ইসমাঈল সিদ্দিকী
সারা দেশে দিনে-রাতে তাপমাত্রা কমা-বাড়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। বিদায় নিচ্ছে মৌসুমি বায়ু আর আগমন ঘটছে উত্তরের হিমবায়ুর। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সকালের সূর্য, শিশিরবিন্দুতে ভিজে উঠছে ঘাস, গাছপালা, লতাপাতা। প্রকৃতি জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। এই মাস থেকেই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে শীতের তীব্রতা।
শীত মৌসুমে একদিকে বাড়তে থাকে শীতের কাঁপুনি, অন্যদিকে ছড়িয়ে পড়ে সর্দি, কাশি, জ্বর, পেটের পীড়া, আমাশয়, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ নানা সংক্রামক ব্যাধি। ফলে দরিদ্র মানুষের জীবনে সীমাহীন দুর্ভোগ নেমে আসে। শীতবস্ত্রের ব্যবস্থা করবে, নাকি ওষুধপথ্যের খরচ সামাল দেবে, সেই চিন্তায় তাদের দিন কাটে। আমরা যখন লেপ-কম্বল গায়ে জড়িয়ে দীর্ঘ রাত সুখনিদ্রায় বিভোর, তখন তাদের রাত কাটে নির্ঘুম অবস্থায়। যার পেটে ভাত নেই, তার গায়ে গরম কাপড় জুটবে কোত্থেকে!
আমরা যারা সচ্ছল আছি, চাইলেই তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি। শীতবস্ত্র ও ওষুধপথ্য ব্যবস্থা করে তাদের সঙ্গে সুখ ভাগাভাগি করে নিতে পারি। অনেকের ঘরে অতিরিক্ত সোয়েটার, জ্যাকেট, কম্বল ইত্যাদি পড়ে থাকে, তা দিয়ে গরিবদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে পারি। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তির অতিরিক্ত বাহন বা বাহনের খালি জায়গা আছে, সে যেন বাহনহীন ব্যক্তিকে তা দিয়ে সাহায্য করে। কোনো ব্যক্তির যদি অতিরিক্ত পাথেয় থাকে, তাহলে সে যেন পাথেয়হীন ব্যক্তিকে তা দিয়ে সাহায্য করে।’ বর্ণনাকারী বলেন, নবীজি (সা.) এভাবে আরও অনেক সম্পদের কথা বললেন। তাতে আমাদের মনে হতে লাগল যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদে আমাদের কোনো অধিকার নেই। (মুসলিম: ১৭২৮)
অনেকে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও মানুষের দ্বারস্থ হতে লজ্জাবোধ করে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো শীতবস্ত্র বিতরণ করলেও তারা নিজেদের আড়াল করে রাখে। আমাদের উচিত এসব সুবিধাবঞ্চিত অসহায় মানুষকে খুঁজে খুঁজে শীতবস্ত্র বিতরণ করা। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে মুসলমান অন্য কোনো মুসলমানকে বস্ত্রহীন অবস্থায় বস্ত্র দান করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে সবুজ বর্ণের পোশাক পরাবেন। খাদ্য দান করলে তাকে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন। পানি পান করালে জান্নাতের শরবত পান করাবেন।’(আবু দাউদ: ১৬৮২)
শীতের তীব্রতা খুব বেশি বেড়ে গেলে আমরা শীতবস্ত্র বিতরণের প্রয়োজন অনুভব করি। অথচ হাদিসে দানের ক্ষেত্রে বিলম্ব করতে নিষেধ করা হয়েছে। যথাসম্ভব দ্রুত দান করতে বলা হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, এক সাহাবি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কোন দানে সওয়াব বেশি পাওয়া যায়?’ তিনি বলেন, ‘সুস্থ ও কৃপণ অবস্থায় তোমার দান করা, যখন তুমি দারিদ্র্যের আশঙ্কা করবে এবং ধনী হওয়ার আশা রাখবে। দান করতে এ পর্যন্ত বিলম্ব করবে না, যখন প্রাণবায়ু কণ্ঠাগত হবে, আর তুমি বলতে থাকবে, অমুকের জন্য এতটুকু, অমুকের জন্য এতটুকু, অথচ তা অমুকের জন্য হয়ে গেছে।’ (বুখারি: ১৪১৯)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
সারা দেশে দিনে-রাতে তাপমাত্রা কমা-বাড়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। বিদায় নিচ্ছে মৌসুমি বায়ু আর আগমন ঘটছে উত্তরের হিমবায়ুর। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সকালের সূর্য, শিশিরবিন্দুতে ভিজে উঠছে ঘাস, গাছপালা, লতাপাতা। প্রকৃতি জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। এই মাস থেকেই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে শীতের তীব্রতা।
শীত মৌসুমে একদিকে বাড়তে থাকে শীতের কাঁপুনি, অন্যদিকে ছড়িয়ে পড়ে সর্দি, কাশি, জ্বর, পেটের পীড়া, আমাশয়, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ নানা সংক্রামক ব্যাধি। ফলে দরিদ্র মানুষের জীবনে সীমাহীন দুর্ভোগ নেমে আসে। শীতবস্ত্রের ব্যবস্থা করবে, নাকি ওষুধপথ্যের খরচ সামাল দেবে, সেই চিন্তায় তাদের দিন কাটে। আমরা যখন লেপ-কম্বল গায়ে জড়িয়ে দীর্ঘ রাত সুখনিদ্রায় বিভোর, তখন তাদের রাত কাটে নির্ঘুম অবস্থায়। যার পেটে ভাত নেই, তার গায়ে গরম কাপড় জুটবে কোত্থেকে!
