চীনে ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ। এর মধ্যে লকডাউন-বিরোধী বিক্ষোভও ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ এবং বিক্ষোভটি ধীরে ধীরে রূপ নিচ্ছে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের পতনের আন্দোলনে। এমন পরিস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে চীনা জনগণের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারকে সমর্থন করার কথা জানানো হয়েছে। এমনকি নতুন করে সংক্রমণ বাড়ার পরেও করোনার টিকার জন্য চীনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে কোনো অনুরোধ জানানো হয়নি বলেও জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স আজ এক প্রতিবেদনে বলেছে, করোনা লকডাউনের বিরুদ্ধে চীনা জনগণের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘মানুষকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়া উচিত। জনগণের একত্রিত হওয়ার এবং শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। হোয়াইট হাউস শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারকে সমর্থন করে।’
এদিকে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, করোনা মোকাবিলায় চীন সরকারের কৌশল পশ্চিমাদের থেকে ভিন্ন। দেশটি এখনো স্বদেশি টিকার ওপরেই নির্ভর করে আছে। কিন্তু এসব টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, চীনা টিকার কার্যকারিতা ছয় মাস পর ম্লান হয়ে যায়। এ ছাড়া টিকা দেওয়ার ব্যাপারে তরুণদের অগ্রাধিকার দিয়েছে চীন। ফলে বেশির ভাগ বয়স্ক মানুষ এখনো টিকা পাননি।
৪০ বছরের বেশি বয়সী চীনা নাগরিকদের মধ্যে মাত্র ৪০ শতাংশ বুস্টার ডোজ পেয়েছেন বলে জানিয়েছে গার্ডিয়ান। বুস্টার ডোজের হার সামগ্রিকভাবে যেখানে জাপানে ৯০ শতাংশ, সেখানে চীনে মাত্র ৬৮ শতাংশ।
এসব পরিসংখ্যানের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, চীনের নাগরিকদের মধ্যে টিকা গ্রহণের হার কম। উপরন্তু টিকার কার্যকারিতাও কম। এসব কারণে চীনে আবার করোনার সংক্রমণ বেড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বললেন, করোনার টিকার জন্য চীনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র কোনো অনুরোধ পায়নি।
চীনের স্থানীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিটিজিএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চীনে বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৮ হাজার ৬৪৫ জন। করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ‘জিরো কোভিড পলিসিতে এখনো অটল রয়েছে দেশটির সরকার। তবে চীনা জনগণ সরকারের এমন কঠোর পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছে। লকডাউন তুলে নেওয়ার আন্দোলন ধীরে ধীরে রূপ নিচ্ছে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের পতনের আন্দোলনে।
চীনা জনগণের বিক্ষোভ শুরু হয় গত ২৪ নভেম্বরের একটি দুর্ঘটনা থেকে। ওই দিন চীনের উরুমকি শহরে একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ১০ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। অনেকের ধারণা, অগ্নিকাণ্ডের শিকার ভবনটি লকডাউনের কারণে আংশিকভাবে তালাবদ্ধ থাকায় বাসিন্দারা সময়মতো বের হতে পারেনি। এ ছাড়া দগ্ধদের ঠিক সময়ে হাসপাতালে নেওয়াও সম্ভব হয়নি। এরপর ২৫ নভেম্বর শহরটির ক্ষুব্ধ জনগণ পথে নেমে লকডাউন-বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বলেছে, ২৬ নভেম্বর সাংহাইয়ের রাস্তায় নামে মানুষ। তারা প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় দাঁড়ায়। প্ল্যাকার্ডে কিছু লেখা ছিল না। ফাঁকা প্ল্যাকার্ড ধরে এমন আন্দোলন মূলত ২০২০ সালে হংকং আন্দোলনের সময় জনপ্রিয় হয়, যখন কর্তৃপক্ষ স্লোগান নিষিদ্ধ করে। এরপর ২৭ নভেম্বর আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। সাংহাই থেকে কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা প্রেসিডেন্ট সির বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এমনকি আন্দোলনকারীদের ফোন থেকে ছবি ও ভিডিও মুছে ফেলা হয়। বিবিসির এক সাংবাদিককেও কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। হংকংয়ের জনগণও চীনে চলমান এই আন্দোলনের সঙ্গে সমর্থন প্রকাশ করেছে।
চীনে ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ। এর মধ্যে লকডাউন-বিরোধী বিক্ষোভও ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ এবং বিক্ষোভটি ধীরে ধীরে রূপ নিচ্ছে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের পতনের আন্দোলনে। এমন পরিস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে চীনা জনগণের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারকে সমর্থন করার কথা জানানো হয়েছে। এমনকি নতুন করে সংক্রমণ বাড়ার পরেও করোনার টিকার জন্য চীনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে কোনো অনুরোধ জানানো হয়নি বলেও জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স আজ এক প্রতিবেদনে বলেছে, করোনা লকডাউনের বিরুদ্ধে চীনা জনগণের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘মানুষকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়া উচিত। জনগণের একত্রিত হওয়ার এবং শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। হোয়াইট হাউস শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারকে সমর্থন করে।’
এদিকে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, করোনা মোকাবিলায় চীন সরকারের কৌশল পশ্চিমাদের থেকে ভিন্ন। দেশটি এখনো স্বদেশি টিকার ওপরেই নির্ভর করে আছে। কিন্তু এসব টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, চীনা টিকার কার্যকারিতা ছয় মাস পর ম্লান হয়ে যায়। এ ছাড়া টিকা দেওয়ার ব্যাপারে তরুণদের অগ্রাধিকার দিয়েছে চীন। ফলে বেশির ভাগ বয়স্ক মানুষ এখনো টিকা পাননি।
৪০ বছরের বেশি বয়সী চীনা নাগরিকদের মধ্যে মাত্র ৪০ শতাংশ বুস্টার ডোজ পেয়েছেন বলে জানিয়েছে গার্ডিয়ান। বুস্টার ডোজের হার সামগ্রিকভাবে যেখানে জাপানে ৯০ শতাংশ, সেখানে চীনে মাত্র ৬৮ শতাংশ।
এসব পরিসংখ্যানের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, চীনের নাগরিকদের মধ্যে টিকা গ্রহণের হার কম। উপরন্তু টিকার কার্যকারিতাও কম। এসব কারণে চীনে আবার করোনার সংক্রমণ বেড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বললেন, করোনার টিকার জন্য চীনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র কোনো অনুরোধ পায়নি।
চীনের স্থানীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিটিজিএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চীনে বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৮ হাজার ৬৪৫ জন। করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ‘জিরো কোভিড পলিসিতে এখনো অটল রয়েছে দেশটির সরকার। তবে চীনা জনগণ সরকারের এমন কঠোর পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছে। লকডাউন তুলে নেওয়ার আন্দোলন ধীরে ধীরে রূপ নিচ্ছে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের পতনের আন্দোলনে।
চীনা জনগণের বিক্ষোভ শুরু হয় গত ২৪ নভেম্বরের একটি দুর্ঘটনা থেকে। ওই দিন চীনের উরুমকি শহরে একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ১০ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। অনেকের ধারণা, অগ্নিকাণ্ডের শিকার ভবনটি লকডাউনের কারণে আংশিকভাবে তালাবদ্ধ থাকায় বাসিন্দারা সময়মতো বের হতে পারেনি। এ ছাড়া দগ্ধদের ঠিক সময়ে হাসপাতালে নেওয়াও সম্ভব হয়নি। এরপর ২৫ নভেম্বর শহরটির ক্ষুব্ধ জনগণ পথে নেমে লকডাউন-বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বলেছে, ২৬ নভেম্বর সাংহাইয়ের রাস্তায় নামে মানুষ। তারা প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় দাঁড়ায়। প্ল্যাকার্ডে কিছু লেখা ছিল না। ফাঁকা প্ল্যাকার্ড ধরে এমন আন্দোলন মূলত ২০২০ সালে হংকং আন্দোলনের সময় জনপ্রিয় হয়, যখন কর্তৃপক্ষ স্লোগান নিষিদ্ধ করে। এরপর ২৭ নভেম্বর আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। সাংহাই থেকে কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা প্রেসিডেন্ট সির বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এমনকি আন্দোলনকারীদের ফোন থেকে ছবি ও ভিডিও মুছে ফেলা হয়। বিবিসির এক সাংবাদিককেও কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। হংকংয়ের জনগণও চীনে চলমান এই আন্দোলনের সঙ্গে সমর্থন প্রকাশ করেছে।
ইরানের শাহেদ ড্রোনের নকশা ব্যবহার করে এই ড্রোন উৎপাদনের জন্য বিশাল এক কারখানা নির্মাণ করেছে রাশিয়া। তাতারস্তান অঞ্চলের আলাবুগা শিল্প এলাকায় অবস্থিত এই কারখানা বর্তমানে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্রোন উৎপাদন কেন্দ্র।
৪ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। প্রায় দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধের মধ্যে এই সিদ্ধান্তের ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সামরিক অভিযান আরও বিস্তৃত হবে। শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত দেশি-বিদেশি মহলে নতুন করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে...
৬ ঘণ্টা আগেগাজায় চলমান যুদ্ধ, অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং খাদ্যসহ জরুরি পণ্যের তীব্র সংকটের মধ্যে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ, স্থানীয় বাজারে ডিজিটাল লেনদেনও প্রায় অগ্রহণযোগ্য।
৬ ঘণ্টা আগেভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে কথা হয় এই দুই নেতার।
৭ ঘণ্টা আগে