ধর্ম ও জীবন ডেস্ক
অনেকের ধারণা, অজু করার সময় প্রতিটি অঙ্গ ধোয়ার সময় বিসমিল্লাহ, কালিমায়ে শাহাদত এবং দরুদ শরিফ পড়া মুস্তাহাব। এ ছাড়া অনেকে প্রতিটি অঙ্গের জন্য আলাদা দোয়ার কথাও বলে থাকেন। এসব ভিত্তিহীন। এসব দোয়াকে সুন্নত বা মুস্তাহাব মনে করা ঠিক নয়। (আল-মানারুল মুনিফ: পৃ.১২০) হাদিসের কিতাবে অজুর ৪টি দোয়া পাওয়া যায়। এখানে তা তুলে ধরা হলো—
অজুর সময় যে দোয়া পড়বেন
অজুর শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া সুন্নত। (আবু দাউদ, তিরমিজি) এরপর অজুর মাঝামাঝি এসে নিচের দোয়াটি পাঠ করা সুন্নত—
اَللّهُمَّ اغْفِرْ لِيْ ذَنْبِيْ ، وَوَسِّعْ لِيْ فِيْ دَارِيْ ، وَبَارِكْ لِيْ فِيْ رِزْقِي
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মাগফিরলি যানবি, ওয়া ওয়াসসি’লি ফি দারি, ওয়া বারিকলি ফি রিযকি।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমার গুনাহ ক্ষমা করে দিন, আমার ঘর প্রশস্ত করে দিন এবং আমার রুজিতে বরকত দিন।’ (নাসায়ি, ইবনুস সুননি)
এরপর অজু শেষ করে কালেমায়ে শাহাদাত পড়া মুস্তাহাব। (মুসলিম, আবু দাউদ)
প্রতিবেশীদের সঙ্গে মহানবী (সা.)-এর আচরণ
অজু শেষে যে দোয়া পড়বেন
অজু শেষ করে কালেমায়ে শাহাদাত পড়ার পর যে দোয়া পড়ার কথা হাদিসে এসেছে, তা হলো—
اَللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ التَوَّابِينَ واجْعَلْني مِنَ المُتَطَهِّرِينَ
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মাজআলনি মিনাত-তাওয়াবিনা ওয়াজআলনি মিনাল-মুতাতাহহিরিন।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমাকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং পবিত্রদের দলভুক্ত করুন।’ (তিরমিজি)
অন্য হাদিসে এসেছে,
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وبَحَمْدكَ أشْهدُ أنْ لا إلهَ إلا أنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وأتُوبُ إِلَيْكَ
উচ্চারণ: ‘সুবহানাকাল্লাহুম্মাহ ওয়াবিহামদিকা আশহাতু আন-লাইলাহা ইল্লা আনতা আসতাগফিরুকা ও আতুবু ইলাইকা।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনার পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা করছি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। আপনার কাছে ক্ষমা চাই। আপনার কাছে তওবা করি।’ (নাসায়ি, মুসতাদরাকে হাকিম)
অন্য হাদিসে এসেছে,
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وبَحَمْدكَ أَسْتَغْفِرُكَ وأتُوبُ إِلَيْكَ
উচ্চারণ: ‘সুবহানাকাল্লাহুম্মাহ ওয়াবিহামদিকা আশহাতু আন লাইলাহা ইল্লা আনতা আসতাগফিরুকা ও আতুবু ইলাইকা।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনার পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা করছি। আপনার কাছে ক্ষমা চাই। আপনার কাছে তওবা করি।’ (মুজামুল আওসাত লিত-তাবরানি)
কালিমায়ে শাহাদাত পড়ার সময় আসমানের দিকে তাকানোর কোনো দলিল নেই। আঙুল ওঠানোও ভিত্তিহীন। অজুর শেষে সুরাতুল কদর পড়ারও নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নেই। (আল মাকাসিদুল হাসানাহ লিস-সাখাওয়ি: পৃ.৪২৪)
মনে রাখতে হবে, অজুর সময় এসব দোয়া পড়া মুস্তাহাব। অর্থাৎ পড়লে সওয়াব, না পড়লে গুনাহ নেই। আল্লাহ তাআলা আমাদের সঠিক দোয়া পড়ার এবং ভিত্তিহীন আমল থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দিন।
ইসলাম সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
অনেকের ধারণা, অজু করার সময় প্রতিটি অঙ্গ ধোয়ার সময় বিসমিল্লাহ, কালিমায়ে শাহাদত এবং দরুদ শরিফ পড়া মুস্তাহাব। এ ছাড়া অনেকে প্রতিটি অঙ্গের জন্য আলাদা দোয়ার কথাও বলে থাকেন। এসব ভিত্তিহীন। এসব দোয়াকে সুন্নত বা মুস্তাহাব মনে করা ঠিক নয়। (আল-মানারুল মুনিফ: পৃ.১২০) হাদিসের কিতাবে অজুর ৪টি দোয়া পাওয়া যায়। এখানে তা তুলে ধরা হলো—
অজুর সময় যে দোয়া পড়বেন
অজুর শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া সুন্নত। (আবু দাউদ, তিরমিজি) এরপর অজুর মাঝামাঝি এসে নিচের দোয়াটি পাঠ করা সুন্নত—
اَللّهُمَّ اغْفِرْ لِيْ ذَنْبِيْ ، وَوَسِّعْ لِيْ فِيْ دَارِيْ ، وَبَارِكْ لِيْ فِيْ رِزْقِي
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মাগফিরলি যানবি, ওয়া ওয়াসসি’লি ফি দারি, ওয়া বারিকলি ফি রিযকি।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমার গুনাহ ক্ষমা করে দিন, আমার ঘর প্রশস্ত করে দিন এবং আমার রুজিতে বরকত দিন।’ (নাসায়ি, ইবনুস সুননি)
এরপর অজু শেষ করে কালেমায়ে শাহাদাত পড়া মুস্তাহাব। (মুসলিম, আবু দাউদ)
প্রতিবেশীদের সঙ্গে মহানবী (সা.)-এর আচরণ
অজু শেষে যে দোয়া পড়বেন
অজু শেষ করে কালেমায়ে শাহাদাত পড়ার পর যে দোয়া পড়ার কথা হাদিসে এসেছে, তা হলো—
اَللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ التَوَّابِينَ واجْعَلْني مِنَ المُتَطَهِّرِينَ
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মাজআলনি মিনাত-তাওয়াবিনা ওয়াজআলনি মিনাল-মুতাতাহহিরিন।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমাকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং পবিত্রদের দলভুক্ত করুন।’ (তিরমিজি)
অন্য হাদিসে এসেছে,
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وبَحَمْدكَ أشْهدُ أنْ لا إلهَ إلا أنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وأتُوبُ إِلَيْكَ
উচ্চারণ: ‘সুবহানাকাল্লাহুম্মাহ ওয়াবিহামদিকা আশহাতু আন-লাইলাহা ইল্লা আনতা আসতাগফিরুকা ও আতুবু ইলাইকা।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনার পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা করছি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। আপনার কাছে ক্ষমা চাই। আপনার কাছে তওবা করি।’ (নাসায়ি, মুসতাদরাকে হাকিম)
অন্য হাদিসে এসেছে,
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وبَحَمْدكَ أَسْتَغْفِرُكَ وأتُوبُ إِلَيْكَ
উচ্চারণ: ‘সুবহানাকাল্লাহুম্মাহ ওয়াবিহামদিকা আশহাতু আন লাইলাহা ইল্লা আনতা আসতাগফিরুকা ও আতুবু ইলাইকা।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনার পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা করছি। আপনার কাছে ক্ষমা চাই। আপনার কাছে তওবা করি।’ (মুজামুল আওসাত লিত-তাবরানি)
কালিমায়ে শাহাদাত পড়ার সময় আসমানের দিকে তাকানোর কোনো দলিল নেই। আঙুল ওঠানোও ভিত্তিহীন। অজুর শেষে সুরাতুল কদর পড়ারও নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নেই। (আল মাকাসিদুল হাসানাহ লিস-সাখাওয়ি: পৃ.৪২৪)
মনে রাখতে হবে, অজুর সময় এসব দোয়া পড়া মুস্তাহাব। অর্থাৎ পড়লে সওয়াব, না পড়লে গুনাহ নেই। আল্লাহ তাআলা আমাদের সঠিক দোয়া পড়ার এবং ভিত্তিহীন আমল থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দিন।
ইসলাম সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
সময়ের এক গাঢ় দুপুরে, জ্ঞান ভুবনের দরজায় এক সন্ন্যাসী দাঁড়িয়ে ছিলেন—নীরব, দীপ্ত, অদ্ভুত নিরাসক্ত। তাঁর হাতে ছিল না কোনো তরবারি, ছিল কেবল এক কলম। তাঁর কণ্ঠে ছিল না কোনো উচ্চারণ, কিন্তু তাঁর লেখা যুগে যুগে উচ্চারিত হয়েছে পৃথিবীর সকল ভাষায়। তিনি ইবনে সিনা। মৃত্যু তাঁকে কেড়ে নেয় ১০৩৭ সালের ২২ জুন...
১০ ঘণ্টা আগেঘুম জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শরীরের ক্লান্তি আর অবসাদ দূর হয় ঘুমে। ঘুমোলেই ভেসে ওঠে নানা স্বপ্ন। কখনো ভয়ের, কখনো আসার কখনোবা আনন্দের। কোন স্বপ্ন দেখলে করণীয় কী—সে বিষয়ে রয়েছে ইসলামের নির্দেশনা।
১৫ ঘণ্টা আগেজান্নাত লাভের বহু পথ-পদ্ধতি কোরআন-হাদিসে বর্ণিত আছে। এমন চারটি আমল রয়েছে; যা করলে নির্বিঘ্নে জান্নাত যাওয়া যাবে। হজরত আবু ইউসুফ আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, হে লোক সকল—
১৬ ঘণ্টা আগেসন্তানকে ইবাদতে উৎসাহ দেওয়া মা-বাবার মহান দায়িত্ব। ছোটবেলা থেকেই নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে তারা পরবর্তী জীবনে নীতিমান ও ধার্মিক হয়ে বেড়ে ওঠে। খেলার ছলে নামাজের ভঙ্গি শেখানো, দোয়া মুখস্থ করানো, পরিবারের সঙ্গে ইবাদতে অংশ নিতে বলা—এগুলো তাদের মনে ধর্মীয় চেতনা গড়ে তোলে।
২১ ঘণ্টা আগে