Ajker Patrika

সুরা জিলজালে কিয়ামত প্রসঙ্গ

আমজাদ ইউনুস 
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭: ৩৩
সুরা জিলজালে কিয়ামত প্রসঙ্গ

সুরা জিলজাল পবিত্র কোরআনের ৯৯তম সুরা। এটি মদিনায় অবতীর্ণ। এতে মোট ৮টি আয়াত রয়েছে। এ সুরার অনেক ফজিলত রয়েছে। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, সুরা ‘ইজা জুলজিলাতিল আরদু’ কোরআনের অর্ধেকের সমান।(তিরমিজি) এ সুরার মূল বিষয় হলো, পৃথিবীর ধ্বংস তথা কিয়ামত সংঘটিত হওয়া, মানুষের পুনরুত্থান এবং পুনরুত্থান-পরবর্তী মানুষের অবস্থার বিবরণ।

সুরা জিলজালের বয়ান অনুসারে, শিঙায় প্রথমবার ফুৎকার দেওয়ার পর চূড়ান্ত ভূমিকম্পের কারণে সারা পৃথিবী কেঁপে উঠবে। সব বস্তু চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে। (তাফসিরে সাদি) শিঙায় দ্বিতীয়বার ফুৎকারের পর ভূগর্ভ তার বোঝাসমূহ বের করে দেবে। অর্থাৎ আল্লাহর আদেশে কবরবাসী সবাই জীবিত হয়ে বের হবে। অনুরূপভাবে যাবতীয় খনিজ পদার্থ ও গুপ্তধনসমূহও বের হয়ে পড়বে। সেদিন মাটি তার ওপরে যেসব ভালো ও মন্দ কর্ম সংঘটিত হয়েছে, সব বলে দেবে। মহান আল্লাহ সেদিন মাটিকে কথা বলার শক্তি দান করবেন। (তাফসিরে সাদি) 
সেদিন মানুষ হাশরের মাঠ থেকে তাদের আমল অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে যাবে; তাদের কেউ জান্নাতে যাবে, কেউ যাবে জাহান্নামে। (তাফসিরে জালালাইন) সেদিন মানুষকে নিজেদের আমল দেখানো হবে। প্রত্যেকে দুনিয়ায় কী কাজ করে এসেছে তা তাকে বলা হবে। কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা সে দেখতে পাবে। আর কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও সে দেখতে পাবে।

অর্থাৎ সৎ বা অসৎকর্ম, তা যত ছোটই হোক না কেন, সবকিছু ওই দিন হিসাবে চলে আসবে এবং তার যথাযথ প্রতিদান ও প্রতিফল পাবে। তবে কোনো কাফির অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তাকে দুনিয়াতেই তার প্রতিদান দেওয়া হবে। সে আখিরাতে সৎকর্মের কোনো প্রতিদান পাবে না। (তফসিরে কুরতুবি)

লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত