কাউসার লাবীব

হাবিল ও কাবিল নামে হজরত আদমের দু’টি সন্তান ছিল। এই দুই ভাইয়ের মধ্যে একবার এক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এই দ্বন্দ্ব নিরসনে আল্লাহর নামে তাদের কোরবানি করার আদেশ দেন আদম (আ.)। সেটিই ছিল পৃথিবীর প্রথম কোরবানি।
তখন বিধান ছিল—কোরবানির জন্য নির্ধারিত বস্তু খোলা জায়গায় রেখে দেওয়া হতো। আল্লাহ যার কোরবানি কবুল করতেন—আকাশ থেকে আগুন এসে তার বস্তু জ্বালিয়ে ফেলতো। আর কবুল না হলে, পড়ে থাকত। এভাবেই কোরবানিদাতা বুঝে নিতেন—তার কোরবানি মহান আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে কী না।
বাবা আদমের নির্দেশে দুই ভাই কোরবানি দিল। কাবিল চাষাবাদ করত আর হাবিল করত পশুপালন। কাবিল নিজের চাষ করা গম থেকে ভালোগুলো খাবারের জন্য রেখে খারাপগুলো কোরবানির জন্য রেখে এল। আর হাবিল তার পশুপালের সবচেয়ে ভালো দুম্বাটি রেখে এলেন কোরবানির জন্য।
কোরবানির মূল বিষয় হলো মনের নিয়ত। আল্লাহ সবার নিয়ত জানেন। রাখেন হৃদয়ের খবর। নিয়তের ত্রুটির কারণে কাবিলের কোরবানি যথাস্থানেই পড়ে থাকল। আর আকাশ থেকে অগ্নিশিখা এসে হাবিলের কোরবানি ভস্মীভূত করে দিল। নিয়তের বিশুদ্ধতায় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করলেন আদি পিতা আদম (আ.)-এর ছেলে হাবিল। সেখান থেকেই শুরু কোরবানির আয়োজন। চলছে কাল মহাকাল ধরে।
হাবিল-কাবিলের কোরবানির ঘটনা পবিত্র কোরআনে এসেছে এভাবে—
আদমের দুই পুত্রের খবর তাদের সঠিকভাবে জানিয়ে দাও। উভয়ে যখন একটি করে কোরবানি হাজির করেছিল, তখন তাদের একজনের নিকট থেকে কবুল করা হল। অন্যজনের নিকট থেকে কবুল করা হল না। সে বলল, আমি তোমাকে অবশ্যই হত্যা করব। অন্যজন বলল, আল্লাহ কেবল মুত্তাকিদের কোরবানি কবুল করেন। আমাকে হত্যা করার জন্য তুমি আমার দিকে হাত বাড়ালেও আমি তোমাকে হত্যা করার জন্য তোমার দিকে হাত বাড়াব না। আমি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি। আমি চাই তুমি আমার ও তোমার পাপের বোঝা বহন কর, আর অগ্নিবাসী হয়ে যাও। অন্যায়কারীদের এটাই প্রতিদান।
অতঃপর তার নফস তাকে ভ্রাতৃহত্যার কাজে প্ররোচিত করল। তাই সে তাকে হত্যা করল এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল। তারপর আল্লাহ একটি কাক পাঠালেন। কাক মাটি খনন করতে লাগল, সে তার ভাইয়ের লাশ কীভাবে গোপন করবে তা দেখানোর জন্য।
সে বলল, ধিক আমাকে, আমি এই কাকটির মতোও হতে পারলাম না—যাতে আমার ভাইয়ের লাশ গোপন করতে পারি! তাই সে অনুতপ্ত হল। (সুরা মায়িদা: ২৭-৩১)

হাবিল ও কাবিল নামে হজরত আদমের দু’টি সন্তান ছিল। এই দুই ভাইয়ের মধ্যে একবার এক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এই দ্বন্দ্ব নিরসনে আল্লাহর নামে তাদের কোরবানি করার আদেশ দেন আদম (আ.)। সেটিই ছিল পৃথিবীর প্রথম কোরবানি।
তখন বিধান ছিল—কোরবানির জন্য নির্ধারিত বস্তু খোলা জায়গায় রেখে দেওয়া হতো। আল্লাহ যার কোরবানি কবুল করতেন—আকাশ থেকে আগুন এসে তার বস্তু জ্বালিয়ে ফেলতো। আর কবুল না হলে, পড়ে থাকত। এভাবেই কোরবানিদাতা বুঝে নিতেন—তার কোরবানি মহান আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে কী না।
বাবা আদমের নির্দেশে দুই ভাই কোরবানি দিল। কাবিল চাষাবাদ করত আর হাবিল করত পশুপালন। কাবিল নিজের চাষ করা গম থেকে ভালোগুলো খাবারের জন্য রেখে খারাপগুলো কোরবানির জন্য রেখে এল। আর হাবিল তার পশুপালের সবচেয়ে ভালো দুম্বাটি রেখে এলেন কোরবানির জন্য।
কোরবানির মূল বিষয় হলো মনের নিয়ত। আল্লাহ সবার নিয়ত জানেন। রাখেন হৃদয়ের খবর। নিয়তের ত্রুটির কারণে কাবিলের কোরবানি যথাস্থানেই পড়ে থাকল। আর আকাশ থেকে অগ্নিশিখা এসে হাবিলের কোরবানি ভস্মীভূত করে দিল। নিয়তের বিশুদ্ধতায় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করলেন আদি পিতা আদম (আ.)-এর ছেলে হাবিল। সেখান থেকেই শুরু কোরবানির আয়োজন। চলছে কাল মহাকাল ধরে।
হাবিল-কাবিলের কোরবানির ঘটনা পবিত্র কোরআনে এসেছে এভাবে—
আদমের দুই পুত্রের খবর তাদের সঠিকভাবে জানিয়ে দাও। উভয়ে যখন একটি করে কোরবানি হাজির করেছিল, তখন তাদের একজনের নিকট থেকে কবুল করা হল। অন্যজনের নিকট থেকে কবুল করা হল না। সে বলল, আমি তোমাকে অবশ্যই হত্যা করব। অন্যজন বলল, আল্লাহ কেবল মুত্তাকিদের কোরবানি কবুল করেন। আমাকে হত্যা করার জন্য তুমি আমার দিকে হাত বাড়ালেও আমি তোমাকে হত্যা করার জন্য তোমার দিকে হাত বাড়াব না। আমি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি। আমি চাই তুমি আমার ও তোমার পাপের বোঝা বহন কর, আর অগ্নিবাসী হয়ে যাও। অন্যায়কারীদের এটাই প্রতিদান।
