ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, এর মধ্যে দান-সদকা করা অন্যতম। বিভিন্ন স্থানে দান-সদকা করার চেয়ে গরিব আত্মীয়স্বজনকে দান করার গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক এবং উত্তম কাজ হিসেবে স্বীকৃত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ভালো কাজ এটা নয় যে তোমরা তোমাদের চেহারা পূর্ব ও পশ্চিম দিকে ফেরাবে। বরং ভালো কাজ হলো সম্পদের প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও যে তা দান করে নিকটাত্মীয়দের, এতিম, অসহায়, মুসাফির ও প্রার্থনাকারীকে।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
মহানবী (সা.) বলেন, ‘কোনো অসহায় মানুষকে দান করলে কেবল সদকা করার সওয়াব পাওয়া যায়, আর নিকটাত্মীয়কে দান করলে তার সওয়াব দ্বিগুণ হয়। একটি হলো সদকার সওয়াব, আরেকটি আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখার সওয়াব।’ (আহমদ)
সমাজে দেখা যায়, কারও কেবল মেয়েসন্তান থাকলে অন্য ওয়ারিশরা যাতে সম্পদ না পায়, তাই তিনি মেয়ের নামে সবকিছু লিখে দেন। এতে অন্য ওয়ারিশরা বঞ্চিত হয়। এটি ইসলামসম্মত নয় এবং আল্লাহর বিধানের বিকৃতি। তাই এমন কাজ করা হারাম। কারণ মেয়ে একজন হলে সমুদয় সম্পদের অর্ধেক এবং একাধিক হলে দুই-তৃতীয়াংশ পাবে। অবশিষ্ট সম্পদ অন্য ওয়ারিশরা পাবে।
হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) মৃত্যুসজ্জায় শুয়ে মহানবী (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার তো অনেক সম্পদ; উত্তরাধিকার হিসেবে রয়েছে আমার একমাত্র কন্যা। আমি কি আমার সব সম্পদ গরিবদের জন্য লিখে দেব?’ তখন তিনি বললেন, ‘এক-তৃতীয়াংশ লিখে দিতে পারো। এক-তৃতীয়াংশও অনেক সম্পদ। তবে জেনে রাখো, তোমার আত্মীয়স্বজনদের ভিখারি রেখে যাওয়ার চেয়ে তাদের সচ্ছল রেখে যাওয়া উত্তম।’ (মুসলিম)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, এর মধ্যে দান-সদকা করা অন্যতম। বিভিন্ন স্থানে দান-সদকা করার চেয়ে গরিব আত্মীয়স্বজনকে দান করার গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক এবং উত্তম কাজ হিসেবে স্বীকৃত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ভালো কাজ এটা নয় যে তোমরা তোমাদের চেহারা পূর্ব ও পশ্চিম দিকে ফেরাবে। বরং ভালো কাজ হলো সম্পদের প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও যে তা দান করে নিকটাত্মীয়দের, এতিম, অসহায়, মুসাফির ও প্রার্থনাকারীকে।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
মহানবী (সা.) বলেন, ‘কোনো অসহায় মানুষকে দান করলে কেবল সদকা করার সওয়াব পাওয়া যায়, আর নিকটাত্মীয়কে দান করলে তার সওয়াব দ্বিগুণ হয়। একটি হলো সদকার সওয়াব, আরেকটি আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখার সওয়াব।’ (আহমদ)
সমাজে দেখা যায়, কারও কেবল মেয়েসন্তান থাকলে অন্য ওয়ারিশরা যাতে সম্পদ না পায়, তাই তিনি মেয়ের নামে সবকিছু লিখে দেন। এতে অন্য ওয়ারিশরা বঞ্চিত হয়। এটি ইসলামসম্মত নয় এবং আল্লাহর বিধানের বিকৃতি। তাই এমন কাজ করা হারাম। কারণ মেয়ে একজন হলে সমুদয় সম্পদের অর্ধেক এবং একাধিক হলে দুই-তৃতীয়াংশ পাবে। অবশিষ্ট সম্পদ অন্য ওয়ারিশরা পাবে।
হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) মৃত্যুসজ্জায় শুয়ে মহানবী (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার তো অনেক সম্পদ; উত্তরাধিকার হিসেবে রয়েছে আমার একমাত্র কন্যা। আমি কি আমার সব সম্পদ গরিবদের জন্য লিখে দেব?’ তখন তিনি বললেন, ‘এক-তৃতীয়াংশ লিখে দিতে পারো। এক-তৃতীয়াংশও অনেক সম্পদ। তবে জেনে রাখো, তোমার আত্মীয়স্বজনদের ভিখারি রেখে যাওয়ার চেয়ে তাদের সচ্ছল রেখে যাওয়া উত্তম।’ (মুসলিম)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
মানুষের প্রকৃত সৌন্দর্য তার মন-মানসিকতা ও চরিত্রে নিহিত। বাহ্যিক চাকচিক্যের চাইতে সুস্থ চিন্তা, সদাচরণ, মানবিক গুণাবলিই মানুষের সত্যিকারের পরিচয়। ইসলাম কেবল ইবাদত নির্ভর ধর্ম নয়, বরং এটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আত্মশুদ্ধি, নৈতিক উন্নয়ন এবং মানবিক কল্যাণে ইসলাম অনন্য ভূমিকা পালন করে।
১০ ঘণ্টা আগেনামাজ মহান আল্লাহ তাআলার সঙ্গে বান্দার এক গভীর সংযোগের মাধ্যম। এই ইবাদত আদায়ের সময় আমাদের উচিত সর্বোচ্চ মনোযোগ ও বিনয় বজায় রাখা। তাই নামাজের মধ্যে কোনো কিছু বিঘ্ন ঘটলে তা থেকে সতর্ক থাকা অপরিহার্য।
২১ ঘণ্টা আগেরাজধানী বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী হজ ও ওমরাহ মেলা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে এই মেলার উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হজ এজেন্সি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
১ দিন আগেমানুষ সমাজবদ্ধ জীব। তার জীবন কেবল নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সাথে সুসম্পর্ক ও সুশৃঙ্খল বন্ধনের মাধ্যমে জীবনের পরিপূর্ণতা আসে। ইসলামে এই আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোরআনের পরিভাষায় একে বলা হয় ‘সিলায়ে রেহমি’ এবং এটি রক্ষা করাকে ওয়াজিব...
১ দিন আগে