দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ (সদর উপজেলা) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের আনোয়ারা ইসলাম রানী। তিনি নির্বাচনে ঈগল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছেন। রংপুর শহরে নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে কথা হয় রানীর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক সাইফুল মাসুম ও রংপুর প্রতিনিধি শিপুল ইসলাম।
আজকের পত্রিকা: রংপুর-৩ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়ে মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন। ভোটারদের কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
রানী: বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনবিমুখ হয়ে গেছে। নির্বাচনের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ফলে ভোটকেন্দ্রে যাঁদের যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না, তাঁরাও বলছেন, ভোট দেবেন।
আজকের পত্রিকা: কী চিন্তা থেকে আপনি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন?
রানী: রংপুরের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে একটি দলকে অন্ধের মতো নির্বাচিত করে আসছে। জায়গার ছাওয়া বলে বারবার সরল মনে যাদের এমপি বানাচ্ছি, নির্বাচিত হওয়ার পরে তাঁরা ঢাকামুখী হয়ে যান। তাঁরা রংপুরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। রংপুর এলাকার নেতৃত্বশূন্যতা পূরণ করতেই এবার আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।
আজকের পত্রিকা: মানুষ আপনাকে কেন ভোট দেবেন?
রানী: এত দিন যাদের ভোট দিয়েছে, তারা কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। মানুষ নতুন কিছু দেখতে চায়। পরিবর্তন চায়। সেই পরিবর্তন আমি করতে পারব। কারণ, আমার কোনো পিছুটান নেই। সংসার নেই, স্বামী নেই, সন্তান নেই। আমেরিকা কিংবা কানাডায় বাড়ি করার প্রয়োজন নেই। রংপুরের মানুষ এমন ত্যাগী প্রার্থী চাচ্ছে, যার কারণে তারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
আজকের পত্রিকা: আপনার নির্বাচনী অঙ্গীকার সম্পর্কে জানতে চাই।
রানী: রংপুর যেহেতু কৃষিভিত্তিক অঞ্চল, প্রথমে রংপুরের কৃষিভিত্তিক কলকারখানা গড়ে তুলব। রংপুরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলব।
আজকের পত্রিকা: সংসদে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য আসনের দাবি দীর্ঘদিনের। আপনার ভোটে দাঁড়ানোর সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে কি?
রানী: আমাদের দাবি ছিল সংসদে সংরক্ষিত আসন। সেটা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। যার কারণে আমি সরাসরি সংসদ সদস্য পদে অংশগ্রহণ করেছি। আমি তৃতীয় লিঙ্গ নাকি চতুর্থ লিঙ্গ, সেটা কোনো বিষয় নয়। গুরুত্ব হচ্ছে, আমি একজন মানুষ। কাজ করবে আমার মাথা আর হাত।
আজকের পত্রিকা: তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য কী করবেন?
রানী: আমি এখন এমপি নই। এই অঞ্চলের তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর আমি নেতৃত্ব দিই। এখানে ৩৯২ জন সদস্যের মধ্যে ১৫০ জনকে বিভিন্ন ট্রেডে সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ করিয়েছি। ৬৫ জনকে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে বের করে এনে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছি। আমি নির্বাচিত হলে বাকিদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেব। এরা আর পথেঘাটে ঘুরবে না। সবাইকে কর্মমুখী করে দেব।
আজকের পত্রিকা: রংপুর-৩ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়ে মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন। ভোটারদের কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
রানী: বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনবিমুখ হয়ে গেছে। নির্বাচনের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ফলে ভোটকেন্দ্রে যাঁদের যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না, তাঁরাও বলছেন, ভোট দেবেন।
আজকের পত্রিকা: কী চিন্তা থেকে আপনি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন?
রানী: রংপুরের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে একটি দলকে অন্ধের মতো নির্বাচিত করে আসছে। জায়গার ছাওয়া বলে বারবার সরল মনে যাদের এমপি বানাচ্ছি, নির্বাচিত হওয়ার পরে তাঁরা ঢাকামুখী হয়ে যান। তাঁরা রংপুরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। রংপুর এলাকার নেতৃত্বশূন্যতা পূরণ করতেই এবার আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।
আজকের পত্রিকা: মানুষ আপনাকে কেন ভোট দেবেন?
রানী: এত দিন যাদের ভোট দিয়েছে, তারা কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। মানুষ নতুন কিছু দেখতে চায়। পরিবর্তন চায়। সেই পরিবর্তন আমি করতে পারব। কারণ, আমার কোনো পিছুটান নেই। সংসার নেই, স্বামী নেই, সন্তান নেই। আমেরিকা কিংবা কানাডায় বাড়ি করার প্রয়োজন নেই। রংপুরের মানুষ এমন ত্যাগী প্রার্থী চাচ্ছে, যার কারণে তারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
আজকের পত্রিকা: আপনার নির্বাচনী অঙ্গীকার সম্পর্কে জানতে চাই।
রানী: রংপুর যেহেতু কৃষিভিত্তিক অঞ্চল, প্রথমে রংপুরের কৃষিভিত্তিক কলকারখানা গড়ে তুলব। রংপুরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলব।
আজকের পত্রিকা: সংসদে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য আসনের দাবি দীর্ঘদিনের। আপনার ভোটে দাঁড়ানোর সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে কি?
রানী: আমাদের দাবি ছিল সংসদে সংরক্ষিত আসন। সেটা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। যার কারণে আমি সরাসরি সংসদ সদস্য পদে অংশগ্রহণ করেছি। আমি তৃতীয় লিঙ্গ নাকি চতুর্থ লিঙ্গ, সেটা কোনো বিষয় নয়। গুরুত্ব হচ্ছে, আমি একজন মানুষ। কাজ করবে আমার মাথা আর হাত।
আজকের পত্রিকা: তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য কী করবেন?
রানী: আমি এখন এমপি নই। এই অঞ্চলের তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর আমি নেতৃত্ব দিই। এখানে ৩৯২ জন সদস্যের মধ্যে ১৫০ জনকে বিভিন্ন ট্রেডে সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ করিয়েছি। ৬৫ জনকে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে বের করে এনে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছি। আমি নির্বাচিত হলে বাকিদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেব। এরা আর পথেঘাটে ঘুরবে না। সবাইকে কর্মমুখী করে দেব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আরিফ সোহেল। তিনি এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ নানা বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অর্চি হক।
৬ ঘণ্টা আগেডাকসু ও জাকসুর ভোটে বড় জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির। বিপরীতে কেন্দ্রীয় একটি পদেও জিততে পারেনি ছাত্রদল। ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
১২ দিন আগেডাকসু ও জাকসুর ভোটে বড় জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির। বিপরীতে কেন্দ্রীয় একটি পদেও জিততে পারেনি ছাত্রদল। এ নিয়ে কথা বলেছেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ।
১২ দিন আগেআলতাফ পারভেজ লেখক ও গবেষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর। ডাকসুর নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। ‘মুজিব বাহিনী থেকে গণবাহিনী: ইতিহাসের পুনঃপাঠ’, ‘বার্মা: জাতিগত সংঘাতের সাত দশক’, ‘শ্রীলঙ্কার তামিল ইলম’, ‘গ্রামসি ও তাঁর রাষ্ট্রচিন্তা’ প্রভৃতি তাঁর গুরুত্বপূর্ণ বই।
৩০ আগস্ট ২০২৫