মাওলানা ইসমাইল নাজিম
পাঁচটি শর্ত পাওয়া গেলে একজন মানুষের জন্য হজ ফরজ হয়। শর্তগুলো হলো—মুসলমান হওয়া, মানসিকভাবে সুস্থ হওয়া, সাবালক হওয়া, স্বাধীন হওয়া এবং সামর্থ্য থাকা। শেষোক্ত শর্তটি সম্পর্কে অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে। তাই এখানে বিষয়টির বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরা হলো।
সামর্থ্যের ব্যাখ্যা: পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘এই ঘরের হজ করা মানুষের ওপর আল্লাহর প্রাপ্য; যে লোকের সামর্থ্য রয়েছে এ পর্যন্ত পৌঁছার।’ (সুরা আল ইমরান: ৯৭) আয়াতে সামর্থ্য বলতে শারীরিক ও আর্থিক দুই ধরনের সক্ষমতাকেই বোঝানো হয়েছে। হজ ফরজ হওয়ার জন্য মক্কায় গিয়ে হজের বিধান পালনের মতো সুস্থতা থাকতে হবে। পাশাপাশি নিজের মৌলিক খরচ বাদে হজের মৌসুমে মক্কায় যাওয়া-আসা-থাকার একান্ত প্রয়োজনীয় খরচ এবং এই সময়ে পরিবারের ভরণপোষণের প্রয়োজনীয় খরচ জমা থাকলে হজ ফরজ হয়। ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধ প্রাধান্য পাবে। ঋণ থাকলে এবং যে টাকা জমা আছে তা দিয়ে ঋণ ও হজ দুটিই আদায় করতে না পারলে হজ ফরজ হবে না।
প্রয়োজনীয় খরচ কতটুকু প্রয়োজনীয় খরচ বলতে এখানে অপচয়-অপব্যয় বাদ দেওয়ার কথা বোঝানো হয়েছে। একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য যে উপকরণগুলো একান্ত প্রয়োজন, সেগুলোই তাঁর মৌলিক প্রয়োজন। তাই গাড়ি-বাড়ি বিক্রি করে হজ করা ফরজ নয়। তবে একাধিক গাড়ি-বাড়ি থাকলে একটিই প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং বাকিগুলো অতিরিক্ত বিবেচনা করা হবে। নিজের পেশাসংশ্লিষ্ট সম্পদগুলোও মৌলিক সম্পদের অন্তর্ভুক্ত হবে। যেসব জমিজমা ও সম্পদের ওপর ব্যক্তি নির্ভরশীল, তাও মৌলিক প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত। একইভাবে বিয়েও মৌলিক প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত। বিয়ের প্রয়োজন থাকলে হজের আগে বিয়ে প্রাধান্য পাবে।
শারীরিকভাবে অক্ষম হলে: যে ব্যক্তির হজ করার মতো অতিরিক্ত টাকা আছে, তবে মক্কায় গিয়ে হজের বিধান পালনের মতো সক্ষমতা নেই, সেই অক্ষমতা এমন রোগের কারণে হয়ে থাকে, যা থেকে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাহলে সুস্থ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবে এবং সুস্থ হলে হজ করে নেবে। এর বিপরীত হলে অন্য কোনো সক্ষম ব্যক্তির মাধ্যমে বদলি হজ করিয়ে নেবে। বুখারিতে এ বিষয়ে হাদিস এসেছে।
নারীর হজ ফরজ হওয়ার জন্য মাহরাম সঙ্গে থাকা শর্ত। বুখারি ও মুসলিমে এ বিষয়ে হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তবে নারীর হজের জন্য স্বামীর অনুমতির শর্ত নেই। ওপরের শর্তগুলো পাওয়া গেলে স্বামীর অনুমতি ছাড়াই হজ করতে পারবেন নারীরা।
সূত্র: আল-শারহুল মুমতি: ৭ /৫-২৮। ইসলামকিউএ ডট ইনফো থেকে সংক্ষেপিত।
পাঁচটি শর্ত পাওয়া গেলে একজন মানুষের জন্য হজ ফরজ হয়। শর্তগুলো হলো—মুসলমান হওয়া, মানসিকভাবে সুস্থ হওয়া, সাবালক হওয়া, স্বাধীন হওয়া এবং সামর্থ্য থাকা। শেষোক্ত শর্তটি সম্পর্কে অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে। তাই এখানে বিষয়টির বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরা হলো।
সামর্থ্যের ব্যাখ্যা: পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘এই ঘরের হজ করা মানুষের ওপর আল্লাহর প্রাপ্য; যে লোকের সামর্থ্য রয়েছে এ পর্যন্ত পৌঁছার।’ (সুরা আল ইমরান: ৯৭) আয়াতে সামর্থ্য বলতে শারীরিক ও আর্থিক দুই ধরনের সক্ষমতাকেই বোঝানো হয়েছে। হজ ফরজ হওয়ার জন্য মক্কায় গিয়ে হজের বিধান পালনের মতো সুস্থতা থাকতে হবে। পাশাপাশি নিজের মৌলিক খরচ বাদে হজের মৌসুমে মক্কায় যাওয়া-আসা-থাকার একান্ত প্রয়োজনীয় খরচ এবং এই সময়ে পরিবারের ভরণপোষণের প্রয়োজনীয় খরচ জমা থাকলে হজ ফরজ হয়। ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধ প্রাধান্য পাবে। ঋণ থাকলে এবং যে টাকা জমা আছে তা দিয়ে ঋণ ও হজ দুটিই আদায় করতে না পারলে হজ ফরজ হবে না।
প্রয়োজনীয় খরচ কতটুকু প্রয়োজনীয় খরচ বলতে এখানে অপচয়-অপব্যয় বাদ দেওয়ার কথা বোঝানো হয়েছে। একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য যে উপকরণগুলো একান্ত প্রয়োজন, সেগুলোই তাঁর মৌলিক প্রয়োজন। তাই গাড়ি-বাড়ি বিক্রি করে হজ করা ফরজ নয়। তবে একাধিক গাড়ি-বাড়ি থাকলে একটিই প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং বাকিগুলো অতিরিক্ত বিবেচনা করা হবে। নিজের পেশাসংশ্লিষ্ট সম্পদগুলোও মৌলিক সম্পদের অন্তর্ভুক্ত হবে। যেসব জমিজমা ও সম্পদের ওপর ব্যক্তি নির্ভরশীল, তাও মৌলিক প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত। একইভাবে বিয়েও মৌলিক প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত। বিয়ের প্রয়োজন থাকলে হজের আগে বিয়ে প্রাধান্য পাবে।
শারীরিকভাবে অক্ষম হলে: যে ব্যক্তির হজ করার মতো অতিরিক্ত টাকা আছে, তবে মক্কায় গিয়ে হজের বিধান পালনের মতো সক্ষমতা নেই, সেই অক্ষমতা এমন রোগের কারণে হয়ে থাকে, যা থেকে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাহলে সুস্থ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবে এবং সুস্থ হলে হজ করে নেবে। এর বিপরীত হলে অন্য কোনো সক্ষম ব্যক্তির মাধ্যমে বদলি হজ করিয়ে নেবে। বুখারিতে এ বিষয়ে হাদিস এসেছে।
নারীর হজ ফরজ হওয়ার জন্য মাহরাম সঙ্গে থাকা শর্ত। বুখারি ও মুসলিমে এ বিষয়ে হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তবে নারীর হজের জন্য স্বামীর অনুমতির শর্ত নেই। ওপরের শর্তগুলো পাওয়া গেলে স্বামীর অনুমতি ছাড়াই হজ করতে পারবেন নারীরা।
সূত্র: আল-শারহুল মুমতি: ৭ /৫-২৮। ইসলামকিউএ ডট ইনফো থেকে সংক্ষেপিত।
মানবসভ্যতার ইতিহাসে যুগে যুগে বহু ক্ষণজন্মা মনীষীর আগমন ঘটেছে, যাঁরা তাঁদের কর্ম ও প্রজ্ঞা দিয়ে ইতিহাসের গতিপথ বদলে দিয়েছেন। তাঁরা জাতির ভাগ্য রচনা করে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। তবে এ সকল মহান ব্যক্তিত্বের মধ্যে খোলাফায়ে রাশেদিন (রা.)-এর মর্যাদা যেমন অতীত ইতিহাসে বিরল, তেমনি ভবিষ্যতেও তা অতুলনীয়...
১ ঘণ্টা আগেআমরা কোরআন ও হাদিসের প্রতি গভীরভাবে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলে দেখতে পাই এমন কিছু ভালোবাসার কথা বর্ণিত হয়েছে, যেসব মানুষকে আল্লাহর কাছে প্রিয় করে তোলে। ইহ-পরকালীন সম্মানে তাকে ভূষিত করে। পার্থিব জীবনেও দেয় শান্তি-স্বস্তি। এমন কিছু ভালোবাসার বিবরণ নিম্নে তুলে ধরা হলো—
৩ ঘণ্টা আগেদানশীলতা ও উদারতা ছিল মহানবী (সা.)-এর চরিত্রের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য। তাঁর এই গুণ ছিল সর্বজনবিদিত। হাদিস এসেছে, ‘রাসুল (সা.) সব মানুষের চেয়ে বেশি দানশীল ছিলেন।’ (সহিহ্ বুখারি)। দানশীল ব্যক্তিদের একটি বিশেষ গুণ হলো, তাঁরা অতিথিদের খুব আদর-আপ্যায়ন করেন
৯ ঘণ্টা আগেমানুষের স্বভাবজাত দুইটি বৈশিষ্ট্য হলো কোমলতা ও কঠোরতা। তবে মানবিক সম্পর্ক, সামাজিক সংহতি, এমনকি আল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগেও প্রয়োজন হয় হৃদয়ের কোমলতা ও নম্রতার। কারণ সম্পর্ক গড়ে উঠে ভালোবাসা, সহানুভূতি ও মানবিক আচরণের মধ্যে দিয়ে। আর রূঢ় ও কঠোরতায় সম্পর্কের বিনাশ ঘটে।
২১ ঘণ্টা আগে