আবদুল আযিয কাসেমি
আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য কিছু করণীয় ও বর্জনীয় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। করণীয় কাজগুলো আঞ্জাম দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের বিশেষ একটি গুণ অর্জন করা অপরিহার্য। তা হলো ইহসানের গুণ। ইহসান অর্থ হলো কোনো কাজ সর্বোচ্চ পর্যায়ের সুন্দর ও নিখুঁতভাবে সম্পাদন করা।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘যখন তোমরা হত্যা করবে, তখন উত্তমরূপে করবে। (অর্থাৎ যুদ্ধের প্রয়োজনে শত্রুকে হত্যা করতে হলে উত্তমরূপে করো। তার লাশকে অসম্মান কোরো না। অঙ্গ বিকৃত কোরো না।) আর যখন পশু জবাই করবে, তখন উত্তমরূপে জবাই করবে। (অর্থাৎ জবাইয়ের সময় পশুকে কষ্ট দেবে না। ছুরি যেন খুব ধারালো হয়। সহজেই যেন জবাই সম্পন্ন হয়।)
আল্লাহ তাআলার কাছে আমলের পরিমাণের চেয়ে গুণগত মানই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পরিমাণের বিশেষ কোনো মূল্য আল্লাহর কাছে নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনি সেই সত্তা, যিনি জীবন ও মৃত্যু এ জন্য সৃষ্টি করেছেন, যেন তোমাদের পরীক্ষা করতে পারেন যে তোমাদের মধ্যে কার আমল সবচেয়ে বেশি সুন্দর।’ (সুরা মুলক: ২)
এই গুণগত মানকেই ইসলামের পরিভাষায় ইহসান বলা হয়। হাদিসে জিবরাইল নামে খ্যাত এক হাদিসে এসেছে, জিবরাইল নবীজি (সা.)কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইহসান কী?’ জবাবে নবীজি বললেন, ‘এমনভাবে ইবাদত করা, যেন তুমি আল্লাহকে দেখতে পাচ্ছো, অথবা অন্ততপক্ষে এই অনুভূতি যেন থাকে, আল্লাহ তোমাকে দেখছেন।’ (সহিহ মুসলিম)
আয়াত ও হাদিস থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, আমল যদি মানসম্মত না হয় এবং নিষ্প্রাণ হয়, তবে সেই আমল দিয়ে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব নয়। পক্ষান্তরে অল্প আমল সত্ত্বেও যদি সে আমল মানসম্পন্ন হয়, তবে তা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের কার্যকর মাধ্যম বলে বিবেচিত হবে।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য কিছু করণীয় ও বর্জনীয় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। করণীয় কাজগুলো আঞ্জাম দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের বিশেষ একটি গুণ অর্জন করা অপরিহার্য। তা হলো ইহসানের গুণ। ইহসান অর্থ হলো কোনো কাজ সর্বোচ্চ পর্যায়ের সুন্দর ও নিখুঁতভাবে সম্পাদন করা।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘যখন তোমরা হত্যা করবে, তখন উত্তমরূপে করবে। (অর্থাৎ যুদ্ধের প্রয়োজনে শত্রুকে হত্যা করতে হলে উত্তমরূপে করো। তার লাশকে অসম্মান কোরো না। অঙ্গ বিকৃত কোরো না।) আর যখন পশু জবাই করবে, তখন উত্তমরূপে জবাই করবে। (অর্থাৎ জবাইয়ের সময় পশুকে কষ্ট দেবে না। ছুরি যেন খুব ধারালো হয়। সহজেই যেন জবাই সম্পন্ন হয়।)
আল্লাহ তাআলার কাছে আমলের পরিমাণের চেয়ে গুণগত মানই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পরিমাণের বিশেষ কোনো মূল্য আল্লাহর কাছে নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনি সেই সত্তা, যিনি জীবন ও মৃত্যু এ জন্য সৃষ্টি করেছেন, যেন তোমাদের পরীক্ষা করতে পারেন যে তোমাদের মধ্যে কার আমল সবচেয়ে বেশি সুন্দর।’ (সুরা মুলক: ২)
এই গুণগত মানকেই ইসলামের পরিভাষায় ইহসান বলা হয়। হাদিসে জিবরাইল নামে খ্যাত এক হাদিসে এসেছে, জিবরাইল নবীজি (সা.)কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইহসান কী?’ জবাবে নবীজি বললেন, ‘এমনভাবে ইবাদত করা, যেন তুমি আল্লাহকে দেখতে পাচ্ছো, অথবা অন্ততপক্ষে এই অনুভূতি যেন থাকে, আল্লাহ তোমাকে দেখছেন।’ (সহিহ মুসলিম)
আয়াত ও হাদিস থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, আমল যদি মানসম্মত না হয় এবং নিষ্প্রাণ হয়, তবে সেই আমল দিয়ে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব নয়। পক্ষান্তরে অল্প আমল সত্ত্বেও যদি সে আমল মানসম্পন্ন হয়, তবে তা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের কার্যকর মাধ্যম বলে বিবেচিত হবে।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
সময়ের এক গাঢ় দুপুরে, জ্ঞান ভুবনের দরজায় এক সন্ন্যাসী দাঁড়িয়ে ছিলেন—নীরব, দীপ্ত, অদ্ভুত নিরাসক্ত। তাঁর হাতে ছিল না কোনো তরবারি, ছিল কেবল এক কলম। তাঁর কণ্ঠে ছিল না কোনো উচ্চারণ, কিন্তু তাঁর লেখা যুগে যুগে উচ্চারিত হয়েছে পৃথিবীর সকল ভাষায়। তিনি ইবনে সিনা। মৃত্যু তাঁকে কেড়ে নেয় ১০৩৭ সালের ২২ জুন...
৬ ঘণ্টা আগেঘুম জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শরীরের ক্লান্তি আর অবসাদ দূর হয় ঘুমে। ঘুমোলেই ভেসে ওঠে নানা স্বপ্ন। কখনো ভয়ের, কখনো আসার কখনোবা আনন্দের। কোন স্বপ্ন দেখলে করণীয় কী—সে বিষয়ে রয়েছে ইসলামের নির্দেশনা।
১২ ঘণ্টা আগেজান্নাত লাভের বহু পথ-পদ্ধতি কোরআন-হাদিসে বর্ণিত আছে। এমন চারটি আমল রয়েছে; যা করলে নির্বিঘ্নে জান্নাত যাওয়া যাবে। হজরত আবু ইউসুফ আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, হে লোক সকল—
১৩ ঘণ্টা আগেসন্তানকে ইবাদতে উৎসাহ দেওয়া মা-বাবার মহান দায়িত্ব। ছোটবেলা থেকেই নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে তারা পরবর্তী জীবনে নীতিমান ও ধার্মিক হয়ে বেড়ে ওঠে। খেলার ছলে নামাজের ভঙ্গি শেখানো, দোয়া মুখস্থ করানো, পরিবারের সঙ্গে ইবাদতে অংশ নিতে বলা—এগুলো তাদের মনে ধর্মীয় চেতনা গড়ে তোলে।
১৮ ঘণ্টা আগে