অতঃপর তার নফস তাকে ভ্রাতৃহত্যার কাজে প্ররোচিত করল। তাই সে তাকে হত্যা করল এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল। তারপর আল্লাহ একটি কাক পাঠালেন। কাক মাটি খনন করতে লাগল, সে তার ভাইয়ের লাশ কীভাবে গোপন করবে তা দেখানোর জন্য।
সে বলল, ধিক আমাকে, আমি এই কাকটির মতোও হতে পারলাম না—যাতে আমার ভাইয়ের লাশ গোপন করতে পারি! তাই সে অনুতপ্ত হল। (সুরা মায়িদা: ২৭-৩১)

দান—হৃদয়ের এক অনুপম ভাষা। এমন এক ভাষা, যা কোনো শব্দ ছাড়াই মানবতার অন্তরে গভীর রেখাপাত করে। দান কখনো সম্পদের হ্রাস নয়; বরং তা আত্মার প্রশান্তি, হৃদয়ের প্রশস্ততা ও প্রকৃত সমৃদ্ধির দুয়ার। দান মানুষের অন্তরের সেই বন্ধ দরজাটি খুলে দেয়, যেখানে বাস করে ভালোবাসা, করুণা আর সহানুভূতি।
৭ ঘণ্টা আগে
বদনজর মানে কুদৃষ্টি। মানুষের কুদৃষ্টির প্রভাব সত্য; এর কারণে মানুষ নানারকম ক্ষতির মুখোমুখি হয়। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা (বদনজর থেকে বাঁচার জন্য) আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও, কেননা বদনজর সত্য ও বাস্তব।’
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
জীবনের মূল লক্ষ্য হলো আত্মশুদ্ধি, অর্থাৎ নিজের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করা। বাহ্যিক জীবনে ধন, পদবি বা সামাজিক মর্যাদা যতই থাকুক, যদি হৃদয় খারাপ হয়—মানুষ কখনো প্রকৃত সাফল্য পেতে পারে না। কোরআন ও হাদিসে বারবার নিজের অন্তর পরিশুদ্ধ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

দান—হৃদয়ের এক অনুপম ভাষা। এমন এক ভাষা, যা কোনো শব্দ ছাড়াই মানবতার অন্তরে গভীর রেখাপাত করে। দান কখনো সম্পদের হ্রাস নয়; বরং তা আত্মার প্রশান্তি, হৃদয়ের প্রশস্ততা ও প্রকৃত সমৃদ্ধির দুয়ার। দান মানুষের অন্তরের সেই বন্ধ দরজাটি খুলে দেয়, যেখানে বাস করে ভালোবাসা, করুণা আর সহানুভূতি।
দানের মাধ্যমে মানুষ আপন স্বার্থের সীমানা ছাড়িয়ে অপরের সুখ-দুঃখে একাকার হয়ে যায়। ধনী-গরিবের মাঝে গড়ে ওঠে আত্মিক মেলবন্ধন। কখনো একটি ছোট দান কারও জীবনে বড় কল্যাণের কারণ হয়ে ওঠে, কখনো হয় কারও মুখে হাসির উৎস। দানের সৌন্দর্য এখানেই—দানকারী হয়তো ভুলে যায়, কিন্তু প্রাপক তা জীবনভর মনে রাখে।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে, আজকের সমাজে দানের এ মহান সৌন্দর্যে দাগ লেগেছে। কিছু মানুষ দানের মুখোশ পরে মানুষের হৃদয়ে আঘাত করে, করুণার নামে ফাঁদ পাতে, দানের আগে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে। তারা মানুষকে এমন পরীক্ষার মুখে দাঁড় করায়, যেন দয়া পাওয়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্য দরিদ্রকে তাদের কঠিন মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে হবে। এটি ইসলামের শিক্ষা নয়। এটি মানবতারও শিক্ষা নয়।
রাসুল (সা.) স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন: ‘তোমরা সহজ করো, কঠিন করো না। সুসংবাদ দাও, মানুষকে বিমুখ করো না।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৯৩৮; সহিহ্ মুসলিম: ১৭৩৪)
যারা দানের আগে মানুষকে প্রশ্নের বেড়াজালে আবদ্ধ করে, তারা তো কাজটিকে কঠিনই করে তুলেছে। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি সুস্পষ্ট অন্যায়। মানুষের গোপন দোষ খোঁজা কিংবা তাকে অপমান করার কোনো অধিকার কারও নেই। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের পার্থিব কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার আখিরাতের কষ্ট দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। যে ব্যক্তি অন্যের কষ্ট সহজ করে দেবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার কষ্ট সহজ করে দেবেন। বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্যে নিয়োজিত থাকবে, আল্লাহও ততক্ষণ তাকে সাহায্যের চাদরে ঢেকে রাখবেন।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৬৯৯)
আজ আমরা দেখতে পাই, কিছু মানুষ দানের নাম করে দানগ্রহীতাকে প্রশ্নের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তার দুঃখ-ব্যথার গভীরতা যাচাই করতে চায়। এ যেন দানের আড়ালে অপমানের নির্মম খেলা। এটি কি সত্যিই দান? এটি কি করুণা, না নির্মমতার মুখোশ? হাদিসে এসেছে: ‘কেয়ামতের দিন জাহান্নামিদের মধ্যে প্রথম বিচার হবে তিনজনের। তাদের একজন হলো সেই ব্যক্তি, যে দান করেছিল শুধু লোকদেখানোর উদ্দেশ্যে। তার এই দান তাকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে।’ (তিরমিজি: ২৩৮২)
তাদের প্রশ্ন কি সত্যিই দরিদ্রের উপকারের জন্য, না নিজেদের খ্যাতি ও বাহবা অর্জনের জন্য? দান যদি মানুষের সম্মানহানি ঘটায়, তবে তা বাহ্যিক দান বই কিছু নয়। প্রকৃতপক্ষে তা এক আত্মগর্বিত প্রদর্শনী মাত্র। এ যেন করুণার মশালের নিচে আঁধারের ছায়া।
দান করতে গিয়ে কখনো মানুষকে হেয় করা যাবে না, এমনকি এমন আচরণও করা যাবে না, যাতে অন্য কারও জন্য তাকে হেয় করার আশঙ্কা তৈরি হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা একে অপরকে হেয় করো না। এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। সে তার ভাইয়ের ওপর জুলুম করবে না, তাকে অপমান করবে না, তাকে হেয় করবে না।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৬৪৩৫)
দান হলো গোপন ইবাদত: আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘তোমরা যদি প্রকাশ্যে দান করো, (যদি লোকদেখানোর জন্য না হয়), তবে তাও ভালো। আর যদি গোপনে দান করো এবং গরিবদের দাও, তবে এটি তোমাদের জন্য অধিক উত্তম।’ (সুরা বাকারা: ২৭১)
ইসলামে গোপনে দান করাই সর্বোচ্চ মহত্ত্বের কাজ। তাই দানের আগে প্রাপককে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা, পরীক্ষা করা কিংবা তার আত্মসম্মানে আঘাত হানার মতো কোনো কাজ করা ইসলামের শিক্ষা নয়। দান কখনো কারও আত্মমর্যাদা ভাঙার বাহানা হতে পারে না। দান হলো করুণা, দান হলো সহানুভূতি, দান হলো হৃদয়ের নিঃশব্দ ভালোবাসা।
যারা দানের আড়ালে মানুষের আত্মাকে পিষে ফেলে, যারা করুণার প্রদীপের নিচে আঁধারের ছায়া সৃষ্টি করে—তাদের দান আসলে দান নয়, তা তো এক ঘৃণ্য আত্মপ্রদর্শনী মাত্র।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এমন দানের তৌফিক দিন, যা মানুষের সম্মান বাঁচায়, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয় এবং যা আমাদের জান্নাতের পথে এগিয়ে দেয়।
লেখক: মুফতি আহমাদুল্লাহ মাসউদ, শিক্ষক, জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া, কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা।

দান—হৃদয়ের এক অনুপম ভাষা। এমন এক ভাষা, যা কোনো শব্দ ছাড়াই মানবতার অন্তরে গভীর রেখাপাত করে। দান কখনো সম্পদের হ্রাস নয়; বরং তা আত্মার প্রশান্তি, হৃদয়ের প্রশস্ততা ও প্রকৃত সমৃদ্ধির দুয়ার। দান মানুষের অন্তরের সেই বন্ধ দরজাটি খুলে দেয়, যেখানে বাস করে ভালোবাসা, করুণা আর সহানুভূতি।
দানের মাধ্যমে মানুষ আপন স্বার্থের সীমানা ছাড়িয়ে অপরের সুখ-দুঃখে একাকার হয়ে যায়। ধনী-গরিবের মাঝে গড়ে ওঠে আত্মিক মেলবন্ধন। কখনো একটি ছোট দান কারও জীবনে বড় কল্যাণের কারণ হয়ে ওঠে, কখনো হয় কারও মুখে হাসির উৎস। দানের সৌন্দর্য এখানেই—দানকারী হয়তো ভুলে যায়, কিন্তু প্রাপক তা জীবনভর মনে রাখে।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে, আজকের সমাজে দানের এ মহান সৌন্দর্যে দাগ লেগেছে। কিছু মানুষ দানের মুখোশ পরে মানুষের হৃদয়ে আঘাত করে, করুণার নামে ফাঁদ পাতে, দানের আগে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে। তারা মানুষকে এমন পরীক্ষার মুখে দাঁড় করায়, যেন দয়া পাওয়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্য দরিদ্রকে তাদের কঠিন মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে হবে। এটি ইসলামের শিক্ষা নয়। এটি মানবতারও শিক্ষা নয়।
রাসুল (সা.) স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন: ‘তোমরা সহজ করো, কঠিন করো না। সুসংবাদ দাও, মানুষকে বিমুখ করো না।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৯৩৮; সহিহ্ মুসলিম: ১৭৩৪)
যারা দানের আগে মানুষকে প্রশ্নের বেড়াজালে আবদ্ধ করে, তারা তো কাজটিকে কঠিনই করে তুলেছে। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি সুস্পষ্ট অন্যায়। মানুষের গোপন দোষ খোঁজা কিংবা তাকে অপমান করার কোনো অধিকার কারও নেই। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের পার্থিব কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার আখিরাতের কষ্ট দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। যে ব্যক্তি অন্যের কষ্ট সহজ করে দেবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার কষ্ট সহজ করে দেবেন। বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্যে নিয়োজিত থাকবে, আল্লাহও ততক্ষণ তাকে সাহায্যের চাদরে ঢেকে রাখবেন।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৬৯৯)
আজ আমরা দেখতে পাই, কিছু মানুষ দানের নাম করে দানগ্রহীতাকে প্রশ্নের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তার দুঃখ-ব্যথার গভীরতা যাচাই করতে চায়। এ যেন দানের আড়ালে অপমানের নির্মম খেলা। এটি কি সত্যিই দান? এটি কি করুণা, না নির্মমতার মুখোশ? হাদিসে এসেছে: ‘কেয়ামতের দিন জাহান্নামিদের মধ্যে প্রথম বিচার হবে তিনজনের। তাদের একজন হলো সেই ব্যক্তি, যে দান করেছিল শুধু লোকদেখানোর উদ্দেশ্যে। তার এই দান তাকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে।’ (তিরমিজি: ২৩৮২)
তাদের প্রশ্ন কি সত্যিই দরিদ্রের উপকারের জন্য, না নিজেদের খ্যাতি ও বাহবা অর্জনের জন্য? দান যদি মানুষের সম্মানহানি ঘটায়, তবে তা বাহ্যিক দান বই কিছু নয়। প্রকৃতপক্ষে তা এক আত্মগর্বিত প্রদর্শনী মাত্র। এ যেন করুণার মশালের নিচে আঁধারের ছায়া।
দান করতে গিয়ে কখনো মানুষকে হেয় করা যাবে না, এমনকি এমন আচরণও করা যাবে না, যাতে অন্য কারও জন্য তাকে হেয় করার আশঙ্কা তৈরি হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা একে অপরকে হেয় করো না। এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। সে তার ভাইয়ের ওপর জুলুম করবে না, তাকে অপমান করবে না, তাকে হেয় করবে না।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৬৪৩৫)
দান হলো গোপন ইবাদত: আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘তোমরা যদি প্রকাশ্যে দান করো, (যদি লোকদেখানোর জন্য না হয়), তবে তাও ভালো। আর যদি গোপনে দান করো এবং গরিবদের দাও, তবে এটি তোমাদের জন্য অধিক উত্তম।’ (সুরা বাকারা: ২৭১)
ইসলামে গোপনে দান করাই সর্বোচ্চ মহত্ত্বের কাজ। তাই দানের আগে প্রাপককে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা, পরীক্ষা করা কিংবা তার আত্মসম্মানে আঘাত হানার মতো কোনো কাজ করা ইসলামের শিক্ষা নয়। দান কখনো কারও আত্মমর্যাদা ভাঙার বাহানা হতে পারে না। দান হলো করুণা, দান হলো সহানুভূতি, দান হলো হৃদয়ের নিঃশব্দ ভালোবাসা।
যারা দানের আড়ালে মানুষের আত্মাকে পিষে ফেলে, যারা করুণার প্রদীপের নিচে আঁধারের ছায়া সৃষ্টি করে—তাদের দান আসলে দান নয়, তা তো এক ঘৃণ্য আত্মপ্রদর্শনী মাত্র।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এমন দানের তৌফিক দিন, যা মানুষের সম্মান বাঁচায়, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয় এবং যা আমাদের জান্নাতের পথে এগিয়ে দেয়।
লেখক: মুফতি আহমাদুল্লাহ মাসউদ, শিক্ষক, জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া, কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা।

হাবিল ও কাবিল নামে হজরত আদমের দু’টি সন্তান ছিল। এই দুই ভাইয়ের মধ্যে একবার এক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এই দ্বন্দ্ব নিরসনে আল্লাহর নামে তাদের কোরবানি করার আদেশ দেন আদম (আ.)। সেটিই ছিল পৃথিবীর প্রথম কোরবানি।
০৭ জুন ২০২৫
বদনজর মানে কুদৃষ্টি। মানুষের কুদৃষ্টির প্রভাব সত্য; এর কারণে মানুষ নানারকম ক্ষতির মুখোমুখি হয়। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা (বদনজর থেকে বাঁচার জন্য) আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও, কেননা বদনজর সত্য ও বাস্তব।’
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
জীবনের মূল লক্ষ্য হলো আত্মশুদ্ধি, অর্থাৎ নিজের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করা। বাহ্যিক জীবনে ধন, পদবি বা সামাজিক মর্যাদা যতই থাকুক, যদি হৃদয় খারাপ হয়—মানুষ কখনো প্রকৃত সাফল্য পেতে পারে না। কোরআন ও হাদিসে বারবার নিজের অন্তর পরিশুদ্ধ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
১ দিন আগেমাহমুদ হাসান ফাহিম

বদনজর মানে কুদৃষ্টি। মানুষের কুদৃষ্টির প্রভাব সত্য; এর কারণে মানুষ নানারকম ক্ষতির মুখোমুখি হয়। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা (বদনজর থেকে বাঁচার জন্য) আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও, কেননা বদনজর সত্য ও বাস্তব।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩৫০৮)
নিজেকে, নিজের সন্তানসন্ততি ও ধনসম্পদকে সব সময় মন্দ লোকের কুদৃষ্টি থেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করতে হবে। সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহ তাআলার কাছে মন্দ লোকের কুদৃষ্টি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে। বদনজর থেকে বাঁচতে হাদিস শরিফে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা তিন কুল তথা সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস তিনবার করে পড়ার কথা বলা হয়েছে। (জামে তিরমিজি: ৩৫৭৫)
এ ছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.) উম্মতকে এই দোয়া শিখিয়েছেন, ‘বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদি, ওয়ালা ফিস সামায়ি, ওয়া হুওয়াস সামিউল আলিম।’ অর্থ: ‘আল্লাহর নামে (আশ্রয় নিচ্ছি), যার নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোনো বস্তুই ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী।’ (জামে তিরমিজি: ৩৩৩৫)
প্রত্যেক মা-বাবা শিশুর নিরাপত্তা ও সুস্থতা কামনা করেন। তাঁরা চান সন্তান সব ধরনের বিপদ-আপদ থেকে মুক্ত থাকুক। শিশুদের নিরাপত্তার জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া শিখিয়েছেন। তাদের সুরক্ষার জন্য মাঝেমধ্যে এ দোয়া পড়ে গায়ে ফুঁ দিতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এই দোয়া পড়ে হাসান-হুসাইন (রা.)-কে ফুঁ দিয়ে দিতেন, ‘আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাহ, মিন কুল্লি শাইতানিন ওয়া হাম্মাহ, ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাহ।’ অর্থ: ‘আল্লাহর পরিপূর্ণ কালামসমূহের মাধ্যমে শয়তানের সব আক্রমণ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। বিষধর প্রাণীর ও বদনজরের অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।’ (সহিহ্ বুখারি: ৩১৯১)
এই আমলগুলো নিয়মিত করলে বদনজর থেকে সুরক্ষা মিলবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর।

বদনজর মানে কুদৃষ্টি। মানুষের কুদৃষ্টির প্রভাব সত্য; এর কারণে মানুষ নানারকম ক্ষতির মুখোমুখি হয়। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা (বদনজর থেকে বাঁচার জন্য) আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও, কেননা বদনজর সত্য ও বাস্তব।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩৫০৮)
নিজেকে, নিজের সন্তানসন্ততি ও ধনসম্পদকে সব সময় মন্দ লোকের কুদৃষ্টি থেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করতে হবে। সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহ তাআলার কাছে মন্দ লোকের কুদৃষ্টি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে। বদনজর থেকে বাঁচতে হাদিস শরিফে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা তিন কুল তথা সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস তিনবার করে পড়ার কথা বলা হয়েছে। (জামে তিরমিজি: ৩৫৭৫)
এ ছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.) উম্মতকে এই দোয়া শিখিয়েছেন, ‘বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদি, ওয়ালা ফিস সামায়ি, ওয়া হুওয়াস সামিউল আলিম।’ অর্থ: ‘আল্লাহর নামে (আশ্রয় নিচ্ছি), যার নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোনো বস্তুই ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী।’ (জামে তিরমিজি: ৩৩৩৫)
প্রত্যেক মা-বাবা শিশুর নিরাপত্তা ও সুস্থতা কামনা করেন। তাঁরা চান সন্তান সব ধরনের বিপদ-আপদ থেকে মুক্ত থাকুক। শিশুদের নিরাপত্তার জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া শিখিয়েছেন। তাদের সুরক্ষার জন্য মাঝেমধ্যে এ দোয়া পড়ে গায়ে ফুঁ দিতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এই দোয়া পড়ে হাসান-হুসাইন (রা.)-কে ফুঁ দিয়ে দিতেন, ‘আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাহ, মিন কুল্লি শাইতানিন ওয়া হাম্মাহ, ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাহ।’ অর্থ: ‘আল্লাহর পরিপূর্ণ কালামসমূহের মাধ্যমে শয়তানের সব আক্রমণ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। বিষধর প্রাণীর ও বদনজরের অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।’ (সহিহ্ বুখারি: ৩১৯১)
এই আমলগুলো নিয়মিত করলে বদনজর থেকে সুরক্ষা মিলবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর।

হাবিল ও কাবিল নামে হজরত আদমের দু’টি সন্তান ছিল। এই দুই ভাইয়ের মধ্যে একবার এক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এই দ্বন্দ্ব নিরসনে আল্লাহর নামে তাদের কোরবানি করার আদেশ দেন আদম (আ.)। সেটিই ছিল পৃথিবীর প্রথম কোরবানি।
০৭ জুন ২০২৫
দান—হৃদয়ের এক অনুপম ভাষা। এমন এক ভাষা, যা কোনো শব্দ ছাড়াই মানবতার অন্তরে গভীর রেখাপাত করে। দান কখনো সম্পদের হ্রাস নয়; বরং তা আত্মার প্রশান্তি, হৃদয়ের প্রশস্ততা ও প্রকৃত সমৃদ্ধির দুয়ার। দান মানুষের অন্তরের সেই বন্ধ দরজাটি খুলে দেয়, যেখানে বাস করে ভালোবাসা, করুণা আর সহানুভূতি।
৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
জীবনের মূল লক্ষ্য হলো আত্মশুদ্ধি, অর্থাৎ নিজের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করা। বাহ্যিক জীবনে ধন, পদবি বা সামাজিক মর্যাদা যতই থাকুক, যদি হৃদয় খারাপ হয়—মানুষ কখনো প্রকৃত সাফল্য পেতে পারে না। কোরআন ও হাদিসে বারবার নিজের অন্তর পরিশুদ্ধ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৭ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৮ মিনিট | ০৬: ০৪ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪২ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৪: ৪৭ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৭ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৮ মিনিট | ০৬: ০৪ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪২ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৪: ৪৭ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হাবিল ও কাবিল নামে হজরত আদমের দু’টি সন্তান ছিল। এই দুই ভাইয়ের মধ্যে একবার এক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এই দ্বন্দ্ব নিরসনে আল্লাহর নামে তাদের কোরবানি করার আদেশ দেন আদম (আ.)। সেটিই ছিল পৃথিবীর প্রথম কোরবানি।
০৭ জুন ২০২৫
দান—হৃদয়ের এক অনুপম ভাষা। এমন এক ভাষা, যা কোনো শব্দ ছাড়াই মানবতার অন্তরে গভীর রেখাপাত করে। দান কখনো সম্পদের হ্রাস নয়; বরং তা আত্মার প্রশান্তি, হৃদয়ের প্রশস্ততা ও প্রকৃত সমৃদ্ধির দুয়ার। দান মানুষের অন্তরের সেই বন্ধ দরজাটি খুলে দেয়, যেখানে বাস করে ভালোবাসা, করুণা আর সহানুভূতি।
৭ ঘণ্টা আগে
বদনজর মানে কুদৃষ্টি। মানুষের কুদৃষ্টির প্রভাব সত্য; এর কারণে মানুষ নানারকম ক্ষতির মুখোমুখি হয়। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা (বদনজর থেকে বাঁচার জন্য) আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও, কেননা বদনজর সত্য ও বাস্তব।’
১২ ঘণ্টা আগে
জীবনের মূল লক্ষ্য হলো আত্মশুদ্ধি, অর্থাৎ নিজের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করা। বাহ্যিক জীবনে ধন, পদবি বা সামাজিক মর্যাদা যতই থাকুক, যদি হৃদয় খারাপ হয়—মানুষ কখনো প্রকৃত সাফল্য পেতে পারে না। কোরআন ও হাদিসে বারবার নিজের অন্তর পরিশুদ্ধ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
১ দিন আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

জীবনের মূল লক্ষ্য হলো আত্মশুদ্ধি, অর্থাৎ নিজের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করা। বাহ্যিক জীবনে ধন, পদবি বা সামাজিক মর্যাদা যতই থাকুক, যদি হৃদয় খারাপ হয়—মানুষ কখনো প্রকৃত সাফল্য পেতে পারে না। কোরআন ও হাদিসে বারবার নিজের অন্তর পরিশুদ্ধ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
আত্মশুদ্ধি কি ও কেন গুরুত্বপূর্ণ
আত্মশুদ্ধি বা তাজকিয়া মানে হলো নিজের হৃদয়কে পাপ, অহংকার, রাগ ও মন্দ চিন্তা থেকে মুক্ত রাখা। একজন পরিশুদ্ধ অন্তরধারী মানুষ ধৈর্য, বিনয়, সততা ও আল্লাহভীতি অর্জন করেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই সে-ই সফল, যে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেছে; আর সে-ই ব্যর্থ, যে একে কলুষিত করেছে।’ (সুরা শামস: ৯–১০)
আমরা এখানে দেখতে পাই যে, প্রকৃত সাফল্য শুধু বাহ্যিক জীবনে নয়, অন্তরের পরিশুদ্ধিতেও নিহিত।
কোরআনের নির্দেশনায় আত্মশুদ্ধি
১. তওবা ও ইস্তিগফার: আত্মশুদ্ধির প্রথম ধাপ হলো নিজের ভুল স্বীকার করে আল্লাহর কাছে ফিরে আসা। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর নিকট তওবা করো—যাতে তোমরা সফল হও।’ (সুরা নুর: ৩১)
২. আল্লাহর স্মরণ ও জিকির: কোরআন বলছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর স্মরণে অন্তর প্রশান্তি পায়।’ (সুরা রাদ: ২৮)। জিকির, কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়া আমাদের অন্তরকে শান্ত করে এবং মন্দ চিন্তা থেকে মুক্ত রাখে।
৩. তাকওয়া ও সৎকর্ম: আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জন্য পথ খুলে দেন এবং তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেন, যা সে কল্পনাও করে না।’ (সুরা তালাক: ২–৩)। আত্মশুদ্ধির জন্য আল্লাহভীতি অপরিহার্য। এটি অহংকার, লোভ ও রাগ কমাতে সাহায্য করে।
মহানবী (সা.)-এর জীবন থেকে শিক্ষা
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন আমাদের জন্য আত্মশুদ্ধির আদর্শ। তাঁর চরিত্রে আমরা পাই—দয়া, ক্ষমাশীলতা, বিনয়, সততা ও আত্মসংযম।
পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তিনি (আল্লাহ) তোমাদের মাঝে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন, যিনি তোমাদের কাছে আল্লাহর আয়াতসমূহ পাঠ করেন, তোমাদের পরিশুদ্ধ করেন এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন।’ (সুরা বাকারা: ১৫১)। এ থেকে বোঝা যায়, নবী (সা.)-এর আগমনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল মানুষের হৃদয় পরিশুদ্ধ করা।
হাদিসে আত্মশুদ্ধি
১. নিয়ত ঠিক রাখা: ‘সব কাজ নিয়তের ওপর নির্ভরশীল।’ (সহিহ্ বুখারি: ১)। যেকোনো কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করলে অন্তর পরিশুদ্ধ হয়।
২. রাগ সংযম ও ক্ষমাশীলতা: ‘শক্তিমান সে নয়, যে কুস্তিতে জয়ী হয়; বরং শক্তিমান সে, যে রাগের সময় নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬১১৪)। রাগ নিয়ন্ত্রণ করলে অন্তর শান্ত থাকে এবং অহংকার কমে।
৩. হৃদয়ের পবিত্রতা: ‘দেহে একটি অঙ্গ আছে, যদি তা ভালো থাকে, তবে গোটা দেহ ভালো থাকে; আর যদি তা নষ্ট হয়, তবে গোটা দেহ নষ্ট হয়। সেটি হলো হৃদয়।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫২)
৪. অহংকার ও হিংসা থেকে বিরত থাকা: ‘যার অন্তরে সরিষার দানার সমান অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৯১)। নবীজির শিক্ষা হলো অহংকার, হিংসা ও মন্দ মানসিকতা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা।
আত্মশুদ্ধির সাধারণ উপায়
নিয়মিত নামাজ আদায় ও কোরআন তিলাওয়াত করা। দোয়া ও জিকিরে অভ্যস্ত থাকা। অন্যের প্রতি সহানুভূতি থাকা এবং সেবা করা। প্রতিদিন নিজেকে মূল্যায়ন করা। ভালো মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা।
পরিশেষে, আত্মশুদ্ধি অর্জনই মানুষের জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য। যদি হৃদয় খারাপ থাকে, কোনো জ্ঞান, ধন বা পদবি প্রকৃত কল্যাণ দিতে পারে না। নবীজি (সা.)-এর জীবন আমাদের দেখিয়েছে—হৃদয় পবিত্র থাকলে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন সম্ভব। আল্লাহ বলেন, ‘সেদিন কোনো ধন-সম্পদ বা সন্তান উপকারে আসবে না; কেবল সেই ব্যক্তি সফল হবে—যার হৃদয় বিশুদ্ধ।’ (সুরা শুআরা: ৮৮–৮৯)
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি

জীবনের মূল লক্ষ্য হলো আত্মশুদ্ধি, অর্থাৎ নিজের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করা। বাহ্যিক জীবনে ধন, পদবি বা সামাজিক মর্যাদা যতই থাকুক, যদি হৃদয় খারাপ হয়—মানুষ কখনো প্রকৃত সাফল্য পেতে পারে না। কোরআন ও হাদিসে বারবার নিজের অন্তর পরিশুদ্ধ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
আত্মশুদ্ধি কি ও কেন গুরুত্বপূর্ণ
আত্মশুদ্ধি বা তাজকিয়া মানে হলো নিজের হৃদয়কে পাপ, অহংকার, রাগ ও মন্দ চিন্তা থেকে মুক্ত রাখা। একজন পরিশুদ্ধ অন্তরধারী মানুষ ধৈর্য, বিনয়, সততা ও আল্লাহভীতি অর্জন করেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই সে-ই সফল, যে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেছে; আর সে-ই ব্যর্থ, যে একে কলুষিত করেছে।’ (সুরা শামস: ৯–১০)
আমরা এখানে দেখতে পাই যে, প্রকৃত সাফল্য শুধু বাহ্যিক জীবনে নয়, অন্তরের পরিশুদ্ধিতেও নিহিত।
কোরআনের নির্দেশনায় আত্মশুদ্ধি
১. তওবা ও ইস্তিগফার: আত্মশুদ্ধির প্রথম ধাপ হলো নিজের ভুল স্বীকার করে আল্লাহর কাছে ফিরে আসা। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর নিকট তওবা করো—যাতে তোমরা সফল হও।’ (সুরা নুর: ৩১)
২. আল্লাহর স্মরণ ও জিকির: কোরআন বলছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর স্মরণে অন্তর প্রশান্তি পায়।’ (সুরা রাদ: ২৮)। জিকির, কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়া আমাদের অন্তরকে শান্ত করে এবং মন্দ চিন্তা থেকে মুক্ত রাখে।
৩. তাকওয়া ও সৎকর্ম: আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জন্য পথ খুলে দেন এবং তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেন, যা সে কল্পনাও করে না।’ (সুরা তালাক: ২–৩)। আত্মশুদ্ধির জন্য আল্লাহভীতি অপরিহার্য। এটি অহংকার, লোভ ও রাগ কমাতে সাহায্য করে।
মহানবী (সা.)-এর জীবন থেকে শিক্ষা
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন আমাদের জন্য আত্মশুদ্ধির আদর্শ। তাঁর চরিত্রে আমরা পাই—দয়া, ক্ষমাশীলতা, বিনয়, সততা ও আত্মসংযম।
পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তিনি (আল্লাহ) তোমাদের মাঝে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন, যিনি তোমাদের কাছে আল্লাহর আয়াতসমূহ পাঠ করেন, তোমাদের পরিশুদ্ধ করেন এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন।’ (সুরা বাকারা: ১৫১)। এ থেকে বোঝা যায়, নবী (সা.)-এর আগমনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল মানুষের হৃদয় পরিশুদ্ধ করা।
হাদিসে আত্মশুদ্ধি
১. নিয়ত ঠিক রাখা: ‘সব কাজ নিয়তের ওপর নির্ভরশীল।’ (সহিহ্ বুখারি: ১)। যেকোনো কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করলে অন্তর পরিশুদ্ধ হয়।
২. রাগ সংযম ও ক্ষমাশীলতা: ‘শক্তিমান সে নয়, যে কুস্তিতে জয়ী হয়; বরং শক্তিমান সে, যে রাগের সময় নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬১১৪)। রাগ নিয়ন্ত্রণ করলে অন্তর শান্ত থাকে এবং অহংকার কমে।
৩. হৃদয়ের পবিত্রতা: ‘দেহে একটি অঙ্গ আছে, যদি তা ভালো থাকে, তবে গোটা দেহ ভালো থাকে; আর যদি তা নষ্ট হয়, তবে গোটা দেহ নষ্ট হয়। সেটি হলো হৃদয়।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫২)
৪. অহংকার ও হিংসা থেকে বিরত থাকা: ‘যার অন্তরে সরিষার দানার সমান অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৯১)। নবীজির শিক্ষা হলো অহংকার, হিংসা ও মন্দ মানসিকতা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা।
আত্মশুদ্ধির সাধারণ উপায়
নিয়মিত নামাজ আদায় ও কোরআন তিলাওয়াত করা। দোয়া ও জিকিরে অভ্যস্ত থাকা। অন্যের প্রতি সহানুভূতি থাকা এবং সেবা করা। প্রতিদিন নিজেকে মূল্যায়ন করা। ভালো মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা।
পরিশেষে, আত্মশুদ্ধি অর্জনই মানুষের জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য। যদি হৃদয় খারাপ থাকে, কোনো জ্ঞান, ধন বা পদবি প্রকৃত কল্যাণ দিতে পারে না। নবীজি (সা.)-এর জীবন আমাদের দেখিয়েছে—হৃদয় পবিত্র থাকলে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন সম্ভব। আল্লাহ বলেন, ‘সেদিন কোনো ধন-সম্পদ বা সন্তান উপকারে আসবে না; কেবল সেই ব্যক্তি সফল হবে—যার হৃদয় বিশুদ্ধ।’ (সুরা শুআরা: ৮৮–৮৯)
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি

হাবিল ও কাবিল নামে হজরত আদমের দু’টি সন্তান ছিল। এই দুই ভাইয়ের মধ্যে একবার এক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এই দ্বন্দ্ব নিরসনে আল্লাহর নামে তাদের কোরবানি করার আদেশ দেন আদম (আ.)। সেটিই ছিল পৃথিবীর প্রথম কোরবানি।
০৭ জুন ২০২৫
দান—হৃদয়ের এক অনুপম ভাষা। এমন এক ভাষা, যা কোনো শব্দ ছাড়াই মানবতার অন্তরে গভীর রেখাপাত করে। দান কখনো সম্পদের হ্রাস নয়; বরং তা আত্মার প্রশান্তি, হৃদয়ের প্রশস্ততা ও প্রকৃত সমৃদ্ধির দুয়ার। দান মানুষের অন্তরের সেই বন্ধ দরজাটি খুলে দেয়, যেখানে বাস করে ভালোবাসা, করুণা আর সহানুভূতি।
৭ ঘণ্টা আগে
বদনজর মানে কুদৃষ্টি। মানুষের কুদৃষ্টির প্রভাব সত্য; এর কারণে মানুষ নানারকম ক্ষতির মুখোমুখি হয়। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা (বদনজর থেকে বাঁচার জন্য) আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও, কেননা বদনজর সত্য ও বাস্তব।’
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে