যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়া ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভের কারণে দেশটিতে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। পুলিশি বাধার মুখেও বিক্ষোভ দমানো যাচ্ছে না। বরং আরও বেশি দেশটির কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজা যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়েছে।
ফিলিস্তিনপন্থী এই বিক্ষোভ শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সীমাবদ্ধ নেই। পাশের দেশ কানাডাতেও বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে এমন প্রতিবাদ। ইউরোপের যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে ব্যাপকভাবে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ দেখা গেছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রে চলমান বিক্ষোভের কারণে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় অনেককেই গ্রেপ্তার-আটক করা হচ্ছে। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, ফিলিস্তিনকে সমর্থনের কারণে তাঁরা যেকোনো পরিণতির জন্য প্রস্তুত আছেন।
লস অ্যাঞ্জেলেসে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ায় (ইউসিএলএ) ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ইসরায়েলপন্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ইউসিএলএর ভাইস চ্যান্সেলর মেরি ওসাকোর জানান, গত রোববার দুই পক্ষকে আলাদা রাখতে তৈরি করা প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেললে এ সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
এ সময় উভয় পক্ষের ছাত্রছাত্রীরা একে অপরকে ধাক্কা দেন। এমনকি স্লোগান দিতে দিতে কিল-ঘুষি দেওয়ার মতোও কাণ্ড ঘটান অনেকেই। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিসোঁটা নিয়ে ক্যাম্পাসে হাজির হয় পুলিশ। এই সহিংসতার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান ওসাকো।
নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ থেকে গত রোববার শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া আন্দোলনকারীদের ব্যবহৃত অস্থায়ী তাঁবুও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই দিন পুলিশ জানায়, এলাকাটিতে এখন শান্তিপূর্ণ অবস্থা রয়েছে। নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির দাবি, শিক্ষার্থীদের ওই আন্দোলনে উগ্র ও সহিংস স্লোগান দিচ্ছিলেন ফিলিস্তিনপন্থীরা।
এ ছাড়া ইন্ডিয়ানা ডেইলি স্টুডেন্ট পত্রিকা জানিয়েছে, মিডওয়েস্টের ব্লুমিংটনে ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির একটি প্রতিবাদ শিবির থেকে ২৩ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির পুলিশ বিভাগ জানায়, ক্যাম্পাসটিতে অনুমতি ছাড়া ক্যাম্প স্থাপন করে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতার প্রতিমূর্তির কাছে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করা হয়। গত রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পতাকা উত্তোলনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যে স্থানে ফিলিস্তিনের পতাকাটি উত্তোলন করে, সেখানে সাধারণত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস গত রোববার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসব বিক্ষোভ দমনের ব্যাপক চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। তবু শিক্ষার্থীরা গ্রেপ্তার-বহিষ্কারের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়া ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভের কারণে দেশটিতে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। পুলিশি বাধার মুখেও বিক্ষোভ দমানো যাচ্ছে না। বরং আরও বেশি দেশটির কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজা যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়েছে।
ফিলিস্তিনপন্থী এই বিক্ষোভ শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সীমাবদ্ধ নেই। পাশের দেশ কানাডাতেও বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে এমন প্রতিবাদ। ইউরোপের যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে ব্যাপকভাবে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ দেখা গেছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রে চলমান বিক্ষোভের কারণে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় অনেককেই গ্রেপ্তার-আটক করা হচ্ছে। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, ফিলিস্তিনকে সমর্থনের কারণে তাঁরা যেকোনো পরিণতির জন্য প্রস্তুত আছেন।
লস অ্যাঞ্জেলেসে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ায় (ইউসিএলএ) ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ইসরায়েলপন্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ইউসিএলএর ভাইস চ্যান্সেলর মেরি ওসাকোর জানান, গত রোববার দুই পক্ষকে আলাদা রাখতে তৈরি করা প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেললে এ সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
এ সময় উভয় পক্ষের ছাত্রছাত্রীরা একে অপরকে ধাক্কা দেন। এমনকি স্লোগান দিতে দিতে কিল-ঘুষি দেওয়ার মতোও কাণ্ড ঘটান অনেকেই। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিসোঁটা নিয়ে ক্যাম্পাসে হাজির হয় পুলিশ। এই সহিংসতার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান ওসাকো।
নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ থেকে গত রোববার শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া আন্দোলনকারীদের ব্যবহৃত অস্থায়ী তাঁবুও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই দিন পুলিশ জানায়, এলাকাটিতে এখন শান্তিপূর্ণ অবস্থা রয়েছে। নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির দাবি, শিক্ষার্থীদের ওই আন্দোলনে উগ্র ও সহিংস স্লোগান দিচ্ছিলেন ফিলিস্তিনপন্থীরা।
এ ছাড়া ইন্ডিয়ানা ডেইলি স্টুডেন্ট পত্রিকা জানিয়েছে, মিডওয়েস্টের ব্লুমিংটনে ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির একটি প্রতিবাদ শিবির থেকে ২৩ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির পুলিশ বিভাগ জানায়, ক্যাম্পাসটিতে অনুমতি ছাড়া ক্যাম্প স্থাপন করে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতার প্রতিমূর্তির কাছে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করা হয়। গত রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পতাকা উত্তোলনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যে স্থানে ফিলিস্তিনের পতাকাটি উত্তোলন করে, সেখানে সাধারণত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস গত রোববার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসব বিক্ষোভ দমনের ব্যাপক চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। তবু শিক্ষার্থীরা গ্রেপ্তার-বহিষ্কারের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন।
ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাতের মধ্যে ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে বড় ধরনের বোমা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘটনায় প্রতিশোধ নিতে চায় ইরান। দেশটির ইরানের সর্বোচ্চ নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
১৫ মিনিট আগেসিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হাসাকাহ প্রদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটেছ। আজ সোমবার হাসাকাহর ওই ঘাঁটি মর্টার হামলার শিকার হয়েছে। তবে এই হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
১৭ মিনিট আগেইরানে মার্কিন বোমা হামলার এক দিন পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, বর্তমান ইরানি শাসকগোষ্ঠী যদি ‘ইরানকে আবারও মহান’ করতে না পারে, তবে শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন হতেই পারে।
৪১ মিনিট আগেইরানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব-প্রতিপত্তি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব। এ বিপ্লবের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছিল ইরান। এই বিপ্লবের মাধ্যমে পতন হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির সরকারের। বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আয়াতুল্লাহ...
১ ঘণ্টা আগে