিত পাঠ করা অভাব দূর হওয়ার অন্যতম মাধ্যম। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে বা সন্ধ্যায় এটি পড়ে এবং মারা যায়, সে জান্নাতি হবে।’ (সহিহ বুখারি)
অভাব-অনটন ও দুর্ভিক্ষ থেকে বাঁচতে রাসুল (সা.) সর্বদা আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন। যেমন, ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধা থেকে, কেননা তা নিকৃষ্ট সঙ্গী।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫৪৭)
সর্বশেষ, নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করাও অভাব-অনটন দূর হওয়ার অন্যতম আমল। আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো, তবে আমি তোমাদের বাড়িয়ে দেব।’ (সুরা ইবরাহিম: ৭)
আল্লাহ তাআলা আমাদের রিজিকে বরকত দিন, বিপদ-আপদ ও অভাব-অনটন থেকে হেফাজত করুন।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
মানবজীবনে সুখ-দুঃখ, প্রাচুর্য ও অভাব—সবই আল্লাহর পরীক্ষা। কখনো আল্লাহ তাআলা ধনসম্পদ ও নিয়ামতের প্রাচুর্য দান করেন, আবার কখনো অভাব-অনটন ও সংকটে মানুষকে পরীক্ষা করেন। দুর্বল ইমানদার মানুষ বিপদে ধৈর্যহারা হয়ে পড়ে, কিন্তু মুমিনেরা প্রতিটি অবস্থায় আল্লাহর ওপর ভরসা করে এবং তাঁরই কাছে মুক্তি প্রার্থনা করে।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেছেন, ‘যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের নিয়ামত বাড়িয়ে দেব, আর অকৃতজ্ঞ হলে আমার শাস্তি হবে কঠিন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৭)
রিজিকের মালিক কেবল আল্লাহ। তিনি চান তো সীমাহীন রিজিক দান করেন, আর চান তো অভাবের মাধ্যমে বান্দাকে পরীক্ষা করেন। তাই অভাব-অনটনের সময় হতাশ হওয়া যাবে না; বরং আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে চেষ্টা ও দোয়া অব্যাহত রাখতে হবে।
হাদিসে এসেছে, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘হে আদম সন্তান, আমার ইবাদতের জন্য ঝামেলামুক্ত হও, আমি তোমার অন্তরকে প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেব এবং অভাব দূর করে দেব।’ (জামে তিরমিজি)
দারিদ্র্য থেকে মুক্তির জন্য দোয়া পড়া উত্তম আমল। যেমন, হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল ফাকরি, ওয়াল কিল্লাতি, ওয়াজ্জিল্লাতি, ওয়া আউজুবিকা মিন আন আজলিমা আও উজলামা।’ (সহিহ বুখারি: ১৫৪৪)
অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দারিদ্র্য, কমতি ও অসম্মান থেকে। আবার আশ্রয় চাই, কাউকে জুলুম করা থেকে বা কারও দ্বারা জুলুমের শিকার হওয়া থেকে।
এ ছাড়া সাইয়েদুল ইস্তিগফার নিয়মিত পাঠ করা অভাব দূর হওয়ার অন্যতম মাধ্যম। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে বা সন্ধ্যায় এটি পড়ে এবং মারা যায়, সে জান্নাতি হবে।’ (সহিহ বুখারি)
অভাব-অনটন ও দুর্ভিক্ষ থেকে বাঁচতে রাসুল (সা.) সর্বদা আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন। যেমন, ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধা থেকে, কেননা তা নিকৃষ্ট সঙ্গী।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫৪৭)
সর্বশেষ, নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করাও অভাব-অনটন দূর হওয়ার অন্যতম আমল। আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো, তবে আমি তোমাদের বাড়িয়ে দেব।’ (সুরা ইবরাহিম: ৭)
আল্লাহ তাআলা আমাদের রিজিকে বরকত দিন, বিপদ-আপদ ও অভাব-অনটন থেকে হেফাজত করুন।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
ইসলামি শরিয়তে সন্তানের সঠিক পরিচর্যা, নৈতিক উন্নয়ন, পারলৌকিক ও পার্থিব কল্যাণ, উত্তম গুণাবলি, আত্মশুদ্ধি ও আদর্শ নৈতিকতা গড়ে তোলার প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন থেকে রক্ষা করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ...
২ ঘণ্টা আগেরাগ মানুষের একটি মন্দ স্বভাব—যা মানুষের জীবনের সুখ-শান্তি কেড়ে নেয়। অতিরিক্ত রাগ মানুষের বিবেক বোধকে নষ্ট করে দেয়, স্মৃতিশক্তি লোপ করে এবং সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করে দেয়। তাই ইসলামে রাগ নিয়ন্ত্রণের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেদুটি জিনিসের কারণে মানুষ আল্লাহবিমুখ হয়। ভুলে যায় তার স্রষ্টাকে এবং তাঁর দেওয়া দৈনন্দিন পালনীয় আদেশ-নিষেধ। এক. ধনসম্পদের আধিক্য ও প্রাচুর্য। দুই. নিজ সন্তান। মূলত এ দুটি জিনিসই মানুষের জন্য পরীক্ষার বস্তু। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততি তো পরীক্ষার বস্তু।
১৩ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে