Ajker Patrika

কায়িক শ্রমে আয় করার ফজিলত

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
কায়িক শ্রমে আয় করার ফজিলত

সম্পদের প্রকৃত মালিক আল্লাহ তাআলা। মানুষ তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে কেবল সেগুলো ভোগ করে। জাগতিক জীবনে ধন-সম্পদের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। ইসলাম বৈরাগ্যবাদ সমর্থন করে না। মানুষের অর্থনৈতিক তৎপরতা, উপার্জন এবং উৎপাদনের প্রচেষ্টা করা শুধু প্রশংসনীয়ই নয়, বরং ইসলাম সেটাকে আবশ্যক করেছে। স্বয়ং মহানবী (সা.) ও তাঁর সাহাবিগণ জীবিকার জন্য বিভিন্ন পেশা অবলম্বন করেছেন। ইসলাম নিজের হাতে হালাল উপার্জন করা ফরজ করেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা আমার দেওয়া হালাল ও পবিত্র রিজিক খাও।’ (সুরা বাকারা: ১০২)

আয়াত থেকে বোঝা যায়, নিজের হাতের উপার্জন এবং হালাল রুজি ভক্ষণ করা আল্লাহর নির্দেশ। মহানবী (সা.) বলেন, ‘হালাল জীবিকা খোঁজা আল্লাহর অন্যান্য ফরজ আদায়ের পর একটি অন্যতম ফরজ।’ (মিশকাত)। হাদিসটি থেকে বোঝা যায়, হালাল জীবিকা উপার্জন করা ফরজ কাজের দ্বিতীয় স্তর।

পরিশ্রম করে হালাল উপার্জন করা ইসলামের দৃষ্টিতে তুচ্ছ কাজ নয়, বরং এটিই উত্তম কাজ। বর্ণিত আছে, ‘একদা মহানবী (সা.) উত্তম উপার্জন সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হলে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তির নিজের হাতের কাজ এবং বৈধ ব্যবসার মাধ্যমে উপার্জনই সর্বোত্তম।’ (মিশকাত)। 
অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের নিজের উপার্জন থেকে আহার করা সর্বোত্তম। অবশ্য তোমাদের সন্তানসন্ততিও তোমাদের উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত।’ (তিরমিজি)

অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি তার নিজ হাতের পরিশ্রমে যা হালাল পন্থায় উপার্জন করে, তার চেয়ে উত্তম উপার্জন আর নেই। তার পরিবার ও গৃহপরিচারকের জন্য যা ব্যয় করে, তা সদকা হিসেবে গৃহীত।’ (ইবনে মাজাহ) 

লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করে ইউটার্ন নিল দুটি জাহাজ

ইসরায়েলে ২০ লাখ রুশভাষীর বাস, রাশিয়াকে তাঁদের কথা ভাবতে হয়: পুতিন

গুমে জড়িত ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা: গুম কমিশনের প্রতিবেদন

ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা কাতারের, পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি

চীন-পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থায় ঝামেলা বাড়বে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত