
আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সরাসরি ভোটগ্রহণ হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এই নির্বাচন সবচেয়ে বেশি ভোটপাওয়া প্রার্থীকে জয়ের নিশ্চয়তা দেয় না। কারণ, সরাসরি ভোটারদের দ্বারা নয়, ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ নামে বিশেষ পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়।
মার্কিন নাগরিকদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট হয় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস না হয় রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পাবেন। কিন্তু কে জয়ী হবেন, সেটা এই ভোটে নির্ধারিত হবে না। একেকটি অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনি লড়াইয়ের মাধ্যমে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের একটিতে জয়ী হওয়ার অর্থ একজন প্রার্থী সেই অঙ্গরাজ্যের সবকটি ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ ভোট পেয়ে যাবেন। সব রাজ্য মিলে মোট ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা ৫৩৮।
মাইন ও নেব্রাসকা অঙ্গরাজ্য বাদে বাকি সবগুলো রাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোট যোগ দিলে যে প্রার্থী ২৭০টি বা তারও বেশি ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। সেই প্রার্থীর রানিং মেট হবেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট।
যেভাবে কাজ করে ইলেক্টোরাল কলেজ?
প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের বেশ কয়েকটি করে ইলেক্টোরাল ভোট থাকে, যা ওই অঙ্গরাজ্যের জনসংখ্যার মোটামুটিভাবে সমানুপাতিক হয়।
ক্যালিফোর্নিয়ায় সর্বাধিক ৫৪টি ইলেক্টোরাল ভোট আছে। ভায়োমিং, আলাস্কা, নর্থ ডাকোটা ও ওয়াশিংটন ডিসির মতো যেসব অঙ্গরাজ্যের জনসংখ্যা খুবই কম, সেগুলোতে অন্তত তিনটি ইলেক্টোরাল ভোট আছে।
সাধারণত অঙ্গরাজ্যগুলির ইলেক্টোরাল ভোট সেই প্রার্থীই পান, যিনি ওই অঙ্গরাজ্যের ভোটারদের সরাসরি ভোটে জয়ী হয়েছেন।
ধরা যাক, টেক্সাসে একজন প্রার্থী ভোটারদের সরাসরি ভোটের ৫০.১% পেয়েছেন, তাহলে ওই অঙ্গরাজ্যের ৪০টি ইলেক্টোরাল ভোটের সবগুলিই সেই প্রার্থী পেয়ে যাবেন। একটি অঙ্গরাজ্যে জয়ের ব্যবধান যদি বিরাট হয়ও, তাহলেও জয়ী প্রার্থী অতগুলি ইলেক্টোরাল ভোটই পাবেন।
সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েও কি কেউ হেরে যায়
কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী দেশজুড়ে মোট হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েও হেরে যেতে পারেন। একজন প্রার্থী সারা দেশে হয়ত কম ভোট পেয়েছেন, কিন্তু বেশ কতগুলি কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালে প্রায় ৩০ লাখ কম ভোট পেয়েও হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করেছিলেন। আর ২০০০ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশ আল গোরকে পরাজিত করেছিলেন, যদিও পপুলার ভোট বা সরাসরি জনগণের ভোটে তার জয়ের ব্যবধান ছিল পাঁচ লাখেরও বেশি।

ওই দুজনের আগে আর মাত্র তিনজন সাধারণ ভোটে না জিতেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তবে সেগুলি উনবিংশ শতাব্দীর ঘটনা।
একেক রাজ্যের হাতে একেক সংখ্যক ভোট থাকার কারণে প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণার ব্যাপারে এমনভাবে ছক তৈরি করেন যেখানে তারা বেশি ভোট আছে এমন রাজ্যগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।
‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ কী?
‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ হচ্ছে কর্মকর্তাদের একটি প্যানেল, যাদের ‘ইলেক্টরস্’ বা নির্বাচকমণ্ডলী বলা হয়। প্রতি চার বছর পর পর এটি গঠন করা হয় এবং এরাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাছাই করেন।
কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্বের অনুপাতে প্রতিটি রাজ্যের নির্বাচকমণ্ডলীর সংখ্যা নির্ধারিত হয়। প্রত্যেক রাজ্যে দুজন সিনেটর এবং জনসংখ্যার অনুপাতে নির্ধারিত প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য সংখ্যার যোগফল মিলে রাজ্যের নির্বাচকমণ্ডলীর সংখ্যা নির্ধারিত হয়।
যেসব রাজ্যে জনসংখ্যা বেশি, সেসব রাজ্যে ইলেক্টোরাল ভোটও বেশি। এই প্রথা শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্যই ব্যবহৃত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অন্য সব নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় সরাসরি মানুষের ভোটেই।
সাধারণত ভোটাররা যাকে পছন্দ করেছেন, তাদেরকেই ভোট দেন নির্বাচকমণ্ডলী। তবে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আইনগত স্বাধীনতা আছে নির্বাচকদের।
অঙ্গরাজ্য থেকে যাকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে বেছে নেওয়া হয়, তার বিরুদ্ধে কোনও নির্বাচক ভোট দিলে তাকে ‘ফেইথলেস’ বা অবিশ্বাসী বলা হয়। কোনো কোনো রাজ্যে ‘ফেইথলেস’ নির্বাচকদের জরিমানা করা বা মামলা দেওয়া হয়।
২০১৬ সালের নির্বাচনে এরক ‘ফেইথলেস’ সাতটি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পড়েছিল, তবে নির্বাচনের ফলাফলে তার প্রভাব পড়েনি।

ইলেক্টোরাল ভোট সমান হলে কী হবে?
কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নিম্ন-কক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদ ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে। এমন ঘটনা কবারই ঘটেছে, ১৮২৪ সালে। তখন ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট চার প্রার্থীর মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ায় কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি।
তবে এখন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির যে আধিপত্য রয়েছে, তাতে তেমন ঘটার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতির শুরু
বিশালাকার যুক্তরাষ্ট্রে যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবের কারণে জাতীয় স্তরে সাধারণ মানুষের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কার্যত অসম্ভব ছিল। সেই কারণে ১৭৮৭ সালে সংবিধান রচয়িতারা ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন।
তাঁরা কংগ্রেস ও জনগণের সরাসরি ভোটে (পপুলার ভোট) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ধারণাই বাতিল করে দেন। তাদের যুক্তি, ছিল পপুলার ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে লোকেরা তাদের স্থানীয় প্রার্থীকে ভোট দেবে এবং তার ফলে বড় রাজ্যগুলো আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করবে।
তখন ছোট ছোট রাজ্যগুলো ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতিকে সমর্থন করে। দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো এই পদ্ধতির পক্ষ নেয়। কারণ সেসময় এসব রাজ্যে দাসের সংখ্যা ছিল অনেক। দাসদের ভোটাধিকার না থাকার পরেও আদম শুমারিতে তাদের গণনা করা হতো।
সংবিধান রচয়িতারা চাননি যে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বসে শুধু আইন প্রণেতারা দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করুক।

‘সুইং স্টেট’ কী, নির্বাচনে এগুলির প্রভাব কী?
বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যই প্রতিটা নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে একই দলকে ভোট দিয়ে আসে। রিপাবলিকান দুর্গ বলে পরিচিত এই রাজ্যগুলো ‘রেড স্টেট’ এবং ডেমোক্র্যাটপ্রধান রাজ্যগুলো ‘ব্লু স্টেট’ হিসেবে পরিচিত। এসব রাজ্য নিয়ে প্রার্থীদের চিন্তা করতে হয় না।
কিন্তু হাতেগোণা কিছু অঙ্গরাজ্য আছে, যে রাজ্যগুলোর ভোট যে কোনো শিবিরে যেতে পারে। এসব রাজ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। এজন্য এসব রাজ্যকে ‘সুইং স্টেট’ বা ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট’ বলা হয়।
এগুলোই হল আমেরিকার নির্বাচনী রণক্ষেত্র। এগুলো ‘পার্পল স্টেট’ হিসেবে চিহ্নিত। এসব রাজ্যে ভোট কোন পার্টির পক্ষে যাবে, তা নির্দিষ্ট করে বোঝা যায় না। তাই প্রার্থীদের কাছে এসব অঙ্গরাজ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এ রাজ্যগুলোর ভোটই শেষ পর্যন্ত জয়-পরাজয়ের চাবিকাঠি হয়ে দাঁড়ায়।
২০১৬ সালে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট’ হয়ে উঠেছিল অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাডা, পেনসিলভেনিয়া এবং উইসকনসিন অঙ্গরাজ্য।
যেসব রাজ্যের ভোট বেশি, প্রার্থীরা সেসব রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারণার পেছনে অনেক বেশি সময় ও অর্থ ব্যয় করে থাকেন।
ইলেক্টোরাল কলেজের সুবিধা-অসুবিধা
সুবিধা:
অসুবিধা:

আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সরাসরি ভোটগ্রহণ হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এই নির্বাচন সবচেয়ে বেশি ভোটপাওয়া প্রার্থীকে জয়ের নিশ্চয়তা দেয় না। কারণ, সরাসরি ভোটারদের দ্বারা নয়, ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ নামে বিশেষ পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়।
মার্কিন নাগরিকদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট হয় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস না হয় রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পাবেন। কিন্তু কে জয়ী হবেন, সেটা এই ভোটে নির্ধারিত হবে না। একেকটি অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনি লড়াইয়ের মাধ্যমে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের একটিতে জয়ী হওয়ার অর্থ একজন প্রার্থী সেই অঙ্গরাজ্যের সবকটি ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ ভোট পেয়ে যাবেন। সব রাজ্য মিলে মোট ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা ৫৩৮।
মাইন ও নেব্রাসকা অঙ্গরাজ্য বাদে বাকি সবগুলো রাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোট যোগ দিলে যে প্রার্থী ২৭০টি বা তারও বেশি ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। সেই প্রার্থীর রানিং মেট হবেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট।
যেভাবে কাজ করে ইলেক্টোরাল কলেজ?
প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের বেশ কয়েকটি করে ইলেক্টোরাল ভোট থাকে, যা ওই অঙ্গরাজ্যের জনসংখ্যার মোটামুটিভাবে সমানুপাতিক হয়।
ক্যালিফোর্নিয়ায় সর্বাধিক ৫৪টি ইলেক্টোরাল ভোট আছে। ভায়োমিং, আলাস্কা, নর্থ ডাকোটা ও ওয়াশিংটন ডিসির মতো যেসব অঙ্গরাজ্যের জনসংখ্যা খুবই কম, সেগুলোতে অন্তত তিনটি ইলেক্টোরাল ভোট আছে।
সাধারণত অঙ্গরাজ্যগুলির ইলেক্টোরাল ভোট সেই প্রার্থীই পান, যিনি ওই অঙ্গরাজ্যের ভোটারদের সরাসরি ভোটে জয়ী হয়েছেন।
ধরা যাক, টেক্সাসে একজন প্রার্থী ভোটারদের সরাসরি ভোটের ৫০.১% পেয়েছেন, তাহলে ওই অঙ্গরাজ্যের ৪০টি ইলেক্টোরাল ভোটের সবগুলিই সেই প্রার্থী পেয়ে যাবেন। একটি অঙ্গরাজ্যে জয়ের ব্যবধান যদি বিরাট হয়ও, তাহলেও জয়ী প্রার্থী অতগুলি ইলেক্টোরাল ভোটই পাবেন।
সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েও কি কেউ হেরে যায়
কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী দেশজুড়ে মোট হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েও হেরে যেতে পারেন। একজন প্রার্থী সারা দেশে হয়ত কম ভোট পেয়েছেন, কিন্তু বেশ কতগুলি কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালে প্রায় ৩০ লাখ কম ভোট পেয়েও হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করেছিলেন। আর ২০০০ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশ আল গোরকে পরাজিত করেছিলেন, যদিও পপুলার ভোট বা সরাসরি জনগণের ভোটে তার জয়ের ব্যবধান ছিল পাঁচ লাখেরও বেশি।

ওই দুজনের আগে আর মাত্র তিনজন সাধারণ ভোটে না জিতেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তবে সেগুলি উনবিংশ শতাব্দীর ঘটনা।
একেক রাজ্যের হাতে একেক সংখ্যক ভোট থাকার কারণে প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণার ব্যাপারে এমনভাবে ছক তৈরি করেন যেখানে তারা বেশি ভোট আছে এমন রাজ্যগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।
‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ কী?
‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ হচ্ছে কর্মকর্তাদের একটি প্যানেল, যাদের ‘ইলেক্টরস্’ বা নির্বাচকমণ্ডলী বলা হয়। প্রতি চার বছর পর পর এটি গঠন করা হয় এবং এরাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাছাই করেন।
কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্বের অনুপাতে প্রতিটি রাজ্যের নির্বাচকমণ্ডলীর সংখ্যা নির্ধারিত হয়। প্রত্যেক রাজ্যে দুজন সিনেটর এবং জনসংখ্যার অনুপাতে নির্ধারিত প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য সংখ্যার যোগফল মিলে রাজ্যের নির্বাচকমণ্ডলীর সংখ্যা নির্ধারিত হয়।
যেসব রাজ্যে জনসংখ্যা বেশি, সেসব রাজ্যে ইলেক্টোরাল ভোটও বেশি। এই প্রথা শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্যই ব্যবহৃত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অন্য সব নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় সরাসরি মানুষের ভোটেই।
সাধারণত ভোটাররা যাকে পছন্দ করেছেন, তাদেরকেই ভোট দেন নির্বাচকমণ্ডলী। তবে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আইনগত স্বাধীনতা আছে নির্বাচকদের।
অঙ্গরাজ্য থেকে যাকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে বেছে নেওয়া হয়, তার বিরুদ্ধে কোনও নির্বাচক ভোট দিলে তাকে ‘ফেইথলেস’ বা অবিশ্বাসী বলা হয়। কোনো কোনো রাজ্যে ‘ফেইথলেস’ নির্বাচকদের জরিমানা করা বা মামলা দেওয়া হয়।
২০১৬ সালের নির্বাচনে এরক ‘ফেইথলেস’ সাতটি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পড়েছিল, তবে নির্বাচনের ফলাফলে তার প্রভাব পড়েনি।

ইলেক্টোরাল ভোট সমান হলে কী হবে?
কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নিম্ন-কক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদ ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে। এমন ঘটনা কবারই ঘটেছে, ১৮২৪ সালে। তখন ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট চার প্রার্থীর মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ায় কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি।
তবে এখন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির যে আধিপত্য রয়েছে, তাতে তেমন ঘটার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতির শুরু
বিশালাকার যুক্তরাষ্ট্রে যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবের কারণে জাতীয় স্তরে সাধারণ মানুষের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কার্যত অসম্ভব ছিল। সেই কারণে ১৭৮৭ সালে সংবিধান রচয়িতারা ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন।
তাঁরা কংগ্রেস ও জনগণের সরাসরি ভোটে (পপুলার ভোট) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ধারণাই বাতিল করে দেন। তাদের যুক্তি, ছিল পপুলার ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে লোকেরা তাদের স্থানীয় প্রার্থীকে ভোট দেবে এবং তার ফলে বড় রাজ্যগুলো আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করবে।
তখন ছোট ছোট রাজ্যগুলো ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতিকে সমর্থন করে। দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো এই পদ্ধতির পক্ষ নেয়। কারণ সেসময় এসব রাজ্যে দাসের সংখ্যা ছিল অনেক। দাসদের ভোটাধিকার না থাকার পরেও আদম শুমারিতে তাদের গণনা করা হতো।
সংবিধান রচয়িতারা চাননি যে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বসে শুধু আইন প্রণেতারা দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করুক।

‘সুইং স্টেট’ কী, নির্বাচনে এগুলির প্রভাব কী?
বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যই প্রতিটা নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে একই দলকে ভোট দিয়ে আসে। রিপাবলিকান দুর্গ বলে পরিচিত এই রাজ্যগুলো ‘রেড স্টেট’ এবং ডেমোক্র্যাটপ্রধান রাজ্যগুলো ‘ব্লু স্টেট’ হিসেবে পরিচিত। এসব রাজ্য নিয়ে প্রার্থীদের চিন্তা করতে হয় না।
কিন্তু হাতেগোণা কিছু অঙ্গরাজ্য আছে, যে রাজ্যগুলোর ভোট যে কোনো শিবিরে যেতে পারে। এসব রাজ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। এজন্য এসব রাজ্যকে ‘সুইং স্টেট’ বা ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট’ বলা হয়।
এগুলোই হল আমেরিকার নির্বাচনী রণক্ষেত্র। এগুলো ‘পার্পল স্টেট’ হিসেবে চিহ্নিত। এসব রাজ্যে ভোট কোন পার্টির পক্ষে যাবে, তা নির্দিষ্ট করে বোঝা যায় না। তাই প্রার্থীদের কাছে এসব অঙ্গরাজ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এ রাজ্যগুলোর ভোটই শেষ পর্যন্ত জয়-পরাজয়ের চাবিকাঠি হয়ে দাঁড়ায়।
২০১৬ সালে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট’ হয়ে উঠেছিল অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাডা, পেনসিলভেনিয়া এবং উইসকনসিন অঙ্গরাজ্য।
যেসব রাজ্যের ভোট বেশি, প্রার্থীরা সেসব রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারণার পেছনে অনেক বেশি সময় ও অর্থ ব্যয় করে থাকেন।
ইলেক্টোরাল কলেজের সুবিধা-অসুবিধা
সুবিধা:
অসুবিধা:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সরাসরি ভোটগ্রহণ হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এই নির্বাচন সবচেয়ে বেশি ভোটপাওয়া প্রার্থীকে জয়ের নিশ্চয়তা দেয় না। কারণ, সরাসরি ভোটারদের দ্বারা নয়, ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ নামে বিশেষ পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়।
২৮ অক্টোবর ২০২৪
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সরাসরি ভোটগ্রহণ হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এই নির্বাচন সবচেয়ে বেশি ভোটপাওয়া প্রার্থীকে জয়ের নিশ্চয়তা দেয় না। কারণ, সরাসরি ভোটারদের দ্বারা নয়, ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ নামে বিশেষ পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়।
২৮ অক্টোবর ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সরাসরি ভোটগ্রহণ হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এই নির্বাচন সবচেয়ে বেশি ভোটপাওয়া প্রার্থীকে জয়ের নিশ্চয়তা দেয় না। কারণ, সরাসরি ভোটারদের দ্বারা নয়, ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ নামে বিশেষ পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়।
২৮ অক্টোবর ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সরাসরি ভোটগ্রহণ হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এই নির্বাচন সবচেয়ে বেশি ভোটপাওয়া প্রার্থীকে জয়ের নিশ্চয়তা দেয় না। কারণ, সরাসরি ভোটারদের দ্বারা নয়, ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ নামে বিশেষ পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়।
২৮ অক্টোবর ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে