মুফতি খালিদ কাসেমি
পূর্বপরিকল্পনা এবং প্রস্তুতিসহ কাজ করার গুরুত্ব অনেক। কোনো কাজ পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে শুরু করলে তা সর্বাঙ্গীণ সুন্দর ও সফল হয়। রমজান একটি মহিমান্বিত ও পবিত্র মাস। এ মাসের গুরুত্ব অনেক। মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এ মাস মুসলমানদের জন্য উপহার। এ মাসে বান্দার গুনাহ ক্ষমা করা হয় এবং আমলের সওয়াব বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তাই রমজান মাস আসার আগেই প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ রাখা যেতে পারে, তা হলো:
দোয়া করা: নবী (সা.) রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ, রজব ও শাবান মাসে আমাদের জন্য বরকত দান করুন আর আমাদের রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ (মুসনাদে আহমদ)
জামাতে নামাজ আদায়: এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে একাধারে ৪০ দিন প্রথম তাকবিরের সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করলে তাকে দুটি মুক্তির ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এক. জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং দুই. মুনাফেকি থেকে
মুক্তি।’ (তিরমিজি) তাই রমজানের আগে থেকেই জামাতে নামাজ আদায়ের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত।
নফল রোজা: রোজায় অভ্যস্ত হওয়ার জন্য শাবান মাসে কিছু রোজা রাখা উত্তম। নবী (সা.)-এর কাছে সব মাসের মধ্যে শাবান মাসে রোজা রাখা সর্বাধিক পছন্দনীয় ছিল; বরং তিনি শাবান মাসকে রমজানের সঙ্গে মিলিয়ে নিতেন। (নাসায়ি)
কোরআন তিলাওয়াত: রমজান কোরআন তিলাওয়াতের মাস। এ মাসে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। এরশাদ হচ্ছে, ‘রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারি এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫) তাই রমজানের আগে থেকেই কোরআন তিলাওয়াতে মনোযোগী হতে হবে।
নফল নামাজ: রমজানের আগে থেকেই নফল নামাজ আদায়ের প্রতি যত্নবান হতে হবে, যাতে রমজানে ইশরাক, চাশত, তারাবিহ এবং তাহাজ্জুদ নামাজ ভালোভাবে আদায় করা যায়। নবী (সা.) বলেন, ‘রমজান মাসে যে ব্যক্তি একটি নফল আদায় করল, সে যেন অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করল। আর যে এ মাসে একটি ফরজ আদায় করল, সে যেন অন্য মাসে সত্তরটি ফরজ আদায় করল।’ (বায়হাকি)
দান-সদকার প্রস্তুতি: রমজানে দরিদ্র অসহায় লোকদের দান-সদকা করার জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু টাকা পৃথক করে রাখা উচিত। নবী (সা.) রমজানে অধিক পরিমাণে দান করতেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) পৃথিবীর সব মানুষ অপেক্ষা অধিক দানশীল ছিলেন। রমজান মাসে তাঁর দানের হাত আরও প্রসারিত হতো। (বুখারি)
গুনাহ পরিহার: রমজান গুনাহ মুক্তির মাস। তাই এখন থেকেই গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকার অনুশীলন করতে হবে; বিশেষ করে পরনিন্দা, অনর্থক কথাবার্তা এবং চোখের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
প্রয়োজনীয় বাজার-সদাই করে ফেলা: রমজানের আগে সম্ভব হলে ঘরের প্রয়োজনীয় বাজার-সদাই করে নেওয়া উত্তম। সামর্থ্য থাকলে ঈদের বাজারও রমজানের আগে সেরে ফেলা উচিত, যাতে রমজানে ভালোভাবে ইবাদত করা যায়।
লেখক: শিক্ষক
পূর্বপরিকল্পনা এবং প্রস্তুতিসহ কাজ করার গুরুত্ব অনেক। কোনো কাজ পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে শুরু করলে তা সর্বাঙ্গীণ সুন্দর ও সফল হয়। রমজান একটি মহিমান্বিত ও পবিত্র মাস। এ মাসের গুরুত্ব অনেক। মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এ মাস মুসলমানদের জন্য উপহার। এ মাসে বান্দার গুনাহ ক্ষমা করা হয় এবং আমলের সওয়াব বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তাই রমজান মাস আসার আগেই প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ রাখা যেতে পারে, তা হলো:
দোয়া করা: নবী (সা.) রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ, রজব ও শাবান মাসে আমাদের জন্য বরকত দান করুন আর আমাদের রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ (মুসনাদে আহমদ)
জামাতে নামাজ আদায়: এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে একাধারে ৪০ দিন প্রথম তাকবিরের সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করলে তাকে দুটি মুক্তির ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এক. জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং দুই. মুনাফেকি থেকে
মুক্তি।’ (তিরমিজি) তাই রমজানের আগে থেকেই জামাতে নামাজ আদায়ের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত।
নফল রোজা: রোজায় অভ্যস্ত হওয়ার জন্য শাবান মাসে কিছু রোজা রাখা উত্তম। নবী (সা.)-এর কাছে সব মাসের মধ্যে শাবান মাসে রোজা রাখা সর্বাধিক পছন্দনীয় ছিল; বরং তিনি শাবান মাসকে রমজানের সঙ্গে মিলিয়ে নিতেন। (নাসায়ি)
কোরআন তিলাওয়াত: রমজান কোরআন তিলাওয়াতের মাস। এ মাসে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। এরশাদ হচ্ছে, ‘রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারি এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫) তাই রমজানের আগে থেকেই কোরআন তিলাওয়াতে মনোযোগী হতে হবে।
নফল নামাজ: রমজানের আগে থেকেই নফল নামাজ আদায়ের প্রতি যত্নবান হতে হবে, যাতে রমজানে ইশরাক, চাশত, তারাবিহ এবং তাহাজ্জুদ নামাজ ভালোভাবে আদায় করা যায়। নবী (সা.) বলেন, ‘রমজান মাসে যে ব্যক্তি একটি নফল আদায় করল, সে যেন অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করল। আর যে এ মাসে একটি ফরজ আদায় করল, সে যেন অন্য মাসে সত্তরটি ফরজ আদায় করল।’ (বায়হাকি)
দান-সদকার প্রস্তুতি: রমজানে দরিদ্র অসহায় লোকদের দান-সদকা করার জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু টাকা পৃথক করে রাখা উচিত। নবী (সা.) রমজানে অধিক পরিমাণে দান করতেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) পৃথিবীর সব মানুষ অপেক্ষা অধিক দানশীল ছিলেন। রমজান মাসে তাঁর দানের হাত আরও প্রসারিত হতো। (বুখারি)
গুনাহ পরিহার: রমজান গুনাহ মুক্তির মাস। তাই এখন থেকেই গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকার অনুশীলন করতে হবে; বিশেষ করে পরনিন্দা, অনর্থক কথাবার্তা এবং চোখের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
প্রয়োজনীয় বাজার-সদাই করে ফেলা: রমজানের আগে সম্ভব হলে ঘরের প্রয়োজনীয় বাজার-সদাই করে নেওয়া উত্তম। সামর্থ্য থাকলে ঈদের বাজারও রমজানের আগে সেরে ফেলা উচিত, যাতে রমজানে ভালোভাবে ইবাদত করা যায়।
লেখক: শিক্ষক
সংস্কার করে জাতিকে বদলাতে চায় সকলেই। একটি জাতি পরিবর্তন ও উন্নতি হলেই হৃদয়ে প্রশান্তির বাতাস বইবে। সুখ-শান্তিতে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজনসহ মিলেমিশে নিরাপদভাবে বসবাস করা যাবে। রাস্তাঘাটে ফুটপাতের ওপর দোকান, ট্রাফিক আইন অমান্য, যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা, নকল ওষুধ, খাদ্যে ভেজাল, কম দামি দেশি কাপড়...
১১ ঘণ্টা আগেএকটা লোক বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাদের মধ্য থেকে কোনো লোক তার ভাইয়ের সঙ্গে কিংবা তার বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তার সামনে কি মাথা নত করবে?’ তিনি বললেন, ‘না।’ সে বলল, ‘তাহলে কি তাকে জড়িয়ে ধরে চুমা দেবে?’ তিনি বললেন, ‘না।’ সে বলল, ‘তাহলে কি তার হাত ধরে তার সঙ্গে মুসাফাহা করবে?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’
১৬ ঘণ্টা আগেদরুদ পাঠ অফুরন্ত বরকতের উৎস। এই ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত লাভ হয় এবং জীবনে বরকত নেমে আসে। এতে আল্লাহর প্রিয় হাবিব হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও আনুগত্য প্রকাশ পায়। দরুদ পাঠের মাধ্যমে অন্তর হয় প্রশান্ত, মুখ হয় পবিত্র, আর আমলনামা হয় ভারী।
২০ ঘণ্টা আগেইমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত নামাজ। আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সুগভীর সম্পর্ক স্থাপনের অব্যর্থ উপায় এটি। নামাজ জীবন সাজিয়ে তোলে। যাপিত জীবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে। কোরআন-হাদিসে নামাজ আদায়কারীর জন্য অনেক পুরস্কারের ঘোষণা প্রদান করা হয়েছে। সেখান থেকে নির্বাচিত ৬টি পুরস্কারের গল্প শুনুন।
১ দিন আগে