আজ থেকে এক যুগেরও আগে লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে ‘হজ: জার্নি টু দ্য হার্ট অব ইসলাম’ নামে বিশ্বের প্রথম হজ-বিষয়ক প্রদর্শনীর আয়োজন হয়। প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক যুগের হজযাত্রা, বরকতময় এ যাত্রার প্রস্তুতি, মক্কার প্রাণজুড়ানো প্রকৃতি, কাবার নয়নাভিরাম দৃশ্য, হৃদয় শীতল করা জমজম, হাজিদের স্মৃতিচারণাসহ নানা অনুষঙ্গে সাজে এই আয়োজন। ঐতিহাসিক এই প্রদর্শনী নিয়ে লিখেছেন কাউসার লাবীব।
কাউসার লাবীব

প্রদর্শনীর শুরুর কথা
পবিত্র মক্কা নগরীতে বছরে একবার অনুষ্ঠিত একটি ধর্মীয় ইবাদত হলো হজ। ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের মধ্যে কালিমা, নামাজ, রোজা ও জাকাতের সঙ্গে ভিন্নধর্মাবলম্বীরা পরিচিত হলেও হজ বিষয়ে তাদের জানাশোনা কম। কারণ, মক্কা ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থান। শান্তির ধর্ম ইসলাম গ্রহণ না করে এই নগরীতে কারও প্রবেশের অনুমতি নেই। তাই কোনো অমুসলিম সরাসরি গিয়ে হজের কার্যক্রমগুলো কোনোভাবেই দেখতে পারে না। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিশ্বজুড়ে মানুষের কাছে মুগ্ধতা ছড়ানো এই ইবাদতের বিষয়গুলো যেন অমুসলিম এবং হজে যেতে অক্ষম মুসলমানরা দেখে প্রাণ জুড়াতে পারে, সে জন্য এই আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন লন্ডনে বসবাসকারী ব্রিটিশ-ইরানি গবেষক নাসির দাউদ খলিলি। এ ছাড়া সহযোগী হিসেবে ছিল কিং আবদুল আজিজ লাইব্রেরি ও এইচএসবিসি আমানা।
যা ছিল এই আয়োজনে
২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে শুরু হওয়া এই আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হজযাত্রা, বিভিন্ন যুগের হজের পোশাক, পাণ্ডুলিপি, ঐতিহাসিক দলিল, আলোকচিত্র এবং শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয়। এ জন্য প্রদর্শনীতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪০টি বেসরকারি ও সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সংগৃহীত ২০০টির বেশি জিনিসপত্র উপস্থাপন করা হয়। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের জন্য প্রায় দুই বছর ধরে প্রস্তুতি গ্রহণ করে ব্রিটিশ মিউজিয়াম। প্রদর্শনী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ওয়েলসের রাজপুত্র (বর্তমান রাজা) তৃতীয় চার্লস। অনুষ্ঠানে খাদিমুল হারামাইন শরিফাইনের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ আস-সৌদের চতুর্থ ছেলে প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ।

যেভাবে সাজে হজ প্রদর্শনী
বিশ্বের প্রথম এই হজ প্রদর্শনী ব্রিটিশ মিউজিয়ামের রিডিং রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রদর্শনীর পরিবেশে বাস্তবতার ছোঁয়া দিতে প্রবেশ পথটি করা হয়—দীর্ঘ ও সরু। দর্শনার্থীরা প্রবেশের সময় তাদের চারপাশে বেজে ওঠে আজানের ধ্বনি। আল্লাহ আকবরের অমিয় সুধা ছড়িয়ে পড়ে তাদের চারপাশে। প্রদর্শনী সামগ্রী বিন্যস্ত করা হয় বৃত্তাকারে। ধীরে ধীরে ভেতরে প্রবেশ করার পর বৃত্তে ঘুরে ঘুরে ঐতিহাসিক সামগ্রী দেখার সময় যেন তাওয়াফের কিছুটা উপলব্ধি আসে, সে জন্য এই বিন্যাস।
প্রদর্শনীকে কয়েক অংশে ভাগ করা হয়। প্রথম অংশে চিত্রিত করা হয় হজযাত্রার প্রস্তুতির নানা বিষয়। এতে ছিল ঋণ পরিশোধ, যাত্রায় প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সামগ্রী সংগ্রহসহ বেশ কিছু বিষয়। ছিল হজ সম্পন্নের সনদপত্র। পরের অংশে রাখা হয় হজযাত্রার নানা বিষয়। এতে ছিল ইহরাম বাঁধা। ট্রেন ও বিমান আবিষ্কারের আগে নদীপথ ও হেঁটে হজযাত্রা। যাত্রাপথে মৃত্যু, রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ, দস্যুদের হামলার ঝুঁকি। এ ক্ষেত্রে প্রাচীনকালে আরব দেশ, উত্তর আফ্রিকা, উসমানীয় সাম্রাজ্য এবং এশিয়া থেকে হজযাত্রার অধ্যায়গুলো আলাদা আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া ব্রিটেন থেকে বিমানপথে হজে যাওয়ার বিষয়টিও যুক্ত করা হয়। এভাবে এই অংশে হজের দুর্গম পথ, জলজ পথ, মরুভূমির পথ এবং আধুনিক যুগের সহজ ভ্রমণের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। কাবার পথের যাত্রীরা সফরের সময় কিবলা নির্ধারণের জন্য কম্পাস এবং পথ নির্দেশনার জন্য মানচিত্রও ব্যবহার করত প্রাচীনকালে। সেই সময়ের ব্যবহৃত নানা রকম কম্পাস এবং মানচিত্রও ছিল এই প্রদর্শনীতে। পাশাপাশি হাজিদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ ডায়েরি, আত্মজীবনীমূলক ভ্রমণকাহিনি ছবি ও লেখার মাধ্যমে চিত্রিত করা হয়েছিল এতে। প্রদর্শনীতে ছিল পবিত্র কোরআনের ৮ম শতাব্দীর একটি পাণ্ডুলিপির কপি। ছিল কাবার গিলাফ, উটের হাওদা, প্রাচীন আমলের হজ-বিষয়ক চিত্রকর্ম।

প্রদর্শনীর আরেকটি অংশ ছিল মক্কা নিয়ে। এতে মক্কার অতীত ও বর্তমানের ছবি এবং চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়েছিল, যেখানে মক্কা ও হারামের আশপাশের অঞ্চলগুলো অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত কীভাবে বিকশিত হয়েছে, কীভাবে পুরোনো স্থাপনাগুলো ভেঙে নতুন ভবন তৈরি করা হয়েছে, তা উপস্থাপন করা হয়।
স্মৃতিবিজড়িত এসব চিত্রকর্ম এবং জিনিসপত্রের প্রদর্শনীর সঙ্গে সাত মিনিটের একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি স্ক্রিনে দেখানো হয়।
সাড়া জাগে বিশ্বজুড়ে
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ব্লুমসবারি এলাকায় অবস্থিত দ্য ব্রিটিশ মিউজিয়াম এমনিতেই বিশ্বদরবারে বেশ সমাদৃত। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাদুঘরগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি জাদুঘর। বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতির শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত, প্রায় ১৩ মিলিয়ন নিদর্শন এই জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। জাদুঘরের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত মানব সংস্কৃতির নথিপত্রও সংরক্ষিত আছে এখানে। এসবের সঙ্গে এই মিউজিয়ামে নতুন মাত্রা যুগ হয় ‘হজ: জার্নি টু দ্য হার্ট অব ইসলাম’ আয়োজনের মাধ্যমে। বিশ্বের প্রথম এই হজ প্রদর্শনী মুসলিম-অমুসলিম উভয়ের মধ্যেই বেশ সাড়া ফেলে। আয়োজকেরা আশা করেছিলেন ৮০ হাজারের মতো দর্শনার্থী এই আয়োজনে আসতে পারেন। সেভাবেই তাঁরা প্রস্তুতি নেন। কিন্তু তাঁদের অবাক করে এতে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার দর্শনার্থী ও গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত হন। এর মধ্যে ৪৭ শতাংশ দর্শনার্থী ছিলেন মুসলমান, বাকিরা অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। এই সংখ্যা শুধু প্রাপ্ত বয়স্কদের। শিশুদের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, কারণ তাদের প্রবেশ ছিল বিনা মূল্যে।
এই আয়োজনের ব্যাপক সাফল্যের ফলে হজ প্রদর্শনী শুরু হয় বিভিন্ন দেশে। পবিত্রতম এই ইবাদতের নানা অনুষঙ্গ দেখে মুগ্ধ হন মানুষজন। তবে প্রথম আয়োজনের সেই অনুরণন এখনো অমলিন হয়ে আছে দ্য ব্রিটিশ মিউজিয়ামে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

প্রদর্শনীর শুরুর কথা
পবিত্র মক্কা নগরীতে বছরে একবার অনুষ্ঠিত একটি ধর্মীয় ইবাদত হলো হজ। ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের মধ্যে কালিমা, নামাজ, রোজা ও জাকাতের সঙ্গে ভিন্নধর্মাবলম্বীরা পরিচিত হলেও হজ বিষয়ে তাদের জানাশোনা কম। কারণ, মক্কা ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থান। শান্তির ধর্ম ইসলাম গ্রহণ না করে এই নগরীতে কারও প্রবেশের অনুমতি নেই। তাই কোনো অমুসলিম সরাসরি গিয়ে হজের কার্যক্রমগুলো কোনোভাবেই দেখতে পারে না। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিশ্বজুড়ে মানুষের কাছে মুগ্ধতা ছড়ানো এই ইবাদতের বিষয়গুলো যেন অমুসলিম এবং হজে যেতে অক্ষম মুসলমানরা দেখে প্রাণ জুড়াতে পারে, সে জন্য এই আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন লন্ডনে বসবাসকারী ব্রিটিশ-ইরানি গবেষক নাসির দাউদ খলিলি। এ ছাড়া সহযোগী হিসেবে ছিল কিং আবদুল আজিজ লাইব্রেরি ও এইচএসবিসি আমানা।
যা ছিল এই আয়োজনে
২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে শুরু হওয়া এই আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হজযাত্রা, বিভিন্ন যুগের হজের পোশাক, পাণ্ডুলিপি, ঐতিহাসিক দলিল, আলোকচিত্র এবং শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয়। এ জন্য প্রদর্শনীতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪০টি বেসরকারি ও সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সংগৃহীত ২০০টির বেশি জিনিসপত্র উপস্থাপন করা হয়। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের জন্য প্রায় দুই বছর ধরে প্রস্তুতি গ্রহণ করে ব্রিটিশ মিউজিয়াম। প্রদর্শনী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ওয়েলসের রাজপুত্র (বর্তমান রাজা) তৃতীয় চার্লস। অনুষ্ঠানে খাদিমুল হারামাইন শরিফাইনের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ আস-সৌদের চতুর্থ ছেলে প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ।

যেভাবে সাজে হজ প্রদর্শনী
বিশ্বের প্রথম এই হজ প্রদর্শনী ব্রিটিশ মিউজিয়ামের রিডিং রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রদর্শনীর পরিবেশে বাস্তবতার ছোঁয়া দিতে প্রবেশ পথটি করা হয়—দীর্ঘ ও সরু। দর্শনার্থীরা প্রবেশের সময় তাদের চারপাশে বেজে ওঠে আজানের ধ্বনি। আল্লাহ আকবরের অমিয় সুধা ছড়িয়ে পড়ে তাদের চারপাশে। প্রদর্শনী সামগ্রী বিন্যস্ত করা হয় বৃত্তাকারে। ধীরে ধীরে ভেতরে প্রবেশ করার পর বৃত্তে ঘুরে ঘুরে ঐতিহাসিক সামগ্রী দেখার সময় যেন তাওয়াফের কিছুটা উপলব্ধি আসে, সে জন্য এই বিন্যাস।
প্রদর্শনীকে কয়েক অংশে ভাগ করা হয়। প্রথম অংশে চিত্রিত করা হয় হজযাত্রার প্রস্তুতির নানা বিষয়। এতে ছিল ঋণ পরিশোধ, যাত্রায় প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সামগ্রী সংগ্রহসহ বেশ কিছু বিষয়। ছিল হজ সম্পন্নের সনদপত্র। পরের অংশে রাখা হয় হজযাত্রার নানা বিষয়। এতে ছিল ইহরাম বাঁধা। ট্রেন ও বিমান আবিষ্কারের আগে নদীপথ ও হেঁটে হজযাত্রা। যাত্রাপথে মৃত্যু, রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ, দস্যুদের হামলার ঝুঁকি। এ ক্ষেত্রে প্রাচীনকালে আরব দেশ, উত্তর আফ্রিকা, উসমানীয় সাম্রাজ্য এবং এশিয়া থেকে হজযাত্রার অধ্যায়গুলো আলাদা আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া ব্রিটেন থেকে বিমানপথে হজে যাওয়ার বিষয়টিও যুক্ত করা হয়। এভাবে এই অংশে হজের দুর্গম পথ, জলজ পথ, মরুভূমির পথ এবং আধুনিক যুগের সহজ ভ্রমণের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। কাবার পথের যাত্রীরা সফরের সময় কিবলা নির্ধারণের জন্য কম্পাস এবং পথ নির্দেশনার জন্য মানচিত্রও ব্যবহার করত প্রাচীনকালে। সেই সময়ের ব্যবহৃত নানা রকম কম্পাস এবং মানচিত্রও ছিল এই প্রদর্শনীতে। পাশাপাশি হাজিদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ ডায়েরি, আত্মজীবনীমূলক ভ্রমণকাহিনি ছবি ও লেখার মাধ্যমে চিত্রিত করা হয়েছিল এতে। প্রদর্শনীতে ছিল পবিত্র কোরআনের ৮ম শতাব্দীর একটি পাণ্ডুলিপির কপি। ছিল কাবার গিলাফ, উটের হাওদা, প্রাচীন আমলের হজ-বিষয়ক চিত্রকর্ম।

প্রদর্শনীর আরেকটি অংশ ছিল মক্কা নিয়ে। এতে মক্কার অতীত ও বর্তমানের ছবি এবং চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়েছিল, যেখানে মক্কা ও হারামের আশপাশের অঞ্চলগুলো অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত কীভাবে বিকশিত হয়েছে, কীভাবে পুরোনো স্থাপনাগুলো ভেঙে নতুন ভবন তৈরি করা হয়েছে, তা উপস্থাপন করা হয়।
স্মৃতিবিজড়িত এসব চিত্রকর্ম এবং জিনিসপত্রের প্রদর্শনীর সঙ্গে সাত মিনিটের একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি স্ক্রিনে দেখানো হয়।
সাড়া জাগে বিশ্বজুড়ে
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ব্লুমসবারি এলাকায় অবস্থিত দ্য ব্রিটিশ মিউজিয়াম এমনিতেই বিশ্বদরবারে বেশ সমাদৃত। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাদুঘরগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি জাদুঘর। বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতির শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত, প্রায় ১৩ মিলিয়ন নিদর্শন এই জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। জাদুঘরের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত মানব সংস্কৃতির নথিপত্রও সংরক্ষিত আছে এখানে। এসবের সঙ্গে এই মিউজিয়ামে নতুন মাত্রা যুগ হয় ‘হজ: জার্নি টু দ্য হার্ট অব ইসলাম’ আয়োজনের মাধ্যমে। বিশ্বের প্রথম এই হজ প্রদর্শনী মুসলিম-অমুসলিম উভয়ের মধ্যেই বেশ সাড়া ফেলে। আয়োজকেরা আশা করেছিলেন ৮০ হাজারের মতো দর্শনার্থী এই আয়োজনে আসতে পারেন। সেভাবেই তাঁরা প্রস্তুতি নেন। কিন্তু তাঁদের অবাক করে এতে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার দর্শনার্থী ও গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত হন। এর মধ্যে ৪৭ শতাংশ দর্শনার্থী ছিলেন মুসলমান, বাকিরা অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। এই সংখ্যা শুধু প্রাপ্ত বয়স্কদের। শিশুদের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, কারণ তাদের প্রবেশ ছিল বিনা মূল্যে।
এই আয়োজনের ব্যাপক সাফল্যের ফলে হজ প্রদর্শনী শুরু হয় বিভিন্ন দেশে। পবিত্রতম এই ইবাদতের নানা অনুষঙ্গ দেখে মুগ্ধ হন মানুষজন। তবে প্রথম আয়োজনের সেই অনুরণন এখনো অমলিন হয়ে আছে দ্য ব্রিটিশ মিউজিয়ামে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
আজ থেকে এক যুগেরও আগে লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে ‘হজ: জার্নি টু দ্য হার্ট অব ইসলাম’ নামে বিশ্বের প্রথম হজ-বিষয়ক প্রদর্শনীর আয়োজন হয়। প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক যুগের হজযাত্রা, বরকতময় এ যাত্রার প্রস্তুতি, মক্কার প্রাণজুড়ানো প্রকৃতি, কাবার নয়নাভিরাম দৃশ্য, হৃদয় শীতল করা জমজম, হাজিদের স্মৃতিচারণাসহ নানা অনুষঙ্গে সাজে এই আয়োজন। ঐতিহাসিক এই প্রদর্শনী নিয়ে লিখেছেন কাউসার লাবীব।
কাউসার লাবীব

প্রদর্শনীর শুরুর কথা
পবিত্র মক্কা নগরীতে বছরে একবার অনুষ্ঠিত একটি ধর্মীয় ইবাদত হলো হজ। ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের মধ্যে কালিমা, নামাজ, রোজা ও জাকাতের সঙ্গে ভিন্নধর্মাবলম্বীরা পরিচিত হলেও হজ বিষয়ে তাদের জানাশোনা কম। কারণ, মক্কা ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থান। শান্তির ধর্ম ইসলাম গ্রহণ না করে এই নগরীতে কারও প্রবেশের অনুমতি নেই। তাই কোনো অমুসলিম সরাসরি গিয়ে হজের কার্যক্রমগুলো কোনোভাবেই দেখতে পারে না। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিশ্বজুড়ে মানুষের কাছে মুগ্ধতা ছড়ানো এই ইবাদতের বিষয়গুলো যেন অমুসলিম এবং হজে যেতে অক্ষম মুসলমানরা দেখে প্রাণ জুড়াতে পারে, সে জন্য এই আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন লন্ডনে বসবাসকারী ব্রিটিশ-ইরানি গবেষক নাসির দাউদ খলিলি। এ ছাড়া সহযোগী হিসেবে ছিল কিং আবদুল আজিজ লাইব্রেরি ও এইচএসবিসি আমানা।
যা ছিল এই আয়োজনে
২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে শুরু হওয়া এই আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হজযাত্রা, বিভিন্ন যুগের হজের পোশাক, পাণ্ডুলিপি, ঐতিহাসিক দলিল, আলোকচিত্র এবং শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয়। এ জন্য প্রদর্শনীতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪০টি বেসরকারি ও সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সংগৃহীত ২০০টির বেশি জিনিসপত্র উপস্থাপন করা হয়। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের জন্য প্রায় দুই বছর ধরে প্রস্তুতি গ্রহণ করে ব্রিটিশ মিউজিয়াম। প্রদর্শনী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ওয়েলসের রাজপুত্র (বর্তমান রাজা) তৃতীয় চার্লস। অনুষ্ঠানে খাদিমুল হারামাইন শরিফাইনের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ আস-সৌদের চতুর্থ ছেলে প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ।

যেভাবে সাজে হজ প্রদর্শনী
বিশ্বের প্রথম এই হজ প্রদর্শনী ব্রিটিশ মিউজিয়ামের রিডিং রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রদর্শনীর পরিবেশে বাস্তবতার ছোঁয়া দিতে প্রবেশ পথটি করা হয়—দীর্ঘ ও সরু। দর্শনার্থীরা প্রবেশের সময় তাদের চারপাশে বেজে ওঠে আজানের ধ্বনি। আল্লাহ আকবরের অমিয় সুধা ছড়িয়ে পড়ে তাদের চারপাশে। প্রদর্শনী সামগ্রী বিন্যস্ত করা হয় বৃত্তাকারে। ধীরে ধীরে ভেতরে প্রবেশ করার পর বৃত্তে ঘুরে ঘুরে ঐতিহাসিক সামগ্রী দেখার সময় যেন তাওয়াফের কিছুটা উপলব্ধি আসে, সে জন্য এই বিন্যাস।
প্রদর্শনীকে কয়েক অংশে ভাগ করা হয়। প্রথম অংশে চিত্রিত করা হয় হজযাত্রার প্রস্তুতির নানা বিষয়। এতে ছিল ঋণ পরিশোধ, যাত্রায় প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সামগ্রী সংগ্রহসহ বেশ কিছু বিষয়। ছিল হজ সম্পন্নের সনদপত্র। পরের অংশে রাখা হয় হজযাত্রার নানা বিষয়। এতে ছিল ইহরাম বাঁধা। ট্রেন ও বিমান আবিষ্কারের আগে নদীপথ ও হেঁটে হজযাত্রা। যাত্রাপথে মৃত্যু, রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ, দস্যুদের হামলার ঝুঁকি। এ ক্ষেত্রে প্রাচীনকালে আরব দেশ, উত্তর আফ্রিকা, উসমানীয় সাম্রাজ্য এবং এশিয়া থেকে হজযাত্রার অধ্যায়গুলো আলাদা আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া ব্রিটেন থেকে বিমানপথে হজে যাওয়ার বিষয়টিও যুক্ত করা হয়। এভাবে এই অংশে হজের দুর্গম পথ, জলজ পথ, মরুভূমির পথ এবং আধুনিক যুগের সহজ ভ্রমণের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। কাবার পথের যাত্রীরা সফরের সময় কিবলা নির্ধারণের জন্য কম্পাস এবং পথ নির্দেশনার জন্য মানচিত্রও ব্যবহার করত প্রাচীনকালে। সেই সময়ের ব্যবহৃত নানা রকম কম্পাস এবং মানচিত্রও ছিল এই প্রদর্শনীতে। পাশাপাশি হাজিদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ ডায়েরি, আত্মজীবনীমূলক ভ্রমণকাহিনি ছবি ও লেখার মাধ্যমে চিত্রিত করা হয়েছিল এতে। প্রদর্শনীতে ছিল পবিত্র কোরআনের ৮ম শতাব্দীর একটি পাণ্ডুলিপির কপি। ছিল কাবার গিলাফ, উটের হাওদা, প্রাচীন আমলের হজ-বিষয়ক চিত্রকর্ম।

প্রদর্শনীর আরেকটি অংশ ছিল মক্কা নিয়ে। এতে মক্কার অতীত ও বর্তমানের ছবি এবং চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়েছিল, যেখানে মক্কা ও হারামের আশপাশের অঞ্চলগুলো অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত কীভাবে বিকশিত হয়েছে, কীভাবে পুরোনো স্থাপনাগুলো ভেঙে নতুন ভবন তৈরি করা হয়েছে, তা উপস্থাপন করা হয়।
স্মৃতিবিজড়িত এসব চিত্রকর্ম এবং জিনিসপত্রের প্রদর্শনীর সঙ্গে সাত মিনিটের একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি স্ক্রিনে দেখানো হয়।
সাড়া জাগে বিশ্বজুড়ে
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ব্লুমসবারি এলাকায় অবস্থিত দ্য ব্রিটিশ মিউজিয়াম এমনিতেই বিশ্বদরবারে বেশ সমাদৃত। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাদুঘরগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি জাদুঘর। বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতির শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত, প্রায় ১৩ মিলিয়ন নিদর্শন এই জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। জাদুঘরের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত মানব সংস্কৃতির নথিপত্রও সংরক্ষিত আছে এখানে। এসবের সঙ্গে এই মিউজিয়ামে নতুন মাত্রা যুগ হয় ‘হজ: জার্নি টু দ্য হার্ট অব ইসলাম’ আয়োজনের মাধ্যমে। বিশ্বের প্রথম এই হজ প্রদর্শনী মুসলিম-অমুসলিম উভয়ের মধ্যেই বেশ সাড়া ফেলে। আয়োজকেরা আশা করেছিলেন ৮০ হাজারের মতো দর্শনার্থী এই আয়োজনে আসতে পারেন। সেভাবেই তাঁরা প্রস্তুতি নেন। কিন্তু তাঁদের অবাক করে এতে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার দর্শনার্থী ও গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত হন। এর মধ্যে ৪৭ শতাংশ দর্শনার্থী ছিলেন মুসলমান, বাকিরা অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। এই সংখ্যা শুধু প্রাপ্ত বয়স্কদের। শিশুদের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, কারণ তাদের প্রবেশ ছিল বিনা মূল্যে।
এই আয়োজনের ব্যাপক সাফল্যের ফলে হজ প্রদর্শনী শুরু হয় বিভিন্ন দেশে। পবিত্রতম এই ইবাদতের নানা অনুষঙ্গ দেখে মুগ্ধ হন মানুষজন। তবে প্রথম আয়োজনের সেই অনুরণন এখনো অমলিন হয়ে আছে দ্য ব্রিটিশ মিউজিয়ামে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

প্রদর্শনীর শুরুর কথা
পবিত্র মক্কা নগরীতে বছরে একবার অনুষ্ঠিত একটি ধর্মীয় ইবাদত হলো হজ। ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের মধ্যে কালিমা, নামাজ, রোজা ও জাকাতের সঙ্গে ভিন্নধর্মাবলম্বীরা পরিচিত হলেও হজ বিষয়ে তাদের জানাশোনা কম। কারণ, মক্কা ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থান। শান্তির ধর্ম ইসলাম গ্রহণ না করে এই নগরীতে কারও প্রবেশের অনুমতি নেই। তাই কোনো অমুসলিম সরাসরি গিয়ে হজের কার্যক্রমগুলো কোনোভাবেই দেখতে পারে না। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিশ্বজুড়ে মানুষের কাছে মুগ্ধতা ছড়ানো এই ইবাদতের বিষয়গুলো যেন অমুসলিম এবং হজে যেতে অক্ষম মুসলমানরা দেখে প্রাণ জুড়াতে পারে, সে জন্য এই আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন লন্ডনে বসবাসকারী ব্রিটিশ-ইরানি গবেষক নাসির দাউদ খলিলি। এ ছাড়া সহযোগী হিসেবে ছিল কিং আবদুল আজিজ লাইব্রেরি ও এইচএসবিসি আমানা।
যা ছিল এই আয়োজনে
২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে শুরু হওয়া এই আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হজযাত্রা, বিভিন্ন যুগের হজের পোশাক, পাণ্ডুলিপি, ঐতিহাসিক দলিল, আলোকচিত্র এবং শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয়। এ জন্য প্রদর্শনীতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪০টি বেসরকারি ও সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সংগৃহীত ২০০টির বেশি জিনিসপত্র উপস্থাপন করা হয়। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের জন্য প্রায় দুই বছর ধরে প্রস্তুতি গ্রহণ করে ব্রিটিশ মিউজিয়াম। প্রদর্শনী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ওয়েলসের রাজপুত্র (বর্তমান রাজা) তৃতীয় চার্লস। অনুষ্ঠানে খাদিমুল হারামাইন শরিফাইনের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ আস-সৌদের চতুর্থ ছেলে প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ।

যেভাবে সাজে হজ প্রদর্শনী
বিশ্বের প্রথম এই হজ প্রদর্শনী ব্রিটিশ মিউজিয়ামের রিডিং রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রদর্শনীর পরিবেশে বাস্তবতার ছোঁয়া দিতে প্রবেশ পথটি করা হয়—দীর্ঘ ও সরু। দর্শনার্থীরা প্রবেশের সময় তাদের চারপাশে বেজে ওঠে আজানের ধ্বনি। আল্লাহ আকবরের অমিয় সুধা ছড়িয়ে পড়ে তাদের চারপাশে। প্রদর্শনী সামগ্রী বিন্যস্ত করা হয় বৃত্তাকারে। ধীরে ধীরে ভেতরে প্রবেশ করার পর বৃত্তে ঘুরে ঘুরে ঐতিহাসিক সামগ্রী দেখার সময় যেন তাওয়াফের কিছুটা উপলব্ধি আসে, সে জন্য এই বিন্যাস।
প্রদর্শনীকে কয়েক অংশে ভাগ করা হয়। প্রথম অংশে চিত্রিত করা হয় হজযাত্রার প্রস্তুতির নানা বিষয়। এতে ছিল ঋণ পরিশোধ, যাত্রায় প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সামগ্রী সংগ্রহসহ বেশ কিছু বিষয়। ছিল হজ সম্পন্নের সনদপত্র। পরের অংশে রাখা হয় হজযাত্রার নানা বিষয়। এতে ছিল ইহরাম বাঁধা। ট্রেন ও বিমান আবিষ্কারের আগে নদীপথ ও হেঁটে হজযাত্রা। যাত্রাপথে মৃত্যু, রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ, দস্যুদের হামলার ঝুঁকি। এ ক্ষেত্রে প্রাচীনকালে আরব দেশ, উত্তর আফ্রিকা, উসমানীয় সাম্রাজ্য এবং এশিয়া থেকে হজযাত্রার অধ্যায়গুলো আলাদা আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া ব্রিটেন থেকে বিমানপথে হজে যাওয়ার বিষয়টিও যুক্ত করা হয়। এভাবে এই অংশে হজের দুর্গম পথ, জলজ পথ, মরুভূমির পথ এবং আধুনিক যুগের সহজ ভ্রমণের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। কাবার পথের যাত্রীরা সফরের সময় কিবলা নির্ধারণের জন্য কম্পাস এবং পথ নির্দেশনার জন্য মানচিত্রও ব্যবহার করত প্রাচীনকালে। সেই সময়ের ব্যবহৃত নানা রকম কম্পাস এবং মানচিত্রও ছিল এই প্রদর্শনীতে। পাশাপাশি হাজিদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ ডায়েরি, আত্মজীবনীমূলক ভ্রমণকাহিনি ছবি ও লেখার মাধ্যমে চিত্রিত করা হয়েছিল এতে। প্রদর্শনীতে ছিল পবিত্র কোরআনের ৮ম শতাব্দীর একটি পাণ্ডুলিপির কপি। ছিল কাবার গিলাফ, উটের হাওদা, প্রাচীন আমলের হজ-বিষয়ক চিত্রকর্ম।

প্রদর্শনীর আরেকটি অংশ ছিল মক্কা নিয়ে। এতে মক্কার অতীত ও বর্তমানের ছবি এবং চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়েছিল, যেখানে মক্কা ও হারামের আশপাশের অঞ্চলগুলো অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত কীভাবে বিকশিত হয়েছে, কীভাবে পুরোনো স্থাপনাগুলো ভেঙে নতুন ভবন তৈরি করা হয়েছে, তা উপস্থাপন করা হয়।
স্মৃতিবিজড়িত এসব চিত্রকর্ম এবং জিনিসপত্রের প্রদর্শনীর সঙ্গে সাত মিনিটের একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি স্ক্রিনে দেখানো হয়।
সাড়া জাগে বিশ্বজুড়ে
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ব্লুমসবারি এলাকায় অবস্থিত দ্য ব্রিটিশ মিউজিয়াম এমনিতেই বিশ্বদরবারে বেশ সমাদৃত। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাদুঘরগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি জাদুঘর। বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতির শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত, প্রায় ১৩ মিলিয়ন নিদর্শন এই জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। জাদুঘরের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত মানব সংস্কৃতির নথিপত্রও সংরক্ষিত আছে এখানে। এসবের সঙ্গে এই মিউজিয়ামে নতুন মাত্রা যুগ হয় ‘হজ: জার্নি টু দ্য হার্ট অব ইসলাম’ আয়োজনের মাধ্যমে। বিশ্বের প্রথম এই হজ প্রদর্শনী মুসলিম-অমুসলিম উভয়ের মধ্যেই বেশ সাড়া ফেলে। আয়োজকেরা আশা করেছিলেন ৮০ হাজারের মতো দর্শনার্থী এই আয়োজনে আসতে পারেন। সেভাবেই তাঁরা প্রস্তুতি নেন। কিন্তু তাঁদের অবাক করে এতে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার দর্শনার্থী ও গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত হন। এর মধ্যে ৪৭ শতাংশ দর্শনার্থী ছিলেন মুসলমান, বাকিরা অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। এই সংখ্যা শুধু প্রাপ্ত বয়স্কদের। শিশুদের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, কারণ তাদের প্রবেশ ছিল বিনা মূল্যে।
এই আয়োজনের ব্যাপক সাফল্যের ফলে হজ প্রদর্শনী শুরু হয় বিভিন্ন দেশে। পবিত্রতম এই ইবাদতের নানা অনুষঙ্গ দেখে মুগ্ধ হন মানুষজন। তবে প্রথম আয়োজনের সেই অনুরণন এখনো অমলিন হয়ে আছে দ্য ব্রিটিশ মিউজিয়ামে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আজ থেকে এক যুগেরও আগে লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে ‘হজ: জার্নি টু দ্য হার্ট অব ইসলাম’ নামে বিশ্বের প্রথম হজ-বিষয়ক প্রদর্শনীর আয়োজন হয়। প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক যুগের হজযাত্রা, বরকতময় এ যাত্রার প্রস্তুতি, মক্কার প্রাণজুড়ানো প্রকৃতি, কাবার নয়নাভিরাম দৃশ্য, হৃদয় শীতল করা জমজম, হাজিদের স্মৃতিচারণাসহ নানা
০৯ মে ২০২৫
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

আজ থেকে এক যুগেরও আগে লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে ‘হজ: জার্নি টু দ্য হার্ট অব ইসলাম’ নামে বিশ্বের প্রথম হজ-বিষয়ক প্রদর্শনীর আয়োজন হয়। প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক যুগের হজযাত্রা, বরকতময় এ যাত্রার প্রস্তুতি, মক্কার প্রাণজুড়ানো প্রকৃতি, কাবার নয়নাভিরাম দৃশ্য, হৃদয় শীতল করা জমজম, হাজিদের স্মৃতিচারণাসহ নানা
০৯ মে ২০২৫
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

আজ থেকে এক যুগেরও আগে লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে ‘হজ: জার্নি টু দ্য হার্ট অব ইসলাম’ নামে বিশ্বের প্রথম হজ-বিষয়ক প্রদর্শনীর আয়োজন হয়। প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক যুগের হজযাত্রা, বরকতময় এ যাত্রার প্রস্তুতি, মক্কার প্রাণজুড়ানো প্রকৃতি, কাবার নয়নাভিরাম দৃশ্য, হৃদয় শীতল করা জমজম, হাজিদের স্মৃতিচারণাসহ নানা
০৯ মে ২০২৫
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আজ থেকে এক যুগেরও আগে লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে ‘হজ: জার্নি টু দ্য হার্ট অব ইসলাম’ নামে বিশ্বের প্রথম হজ-বিষয়ক প্রদর্শনীর আয়োজন হয়। প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক যুগের হজযাত্রা, বরকতময় এ যাত্রার প্রস্তুতি, মক্কার প্রাণজুড়ানো প্রকৃতি, কাবার নয়নাভিরাম দৃশ্য, হৃদয় শীতল করা জমজম, হাজিদের স্মৃতিচারণাসহ নানা
০৯ মে ২০২৫
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১২ ঘণ্টা আগে