মুফতি আইয়ুব নাদীম
যাপিত জীবনে অনেক সময় মানুষ নানা বিপদ-আপদ ও দুঃখ-কষ্টের সম্মুখীন হয়ে থাকে। তাই তা থেকে মুক্তি সম্পর্কিত কোরআনে বর্ণিত চারটি পরীক্ষিত দোয়া ও আমলের কথা তুলে ধরা হলো।
এক. মুসিবত: যখন নানা ধরনের বালা-মুসিবত ও চিন্তা পেরেশানের মধ্যে পতিত হবে, তখন নিম্নোক্ত দোয়া পড়া—
‘লা-ইলাহা, ইল্লা-আনতা, সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ-জালিমিন।’
অর্থ: ‘ (হে আল্লাহ) তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তুমি সকল ত্রুটি থেকে পবিত্র। নিশ্চয়ই আমি অপরাধী।’
কারণ পবিত্র কোরআনে এর পরের আয়াতে এসেছে, ‘যার তখন আমি তার দোয়া কবুল করলাম এবং তাকে সংকট থেকে মুক্তি দিলাম। এভাবেই আমি ইমানদারদের মুক্তি দিয়ে থাকি।’ (সুরা আম্বিয়া: ৮৮)
দুই. কাজ সম্পাদন: দ্বীন-দুনিয়ার যেকোনো কাজ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পাদনের জন্য নিম্নোক্ত দোয়া পড়া—
‘হাসবুনাল্লাহু, ওয়া-নিমাল ওয়াকিল।’
অর্থ: ‘আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট এবং তিনি উত্তম কর্মবিধায়ক।’
কারণ বান্দা যখন উক্ত দোয়া পড়ে, তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পরিণামে তারা আল্লাহর নেয়ামত ও অনুগ্রহ নিয়ে এভাবে ফিরে এল যে, বিন্দুমাত্র অনিষ্ট তাদের স্পর্শ করেনি। তারা আল্লাহ যাতে খুশি হন তার অনুসরণ করেছে। বস্তুত আল্লাহ মহা অনুগ্রহের মালিক।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৭৪)
তিন. হিংসুক থেকে বাঁচা: হিংসা থেকে নিরাপদ থাকার জন্য মহান আল্লাহর সমীপে এই দোয়া পড়া যায়—
‘ওয়া উফাউ-উইজু, আমরি ইলাল্লাহ।’
অর্থ: ‘আমি আমার বিষয় আল্লাহর ওপর অর্পণ করেছি।’
কারণ এরপর আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘অতঃপর তারা যেসব নিকৃষ্ট ষড়যন্ত্র করেছিল, আল্লাহ তাকে (সেই মুমিন ব্যক্তিকে) তা থেকে রক্ষা করলেন, আর ফেরাউনের সম্প্রদায়কে পরিবেষ্টন করল নিকৃষ্টতম শাস্তি।’ (সুরা মুমিন: ৪৫)
চার. জান্নাত লাভ: দুনিয়াতে এমন কেউ নেই জান্নাতে যেতে চায় না। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ জান্নাতে যেতে চায়। তাই জান্নাতে পাওয়ার জন্য নিম্নোক্ত দোয়া অধিক পরিমাণে পড়া—
উচ্চারণ: মা-শা-আল্লাহ, লা-কুউওয়াতা ইল্লা-বিল্লাহ।
অর্থ: ‘আল্লাহ যা চান তাই হয়। আল্লাহর তৌফিক ছাড়া কারও কোনো ক্ষমতা নেই।’
কারণ কোরআনে পরের আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তবে আমার প্রতিপালকের পক্ষে অসম্ভব নয় যে, তিনি আমাকে তোমার বাগান উপেক্ষা উৎকৃষ্ট জিনিস দান করবেন।’ (সুরা কাহাফ: ৪০)
লেখক: মুহাদ্দিস ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
যাপিত জীবনে অনেক সময় মানুষ নানা বিপদ-আপদ ও দুঃখ-কষ্টের সম্মুখীন হয়ে থাকে। তাই তা থেকে মুক্তি সম্পর্কিত কোরআনে বর্ণিত চারটি পরীক্ষিত দোয়া ও আমলের কথা তুলে ধরা হলো।
এক. মুসিবত: যখন নানা ধরনের বালা-মুসিবত ও চিন্তা পেরেশানের মধ্যে পতিত হবে, তখন নিম্নোক্ত দোয়া পড়া—