আমরা যারা সচ্ছল আছি, চাইলেই তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি। শীতবস্ত্র ও ওষুধপথ্য ব্যবস্থা করে তাদের সঙ্গে সুখ ভাগাভাগি করে নিতে পারি। অনেকের ঘরে অতিরিক্ত সোয়েটার, জ্যাকেট, কম্বল ইত্যাদি পড়ে থাকে, তা দিয়ে গরিবদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে পারি। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তির অতিরিক্ত বাহন বা বাহনের খালি জায়গা আছে, সে যেন বাহনহীন ব্যক্তিকে তা দিয়ে সাহায্য করে। কোনো ব্যক্তির যদি অতিরিক্ত পাথেয় থাকে, তাহলে সে যেন পাথেয়হীন ব্যক্তিকে তা দিয়ে সাহায্য করে।’ বর্ণনাকারী বলেন, নবীজি (সা.) এভাবে আরও অনেক সম্পদের কথা বললেন। তাতে আমাদের মনে হতে লাগল যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদে আমাদের কোনো অধিকার নেই। (মুসলিম: ১৭২৮)
অনেকে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও মানুষের দ্বারস্থ হতে লজ্জাবোধ করে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো শীতবস্ত্র বিতরণ করলেও তারা নিজেদের আড়াল করে রাখে। আমাদের উচিত এসব সুবিধাবঞ্চিত অসহায় মানুষকে খুঁজে খুঁজে শীতবস্ত্র বিতরণ করা। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে মুসলমান অন্য কোনো মুসলমানকে বস্ত্রহীন অবস্থায় বস্ত্র দান করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে সবুজ বর্ণের পোশাক পরাবেন। খাদ্য দান করলে তাকে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন। পানি পান করালে জান্নাতের শরবত পান করাবেন।’(আবু দাউদ: ১৬৮২)
শীতের তীব্রতা খুব বেশি বেড়ে গেলে আমরা শীতবস্ত্র বিতরণের প্রয়োজন অনুভব করি। অথচ হাদিসে দানের ক্ষেত্রে বিলম্ব করতে নিষেধ করা হয়েছে। যথাসম্ভব দ্রুত দান করতে বলা হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, এক সাহাবি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কোন দানে সওয়াব বেশি পাওয়া যায়?’ তিনি বলেন, ‘সুস্থ ও কৃপণ অবস্থায় তোমার দান করা, যখন তুমি দারিদ্র্যের আশঙ্কা করবে এবং ধনী হওয়ার আশা রাখবে। দান করতে এ পর্যন্ত বিলম্ব করবে না, যখন প্রাণবায়ু কণ্ঠাগত হবে, আর তুমি বলতে থাকবে, অমুকের জন্য এতটুকু, অমুকের জন্য এতটুকু, অথচ তা অমুকের জন্য হয়ে গেছে।’ (বুখারি: ১৪১৯)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আল্লাহর ইচ্ছায় মানুষ দুনিয়ায় আসে অল্প সময়ের জন্য—শূন্য হাতে জন্ম, শূন্য হাতেই বিদায়। জন্ম যাত্রার সূচনা, মৃত্যু তার অবশ্যম্ভাবী সমাপ্তি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
৩ ঘণ্টা আগেআল্লাহ তাআলা মানুষকে পরিশ্রমনির্ভর করে সৃষ্টি করেছেন। তাই দিনের বেলায় নানা কাজ শেষে রাতে মানুষ বিশ্রাম নেয়। প্রশান্তিময় বিশ্রামের সর্বোত্তম উপায় হলো ঘুম। তবে শোয়ার আগে শরীর ও মনকে পবিত্র করে নেওয়া উচিত।
৯ ঘণ্টা আগেশান্তি, শৃঙ্খলা এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূলমন্ত্র হলো পরামর্শ। পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ ও রাষ্ট্র পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে পরামর্শভিত্তিক কাজের গুরুত্ব অপরিসীম। পরামর্শ করে কাজ করলে যেমন মানসিক তৃপ্তি আসে, তেমনি তাতে আল্লাহর রহমতও বর্ষিত হয়। ইসলামে পরামর্শকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। মহানবী (সা.)
১ দিন আগেপবিত্র কোরআনের ৬২ তম সুরা, সুরা জুমুআ। এটি মাদানি সুরা, যা জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে কেন্দ্র করে নাজিল হয়েছে। এই সুরার মূল বার্তা হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের মাধ্যমে ইমানদারদের পরিশুদ্ধ জীবন লাভ এবং ইহুদিদের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।
২ দিন আগে