হুসাইন আহমদ
আরবি ফাসাদ শব্দের অর্থ কল্যাণের পরিপন্থী কাজ করা। মানুষের জন্য কল্যাণকর নয় জেনেও কোনো কাজ করলে, তা ইসলামের দৃষ্টিতে ফাসাদ বা বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি। সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা ইসলামে বিশ্বাসীদের কাজ নয়। পবিত্র কোরআনের অসংখ্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা ফাসাদ বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। যথা—
এক. পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন, ‘তারা দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কাজ করে বেড়ায়; আল্লাহ ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্তদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা মায়িদা: ৬৪)
দুই. অন্যত্র এরশাদ করেছেন, ‘দুনিয়ায় শান্তি স্থাপনের পর তোমরা তাতে বিপর্যয় সৃষ্টি কোরো না, তাঁকে (আল্লাহকে) ভয় ও আশার সঙ্গে ডাকবে।’ (সুরা আরাফ: ৫৬)
তিন. অন্যত্র এরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ জানেন—কে কল্যাণকামী এবং কে অনিষ্টকারী।’ (সুরা বাকারা: ২২০)
চার. আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা আল্লাহর সঙ্গে দৃঢ় অঙ্গীকারে আবদ্ধ হওয়ার পর তা ভঙ্গ করে, যা অক্ষুণ্ন রাখতে আল্লাহ আদেশ করেছেন, তা ছিন্ন করে এবং দুনিয়ায় অশান্তি সৃষ্টি করে বেড়ায়, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।’ (সুরা বাকারা: ২৭)
পাঁচ. আল্লাহ বলেছেন, ‘যখন তাদেরকে বলা হয়, পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি কোরো না, তারা বলে আমরাই তো শান্তি স্থাপনকারী। সাবধান! তারাই অশান্তি সৃষ্টিকারী। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না।’ (সুরা বাকারা: ১১-১২)
ছয়. অন্য এক আয়াতে এরশাদ করেছেন, ‘সে বলল, হে আমার প্রতিপালক, বিপর্যয় সৃষ্টিকারী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করো।’ (সুরা আনকাবুত: ৩০) অতএব সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কোনোভাবেই প্রশ্রয় দিতে নেই।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
আরবি ফাসাদ শব্দের অর্থ কল্যাণের পরিপন্থী কাজ করা। মানুষের জন্য কল্যাণকর নয় জেনেও কোনো কাজ করলে, তা ইসলামের দৃষ্টিতে ফাসাদ বা বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি। সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা ইসলামে বিশ্বাসীদের কাজ নয়। পবিত্র কোরআনের অসংখ্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা ফাসাদ বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। যথা—
এক. পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন, ‘তারা দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কাজ করে বেড়ায়; আল্লাহ ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্তদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা মায়িদা: ৬৪)
দুই. অন্যত্র এরশাদ করেছেন, ‘দুনিয়ায় শান্তি স্থাপনের পর তোমরা তাতে বিপর্যয় সৃষ্টি কোরো না, তাঁকে (আল্লাহকে) ভয় ও আশার সঙ্গে ডাকবে।’ (সুরা আরাফ: ৫৬)
তিন. অন্যত্র এরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ জানেন—কে কল্যাণকামী এবং কে অনিষ্টকারী।’ (সুরা বাকারা: ২২০)
চার. আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা আল্লাহর সঙ্গে দৃঢ় অঙ্গীকারে আবদ্ধ হওয়ার পর তা ভঙ্গ করে, যা অক্ষুণ্ন রাখতে আল্লাহ আদেশ করেছেন, তা ছিন্ন করে এবং দুনিয়ায় অশান্তি সৃষ্টি করে বেড়ায়, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।’ (সুরা বাকারা: ২৭)
পাঁচ. আল্লাহ বলেছেন, ‘যখন তাদেরকে বলা হয়, পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি কোরো না, তারা বলে আমরাই তো শান্তি স্থাপনকারী। সাবধান! তারাই অশান্তি সৃষ্টিকারী। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না।’ (সুরা বাকারা: ১১-১২)
ছয়. অন্য এক আয়াতে এরশাদ করেছেন, ‘সে বলল, হে আমার প্রতিপালক, বিপর্যয় সৃষ্টিকারী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করো।’ (সুরা আনকাবুত: ৩০) অতএব সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কোনোভাবেই প্রশ্রয় দিতে নেই।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
সময়ের এক গাঢ় দুপুরে, জ্ঞান ভুবনের দরজায় এক সন্ন্যাসী দাঁড়িয়ে ছিলেন—নীরব, দীপ্ত, অদ্ভুত নিরাসক্ত। তাঁর হাতে ছিল না কোনো তরবারি, ছিল কেবল এক কলম। তাঁর কণ্ঠে ছিল না কোনো উচ্চারণ, কিন্তু তাঁর লেখা যুগে যুগে উচ্চারিত হয়েছে পৃথিবীর সকল ভাষায়। তিনি ইবনে সিনা। মৃত্যু তাঁকে কেড়ে নেয় ১০৩৭ সালের ২২ জুন...
৩৮ মিনিট আগেঘুম জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শরীরের ক্লান্তি আর অবসাদ দূর হয় ঘুমে। ঘুমোলেই ভেসে ওঠে নানা স্বপ্ন। কখনো ভয়ের, কখনো আসার কখনোবা আনন্দের। কোন স্বপ্ন দেখলে করণীয় কী—সে বিষয়ে রয়েছে ইসলামের নির্দেশনা।
৭ ঘণ্টা আগেজান্নাত লাভের বহু পথ-পদ্ধতি কোরআন-হাদিসে বর্ণিত আছে। এমন চারটি আমল রয়েছে; যা করলে নির্বিঘ্নে জান্নাত যাওয়া যাবে। হজরত আবু ইউসুফ আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, হে লোক সকল—
৭ ঘণ্টা আগেসন্তানকে ইবাদতে উৎসাহ দেওয়া মা-বাবার মহান দায়িত্ব। ছোটবেলা থেকেই নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে তারা পরবর্তী জীবনে নীতিমান ও ধার্মিক হয়ে বেড়ে ওঠে। খেলার ছলে নামাজের ভঙ্গি শেখানো, দোয়া মুখস্থ করানো, পরিবারের সঙ্গে ইবাদতে অংশ নিতে বলা—এগুলো তাদের মনে ধর্মীয় চেতনা গড়ে তোলে।
১২ ঘণ্টা আগে