‘লা-ইলাহা, ইল্লা-আনতা, সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ-জালিমিন।’
অর্থ: ‘ (হে আল্লাহ) তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তুমি সকল ত্রুটি থেকে পবিত্র। নিশ্চয়ই আমি অপরাধী।’
কারণ পবিত্র কোরআনে এর পরের আয়াতে এসেছে, ‘যার তখন আমি তার দোয়া কবুল করলাম এবং তাকে সংকট থেকে মুক্তি দিলাম। এভাবেই আমি ইমানদারদের মুক্তি দিয়ে থাকি।’ (সুরা আম্বিয়া: ৮৮)
দুই. কাজ সম্পাদন: দ্বীন-দুনিয়ার যেকোনো কাজ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পাদনের জন্য নিম্নোক্ত দোয়া পড়া—
‘হাসবুনাল্লাহু, ওয়া-নিমাল ওয়াকিল।’
অর্থ: ‘আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট এবং তিনি উত্তম কর্মবিধায়ক।’
কারণ বান্দা যখন উক্ত দোয়া পড়ে, তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পরিণামে তারা আল্লাহর নেয়ামত ও অনুগ্রহ নিয়ে এভাবে ফিরে এল যে, বিন্দুমাত্র অনিষ্ট তাদের স্পর্শ করেনি। তারা আল্লাহ যাতে খুশি হন তার অনুসরণ করেছে। বস্তুত আল্লাহ মহা অনুগ্রহের মালিক।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৭৪)
তিন. হিংসুক থেকে বাঁচা: হিংসা থেকে নিরাপদ থাকার জন্য মহান আল্লাহর সমীপে এই দোয়া পড়া যায়—
‘ওয়া উফাউ-উইজু, আমরি ইলাল্লাহ।’
অর্থ: ‘আমি আমার বিষয় আল্লাহর ওপর অর্পণ করেছি।’
কারণ এরপর আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘অতঃপর তারা যেসব নিকৃষ্ট ষড়যন্ত্র করেছিল, আল্লাহ তাকে (সেই মুমিন ব্যক্তিকে) তা থেকে রক্ষা করলেন, আর ফেরাউনের সম্প্রদায়কে পরিবেষ্টন করল নিকৃষ্টতম শাস্তি।’ (সুরা মুমিন: ৪৫)
চার. জান্নাত লাভ: দুনিয়াতে এমন কেউ নেই জান্নাতে যেতে চায় না। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ জান্নাতে যেতে চায়। তাই জান্নাতে পাওয়ার জন্য নিম্নোক্ত দোয়া অধিক পরিমাণে পড়া—
উচ্চারণ: মা-শা-আল্লাহ, লা-কুউওয়াতা ইল্লা-বিল্লাহ।
অর্থ: ‘আল্লাহ যা চান তাই হয়। আল্লাহর তৌফিক ছাড়া কারও কোনো ক্ষমতা নেই।’
কারণ কোরআনে পরের আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তবে আমার প্রতিপালকের পক্ষে অসম্ভব নয় যে, তিনি আমাকে তোমার বাগান উপেক্ষা উৎকৃষ্ট জিনিস দান করবেন।’ (সুরা কাহাফ: ৪০)
লেখক: মুহাদ্দিস ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
মানুষের জীবনের প্রতিটি কাজের মধ্যে মহানবী (সা.)-এর উত্তম আদর্শ বিদ্যমান। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি অধ্যায় তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করে সাজানো উচিত। খাবার গ্রহণ জীবনের একটি অপরিহার্য কাজ। যদি এ খাবার গ্রহণও মহানবী (সা.)-এর সুন্নাহ অনুযায়ী করা হয়, তাহলে ক্ষুধার নিবারণ হওয়ার পাশাপাশি এর মাধ্যমে...
১ দিন আগেজুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
২ দিন আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
২ দিন আগেজুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
২ দিন আগে