হজরত মুসা (আ.)-এর উম্মত তথা বনি ইসরাইলকে আল্লাহ তাআলা জান্নাতি খাবার ‘মান্না-সালওয়া’ দান করেছিলেন। ‘মান্না’ হলো বরফের মতো স্বচ্ছ শুভ্র এক ধরনের মিষ্টি খাবার, যা গাছপালার ওপর পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপন্ন হতো। আর সালওয়া হলো এক ধরনের পাখি, যেগুলো তাদের কাছে ঝাঁকে ঝাঁকে সমবেত হতো; তাদের কাছ থেকে পালাত না। তারা সেগুলো ধরে খেত। (মাআরেফুল কোরআন: ১/২১৩)
তবে বনি ইসরাইলের সেই খাবার পছন্দ হচ্ছিল না। তারা এর পরিবর্তে শাকসবজি ও পেঁয়াজ ইত্যাদি খেতে চাইল। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এ ঘটনার অবতারণা করেই পেঁয়াজের আলোচনা এনেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘যখন তোমরা বলেছিলে—হে মুসা, আমরা এ ধরনের খাদ্যে কখনো ধৈর্য ধরব না। সুতরাং আপনি আপনার প্রতিপালকের কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন।
তিনি যেন ভূমিজাত দ্রব্য শাকসবজি, কাঁকুড়, গম, মসুর ও পেঁয়াজ আমাদের জন্য উৎপাদন করেন। মুসা বললেন—তোমরা কি উন্নত বস্তুর বদলে নিকৃষ্ট বস্তু চাও? তবে কোনো নগরে অবতরণ করো। তোমরা যা চাও, নিশ্চয়ই তা সেখানে আছে। তারা লাঞ্ছনা ও দারিদ্র্যগ্রস্ত হলো এবং তারা আল্লাহর ক্রোধের পাত্র হলো। এটি এ জন্য যে তারা আল্লাহর আয়াতকে অস্বীকার করত এবং নবীদের অন্যায়ভাবে হত্যা করত। অবাধ্যতা ও সীমালঙ্ঘন করার কারণেই তাদের এই পরিণতি হয়েছিল।’ (সুরা বাকারা: ৬১)
পার্থিব এসব শাকসবজির তুলনায় মান্না-সালওয়াকে উন্নত বলার কারণ হলো এগুলো জান্নাতি খাবার। আল্লাহ তাআলা অনুগ্রহ করে বনি ইসরাইলের জন্য পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তারা তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তবে ইসলামে শাকসবজি ও পেঁয়াজ-রসুন খেতে কোনো আপত্তি নেই। হ্যাঁ, মসজিদে কিংবা কোনো জনসমাগমে যাওয়ার আগে কাঁচা পেঁয়াজ ও রসুন খেতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। কেননা এতে মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়, যা অন্যদের কষ্টের কারণ হয়।
মুফতি ইশমাম আহমেদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
হজরত মুসা (আ.)-এর উম্মত তথা বনি ইসরাইলকে আল্লাহ তাআলা জান্নাতি খাবার ‘মান্না-সালওয়া’ দান করেছিলেন। ‘মান্না’ হলো বরফের মতো স্বচ্ছ শুভ্র এক ধরনের মিষ্টি খাবার, যা গাছপালার ওপর পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপন্ন হতো। আর সালওয়া হলো এক ধরনের পাখি, যেগুলো তাদের কাছে ঝাঁকে ঝাঁকে সমবেত হতো; তাদের কাছ থেকে পালাত না। তারা সেগুলো ধরে খেত। (মাআরেফুল কোরআন: ১/২১৩)
তবে বনি ইসরাইলের সেই খাবার পছন্দ হচ্ছিল না। তারা এর পরিবর্তে শাকসবজি ও পেঁয়াজ ইত্যাদি খেতে চাইল। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এ ঘটনার অবতারণা করেই পেঁয়াজের আলোচনা এনেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘যখন তোমরা বলেছিলে—হে মুসা, আমরা এ ধরনের খাদ্যে কখনো ধৈর্য ধরব না। সুতরাং আপনি আপনার প্রতিপালকের কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন।
তিনি যেন ভূমিজাত দ্রব্য শাকসবজি, কাঁকুড়, গম, মসুর ও পেঁয়াজ আমাদের জন্য উৎপাদন করেন। মুসা বললেন—তোমরা কি উন্নত বস্তুর বদলে নিকৃষ্ট বস্তু চাও? তবে কোনো নগরে অবতরণ করো। তোমরা যা চাও, নিশ্চয়ই তা সেখানে আছে। তারা লাঞ্ছনা ও দারিদ্র্যগ্রস্ত হলো এবং তারা আল্লাহর ক্রোধের পাত্র হলো। এটি এ জন্য যে তারা আল্লাহর আয়াতকে অস্বীকার করত এবং নবীদের অন্যায়ভাবে হত্যা করত। অবাধ্যতা ও সীমালঙ্ঘন করার কারণেই তাদের এই পরিণতি হয়েছিল।’ (সুরা বাকারা: ৬১)
পার্থিব এসব শাকসবজির তুলনায় মান্না-সালওয়াকে উন্নত বলার কারণ হলো এগুলো জান্নাতি খাবার। আল্লাহ তাআলা অনুগ্রহ করে বনি ইসরাইলের জন্য পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তারা তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তবে ইসলামে শাকসবজি ও পেঁয়াজ-রসুন খেতে কোনো আপত্তি নেই। হ্যাঁ, মসজিদে কিংবা কোনো জনসমাগমে যাওয়ার আগে কাঁচা পেঁয়াজ ও রসুন খেতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। কেননা এতে মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়, যা অন্যদের কষ্টের কারণ হয়।
মুফতি ইশমাম আহমেদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
বিশ্বাসভঙ্গের এক নির্মম রূপ বিশ্বাসঘাতকতা বা গাদ্দারি। এটি বিশ্বাসের বন্ধন ছিন্ন করে দেয়। বিশ্বাস মানুষের মনে-প্রাণে আস্থার দেয়াল গড়ে তোলে। আর বিশ্বাসঘাতকতা সেই দেয়ালে আঘাত করে ভেঙে ফেলে সবকিছু।
৩ ঘণ্টা আগেসময়ের এক গাঢ় দুপুরে, জ্ঞান ভুবনের দরজায় এক সন্ন্যাসী দাঁড়িয়ে ছিলেন—নীরব, দীপ্ত, অদ্ভুত নিরাসক্ত। তাঁর হাতে ছিল না কোনো তরবারি, ছিল কেবল এক কলম। তাঁর কণ্ঠে ছিল না কোনো উচ্চারণ, কিন্তু তাঁর লেখা যুগে যুগে উচ্চারিত হয়েছে পৃথিবীর সকল ভাষায়। তিনি ইবনে সিনা। মৃত্যু তাঁকে কেড়ে নেয় ১০৩৭ সালের ২২ জুন...
১৪ ঘণ্টা আগেঘুম জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শরীরের ক্লান্তি আর অবসাদ দূর হয় ঘুমে। ঘুমোলেই ভেসে ওঠে নানা স্বপ্ন। কখনো ভয়ের, কখনো আসার কখনোবা আনন্দের। কোন স্বপ্ন দেখলে করণীয় কী—সে বিষয়ে রয়েছে ইসলামের নির্দেশনা।
২০ ঘণ্টা আগেজান্নাত লাভের বহু পথ-পদ্ধতি কোরআন-হাদিসে বর্ণিত আছে। এমন চারটি আমল রয়েছে; যা করলে নির্বিঘ্নে জান্নাত যাওয়া যাবে। হজরত আবু ইউসুফ আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, হে লোক সকল—
২১ ঘণ্টা আগে