ইসরায়েলকে ১৭৬০ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়ার বিল বাতিল করে দিয়েছে মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, গতকাল মঙ্গলবারের অধিবেশনে নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল রিপাবলিকান পার্টি এ সংক্রান্ত একটি বিল উত্থাপন করলে ভোটের পর তা বাতিল হয়ে যায়।
ডেমোক্র্যাটরা বলেছেন, তারা শুধু ইসরায়েলকে নয় বরং, আরও বড় ব্যাপ্তিতে সহায়তার প্রস্তাব চায়—যার অধীনে ইউক্রেন, আন্তর্জাতিক মানবিক তহবিল এবং সীমান্ত নিরাপত্তার জন্যও অর্থ বরাদ্দ করা হবে।
বিলটি পাসের জন্য হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন ছিল। ২৫০ জন সদস্য এই বিলের বিপক্ষে ভোট দেন এবং পক্ষে ভোট দেন ১৮০ জন সদস্য। পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেওয়া সদস্যদের মধ্যে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় প্রতিনিধিই ছিলেন। ১৪ জন রিপাবলিকান বিলটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। অন্যদিকে, এই বিল সমর্থন করেছেন ৪৬ জন ডেমোক্র্যাট।
মার্কিন হাউসের স্পিকার মাইক জনসন অবশ্য আগেই এই সহায়তা বিল প্রত্যাখ্যান করেছেন। গত রোববার তিনি বলেছিলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং ইউক্রেনকে সাহায্য নিয়ে নতুন করে উন্মোচিত বিলটি রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে পৌঁছালেই তা খারিজ হয়ে যাবে। সিনেটে গতকাল রিপাবলিকান নেতারা বলেন, বিলটি পাস হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ভোট পাবে বলে তারা মনে করেন না।
হাউস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য রোজা ডেলাউরো তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই মুহূর্তে শুধু ইসরায়েলকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মিত্র-অংশীদারদের কাছে দেশটির নেতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরবে বলে মনে করেন তিনি।
রোজা ডেলাউরো বলেন, ‘এই বিলের মাধ্যমে আমাদের কিছুই অর্জিত হবে না এবং মানবিক সহায়তা প্রদান বিলম্বিত হবে।’ শুধু ইসরায়েলকে সহায়তার কথা বিলে থাকায় তার বিরোধিতা করে এই ডেমোক্র্যাট বলেন, ‘আমাদের মিত্ররা অস্তিত্বের হুমকির সম্মুখীন। সে সঙ্গে, আমেরিকা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে বিশ্বজুড়ে আমাদের বন্ধু এবং শত্রুরা।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সিনেটে আনা বিলকে সমর্থন করেছিলেন, যেখানে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারসহ ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে সহায়তা দেওয়ার কথা ছিল। তবে শুধু ইসরায়েলকে সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাবে তিনি ভেটো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
ইসরায়েলকে সহায়তা দেওয়ার এই প্রস্তাবের পক্ষে রিপাবলিকান ডিফেন্স অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন সাবকমিটির চেয়ারম্যান এবং রিপাবলিকান সদস্য কেন ক্যালভার্ট বলেন, ‘এই বিলটি কেবলমাত্র এই অঞ্চলে আমাদের নিকটতম মিত্র এবং আমাদের নিজস্ব সামরিক বাহিনীকে প্রয়োজনীয় সহায়তা সরবরাহ করত।’
কয়েকজন ডেমোক্র্যাট সদস্য ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদানে ব্যর্থতার জন্যও এই প্রস্তাবকে দায়ী করেছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, গাজায় ইসরায়েলের চলমান গণহত্যায় অন্তত ২৭,৫৮৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আশপাশের এলাকায় আরও হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলকে ১৭৬০ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়ার বিল বাতিল করে দিয়েছে মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, গতকাল মঙ্গলবারের অধিবেশনে নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল রিপাবলিকান পার্টি এ সংক্রান্ত একটি বিল উত্থাপন করলে ভোটের পর তা বাতিল হয়ে যায়।
ডেমোক্র্যাটরা বলেছেন, তারা শুধু ইসরায়েলকে নয় বরং, আরও বড় ব্যাপ্তিতে সহায়তার প্রস্তাব চায়—যার অধীনে ইউক্রেন, আন্তর্জাতিক মানবিক তহবিল এবং সীমান্ত নিরাপত্তার জন্যও অর্থ বরাদ্দ করা হবে।
বিলটি পাসের জন্য হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন ছিল। ২৫০ জন সদস্য এই বিলের বিপক্ষে ভোট দেন এবং পক্ষে ভোট দেন ১৮০ জন সদস্য। পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেওয়া সদস্যদের মধ্যে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় প্রতিনিধিই ছিলেন। ১৪ জন রিপাবলিকান বিলটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। অন্যদিকে, এই বিল সমর্থন করেছেন ৪৬ জন ডেমোক্র্যাট।
মার্কিন হাউসের স্পিকার মাইক জনসন অবশ্য আগেই এই সহায়তা বিল প্রত্যাখ্যান করেছেন। গত রোববার তিনি বলেছিলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং ইউক্রেনকে সাহায্য নিয়ে নতুন করে উন্মোচিত বিলটি রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে পৌঁছালেই তা খারিজ হয়ে যাবে। সিনেটে গতকাল রিপাবলিকান নেতারা বলেন, বিলটি পাস হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ভোট পাবে বলে তারা মনে করেন না।
হাউস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য রোজা ডেলাউরো তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই মুহূর্তে শুধু ইসরায়েলকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মিত্র-অংশীদারদের কাছে দেশটির নেতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরবে বলে মনে করেন তিনি।
রোজা ডেলাউরো বলেন, ‘এই বিলের মাধ্যমে আমাদের কিছুই অর্জিত হবে না এবং মানবিক সহায়তা প্রদান বিলম্বিত হবে।’ শুধু ইসরায়েলকে সহায়তার কথা বিলে থাকায় তার বিরোধিতা করে এই ডেমোক্র্যাট বলেন, ‘আমাদের মিত্ররা অস্তিত্বের হুমকির সম্মুখীন। সে সঙ্গে, আমেরিকা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে বিশ্বজুড়ে আমাদের বন্ধু এবং শত্রুরা।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সিনেটে আনা বিলকে সমর্থন করেছিলেন, যেখানে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারসহ ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে সহায়তা দেওয়ার কথা ছিল। তবে শুধু ইসরায়েলকে সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাবে তিনি ভেটো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
ইসরায়েলকে সহায়তা দেওয়ার এই প্রস্তাবের পক্ষে রিপাবলিকান ডিফেন্স অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন সাবকমিটির চেয়ারম্যান এবং রিপাবলিকান সদস্য কেন ক্যালভার্ট বলেন, ‘এই বিলটি কেবলমাত্র এই অঞ্চলে আমাদের নিকটতম মিত্র এবং আমাদের নিজস্ব সামরিক বাহিনীকে প্রয়োজনীয় সহায়তা সরবরাহ করত।’
কয়েকজন ডেমোক্র্যাট সদস্য ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদানে ব্যর্থতার জন্যও এই প্রস্তাবকে দায়ী করেছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, গাজায় ইসরায়েলের চলমান গণহত্যায় অন্তত ২৭,৫৮৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আশপাশের এলাকায় আরও হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
৩০ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
৪৩ মিনিট আগেইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—এই
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন হামলার পর এবার সবার চোখ ইরানের দিকে। এই হামলার পাল্টা আঘাত হিসেবে কী করতে যাচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের এই দেশটি। ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ নেতাদের হারানো এবং নতুন করে দায়িত্ব সমর্পণ করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া খামেনি এবার মার্কিন আঘাতের পাল্টা জবাব কীভাবে দেবেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় সবাই।
১ ঘণ্টা আগে