ড. মো. শাহজাহান কবীর
অন্তর হলো ভেতরের এমন একটি যন্ত্র, যেখান থেকে মানুষের কর্মধারা প্রকাশিত হয়। সেখান থেকে যদি ভালো ও উপকারী কিছু প্রকাশিত হয়, তাকেই উত্তম চরিত্র বলা হয়। যেমন মার্জিত ভাষায় কথা বলা, কাউকে গালি না দেওয়া, দান-খয়রাত করা, দুঃখ-কষ্টে ধৈর্য ধরা, সততা বজায় রাখা, বিনয়ী ও স্পষ্টভাষী, শান্ত ভাব, লজ্জাশীলতা, বীরত্ব, ধীরস্থিরতা, দৃঢ়তা ও ন্যায়বিচার করা ইত্যাদি।
অন্যের প্রতি সুধারণা পোষণ, সহনশীল হওয়া, সময়ানুবর্তী হওয়া, পরিমিত রসিকতা করা, ওয়াদা পূরণ, অল্পে তুষ্টি, কর্মোদ্যম, দয়া প্রদর্শন, আমানতদারি বজায় রাখা, পরিমিত কথা বলা, অন্যায় কথা বলা থেকে বিরত থাকা, ভুল হলে তা থেকে ফিরে আসা, গোপনীয়তা রক্ষা করা, ক্ষমা করা ইত্যাদি উত্তম চরিত্রের অন্তর্ভুক্ত।
চরিত্রবান লোককে সমাজের সবাই শ্রদ্ধা করে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর অবশ্যই আপনি মহান চরিত্রের অধিকারী।’ (সুরা কলম: ৪) হাদিসে প্রিয় নবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আমাকে সচ্চরিত্রের পূর্ণতা সাধনের নিমিত্তেই পাঠানো হয়েছে।’ (মুসলিম)
একদিন এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)কে দ্বীনের সংজ্ঞা জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, ‘উত্তম চরিত্র।’ এ কথার মাধ্যমে বোঝা যায়, উত্তম চরিত্র গঠন করা দ্বীনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
মহানবী (সা.) গুনাহমুক্ত হয়েও চরিত্র সুন্দর করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন। তিনি বলতেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার চরিত্র সুন্দর করুন, যেমনভাবে আমার শারীরিক গঠন সুন্দর করেছেন।’ (মুসনাদে আহমাদ)
মহানবী (সা.) বলেন, ‘কেয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে ওই ব্যক্তিই সবচেয়ে খারাপ, যাকে মানুষ তার অশালীন কথার ভয়ে ত্যাগ করেছে।’ (আবু দাউদ)
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
অন্তর হলো ভেতরের এমন একটি যন্ত্র, যেখান থেকে মানুষের কর্মধারা প্রকাশিত হয়। সেখান থেকে যদি ভালো ও উপকারী কিছু প্রকাশিত হয়, তাকেই উত্তম চরিত্র বলা হয়। যেমন মার্জিত ভাষায় কথা বলা, কাউকে গালি না দেওয়া, দান-খয়রাত করা, দুঃখ-কষ্টে ধৈর্য ধরা, সততা বজায় রাখা, বিনয়ী ও স্পষ্টভাষী, শান্ত ভাব, লজ্জাশীলতা, বীরত্ব, ধীরস্থিরতা, দৃঢ়তা ও ন্যায়বিচার করা ইত্যাদি।
অন্যের প্রতি সুধারণা পোষণ, সহনশীল হওয়া, সময়ানুবর্তী হওয়া, পরিমিত রসিকতা করা, ওয়াদা পূরণ, অল্পে তুষ্টি, কর্মোদ্যম, দয়া প্রদর্শন, আমানতদারি বজায় রাখা, পরিমিত কথা বলা, অন্যায় কথা বলা থেকে বিরত থাকা, ভুল হলে তা থেকে ফিরে আসা, গোপনীয়তা রক্ষা করা, ক্ষমা করা ইত্যাদি উত্তম চরিত্রের অন্তর্ভুক্ত।
চরিত্রবান লোককে সমাজের সবাই শ্রদ্ধা করে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর অবশ্যই আপনি মহান চরিত্রের অধিকারী।’ (সুরা কলম: ৪) হাদিসে প্রিয় নবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আমাকে সচ্চরিত্রের পূর্ণতা সাধনের নিমিত্তেই পাঠানো হয়েছে।’ (মুসলিম)
একদিন এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)কে দ্বীনের সংজ্ঞা জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, ‘উত্তম চরিত্র।’ এ কথার মাধ্যমে বোঝা যায়, উত্তম চরিত্র গঠন করা দ্বীনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
মহানবী (সা.) গুনাহমুক্ত হয়েও চরিত্র সুন্দর করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন। তিনি বলতেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার চরিত্র সুন্দর করুন, যেমনভাবে আমার শারীরিক গঠন সুন্দর করেছেন।’ (মুসনাদে আহমাদ)
মহানবী (সা.) বলেন, ‘কেয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে ওই ব্যক্তিই সবচেয়ে খারাপ, যাকে মানুষ তার অশালীন কথার ভয়ে ত্যাগ করেছে।’ (আবু দাউদ)
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
শান্তি, শৃঙ্খলা এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূলমন্ত্র হলো পরামর্শ। পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ ও রাষ্ট্র পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে পরামর্শভিত্তিক কাজের গুরুত্ব অপরিসীম। পরামর্শ করে কাজ করলে যেমন মানসিক তৃপ্তি আসে, তেমনি তাতে আল্লাহর রহমতও বর্ষিত হয়। ইসলামে পরামর্শকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। মহানবী (সা.)
২ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের ৬২ তম সুরা, সুরা জুমুআ। এটি মাদানি সুরা, যা জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে কেন্দ্র করে নাজিল হয়েছে। এই সুরার মূল বার্তা হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের মাধ্যমে ইমানদারদের পরিশুদ্ধ জীবন লাভ এবং ইহুদিদের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।
১ দিন আগেজনসম্পদকে আমানত হিসেবে দেখা, এর প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং এর অপব্যবহার থেকে বিরত থাকা ইমানের অপরিহার্য অংশ। এটি একজন মুমিনের সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্যের পরিচায়ক। এই সম্পদের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ নৈতিক ও ইমানি কর্তব্য।
১ দিন আগেআমি প্রবাসে আছি সাত বছর হলো। এখনো বিয়ে করিনি। বিয়ের পর আর প্রবাসে আসার ইচ্ছে নেই। তাই মা-বাবাকে বলেছি, পাত্রী দেখার জন্য। যদি সবকিছু ঠিক থাকে মোবাইলের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করে দেশে চলে আসব। প্রবাসে বসে মোবাইলে বিয়ে করা কি আমার জন্য জায়েজ হবে? এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
১ দিন আগে